Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

এবার বিদেশি লিগে বাংলাদেশের নারী ফুটবলার

নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের ফুটবলাররা ভারতে, বিশেষত পশ্চিম বাংলার ক্লাবগুলোয় খেলছে ব্যাপারটা ছিল ডালভাত। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। হালের চিত্র একেবারে আলাদা। বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবল যেখানে তলানিতে, সেখানে নারীদের ফুটবল এক রকম তুঙ্গে বলা যায়। দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার ফলাফল প্রমাণিত হয়ে আসছে বছরখানেক ধরে। আন্তর্জাতিক ক্লাবেও ২০১৫ সাল থেকে  পা পড়ছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের। এবার ভারতের হিরো মহিলা ফুটবল লিগে সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই ফরোয়ার্ড সাবিনা খাতুন ও কৃষ্ণা রানী সরকার।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বরাত দিয়ে জানা গেছে, সাবিনা-কৃষ্ণারা সুযোগ পেয়েছেন তামিলনাড়ুর সেথু এফসি ক্লাবে।এটি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর। অংশ নিচ্ছে সাতটি দল। চলতি আসরের দ্বিতীয় পর্বে মাঠে নামবেন সাবিনা ও কৃষ্ণা। ২৬ মার্চ, তাদের দল সেথু এফসি মুখোমুখি হবে ক্রিসা এফসির।

দুজনের এমন কীর্তির খবর বেশ উৎসব করে জানিয়েছে বাফুফে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে লিগ নিয়ে নিজেদের ভাবনা প্রকাশ করেন দুই ফুটবলার। সাবিনা খাতুন বলেন, “আশা করছি অনেক বিদেশি ফুটবলাররা খেলবে এখানে। অনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে, লিগের মান উন্নত হবে।

মেয়েদের গর্বিত কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, “ভারতের ক্লাবের হয়ে আগে বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবলাররা মাঠ কাঁপাত। এখন মেয়েদের যাওয়া শুরু হয়েছে, দুজনকেই পারফর্ম করে দেশের মহিলা ফুটবলের উত্তরণের প্রমাণ রাখতে হবে। তাদের ছোটরাও যেন একইভাবে এসব জায়গায় খেলতে যেতে পারে সেই চেষ্টা করতে হবে।

জাতীয় দলের বাইরে বিদেশি ক্লাবগুলোতে খেলতে হলে ক্রিকেটের মতো ফুটবলেও প্রয়োজন হয় ‘অনাপত্তিপত্র’। বাফুফে থেকে সেটি সাবিনা-কৃষ্ণাদের দিয়েছেন বাফুফের  নারী ফুটবল উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। বলেছেন, “সাবিনা ও কৃষ্ণাকে সেথু এফসি নামের ফুটবল ক্লাব আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাদেরকে আমরা খেলার অনুমতি দিয়েছি।

নারী ফুটবলার হিসেবে বিদেশি লিগে খেলতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রথম আমন্ত্রণ পান সাবিনা খাতুন। মালদ্বীপে খেলেছিলেন ফুটসাল। তিনবার খেলে গোল করেছিলেন অনেকগুলো। কিন্তু সেই লিগের মান নিয়ে প্রশ্ন ছিল।

ফিচার ইমেজ- BFF

Related Articles