- বিশ্বে প্রথমবারের মতো যাত্রীবাহী স্বয়ংক্রিয় ড্রোন আকাশে উড়েছে।
- চীনের ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইহাং এর নির্মিত ‘ইহাং ১৮৪’ নামের ড্রোনটি এই ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
- গত ৬ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটি যাত্রীবাহী ড্রোন আকাশে উড়ানোর সাফল্যের ঘোষণা দেয়।
- ইউটিউবে প্রকাশিত তাদের একটি ভিডিওতে ড্রোনটিকে যাত্রী সহকারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আকাশে উড়তে দেখা যায়।
দুই বছর আগে চীনের ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইহাং ঘোষণা দিয়েছিল, তারা শীঘ্রই যাত্রীবাহী ড্রোন নির্মাণ করতে যাচ্ছে। সেসময় তাদের এ পরিকল্পনা অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী মনে হলেও সম্প্রতি তারা সাফল্য অর্জন করেছে। ইহাং ১৮৪ নামের তাদের নবনির্মিত ড্রোনটিতে চড়ে শুধু গন্তব্য নির্ধারণ করে দিলেই হবে। আকাশে ওঠা, যেকোনো বাধা সামনে পড়লে তা এড়িয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে গন্তব্যে পৌঁছে সফলভাবে যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া পর্যন্ত সকল কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সম্পন্ন করবে ড্রোনটি।
ইহাং জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত ৪০ জন যাত্রীকে দিয়ে সফলভাবে সহস্রাধিক পরীক্ষা চালিয়েছেন। এসব পরীক্ষায় ড্রোনটি যাত্রীসহ সর্বোচ্চ ৩০০ মিটার উঁচুতে উঠেছে, সর্বোচ্চ ২৩০ কেজি ভর বহন করেছে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার বেগে উড়েছে। প্রতিটি যাত্রায় ড্রোনটি গড়ে ১৫ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়েছে। নির্মাতাদের দাবি অনুযায়ী, ড্রোনটি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগের বাতাসেও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে সক্ষম। এছাড়াও এটি উচ্চ তাপমাত্রা, ঘন কুয়াশা সহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশেও চলাচল করতে পারবে।
ইহাং জানিয়েছে, তাদের নির্মিত ড্রোনের দুটি সংস্করণ আছে। এক আসন বিশিষ্ট এবং দুই আসন বিশিষ্ট। এক আসন বিশিষ্ট ড্রোনটি একটি যাত্রায় সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার বা ২৩ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে পারবে। এক আসনের ড্রোনটি সর্বোচ্চ ১০০ কেজি এবং দুই আসনের ড্রোনটি ২৮০ কেজি ভর বহন করতে পারবে। যদিও ব্যাটারি চালিত এই ড্রোনটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়তে সক্ষম, কিন্তু যাত্রী চাইলে যেকোনো সময় নিজেই এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারবেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চিত্রধারণ, পণ্য বহন প্রভৃতি উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ড্রোন তৈরি করলেও যাত্রীবাহী ড্রোন এটাই প্রথম। তবে আট পাখা বিশিষ্ট এই ড্রোনটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসতে এবং সুলভ মূল্যে গ্রাহকদের কাছে সহজলভ্য হতে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। বর্তমানে এর মূল্য ধরা হচ্ছে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ মার্কিন ডলার।
ফিচার ইমেজ- Ehang