- ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাইলেমারিয়াম দেসালেন পদত্যাগ করেছেন।
- বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।
- দেশটির বিরোধীদলের বিশিষ্ট নেতাসহ শত শত রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার ঠিক পরেই তিনি পদত্যাগ করলেন।
২০১২ সাল থেকে নেতৃত্বে থাকা হাইলেমারিয়াম ক্ষমতায় থাকা জোটের চেয়ারম্যান পদ থেকেও পদত্যাগ করছেন। গত বৃহস্পতিবারে টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “অস্থিরতা ও রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে অনেক মানুষের প্রাণহানি এবং পদচ্যুতি হয়েছে। আমার পদত্যাগকে আমি সংস্কার আনার জন্য অত্যাবশ্যক মনে করি, যার ফলে টেকসইভাবে শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।”
তবে তিনি জানান ক্ষমতায় থাকা দল ইথিওপিয়ান পিপলস রেভ্যুলিউশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও দেশটির সংসদ তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ ও নতুন কাউকে দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। ক্ষমতাশীল দলের নেতারা এ ঘোষণার পরে জরুরি বৈঠক করেছে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে দেশটির সংসদ শুক্রবারে বৈঠকে বসবে এবং এ জন্য ইথিওপিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একজন অগ্রগামী পদপ্রার্থী।
দেশটিতে গত তিন বছরের সরকার বিরোধী আন্দোলনে শত শত লোক মারা যায়। ২০১৫ সালে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য বিক্ষোভ শুরু হয়। গত বছর সেখানে প্রায় দশ মাস ধরে চলা জরুরি অবস্থার অবসান হয়। গত মাসে বিরোধীদলীয় অনেক কর্মীকে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেও আন্দোলন চলতে থাকে। আন্দোলনকারীরা রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি ভাংচুর করে। এর ফলে দেশটির পুরা অরমো অঞ্চল জুড়ে ব্যাবসা বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়।
অনেকদিন থেকেই সরকারকে সমালোচনাকারী সাংবাদিক ও বিরোধীদলীয় নেতাদের গ্রেফতারের দায়ে অভিযুক্ত করা হচ্ছিল। মানবাধিকার সংস্থা ও বিরোধীদলগুলোর মতে, তাদেরকে নিজেদের মতামত প্রকাশের জন্যই গ্রেফতার করা হয়।হাইলেমারিয়াম জানুয়ারিতে ঘোষণা করেন, আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এর ফলে দেখা যায়, ৭ হাজার মানুষের অভিযোগ প্রত্যাহার অথবা অথবা ক্ষমা করে দেওয়া হয়। কিন্ত মুক্তিদানের ফলে আন্দোলন আরও বেড়ে যায়। এরই পরিণতিতে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন হাইলেমারিয়াম।
ফিচার ইমেজ: Los Angeles Times