- ভারত-পাকিস্তানের কাশ্মীর সীমান্তে একে অপরের দিকে গোলাবর্ষণের কারণে ভারতে একই পরিবারের ৫ সদস্য নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছে।
- এদিকে ভারতের গোলাবর্ষণে পাকিস্তানে ৯ জন মানুষ আহত হয়েছে।
সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, উভয় পক্ষই ১৫ বছর পুরনো যুদ্ধবিরতির চুক্তির পরেও একে অপরের দিকে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণে নিযুক্ত ছিল।
ভারতের অন্তর্ভুক্ত কাশ্মীরে ভারতীয় পুলিশের মহাপরিচালক জানান, দেবতা ধর গ্রামের চৌধুরি মোহাম্মাদ রমজানের বাড়িতে গোলার আঘাত লাগলে তার পরিবারের ৫ জন সদস্য নিহত হয়। নিহতরা হচ্ছেন রমজান (৪৫), তার স্ত্রী মালকা বি (৪৫), তাদের তিন ছেলে রেহমান (১৯), রিজওয়ান (১৮) ও রাজ্জাক (৮)।
রমজান ও মালকার দুই মেয়ে নুরেন আখতার (১৪) ও মারিন আখতারকে (৭) গুরুতর অবস্থায় জম্মুতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় লোকজন জানায়, সকালের নাস্তা করার জন্য একত্রিত হলে তাদের বাড়িতে গোলাবর্ষিত হয়।
রবিবারে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জানান, পাকিস্তানী বাহিনী আনুমানিক সকাল ৭.৪৫ এর দিকে গোলাবর্ষণ শুরু করে। তিনি বলেন, “তারা মূলত এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা করছে।” পুলিশের মহাপরিচালক জানান, গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলির মাঝে সাধারণ জনগণকে সে অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে পাকিস্তানী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত কাশ্মীরে ভারত থেকে করা শনিবার রাতের গোলাবর্ষণের ফলে ৯ জন পাকিস্তানি আহত হয়।
গত মাসে ভারতের অন্তর্ভুক্ত কাশ্মীরের একটি ভারতীয় সেনা ক্যাম্পে হামলায় ৬ জন সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে সেখানে দু’দেশের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে।
বরাবরের মতোই এবারও উভয় দেশ একে অপরকে আগে গোলাগুলি করার জন্য দোষারোপ করে। ১৯৪৭ সালের পর থেকে ভারত-পাকিস্তান এ অঞ্চলটি অধিকারের জন্য নিজেদের মাঝে তিনবার যুদ্ধ করে। সম্প্রতি দু’দেশের বাহিনী সীমান্তবর্তী এলাকায় বেশ কিছু লড়াইয়ে নিযুক্ত ছিল।
ফিচার ইমেজ: Reuters India