
- উত্তর ও দক্ষিণ সিরিয়ার যুদ্ধ থেকে বাঁচার জন্য হাজার হাজার সাধারণ মানুষ শনিবারে তাদের শহর ছেড়ে পালিয়েছে।
- পূর্ব ঘুতা ও আফরিনের উত্তরাংশে আলাদা আলাদা হামলায় সম্প্রতি এলাকাগুলো থেকে এত মানুষ প্রস্থান করছে।
উদ্ধার কর্মকর্তা ও পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, পূর্ব ঘুতা অঞ্চলে বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে সিরিয়ার কুর্দিশ বাহিনী ও পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, আফরিনের পূর্বাংশে তুরস্কের প্লেন হামলা চালালে অনেক মানুষ সে অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যায়। একজন ঊর্ধ্বতন কুর্দিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ শহর ছেড়ে পালিয়েছে।

Source: The Straits Times
রাশিয়ার সহযোগিতায় সিরীয় বাহিনীর হামলা এবং সিরীয় বিদ্রোহীদের সাথে তুর্কি বাহিনীর লড়াই এ সপ্তাহে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুই পক্ষই দেখিয়েছে কীভাবে বিদেশী সহায়তাদানকারী ও সিরীয় বাহিনী আইএসকে পরাজিত করার পরে সেখানকার মানচিত্রের পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
তুরস্ক গত জানুয়ারিতে তাদের সীমান্তের বাইরে এসে আফরিন নিয়ন্ত্রণকারী সিরীয় কুর্দিশ ওয়াইপিজে যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। মাসব্যাপী লড়াই চালানোর পরে তারা পূর্ব ঘুতার দিকে অগ্রসর হয়। দামাস্কাসের নিকটে এটিই বিদ্রোহীদের শেষ শক্ত ঘাঁটি।
সিরীয় বাহিনী ঘুতাকে তিন দিক থেকে বেষ্টন করে গত সাত বছরের যুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তাক্ত হামলা চালায়। হাম্মুরিয়াহ শহরের নিকটে দক্ষিণ অংশ হতে এ সপ্তাহে এই প্রথমবারের মতো হাজার হাজার সাধারণ জনগণ বেরিয়ে আসতে বাধ্য হয়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মতে, আরও ৩০ হাজার সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীর অবস্থানে পৌঁছেছে।

Source: VOP Today
এদিকে আফরিন থেকে প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ স্থানান্তরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়াতে অবস্থানরত জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা। তুর্কি বাহিনী ওয়াইপিজে যোদ্ধাদের সীমান্ত থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছে। সাধারণ জনগণ মূল শহর থেকে পালিয়ে কুর্দিশদের দখলকৃত অন্যান্য অঞ্চল ও সরকারি এলাকায় চলে যায়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, যেসকল মানুষ সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন শহর নুবুল ও যাহরায় যাচ্ছে তারা কিছু সাহায্য পাচ্ছে। পায়ে হেঁটে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এবং খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করে তারা দুর্বিষহ যাত্রা সম্পন্ন করেছে।
ফিচার ইমেজ: Reuters