ইসলামি চিন্তাবিদ ইউসুফ আল-কারজাভিকে তার অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে মিসরের সামরিক আদালত। গত বুধবার ২০১৫ সালের একটি ঘটনায় সহিংসতায় জড়িত থাকার অপরাধে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও কারজাভি সহ ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিচার সংক্রান্ত কর্মকর্তা আনাদোলু সংবাদ সংস্থাকে জানান, সহিংসতার ঘটনাটি কায়রোতে এক পুলিশ অফিসারের হত্যা সংক্রান্ত। তার বিরুদ্ধে ‘হত্যার উস্কানি’, ‘ভুয়া খবর প্রচার’ ও ‘সাধারণের সম্পত্তির ভাংচুরের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
মিসরে জন্মগ্রহণকারী কারজাভি কায়রোভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস’ এর প্রধান। ৯১ বছর বয়স্ক কারজাভি বর্তমানে নির্বাসিত অবস্থায় কাতারে বসবাস করছেন।
মিসরের নিষিদ্ধ মুসলিম ব্রাদারহুডের চারজন জ্যেষ্ঠ সদস্য সহ এই মামলার আরও ২৬ জন আসামীকে খালাস দেওয়া হয়। বুধবারে দেওয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। অনুপস্থিত আসামীরা গ্রেফতার হলে অথবা নিজেই ধরা দিলে তাদের পুনর্বিচার অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৩ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসিকে উৎখাতের পর থেকেই মিসরে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইন্টারপোল কারজাভিকে তাদের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকা থেকে বাদ দেয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১১ সালে কারাগার ভেঙে গণহারে কয়েদি পালানোর ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে তার অনুপস্থিতিতে বিচারে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় মিসরের একটি আদালত।
ফিচার ইমেজ: Middle East Monitor