Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

সিরিয়ার পূর্ব ঘুতায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ব্যাপারে অনুসন্ধান চালাবে ওপিসিডব্লিউ

  • বিশ্বের রাসায়নিক অস্ত্রের প্রহরীরা সিরিয়ার পূর্ব ঘুতায় কোনো নিষিদ্ধ যুদ্ধোপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা, তা নির্ণয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে প্রকাশ করেছে রয়টার্স
  • এই মাসে রাজধানীর নিকটে বারবার ক্লোরিন বোমা হামলা চালানোর তথ্যে হেগ ভিত্তিক অরগানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনস  (ওপিসিডব্লিউ) রবিবারের একটি হামলাসহ অনুসন্ধান চালিয়ে দেখবে।
  • স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে রবিবারের হামলায় একজন শিশু নিহত হয় এবং তার মৃত্যুর পেছনের কারণ ক্লোরিন গ্যাসের সংস্পর্শে আসার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
  • রয়টার্স জানায়, তাদের তথ্যসূত্র নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে, কেননা এ ব্যাপারে তাদের কথা বলার অনুমতি নেই।

এ মাসে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক নেতারা জানান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অধীনে থাকা বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে তারা দামাস্কাসের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেবেন।

সিরিয়ার যুদ্ধবিমান পূর্ব ঘুতায় মঙ্গলবারেও হামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ওপিসিডব্লিউ এর দল এ অনুসন্ধান চালাচ্ছে। যদিও রাশিয়া সেখানকার ৪ লক্ষ মানুষকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রতিদিন ৫ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

১৯৯৭ কেমিক্যাল উইপন কনভেনশন এর আওতায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ। ক্লোরিন গ্যাস নিঃশ্বাসের সাথে প্রবেশ করলে ফুসফুসে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি করে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যেতে পারে।

Source: WIBQ

ওপিসিডব্লিউ এর দল এ অনুসদ্ধান চালিয়ে দেখছে, আন্তর্জাতিক অস্ত্রের নীতি ভঙ্গ করে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা। ঘুতায় সারিন গ্যাসের হামলায় শত শত মানুষ নিহত হলে, সিরিয়া ২০১৩ সালে এ নীতিতে স্বাক্ষর করে।

ঘুতার হামলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে জানানো হয়, “ওপিসিডব্লিউ এর প্রযুক্তিগত দপ্তর অতি সাম্প্রতিক অভিযোগগুলোসহ গণমাধ্যম ও অন্যান্য সূত্রের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত সকল বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পরীক্ষা করে দেখছে।” 

তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে ওপিসিডব্লিউ এর দল ঘুতায় যাত্রা করবে না। তারা প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য, ছবি ও ভিডিও সংক্রান্ত প্রমাণ ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করবে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ঘুতায় যাত্রা করা দুজন অনুসন্ধানকারীর উপর হামলা চালানো হয়।

সিরিয়া ও সামরিক সহযোগিতা দানকারী দেশ রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে। এর আগে ২০১৬ সালে প্রকাশিত এক অনুসন্ধানের ফলাফলে বলা হয় যে, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী তিনটি উপলক্ষে ক্লোরিন ব্যবহার করেছে। অনুসন্ধানের ফলে গত বছর এও প্রমাণ করে যে, সিরীয় সরকার খান শেইখুন শহরে সারিন গ্যাসের হামলা করে, যার ফলে ৮০ জনের মৃত্যু ঘটে।

ফিচার ইমেজ: The Morung Express

Related Articles