
- কাবুলের একটি মিলিটারি একাডেমির নিকটে অবস্থিত সেনা ঘাঁটিতে হামলায় অন্তত ১১ আফগান সেনা নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মুখপাত্র।
- সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৫টায় এ হামলা চালানো হয়।
- ‘আমাক’ ওয়েবসাইটে আইএস এ হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
- হামলায় অন্তত পাঁচজন জড়িত ছিল, যাদের মধ্যে চারজন মারা যায়।
- কর্তৃপক্ষ জানায়, বাকি দুজনের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
- হামলাকারীরা রকেট চালিত গ্রেনেডসহ অনেক ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।

নিরাপত্তা বাহিনী এলাকার সকল রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়; Source: Al Jazeera
আফগান গণমাধ্যম তোলো জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী ঐ এলাকার সকল রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, হামলাকারীরা প্রথম প্রবেশদ্বার থেকে আর ভিতরে যেতে পারে নি।
মোহাম্মাদ এহসান নামে এক এলাকাবাসী জানান, তিনি মার্শাল ফাহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটে প্রায় আধা ঘন্টা ধরে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান। এরপরেও কিছুক্ষণ পর পর ছোট ছোট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। স্থানীয় গণমাধ্যমে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এ একাডেমিতে সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচুর উপস্থিতি দেখা যায়।
মার্শাল ফাহিম ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির নিকটে অবস্থিত হামলার শিকার এই সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে আগেও তালেবান হামলাকারীরা হামলা চালায়। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে মিনিবাসে করে যাওয়ার সময় একাডেমির বাইরে এক বিস্ফোরণে ১৫ জন মিলিটারি ক্যাডেট নিহত হয়।

২০১৭ সালের হামলায় ১৫ সামরিক ক্যাডেট নিহত হয়; Source: Guardian Nigeria
এর আগে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের নিকটে অ্যাম্বুলেন্সে হওয়া এক বিস্ফোরণে ১০০ জনের মতো নিহত হওয়ার একদিন পরেই এ ঘটনা ঘটলো। সেই ঘটনার পরেই কাবুলে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা বিরাজ করছিলো। সে হামলার এক সপ্তাহ পূর্বে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তালেবানের হামলায় ২২ জন নিহত হয়। এছাড়াও গত সপ্তাহে আইএস জালালাবাদে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এর অফিসের সামনে হামলা চালায়।
কাবুলের আবু রায়হান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আব্দুল্লাহ ফাহিমি জানান, বিগত দুই শীতকাল জুড়ে শহরটিতে সশস্ত্র বাহিনীর হামলা অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মতে, আফগান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের নেওয়া আক্রমণাত্মক কৌশলের কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে।
ফিচার ইমেজ: The Guardian