- মহারাষ্ট্র সরকার ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান কোম্পানির সাথে ভারতের সর্বপ্রথম হাইপারলুপ যাত্রাপথ তৈরির চুক্তি করেছে।
- গত রবিবার ভার্জিন হাইপারলুপ ফাউন্ডার ও ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান এর চেয়ারম্যান স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাদনাভিসের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
- মুম্বাই থেকে পুনা পর্যন্ত এই হাইপারলুপ যাত্রাপথটি তৈরি করা হবে।
‘ম্যাগনেটিক মহারাষ্ট্র’ বিনিয়োগ সম্মেলনে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, “আমি বিশ্বাস করি বিংশ শতাব্দীতে ভারতে ট্রেন যে প্রভাব ফেলেছিল, ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান একবিংশ শতাব্দীতে সেই প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে।” তিনি আরও জানান, জাতীয় হাইপারলুপ নেটওয়ার্কের আওতায় পুনা-মুম্বাই যাত্রাপথ আদর্শ স্বরূপ, যার ফলে ভারতের বৃহত্তর শহরগুলোর মাঝে যাত্রার সময় নাটকীয়ভাবে দুই ঘণ্টার মধ্যেই সীমিত করে ফেলতে পারে। ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান ভারতকে পরিবহন ব্যবস্থার দিক অগ্রগামী করে তুলতে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পন্ন হলে এই প্রকল্পটি মহারাষ্ট্রকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে গতিশীল করে তুলবে এবং বছরে প্রায় ১৫ কোটি যাত্রীকে যাত্রাসুবিধা প্রদান করবে। এর ফলে প্রায় ৯ লক্ষ ঘণ্টা ভ্রমণের সময় বেঁচে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাদনাভিস বলেন,
“ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান এর সাহায্যে আমরা একটি টেকসই অবকাঠামো তৈরি করতে পারি, যা মহারাষ্ট্রকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে এবং নতুন বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রকে আকৃষ্ট করবে। পুনা-মুম্বাই হাইপারলুপ যাত্রাপথটি এ অঞ্চলের একটি অনুঘটকের মতো কাজ করবে এবং ভারতের বিশ্বমানের উৎপাদন, নির্মাণ, সেবা ও আইটি খাতে হাজার হাজার চাকুরির সৃষ্টি করে মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের সাথে জোটবদ্ধ করবে।”
এই প্রকল্পটি মূলত ২০১৭ সালের নভেম্বরে পুনা মেট্রোপলিটান রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ও ভার্জিন হাইপারলুপ ওয়ান এর মাঝে সম্ভাব্য অনুশীলনের বিষয় হিসেবে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ এর থেকে পাওয়া তথ্যগুলো নতুন প্রকল্পের গবেষণার মৌলিক বিষয় হিসেবে ব্যবহার করবে। নির্ধারিত নয় মাস সময়ের মাঝে গবেষণাটি এই যাত্রাপথ তৈরির কারণে পরিবেশের উপর প্রভাব, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক বিশ্লেষণ এবং এর খরচ ও তহবিলের ব্যাপারে সুপারিশ করবে।
এই হাইপারলুপ প্রকল্পটি মুম্বাই-পুনা অঞ্চলে ডেলিভারি ও সাপ্লাই চেইনের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকি এর কারণে বছরে প্রায় দেড় লক্ষ টন গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ কমে আসবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা।
ফিচার ইমেজ: Youtube