Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

লিবিয়া ও ইতালির মাঝে সমুদ্র উপকূল থেকে কয়েক শতাধিক অভিবাসী উদ্ধার

  • আন্তর্জাতিক দাতব্য জাহাজ ও লিবিয়ার কোস্টগার্ড লিবিয়া ও ইতালির মাঝে সমুদ্র উপকূল থেকে শতাধিক অভিবাসী উদ্ধার করেছে।
  • গত শনিবার পাচারকারীরা এসব অভিবাসীদের ইতালিতে স্থানান্তর করার সময় তাদেরকে উদ্ধার করা হয় বলে প্রকাশ করেছে রয়টার্স

লিবিয়ার কোস্টগার্ডের জলযান অভিবাসীদের ৩টি নৌকা উদ্ধার করে। কোস্টগার্ডের মুখপাত্র আয়ুব কাসেম জানান, প্রথম নৌকাটি লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলীর পশ্চিনে জাউইয়া থেকে ১২৫ জন অভিবাসী নিয়ে ডুবে যায়। দ্বিতীয় নৌকাটি ত্রিপলির পূর্বে অবস্থিত গারাবুলি থেকে ১১২ জন মানুষসহ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে তৃতীয় নৌকাটি লিবিয়া-তিউনিসিয়া সীমান্তের কাছে আবু কামাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। এতে ৯৮ জন অভিবাসী অবস্থান করছিলো।

অ্যাকুয়ারিস জাহাজের উদ্ধারকর্মীরা জানান, ১০০ জন অভিবাসীসহ চতুর্থ নৌকাটি প্রায় পুরোপুরি ডুবতে বসেছিলো। জাহাজটি অভিবাসীদের ইতালিতে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এর অর্ধেকের বেশি অভিবাসী নাইজেরিয়ার নাগরিক; বাকিদের মাঝে দুজন ফিলিস্তিনি ও অন্যান্যরা আফ্রিকার সাব-সাহারার দেশগুলোর নাগরিক।

ম্যাক্স এভিস নামে একজন উদ্ধারকর্মী বলেন, “নৌকাটি ধরে রাখার ৫টি বেলুনের মাঝে ৪টি থেকেই পুরোপুরিভাবে বাতাস বের হয়ে যায় অথবা হয়ে যাচ্ছিলো, নৌকাটির মাঝে তখনও ১২০ জন মানুষ অবস্থান করছিলো। অর্থাৎ এটি খুবই অনিশ্চিত অবস্থায় ছিলো।”

সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় অভিবাসীদের কাছে প্রস্থানের প্রধান স্থান হচ্ছে লিবিয়া। গত ৪ বছরে প্রায় ৬ লক্ষেরও বেশি অভিবাসী ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছে। মানব পাচারকারীরা লিবিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এ কাজ করেছে। এছাড়াও হাজার হাজার অভিবাসী সমুদ্রে প্রাণ হারিয়েছে।

ত্রিপলির সরকারের সাথে লিবিয়ার শহর সাবরাথার পাচারকারীরা তাদের কার্যক্রম বন্ধের একটি চুক্তি করলে এবং পরবর্তীতে সশস্ত্র দলের দ্বারা শহর থেকে বিতাড়িত হলে গত গ্রীষ্মকাল থেকে এ ধরনের যাত্রা অনেক কমে গিয়েছিলো। লিবিয়াতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সমর্থিত কোস্টগার্ডও আন্তর্জাতিক জলযানে করে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার পূর্বেই অভিবাসীদের নৌকা আটক করে উদ্ধারকার্যে এগিয়ে আসে।

পরবর্তীতে শনিবারে আরও দুটি অভিবাসীর দলকে অ্যাকুয়ারিস জাহাজে পৌঁছে দেওয়া হয়। জুওয়ারার কোস্টগার্ড জানায়, তারা রাতের বেলা স্থানান্তরের এ কার্যক্রমে বাঁধা দিয়ে কয়েকজন অভিবাসীকে গ্রেফতার করলেও বাকিরা পাচারকারীদের সাথে পালিয়ে যায়।

ফিচার ইমেজ: Buzzort

Related Articles