- সাবেক ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের জ্যেষ্ঠ কন্যা রাগাদ হোসেনকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় স্থান দিয়েছে ইরাক সরকার।
- ‘সন্ত্রাসবাদের’ সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে গতকাল রবিবার ইরাক সরকার ৬০ সদস্যের এ তালিকা প্রকাশ করে। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা সহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম।
- তালিকায় রাগাদ ছাড়াও সাদ্দামের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য, বাথ পার্টির কয়েকজন উচ্চপদস্থ নেতা এবং আইএস ও আল-কায়েদা সদস্যরা স্থান পেয়েছে।
Iraqi published the names of 60 people wanted on suspicion of belonging to the Islamic State group, Al-Qaeda or the Baath Party of late dictator Saddam Hussein.The list, seen by AFP, includes the name of Saddam’s daughter Raghad, who lives in Jordan. #Iraq https://t.co/ikn7pnHd5m
— Randa HABIB (@RandaHabib) February 4, 2018
তালিকায় জঙ্গী সংগঠন আইএসের ২৮ জন, আল-কায়েদার ১২ জন এবং সাদ্দাম হোসেনের বাথ পার্টির ২০ জন সদস্য আছে। সাদ্দামের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রাগাদ ছাড়াও আছেন সাদ্দামের তিন ভ্রাতুষ্পুত্র এবং এক চাচাতো ভাই। বাথ পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে ফাওয়াজ মোহাম্মদ মুতলাকের নাম তালিকায় স্থান পেয়েছে, যিনি পরবর্তীতে জঙ্গী সংগঠন আইএসের মিলিটারি কাউন্সিলের সদস্য হয়েছিলেন।
এএফপি জানিয়েছে, তালিকায় প্রতিটি সদস্যের ছবি, সংগঠনে তাদের ভূমিকা এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বর্ণনা লিপিবদ্ধ আছে। এদের মধ্যে শুধুমাত্র একজন আছেন লেবাননের নাগরিক, এছাড়া বাকি সবাই ইরাকি। এক জ্যেষ্ঠ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান,
এরা হচ্ছে সন্ত্রাসী, যারা বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসামী। এবারই আমরা প্রথমবারের মতো এদের নাম প্রকাশ করছি, এর পূর্ব পর্যন্ত এই তালিকা গোপন ছিল।
তালিকায় স্থান পাওয়া আইএস যোদ্ধাদের অধিকাংশই ইরাকের মসুল শহর সহ নিনাওয়া, কিরকুক, দিয়ালা এবং আনবার প্রদেশে যুদ্ধ করার দায়ে অভিযুক্ত। তবে মাঝারি পর্যায়ের আইএস নেতারা এই তালিকায় স্থান পেলেও আশ্চর্যজনকভাবে আইএসের প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদীর নাম এই তালিকায় নেই। নিরাপত্তা কর্মকর্তা এর কারণ ব্যাখ্যা করতে অস্বীকৃতি জানান বলে জানিয়েছে এএফপি।
তালিকায় বাথ পার্টির সদস্যদেরকে আর্মি অফ মুহাম্মদ, নাকশবন্দী আর্মি, আর্মি অফ মুজাহেদিন, আল-উসরা আর্মি, আল-কায়েদা এবং দায়েশ (আইএস) এর সাথে সম্পর্কিত হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ। আরব নিউজের সাথে সাক্ষাৎকারে এক জ্যেষ্ঠ ইরাকি গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, তালিকার সবাই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর নেতা, যারা ইরাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে চালিয়ে আসছিল। তালিকার অনুলিপি জাতিসংঘ এবং ইন্টারপোলের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাদ্দাম কন্যা রাগাদ হোসেন। আল-আরাবীয়ার সাথে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তাকে যারা ‘অপমান’ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি আইনী লড়াই করবেন। রাগাদ আরও জানান, তার নাম যে ইরাকি প্রশাসনের তালিকায় আছে, সেটা তিনি জর্ডান সরকারের কাছ থেকে ২০০৬ সালেই জানতে পেরেছিলেন।
উল্লেখ্য, ৫০ বছর বয়সী রাগাদ সাদ্দামের পতনের পর থেকে জর্ডানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছিলেন। তবে আল-আরাবীয়ার সাথে ফোনে তিনি বলেন, তিনি এখন আর জর্ডানে থাকেন না।
Source: AFP/KHALED FAZAA