হলে সিনেমা প্রদর্শনের আগে জাতীয় সংগীত বাজানোর বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বিতর্কমূলক সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করার ব্যাপারে ভারত সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এক দিনের মাথায় সুপ্রিমকোর্ট ৯ জানুয়ারি, মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপালের পরামর্শে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ নির্দেশনা দেয় যে, সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজানোর বাধ্যবাধকতা থাকবে না। কিন্ত বাজালে বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া সবাইকে উঠে দাঁড়াতে হবে।
ভারতীয়দের মাঝে দেশাত্মবোধ ও জাতীয়তাবোধ জাগরণের লক্ষ্যে যুক্তি দেখিয়ে ২০১৬ সালের এক নির্দেশনায় সুপ্রিমকোর্ট থেকেই জাতীয় সংগীত বাজানোর বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছিল। ভারতীয় জনতা পার্টি এটিকে চমৎকার পদক্ষেপ বলে সমর্থন জানালে তা সমালোচনার সৃষ্টি করে।
কেরালা রাজ্যের একটি চলচ্চিত্র ক্লাব তখন এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে। এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হলে নানা প্রেক্ষিতে সরকার অন্তবর্তী মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটি গড়ে তোলে। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতকে জানায়, তারা সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজানো বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পক্ষে। এর প্রেক্ষিতেই আজ এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিমকোর্ট।
উল্লেখ্য, অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল সিনেমা হলে জাতীয় সংগীত বাজানোর পক্ষে ছিলেন। তার মতে, নানা সংস্কৃতির দেশ ভারতে অভিন্নতা আনার লক্ষ্যে জাতীয় সংগীত বাজানো উচিত। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সহ বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি এ এম খানিলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের বিপরীতে মন্তব্য করেন, ভারতীয়দের সবসময় দেশপ্রেম দেখিয়ে বেড়ানোর দরকার নেই। জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় না দাঁড়ালে কেউ ‘কম দেশপ্রেমিক’, এমনটাও ভাবা যায় না বলে মন্তব্য করে ভারতীয় আদালত।
ফিচার ইমেজ: C Suresh Kumar