- যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল ও আরব্য উপসাগরীয় দেশগুলোসহ ১৯টি দেশের সাথে গাজার মানবিক সঙ্কট সংক্রান্ত বৈঠক করেছে।
- গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে এই বৈঠকটি বসে।
- জেরুজালেম সংক্রান্ত নীতির কারণে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এ বৈঠক বর্জন করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সেখানে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে কয়েক দশক ধরে চলে আসা যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতির পরিবর্তন করেন। এ সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিন ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্রদেশগুলো ক্ষুব্ধ হয়।
একজন উর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, “গাজাকে ঠিক করা একটি শান্তি চুক্তি অর্জনের জন্য প্রয়োজন।” কর্মকর্তারা জানান, বহুজাতীয় মানবিক ও পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি শান্তি প্রক্রিয়াটি দেখছেন তত্ত্বাবধানে থাকা ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জারেড কুশনার উপস্থিত দেশগুলোকে দুই ঘন্টার উপস্থাপনা দিলেও যুক্তরাষ্ট্রের সভায় শান্তি পরিকল্পনার কথা জানানো হয়নি।
সম্ভাব্য বিদ্যুৎ, পানি, নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলেও কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট রূপরেখার প্রস্তাবনা দিতে অস্বীকৃতি জানান। একজন জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, অনেক প্রকল্পই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সহায়তা ছাড়াই বাস্তবায়িত করা সম্ভব। তবে উদ্দেশ্য হচ্ছে একে নানামুখী প্রক্রিয়ায় চূড়ান্তভাবে নিযুক্ত করা।
গাজা বেকারত্বের হার ৪৩.৬% । সেখানকার অনেকেই এই কষ্টের কারণ হিসেবে ইজরায়েলকে দায়ী করে। তাদের মতে, সে অঞ্চলে ইজরায়েল কর্তৃক অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে মানুষের গতিবিধি ও পণ্য আনা-নেওয়া ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। তবে তারা হামাস ও ফাতাহর মাঝে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে সৃষ্ট অসুবিধার কথাও উল্লেখ করে।
ইজরায়েল গাজা থেকে তাদের ঔপনিবেশিক ও সৈন্যদের ২০০৫ সালে সরিয়ে ফেললেও জানায় হামাসের পাঠানো বন্দুকধারী ও বোমা হামলাকারী এবং সেসব অস্ত্র চোরাচালান রুখতে তাদের বাধ্য হয়েই সে অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে হয়।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী গত মঙ্গলবার বোমা হামলার মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। হামাস এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গত অক্টোবরে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যেখানে হামাসকে গাজার পুরো প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনের সরকারের হাতে দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।
ফিচার ইমেজ: Todays News