
- দুই কোরিয়ার মাঝে সম্পর্কের উন্নতির জন্য দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল উত্তর কোরিয়ায় সফর করবে।
- ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মাঝে আলোচনার ব্যাপারে কথা বলার উদ্দেশ্যে এই সফর হবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতির ভবন ব্লু হাউজ।
- তারা আগামী সোমবার উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
- দুই দিনের সফর শেষ করে তারা পিয়ংইয়ং এর আলোচনা সম্পর্কে সংক্ষেপে জানাতে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা করবে।
১০ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলকে পরিচালনা করবেন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স সার্ভিসের প্রধান সুহ হুন ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অফিসের প্রধান চাং ইউই-ইয়াং এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনা করার পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন কর্মকর্তা। সিউল জানায়, তারা জাপান ও চীনের কর্মকর্তাদেরও সহযোগিতা করবে। তবে উত্তর কোরিয়া আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক অনুশীলনের সমালোচনা করেছে।

Source: Time Magazine
ইয়নহাপ সংবাদ সংস্থার বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা অফিসার জানিয়েছেন, এই অনুশীলনটি আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হবে। তারা শীতকালীন অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিক শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন। শনিবার রাতে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সাথে দেখা করবে তবে পিয়ংইয়ংকে অবশ্যই প্রথমে পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা সাক্ষাৎ করব এবং আমরা দেখব ইতিবাচক কোনোকিছু হয় কিনা।” তবে রয়টার্স জানায়, এটি নিশ্চিত না যে ট্রাম্প কৌতুক করছিলেন, নাকি আসলেই উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা অনিবার্য।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ফেব্রুয়ারি মাসে জানান, গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় শীতকালীন অলিম্পিক চলাকালে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সাথে কিম জং উনের বোনসহ উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার কথা থাকলেও, উত্তর কোরিয়া তা শেষ মুহূর্তে বাতিল করে। উত্তর কোরিয়া শনিবারে আবার জানায়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক হলেও কোনো পূর্বশর্তের আওতায় তারা আলোচনায় বসবে না।
গতমাসের শীতকালীন অলিম্পিকের ফলে দুই কোরিয়ার মাঝে প্রায় এক বছর ধরে চলে আসা টানাপোড়েনের অবসান ঘটে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায় ইন উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক মিসাইল কার্যক্রম সংক্রান্ত আলোচনার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ফিচার ইমেজ: North Korean Insight