- ভারতে পুরুষ সেজে দুই নারীকে বিয়ে করা এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
- স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি জানানোর অপরাধে গত বুধবার ভারতের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত রাজ্য উত্তরখন্ড থেকে কৃষ্ণা সেন নামে এ নারীকে গ্রেফতার করা হয়।
- পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় উদঘাটিত হয় যে কৃষ্ণা একজন নারী।
তাদের মতে, কৃষ্ণা সেন আগে সুইটি নামে পরিচিত ছিল। সে ২০১৪ সালে তার প্রথম বিয়ের সময় থেকেই ছেলের ছদ্মবেশে থাকতো। বিয়ের কিছুদিন পরে স্ত্রীর থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে গত ২০১৭ সালের এপ্রিলে সে আবার বিয়ে করে।
তাদের মেয়েকে যৌতুকের জন্য হেনস্থা করা হয় বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে তার প্রথম স্ত্রীর পরিবার। তারা আরও জানায়, ব্যবসা শুরু করার নাম নিয়ে তাদের কাছে সে সাড়ে আট লক্ষ রুপি ধার নিয়ে আর ফেরত দেয় নি। পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানামিজে বলেন, “আমরা প্রথমে বুঝে উঠতে পারিনি কৃষ্ণা আসলে কী বলতে চাচ্ছে। পরে মেডিকেল পরীক্ষা করে জানতে পারি সে আসলে একজন নারী।”
পুলিশ আরও বলে, কৃষ্ণা তাদের জানিয়েছে, সে ছোটবেলা থেকেই ছেলে হতে চাইতো এবং একজন ছেলের মতো জীবনযাপন করতে চাইতো। তবে তার এসব কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তার পরিবার অবহিত আছে কিনা সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তার দুই স্ত্রীর কেউ তাকে সন্দেহ করেনি। পুলিশের মতে, সে কখনও তাদের ঘনিষ্ঠ হয় নি।
তার অধিকাংশ বন্ধুই ছেলে। তিনি বেশিরভাগ সময়ই পুরুষদের টয়লেট ব্যবহার করতেন এবং ভিন্ন স্বরে কথা বলতেন। তিনি ধূমপান ও মদ্যপান করতেন এবং সন্দেহমুক্ত হওয়ার জন্য ছেলেবন্ধুদের সাথে মোটরসাইকেল চালাতেন। অপর একজন উলিশ কর্মকর্তা জানান, “ছেলেদের মতো চুল, পোশাক ও আচরণ করে কৃষ্ণা একজন ছেলের জীবন অতিবাহিত করতো। কেউ তাকে কোনদিন সন্দেহ করেনি।” তিনি আরও বলেন, এমনকি তিনি একজন আত্মবিশ্বাসী পুরুষের মতো করেই হাঁটতেন।
কৃষ্ণাকে প্রধানত যৌতুকের দায়ে অভিযুক্ত করা হলেও পুলিশ সে অভিযোগ পরিবর্তন করে দিয়েছে। কেননা দুটির একটিও আসলে বিয়ে বলে বিবেচিত হয় না। সাব-ইন্সপেক্টর সঞ্জয় জোশি বলেন, “কৃষ্ণাকে যৌতুকের জন্য নয়, বরং প্রতারণার কারণে বিবেচনায় আনা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সে স্বামী ছিলো না, তাই এগুলোকে বিয়ে বলা যায় না।”
ফিচার ইমেজ: newsx.com