- ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগীদের দীর্ঘ তালিকায় এবারে যুক্ত হলেন গ্যারি কোহেন।
- কোহেন ট্রাম্পের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন।
- অ্যালুমিনিয়াম আর ইস্পাত আমদানির ওপরে বাড়তি কর চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে না পারাই এই পদত্যাগের মূল কারণ বলে জানা গেছে।
হোয়াইট হাউজের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে এই খবর। জানা যায়, কর বাড়ানোর জন্য ট্রাম্পের পদক্ষেপ মুক্ত বাণিজ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন ৫৭ বছর বয়সী গ্যারি।
গত বছর কর সংস্কার সংক্রান্ত পরিকলনাগুলো কোহেনের মাথা থেকেই বেরিয়েছিল। গোল্ডম্যান স্যাকস ব্যাংকের এই সাবেক প্রেসিডেন্ট অবশ্য কোনোদিনই ট্রাম্পের বিশেষ ঘনিষ্ঠ ছিলেন না।
দুজনের বিরোধের সূত্রপাতটা হয় গত বছরের অক্টোবরে। ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে কট্টর ডানপন্থীদের মিছিল এবং তাদের সাথে সাধারণ মানুষের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া সমর্থন করতে পারেননি গ্যারি কোহেন। ডানপন্থীরা গাড়ি চাপা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যা করবার মতো অপরাধ করলেও মার্কিন প্রশাসন পুরো ব্যাপারটিতে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিমত ছিল কোহেনের।
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অবশ্য কোহেনের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণাত্মক ভাবভঙ্গী প্রকাশ করা হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বরং কোহেনকে ‘বিরল প্রতিভা’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, তার সাথে কাজ করাটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিল। অবশ্য ট্রাম্প এটিও বলেছেন যে, শিগগিরই কোহেনের বিকল্প কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করা হবে। বিকল্পের তালিকায় আছেন হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা পিটার নাভারো এবং ট্রাম্পের নির্বাচনী উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো।
বুধবার ট্রাম্প বলেছিলেন যে, হোয়াইট হাউজের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই গোছানো। তবে এখনো বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই একের পর এক পদত্যাগ ট্রাম্পকে বিব্রত করে আসছে। গত সপ্তাহেই যোগাযোগ প্রধান হোপ হিকস অব্যাহতি নিয়েছেন। অনেকে সন্দেহ করছেন, রাশিয়ার সাথে ট্রাম্পের সম্ভাব্য নির্বাচনী যোগসাজশকে কেন্দ্র করেই এই পদত্যাগ, যদিও বরাবরের মতো হোয়াইট হাউজ এসব সম্ভাবনাকে অস্বীকার করেছে।
ফিচার ইমেজ: Washington Times