- রাশিয়া সিরিয়ার পূর্ব ঘূতায় প্রতিদিন ৫ ঘন্টার জন্য যুদ্ধবিরতি দেবে বলে জানিয়েছে।
- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সারা সিরিয়ায় ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির দাবি জানালে সোমবার রাশিয়া এ সিদ্ধান্ত জানায়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে আর আইএ সংবাদ সংস্থা জানায় ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পূর্ব ঘুতায় যুদ্ধবিরতি দেওয়ার আদেশ দিয়েছে। এর ফলে তিনি সাধারণ জনগণকে পালানোর জন্য ‘মানবতার পথ’ তৈরি করে দেবেন।
বিগত সাতদিন ধরে দামাস্কাসের নিকটে অবস্থিত পূর্ব ঘুতায় রাশিয়া ও তার সহযোগী রাষ্ট্রগুলো সাত বছর ধরে চলে আসা যুদ্ধের সবচেয়ে বেশি গোলাবর্ষণ করে। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। রবিবার সেখানকার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ জানায় অনেকেরই ক্লোরিন গ্যাসজনিত সমস্যার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। সোমবারে উদ্ধারকর্মী ও যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারীরা জানায়, ঐদিন শুধু একটি শহরেই সাত জন ছোট শিশু নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেস জেনেভায় ইউ এন হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলকে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত করার আদেশ দিয়ে বলেন, “পূর্ব ঘুতা আর অপেক্ষা করতে পারবে না। পৃথিবীর উপর এই নরককে থামিয়ে দেওয়ার এটাই সময়।”
ইরান ও শিয়া সেনাদের সাথে মিলিত হয়ে রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রধান সমর্থক। রাশিয়ার তার পক্ষে ২০১৫ সালে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে তাকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো দখলে সহায়তা করছে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সইগো এটি জানাননি, সিরিয়ার সরকার ও অন্যান্য যৌথবাহিনী প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি পালনের সাথে একমত হয়েছে কিনা। পূর্ব ঘুতার বিদ্রোহী অংশের একজন নেতা জানান, সিরিয়ার সরকার ও তার যৌথবাহিনী জাতিসংঘের প্রস্তাবের পরে এক সুদূরপ্রসারী স্থল হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও জানান যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা অত্যাবশ্যক। তিনি বলেন, “আমরা বাস্তবসম্মত, গুরুতর, কার্যকরী পদক্ষেপ আশা করছি।”
ক্লোরিন গ্যাসের বিষাক্ততার কারণে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংবাদের ভিত্তিতে সের্গেই সইগো বলেন যুদ্ধে সিরিয়ার সরকারের রাসায়নিক হামলার অভিযোগ শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতিতে অন্তর্ঘাত আনার কারণেই আনা হয়েছে। সিরিয়ার সরকার বারবারই যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে এসেছে।
গত ৮ দিনে ঘুতায় বোমা হামলায় ৫৫৬ জন মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের প্রস্তাবের পরে গোলাবর্ষণের হার কমে গেলেও সোমবারে পূর্ব ঘুতায় ৭ জন ছোট শিশুসহ ২১ জন মারা যায়।
ফিচার ইমেজ: Los Angeles Times