- গত শনিবার তুরস্কের যুদ্ধবিমান সিরিয়ার আফরিনে সরকারপন্থী বাহিনীর উপর হামলা চালালে অন্তত ৩৬ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
- সরকারপন্থী বাহিনী কুর্দিশ ওয়াইপিজি বাহিনীকে সাহায্য করতে গত সপ্তাহে আফরিনে প্রবেশ করে।
- কাফর জিনাতে হামলার মাধ্যমে তুরস্ক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকারপন্থী বাহিনীর উপর হামলা চালায়।
ওয়াইপিজি পরিচালিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, সিরিয়ান আর্মির ‘জনপ্রিয় বাহিনীগুলো’কে লক্ষ্য করে ভোর ৫টা হতে সকাল ১০টা পর্যন্ত তুরস্ক বিমান হামলা পরিচালিত করে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানান, তার বাহিনী বিদ্রোহীদের কাছ থেকে রাজো শহরটি দখল করতে পেরেছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, তুর্কি বাহিনী আফরিনের প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এই শহরটির প্রায় ৭০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
তুরস্ক কুর্দিশ সেনাদেরকে সন্ত্রাসী বলে মনে করে। গত জানুয়ারিতে হামলা শুরু করার পরে এটি তুর্কি সেনাদের কাছে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বিমান হামলাগুলোর একটি ছিল। গত বৃহস্পতিবার আফরিনে লড়াইয়ের সময় ৮ জন তুর্কি সেনা নিহত ও আরও ১৩ জন আহত হয়।
তুরস্ক অভিযান চালানোর পর থেকে আফরিনে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ বাসা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। তুরস্ক সরকারের মতে, কুর্দিশ পিপলস প্রটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কারস পার্টি‘র একটি বর্ধিত অংশ, যা দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কে কুর্দিশ সার্বভৌমত্বের জন্য তিন দশক ধরে লড়াই করছে।
ফিচার ইমেজ: vox.com