- জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ওয়াশিংটন প্রস্তুত রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হেলি।
- পূর্ব ঘুতায় সিরীয় সেনাদের হামলা অব্যাহত থাকায় গত সোমবার এ কথা জানান তিনি।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে দামাস্কাস ও পূর্ব ঘুতায় অবিলম্বে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির দাবি জানাতে বলেছিলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় হামলা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, তারা বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালাচ্ছে।
যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী এক দলের মতে, ফেব্রুয়ারির ১৮ তারিখ থেকে পূর্ব ঘুতায় বিমান ও স্থল হামলায় প্রায় ১,১৬০ জন নিহত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আসাদ দামাস্কাসের নিকটে বিদ্রোহীদের শেষ শক্তিশালী ঘাঁটি গুড়িয়ে দিতে চান।
হেলি ১৫ সদস্য বিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, “আমরা এ পথে যেতে পছন্দ করছি তা না, তবে আমরা জানিয়েছিলাম আমরা এ পথ গ্রহণ করবো এবং আমরা আবার তা গ্রহণ করতে প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, “যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয় তখন এরকম সময় আসে যে কিছু রাষ্ট্রকে তাদের নিজে থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হতে হয়।”
রাশিয়া ও দামাস্কাসের মতে, নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির আদেশ পূর্ব ঘুতার যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দান করে না। সোমবারে জাতিসংঘের মহাসচিত অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেন, “লড়াইয়ে কোনো নিবৃত্তি দেওয়া হয় নি। পূর্ব ঘুতা ও এর বাইরে আফরিন, ইদলিবের কিছু অংশ, দামাস্কাস ও এর শহরতলীতে সহিংসতা হয়েই চলেছে।”
জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেভেনযিয়া বলেন, কিছু রাষ্ট্র সার্বভৌম সিরিয়ার বিরুদ্ধে একতরফা বাহিনীর ব্যবহার চালাতে সিরিয়ার সরকারের উপর রাশিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার অভিযোগ আনছে। বিদ্রোহী এবং বাসিন্দারা জানান, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া দেশটির দক্ষিণে বিদ্রোহীদের দখলকৃত শহরগুলোকে হামলা বহির্ভূত অঞ্চল হিসেবে মেনে নেওয়ার চুক্তির জন্য আলোচনায় আসলেও সেগুলোয় সিরীয় জেট হামলা চালিয়েছে।
সোমবারে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা সহিংসতা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন এবং জর্ডানে হামলা বহির্ভূত অঞ্চলের রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনায় একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা জানান, যদি হামলার খবর সত্য হয় তাহলে সিরীয় সরকারের পক্ষ থেকে এটি স্পষ্ট যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন।
ফিচার ইমেজ: The Amed Post