সাদ্দাম হুসেইনের আত্মগোপন স্থান কিংবা আবু গারিব কারাগারের আঙিনায় পর্যন্ত এদের অস্তিত্ব আছে। কমিউনিজমের হীরকজয়ন্তী উৎসবে মনোব্লকের আসন থেকে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়েছে চীনারা; অপরদিকে বারাক ওবামার বিজয়ে মনোব্লকে আসীন কেনিয়ানদের উল্লাস ছিল দেখার মতো। উত্তর কোরিয়ায় কোকাকোলার মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের ঠাঁই মেলেনি। কিন্তু সেখানে দিব্যি ব্যবহৃত হচ্ছে এই চেয়ার।”
ইতিহাসের পাতায় সাম্রাজ্যের পাশাপাশি মোঘলদের ময়ূর সিংহাসন, চীনের ড্রাগন সিংহাসন, ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটারের সিংহাসন, মহীশুরের সিংহাসনের নাম সমান গুরুত্বের সাথে উচ্চারিত হয়। কিন্তু এই সিংহাসন বা মসনদগুলো আদতে একেকটি ‘চেয়ার’ বা ‘কেদারা’ ব্যতীত আর কিছুই নয়। মানবসভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিচিত এই চেয়ারগুলো শুধু রাজ দরবারে নয়, বরং অফিস-আদালত, পাড়ার দোকান, সভা-সম্মেলনের মঞ্চ, শ্রেণীকক্ষ থেকে শুরু করে গৃহস্থালির প্রতিটি কক্ষে অপরিহার্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে। নানান সংস্করণে নানান আকারে এসব চেয়ার আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করছে।