Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ভাইকিংদের বিয়ের বিচিত্র প্রথার আদ্যোপান্ত

‘বিয়ে’- মাত্র দুই অক্ষরের একটি শব্দ। কিন্তু এই দুই অক্ষরের মাঝেই রয়েছে পুরো জীবনের গতিপথ পাল্টে দেয়ার অবিশ্বাস্য এক ক্ষমতা। তাই আমাদের সমাজে পাত্র-পাত্রী দেখা থেকে শুরু করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার একেবারে শেষ পর্যন্ত থাকে সংশ্লিষ্ট শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষগুলোর ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ এবং আন্তরিকতার অকৃত্রিম ছোঁয়া।
আমাদের সমাজে ধর্মভেদে বিয়ের অনুষ্ঠান কিভাবে আয়োজন করা হয়, সে সম্পর্কে কমবেশি ধারণা আমাদের সবারই আছে। আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগেকার এক সভ্যতার কাছে যাওয়া যাক। অষ্টম থেকে একাদশ শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালে উত্তর, মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে লুন্ঠন ও ব্যবসা-বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করতো নর্ডিক সমুদ্র ভ্রমণকারী ভাইকিংরা।
শত-সহস্র বছর আগেকার এই ভাইকিংদের মাঝেও প্রেম-বিয়ে-পরিবার বিষয়ক অনুভূতিগুলো স্বাভাবিকভাবেই বিরাজমান ছিলো। আজ তাই আমরা ভাইকিংদের বিয়ের পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়েই আলাপ করবো। একেবারে পাত্র-পাত্রী দেখা থেকে শুরু করে বিয়ের প্রথম রাত (!) পর্যন্ত গিয়ে তবেই ইতি টানবো ভাইকিংদের বিয়ে নিয়ে নাতিদীর্ঘ এ আলোচনার।

দুই পরিবারের কর্তাব্যক্তিদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ

বিয়ের আগে প্রথমে যে জিনিসটি দরকার, তা হলো দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতের মিল হওয়া। এজন্য আমাদের সমাজের মতো ভাইকিংরাও প্রথমে দুই পরিবারের সদস্যরা মিলিত হতো।

কনেপক্ষের যৌতুক, বরের ধন-সম্পদের পরিমাণ যাচাই, বিয়ের তারিখ এবং বরের পরিবার বিয়েতে কনেকে কী কী জিনিস উপহার দিবে তা ঠিক করতে একত্রিত হতো দুই পরিবারের মুরব্বি গোছের লোকেরা। বরের পরিবার এবং তাদের এলাকার অন্যান্য প্রভাবশালী লোকেরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেত কনেপক্ষের কাছে, বিভিন্ন বিপদ-আপদে দিত সহায়তার প্রতিশ্রুতি।

বিয়ের তারিখ নির্ধারণ

বিভিন্ন বিষয়ে দুই পরিবার একমত হলে এরপর দরকার বিয়ের জন্য সুবিধাজনক দিনক্ষণ নির্ধারণ। এজন্য অবশ্য বেশ কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতো ভাইকিংরা।

দেবী ফ্রিজ্ঞার কাল্পনিক প্রতিকৃতি

সাধারণত তাদের সমাজের বিয়েগুলো শুক্রবারে অনুষ্ঠিত হতো। কারণ তাদের বিশ্বাসানুযায়ী সেই দিনটি বিয়ের দেবী ফ্রিজ্ঞার কাছে ছিলো পবিত্র। বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো সাধারণত এক সপ্তাহকাল স্থায়ী হতো। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবেরা দূর-দূরান্ত থেকে চলে আসতো এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তবে শীতকালে তুষারপাতের কারণে চলাচল বেশ কষ্টসাধ্য হতো বলে তখন সাধারণত কোনো বিয়ের আয়োজন করা হতো না। বিয়েতে আগত অতিথিদের জন্য প্রয়োজনীয় থাকার জায়গার ব্যবস্থা করা, অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়কালে দরকারী খাদ্য ও পানীয়ের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং ভাইকিং সংস্কৃতির অংশ হিসেবে নব দম্পতির জন্য বিশেষ এক প্রকার বিয়ার প্রস্তুতির কথাও মাথায় রাখা লাগতো।

এভাবে দুই পরিবারের সদস্যদের একসাথে বসা থেকে শুরু করে বিয়ের চুড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা সারতে এক বছরের মতো সময় লেগে যেত তাদের। তবে আইসল্যান্ডে থাকা ভাইকিংদের জন্য ব্যাপারটা মাঝে মাঝে আরো দীর্ঘায়িত হয়ে যেত। প্রায় সময়ই তাদেরকে নরওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা লাগতো। ফলে সবাইকে একসাথে পেতে কখনো কখনো তিন বছরের মতো সময় লাগিয়ে দিত তারা।

কুমারীকালের অবসান

বিয়ের মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে বেশ কিছু প্রথা পালনের ভেতর দিয়ে যাওয়া লাগতো প্রত্যেক ভাইকিং নর-নারীকে। প্রথমে নারীর কথাতেই আসা যাক।

পুরাতন জামা-কাপড় ছেড়ে কনেকে নতুন ধরনের পোষাক পরানো হতো। তার শরীরে শোভা পাওয়া যে অলঙ্কারগুলো ছিলো তার কুমারীত্বের প্রতীক, সেগুলো খুলে নেয়া হতো। এ প্রসঙ্গে ক্র্যানসেন নামক এক ধরনের অলঙ্কারের কথা বলা যায় যা স্ক্যান্ডিন্যাভিয়ান নারীরা তাদের কুমারীত্বের প্রতীক হিসেবে পরিধান করতো। বিয়ের উপলক্ষ্যে সেই ক্র্যানসেন খুলে কনের ভবিষ্যত কন্যা সন্তানের জন্য রেখে দেয়া হতো, আর কনেকে পরানো হতো বিয়ের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত মুকুট।

বিয়ের জন্য আলাদাভাবে বানানো স্নানাগারে শুচিস্নান সেরে নিতো কনে। বাথটাবের তলদেশে রাখা হতো গরম পাথর, যার ফলে তৈরি হতো বাষ্প। সেই সময়ে শরীরের ঘামগুলো মুছে ফেলার প্রতীকী অর্থ ছিলো একজন নারী তার অবিবাহিত জীবনের অবসান ঘোষণা করছে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল সেরে শুচিস্নানের ইতি টানতো ভাইকিং কনে।

গোসলের পুরো সময়টা জুড়ে কনের মা, বিবাহিতা অন্যান্য বোন, আত্মীয়া এবং বান্ধবীরা থাকতো তার সাথে।

বরের প্রতীকী মৃত্যু ও পুনরুত্থান

কনের মতো বরকেও কিছু আনুষ্ঠানিকতার মাঝে দিয়ে যেতে হতো যার মধ্য দিয়ে তার অবিবাহিত জীবনের পরিসমাপ্তিকে বোঝানো হতো। এ সময় তার সাথে থাকতো তার বাবা, বিবাহিত অন্যান্য ভাই ও বন্ধুরা।

বরের সাথে থাকা লোকজন তার কোনো পূর্বপুরুষের তলোয়ার একটি কবরের ভেতরে রেখে আসতো প্রথমে। এরপর বরের কাজ হতো কবর খুঁড়ে সেখানে নামা এবং সেই তলোয়ার হাতে উপরে উঠে আসা। সে একজন যুবক হিসেবে কবরে গিয়েছে এবং একজন পুরুষ হিসেবে তার পুনর্জন্ম হয়েছে- এ কথাটিই বোঝাতো এ প্রতীকী অনুষ্ঠানটি। এরপর হবু বউয়ের মতো তাকেও শুচিস্নানে যেতে হতো। সেখানে সাথে থাকা লোকেরা একজন স্বামী এবং ভবিষ্যতে বাবা হিসেবে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্বন্ধে তাকে জ্ঞান দান করতো।

বর-কনের পোষাকী সাজসজ্জা

গোসল তো সারা হলো, এবার তাহলে বিয়ের পোষাকের দিকে নজর দেয়া যাক। বর্তমানে অধিকাংশ বিয়েতেই মেয়েদের পরনের পোষাকটিকে বেশ জমকালো হিসেবে বেছে নেয়ার একটা চল আছে। তবে অতীতে ভাইকিং সভ্যতার বেলায় ছিলো এর ঠিক উল্টো কাহিনী। তাদের নারীরা পোষাকের চেয়ে বরং নিজেদের চুল আর বিয়ের মুকুটের দিকেই বেশি নজর দিতো। সেই সমাজে নারীর সৌন্দর্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ছিলো তার চুল। একে একইসাথে তার যৌনাবেদনময়তার মাত্রা হিসেবেও দেখা হতো। চুল যত বড় হতো, মেয়েটিকে ততই আকর্ষণীয় হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

আগেই বলেছি যে, বিবাহপূর্ব আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে কুমারীত্বের প্রতীক ক্র্যানসেনকে সেদিন খুলে রাখতো একটি মেয়ে। এর পরিবর্তে বংশ পরম্পরায় প্রাপ্ত একটু মুকুট পরিয়ে দেয়া হতো তার মাথায়। রুপোর তৈরি সে মুকুটে থাকতো হরেক রকম ডিজাইন, থাকতো প্রাকৃতিক স্ফটিক, ক্রস আর ক্লোভ পাতার সমাহার। মুকুটটিকে লাল ও সবুজ রঙের সিল্কের রশি দিয়ে মুড়িয়ে দেয়া হতো।

এবার আসা যাক বরের কথায়। বরের পোষাক তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল না। শুচিস্নানের পর ভালো দেখে যেকোনো একটা পোষাক পরে নিতো সে। বরের হাতে শোভা পেত একটু আগেই কবর থেকে তুলে আনা সেই তলোয়ার। সেই সাথে কখনো কখনো দেবতা থরের বিখ্যাত সেই হাতুড়ি কিংবা একটু কুড়ালও থাকতো তার হাতে। এ অস্ত্রগুলো সমাজে যেমন তার প্রভাব-প্রতিপত্তিকে নির্দেশ করতো, তেমনি একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের নিশ্চয়তার প্রতীক হিসেবেও গণ্য হতো।

পশু বলীদান

বিবাহপূর্ব সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে শুরু হতো মূল অনুষ্ঠান। প্রথমেই সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বরকে দেয়া হতো যৌতুক। এছাড়াও বরপক্ষ থেকে কনেপক্ষকে দেয়া হতো Mundr যা কনের মূল্য হিসেবে পরিচিত।

এরপর শুরু হতো ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা। এজন্য বিভিন্ন মন্ত্রোচ্চারণ ও পশু বলীর মাধ্যমে দেব-দেবীদের আশীর্বাদ লাভ করতে চাইতো তারা। বিভিন্ন দেবতার জন্য বিভিন্ন পশু উৎসর্গ করা হতো। থরের উদ্দেশ্যে ছাগল, ফ্রেয়জার উদ্দেশ্যে পূর্ণবয়স্ক শূকরী এবং ফ্রেয়ারের উদ্দেশ্যে শূকর কিংবা ঘোড়া উৎসর্গ করার রীতি প্রচলিত ছিলো ভাইকিং সমাজে।

থর

ফ্রেয়জা

ফ্রেয়ার

বলী দেয়া পশুর রক্ত সংগ্রহ করা হতো একটি গামলায়। এরপর সেই গামলাটি একটি বেদীর উপর রেখে তাতে ফার গাছের ছোট ডাল চুবিয়ে রক্ত ছিটিয়ে দেয়া হতো নবদম্পতির গায়ে। একে তারা দেবতাদের আশীর্বাদ হিসেবেই দেখতো। মাঝে মাঝে জীবন্ত পশুও উৎসর্গ করার কথা জানা যায়। সেসব পশুকে পবিত্র হিসেবে গণ্য করা হতো ভাইকিং সমাজে।

বিনিময়

তলোয়ার যে ভাইকিং বিবাহ পদ্ধতিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, তা তো এতক্ষণের বিভিন্ন প্রথার বর্ণনায় যে কারো বুঝে যাবার কথা। এই তলোয়ার নিয়েই এরপর আরেকটি প্রথা পালন করতো নবদম্পতি।

বর তার নববধূর হাতে কবর থেকে তুলে আনা পূর্বপুরুষের তলোয়ারটি তুলে দিতো। মেয়েটি তা সযত্নে রেখে দিতো তাদের ভবিষ্যত পুত্রসন্তানের জন্য। এরপর কনে তার পূর্বপুরুষের একটি তলোয়ার তুলে দিতো ছেলেটির হাতে। এর অর্থ ছিলো এতদিন ধরে মেয়েটির অভিভাবকের যে দায়িত্ব তার বাবা পালন করেছেন, এখন থেকে সেই দায়িত্ব পালন করবে তার স্বামী। তাদের মাঝে আংটি বিনিময়ও হতো। তবে তা খালি হাতে না। বরং সেই তলোয়ারের মুঠোর মাঝে ঝুলিয়েই দেয়া-নেয়া হতো সেসব আংটি।

ভোজনপর্ব

বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার পর শুরু হতো ভোজনপর্ব। তবে এ সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। কারণ যখন এ রীতিগুলো লিপিবদ্ধ করা শুরু হয়, ততদিনে ভাইকিংরা মূর্তিপূজা ছেড়ে দিয়ে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে শুরু করেছিলো। ফলে পূর্বের অনেক প্রথা সম্পর্কেই কিছু লেখা হয় নি।

ভাইকিংরা অনুষ্ঠানস্থল থেকে খাওয়ার জায়গায় যে প্রথার মাধ্যমে যেত তাকে বলা হতো ‘bruð-hlaup’ বা ‘কনে-দৌড়’। মূর্তিপূজক থাকাকালে দুই পক্ষের মাঝে একটা প্রতিযোগিতা হতো। যে পক্ষ আগে খাবার জায়গায় পৌঁছতে পারতো, পরাজিত পক্ষ তাদেরকে রাতের বেলায় বিয়ার পরিবেশন করতো। খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হবার পর থেকে অবশ্য তারা আলাদাভাবে ধীরে-সুস্থে হেঁটেই খাবারের জায়গায় যেত।

খ্রিষ্টান শাসিত স্ক্যান্ডিনেভিয়াতে খাবার জায়গায় আগে বর প্রবেশ করতো। এরপর সে সেখানে ঢোকার জায়গা আটকে দিতো যাতে করে তার সহায়তা ছাড়া নববধূ সেখানে ঢুকতে না পারে। বৌ সেখানে এসে পৌঁছলে বরের হাত ধরে খাবারের আসরে ঢুকতো সে। এভাবে অবিবাহিত থেকে বিবাহিত জীবনে স্বামীর হাত ধরে পথচলা শুরুর প্রতীকী রুপ ছিলো এ কাজটি।

জলনির

খাওয়াদাওয়া চলাকালে দেবতা থরের প্রতীকী আশীর্বাদ হিসেবে তার হাতুড়ি জলনিরের প্রতিমূর্তি রাখা হতো কনের কোলে।

পানোৎসব

খাওয়াদাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী একসাথে পানোৎসবে মেতে উঠতো। এ সময় তারা মধু ও পানির গাজন থেকে প্রস্তুত বিশেষ এক ধরনের বিয়ার পান করতো। এ বিয়ারটি কমপক্ষে এক মাস পান করার হিসেব করে বানানো হতো। পুরো হানিমুন জুড়ে নবদম্পতি এ বিয়ারটি পান করতো।

বিশেষ এক মন্ত্রোচ্চারণ করতে করতে স্ত্রী প্রথমে ‘ভালোবাসার পাত্র’ বলে পরিচিত একটি পাত্রে বিয়ারটি তার স্বামীকে পরিবেশন করতো। স্বামী পান করা আগে এর উপর থরের হাতুড়ির একটি কাল্পনিক চিত্র এঁকে বিয়ারটি থরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতো এবং ওডিনের উদ্দেশ্যে পানপাত্রটি তুলে ধরতো। একবার চুমুক দিয়ে স্বামী এরপর পাত্রটি এগিয়ে দিতো তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে। স্ত্রী সেটি দেবী ফ্রেয়জার উদ্দেশ্যে তুলে ধরে এরপর গলাধঃকরণ করতো।

ওডিন

নবদম্পতির প্রথম রাত

সারাদিনের উৎসব শেষে নবদম্পতিকে কমপক্ষে ছয়জন কাছের মানুষ তাদের শোবার ঘরের দিকে নিয়ে যেত। বর আসবার পূর্বে স্ত্রী তার বিয়ের মুকুট পরে ঘরে অপেক্ষা করতো। তাদের খাটটি ছোট ছোট স্বর্ণের অলঙ্কার দিয়ে সাজিয়ে তোলা হতো।

ভাইকিংদের ব্যবহৃত একটি খাটের মডেল

স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক শুরু হবার পর কিছু সময় পর্যন্ত তাদের সাথে আসা মানুষগুলো সাক্ষী হিসেবে সেখানে থাকতো এবং সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতো! ভাইকিংদের সমাজে বিচিত্র এ নিয়মের পেছনের কারণটিও ছিলো বেশ অদ্ভুত। ভবিষ্যতে এ বিয়ে নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠলে যাতে সেই ছয়জন বিয়ের বৈধতা নিয়ে সাক্ষ্য দিতে পারে, সেজন্যই চালু করা হয়েছিলো এ নিয়মটি। কিছুক্ষণ পরই অবশ্য নবদম্পতির উদ্দেশ্যে নানারকম ১৮+ রসিকতা করতে করতে ঘর থেকে বেরিয়ে যেত তারা।

বিয়ের প্রথম রাতে কনে কী স্বপ্ন দেখতো তা ছিলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভাইকিংরা বিশ্বাস করতো যে ভবিষ্যতে মেয়েটি কতগুলো সন্তানের জন্ম দিবে, তার বিবাহিত জীবন কেমন হবে এবং তার পরবর্তী বংশধরদের জীবন কেমন যাবে সে সম্পর্কে সূক্ষ্ম ইঙ্গিত লুকিয়ে থাকে এ রাতের স্বপ্নেই।

তথ্যসূত্র

১) en.wikipedia.org/wiki/Vikings

২) vikinganswerlady.com/wedding.shtml

৩) ranker.com/list/viking-wedding-traditions-and-rituals/lyra-radford

Related Articles