Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

সাদা বাড়ির আদ্যোপান্ত

বাংলায় ‘সাদা বাড়ি’ বললে হয়তো নির্দিষ্ট কোনো বাড়িকে বোঝায় না। কিন্তু একে যদি ইংরেজিতে রূপান্তর করে ‘হোয়াইট হাউজ’ বলা হয়, তবে সিংহভাগ মানুষের কাছেই যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যবাহী বাড়িটির ছবি চোখে ভেসে উঠবে। ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো এ বাড়ির সাথে জড়িয়ে আছে অনেক ইতিহাস।

হোয়াইট হাউজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। একই সাথে এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মেয়াদকালীন বাসভবনও। এর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ১৬০০ পেনসিলভানিয়া এভিনিউয়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই রাষ্ট্রপ্রধানের ভবনে দর্শণার্থীরাও ভ্রমণের সুযোগ পান। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধানেরা কোথায় থাকেন, সেখানের ইতিহাস ও ভেতরের পরিবেশ নিয়ে কৌতূহল থাকাই স্বাভাবিক। সেসব নিয়েই এই লেখা।

হোয়াইট হাউজের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ১৭৯১ সালে হোয়াইট হাউজ নির্মাণের জায়গা নির্বাচন করেন। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৭৯২ সালের ১৩ অক্টোবর। হোয়াইট হাউজের নকশার জন্য স্থপতিদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেই প্রতিযোগিতায় জয়ী হন আইরিশ বংশদ্ভূত স্থপতি জেমস হোবান। প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন স্থপতিদের দেয়া নকশাগুলোর অন্তত ছয়টি নকশা থেকে হোবানের জর্জিয়ান ঘরানার সুবিশাল অট্টালিকার নকশাটি বেছে নেন। এর থেকেই যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের আইকনিক এই ভবনটির।

শিল্পীর আঁকা ছবিতে স্থপতি জেমস হোবান (ডানে) ও প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন (বামে) হোয়াইট হাউজের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করছেন।  ©N. C. Wyeth 

প্রায় আট বছর ধরে নির্মাণ কাজ চলার পর ১৮০০ সালের ১ নভেম্বর প্রথম বাসিন্দা হিসেবে হোয়াইট হাউজে ওঠেন প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস ও ফার্স্ট লেডি অ্যাবিগেইল অ্যাডামস। তখনও হোয়াইট হাউজের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এই ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত হয় বেলেপাথর। তখন এর নাম হোয়াইট হাউজ ছিল না। চুন দিয়ে দেয়ালে সাদা আবরণ দেয়ায় লোকমুখে এটি ছড়িয়ে পড়ে ‘হোয়াইট হাউজ’ নামে

১৮১৪ সালের আগস্টে ব্রিটিশ সেনাদের আক্রমণে হোয়াইট হাউজের অনেকখানি অংশ পুড়ে যায়। তখন আইনপ্রণেতারা চাচ্ছিলেন হোয়াইট হাউজকে অন্য কোনো শহরে নিয়ে যেতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই হোবানকেই আবার ডেকে আনা হয় এবং এর সংস্কার কাজ শুরু হয়। সংস্কারের পর ১৮১৭ সালে প্রেসিডেন্ট জেমস মুনরো হোয়াইট হাউজে ওঠেন।

হোয়াইট হাউজের ১৮৬০ সালের একটি ছবি; Image Source: Library of Congress

উনবিংশ শতাব্দীতে হোয়াইট হাউজের অনেক সংস্কার হলেও বিংশ শতাব্দীতে এতে অনেক আধুনিকায়ন করা হয়। প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্ট, হাওয়ার্ড টেফট, হ্যারি এস ট্রুম্যান ওয়েস্ট উইং, ওভাল অফিসসহ বিভিন্ন নতুন স্থাপনা নিয়ে আসেন হোয়াইট হাউজে। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টরা তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন  ও সংস্কার কাজ করেছেন।

হোয়াইট হাউজের আকর্ষণীয় স্থাপনাসমূহ  

হোয়াইট হাউজে রয়েছে ৬টি ফ্লোর, ১৩২টি কক্ষ, ৩৫টি বাথরুম। এছাড়া ৪১২টি দরজা, ১৪৭টি জানালা, ২৮টি ফায়ারপ্লেস, ৮টি সিঁড়ি এবং ৩টি লিফট রয়েছে। হোয়াইট হাউজ তিনটি অংশে বিভক্ত। দুই পাশে ইস্ট উইং ও ওয়েস্ট উইং এবং মাঝখানে এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্স অংশ। গুরুত্বপূর্ণ কক্ষগুলোর বেশিরভাগই ওয়েস্ট উইংয়ে অবস্থিত। এগুলোর মধ্যে ওভাল অফিস, সিচুয়েশন রুম, রুজভেল্ট রুম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্স ও ইস্ট উইংয়েও রয়েছে আকর্ষণীয় বেশ কিছু কক্ষ।   

হোয়াইট হাউজের তিনটি অংশ। ইস্ট উইং, ওয়েস্ট উইং এবং এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্স;  ©Cyprian Lothringer, from Around the World, Copyright Gestalten 2013

ওভাল অফিস

ওভাল অফিস;  ©Alex Wong/Getty Images

প্রেসিডেন্টের প্রধান কার্যালয় এই ওভাল অফিস। এখানে রয়েছে বিখ্যাত ‘রেজলুট ডেস্ক’। এছাড়া বিভিন্ন পেইন্টিংস, আবক্ষ মূর্তি ও অন্যান্য অলঙ্কার দিয়ে পরিপূর্ণ এই কক্ষটি। প্রেসিডেন্টরা তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুসারে এই কক্ষটি সাজিয়ে থাকেন। ওভাল অফিসের ঠিক সামনেই রয়েছে হোয়াইট হাউজ গার্ডেন। এই জায়গাটি ব্যবহার করা হয় কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান পালনের জন্য। হোয়াইট হাউজে আগত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানানোর কাজটিও করা হয় এখানে।

হোয়াইট হাউজ গার্ডেন; Image Source: AP

সিচুয়েশন রুম

ওয়েস্ট উইংয়ের বেসমেন্টে ৫,০০০ বর্গ ফুটেরও বেশি জায়গা জুড়ে এই কক্ষটি অবস্থিত। একে সিচুয়েশন রুম বলা হলেও এটি প্রকৃতপক্ষে কয়েকটি কক্ষ নিয়ে গঠিত। ১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির সময়ে এই কক্ষটি নির্মিত হয়। সিচুয়েশন রুমে বর্তমানে দুটি কনফারেন্স রুম আছে। একটিতে ৪০টি আসন রয়েছে। অন্যটি তুলনামূলক ছোট যেখানে বসে ২০১১ সালের মে মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা মার্কিন সেনাবাহিনীর দ্বারা ওসামা বিন লাদেনের হত্যার অভিযান পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার অভিযানের সময় সিচুয়েশন রুমে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনসহ ওবামা প্রশাসনের অন্যান্যদের ছবি সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন তোলে;  ©Pete Souza / White House 

প্রেসিডেন্ট এখানে গোয়েন্দা তথ্য ও জরুরি সহায়তা পেয়ে থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গোপন বিষয়গুলো নিয়ে নিয়মিত আলোচনা হয় এখানে। সিচুয়েশন রুমে শুধু নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিরই প্রবেশাধিকার রয়েছে। তাদেরও প্রবেশ করতে হয় সব রকমের যোগাযোগ রক্ষার ডিভাইস ছাড়া। এছাড়া জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রেও এই কক্ষটি ব্যবহার করা হয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। সিচুয়েশন রুমে সার্বক্ষণিক কাজ করেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কর্মকর্তারা। তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা ওমারোসা মানিগল্ট নিউম্যানকে সিচুয়েশন রুমে চাকরিচ্যুত করার অডিও টেপ ফাঁস হওয়ায় এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

২০১৭ সালে হারিকেন মারিয়া মোকাবেলায় সিচুয়েশন রুমে টেলিকনফারেন্সে কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প;  ©Shealah Craighead / The White House

রুজভেল্ট রুম

রুজভেল্ট রুম;  ©Alex Wong/Getty Images

ওয়েস্ট উইংয়ের গুরুত্বপূর্ণ কক্ষগুলোর একটি এটি। এখানে সাধারণত নতুন কর্মকর্তাদের মনোনয়নের ঘোষণা দেয়া হয়। এখানের দেয়ালে থিওডর ও ফ্রাংকলিন- দুই রুজভেল্টেরই আঁকা ছবি রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিং রুম

হোয়াইট হাউজের প্রেস ব্রিফিং রুমকে বলা হয় ‘জেমস এস ব্র্যাডি প্রেস ব্রিফিং রুম’। সাবেক হোয়াইট হাউজ প্রেস সচিব জেমস ব্র্যাডিকে সম্মান জানিয়ে ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এই কক্ষের নামকরণ করেন। জেমস ব্র্যাডি প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান প্রশাসনের প্রেস সচিব ছিলেন। ১৯৮১ সালে রোনাল্ড রিগ্যানকে গুলিবিদ্ধ করে হত্যাচেষ্টা করার সময় ব্র্যাডি মারাত্মকভাবে আহত হন। এরপর তাকে সারাজীবন হুইল চেয়ারে বসে কাটাতে হয়।

জেমস এস ব্র্যাডি প্রেস ব্রিফিং রুম;  ©Chip Somodevilla/Getty Images

হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব এই কক্ষে সংবাদ মাধ্যমের কাছে খবর দিয়ে থাকেন। এর পাশের কক্ষটিই হোয়াইট হাউজের সাংবাদিকদের কার্যালয়।

ক্যাবিনেট রুম

ক্যাবিনেট রুম;  ©Chip Somodevilla/Getty Images

প্রেসিডেন্ট এখানে মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করে থাকেন। টেবিলের ঠিক মাঝখানের চেয়ারটিতে বসেন প্রেসিডেন্ট।

ম্যাপ রুম

ম্যাপ রুম; Image Source: YouTube/White House

রেসিডেন্স ভবনের নীচতলায় অবস্থিত এই ম্যাপ রুম। এই কক্ষটি ব্যবহার করা হয় ছোটখাট সামাজিক জনসমাবেশের জন্য ও টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রাংকলিন রুজভেল্ট এই কক্ষে মানচিত্রের মাধ্যমে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করতেন। সেখান থেকে এই কক্ষের নামকরণ করা হয় ‘ম্যাপ রুম’। পরবর্তী প্রেসিডেন্টরা এসব কাজের জন্য সিচুয়েশন রুম ব্যবহার করা শুরু করেন। এই কক্ষের দেয়ালে এখনো একটি মানচিত্র ঝোলানো আছে। এতে ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্টের মৃত্যুর ঠিক পরের সময়ে ১৯৪৫ সালে যুদ্ধে জার্মানদের সর্বশেষ অবস্থা দেখানো হয়েছে।

ব্লু রুম

ব্লু রুম; Image Source: AP

রেসিডেন্স ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই নীল কক্ষটি অবস্থিত। ডিম্বাকৃতি এই কক্ষে প্রেসিডেন্ট তার অতিথিদের আনুষ্ঠানিকভাবে আপ্যায়ন করেন। এই কক্ষের বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে নীল রঙের গৃহ সজ্জাসামগ্রী, নীল কার্পেট ও নীল পর্দার উপস্থিতি। ১৮৩৭ সাল থেকেই কক্ষটিতে নীল রঙের আধিক্যতা বজায় রাখা হচ্ছে।

ইস্ট রুম

ইস্ট রুম;  ©Chip Somodevilla/Getty Images

রেসিডেন্স ভবনের সবচেয়ে বড় কক্ষ এটি। এই কক্ষটি বক্তৃতা, উৎসব, কনসার্ট ও নাচের জন্য ব্যবহার করা হয়।

ট্রুম্যান ব্যালকনি

ট্রুম্যান ব্যালকনি;  ©Chip Somodevilla/Getty Images

এটি রেসিডেন্স ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত। প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান তার সময়ে হোয়াইট হাউজে আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন। ট্রুম্যান ব্যালকনি ছিল তার একটি।

মিউজিক রুম

মিউজিক রুমে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন; Image Source: Wikimedia Commons

বিল ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন রেসিডেন্স ভবনের চতুর্থ তলার বসার কক্ষটিকে মিউজিক রুমে রূপান্তর করেন। বিল ক্লিনটন যেন সেক্সোফোন বাজাতে পারেন এ কারণেই তিনি এটি করেছিলেন।

জিম

হোয়াইট হাউজের জিমে ২০০২ সালের একটি ছবিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ; Image Source: The White House Museum

মিউজিক রুমের পাশেই রয়েছে একটি জিম বা ব্যায়ামের কক্ষ। প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যরা দিনের যেকোনো সময় এখানে এসে ব্যায়াম করতে পারেন। নব্বইয়ের দশকের আগে এই কক্ষটিকে অতিথিদের বসার কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

চকলেট শপ

চকলেট শপে একজন শেফ  ©Jamd/Getty Images – Manny Ceneta

এটি হোয়াইট হাউজের একটি আকর্ষণীয় রান্নাঘর, যা রেসিডেন্সের নীচতলায় অবস্থিত। এখানকার শেফ বা পাচকরা বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে ডেজার্ট জাতীয় খাবার প্রস্তুত করেন। তারা ইস্টার এগ রোল উপলক্ষে ডিমও প্রস্তুত করেন। এছাড়া হোয়াইট হাউজের রেপ্লিকাও তৈরি করেন তারা, যা ছুটির সময়ে একটি দর্শনীয় বস্তু হিসেবে কাজ করে।

ফ্যামিলি থিয়েটার

ফ্যামিলি থিয়েটার;  ©Pete Souza/White House

হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইংয়ে এই থিয়েটারটি অবস্থিত। প্রেসিডেন্ট পরিবার দিনের যেকোনো সময় এখানে এসে যেকোনো মুভি দেখতে পারেন। এমনকি কোনো মুভি মুক্তি পাওয়ার আগেই তাদের দেখার সুযোগ রয়েছে। ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট এই থিয়েটারটি তৈরি করেন।

নেভি মেস

নেভি মেস; Image Source: White House

ওয়েস্ট উইংয়ের নীচতলায় সিচুয়েশন রুমের পাশেই যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পরিচালিত এই ডাইনিং রুমটি অবস্থিত। এখানে ৫০ জন মানুষের খাবারের জন্য আসন রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এই এলাকায় আসার বা খাওয়ার অনুমতি নেই। তবে হোয়াইট হাউজের সিনিয়র কর্মী বা কেবিনেট সদস্যদের আমন্ত্রণ পেলে সুযোগ পাওয়া যাবে।

বোলিং অ্যালি

বোলিং অ্যালি; Image Source: YouTube/PBA Bowling

চকলেট শপের পাশেই হ্যারি এস ট্রুম্যান বোলিং অ্যালিটি অবস্থিত। এটি হোয়াইট হাউজে আগত পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থান। এই বোলিং অ্যালিটি ১৯৪৭ সালে প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যানের জন্য বানানো হয়। ১৯৬৯ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন একে বর্তমানের জায়গায় আনেন।

ক্যালিগ্রাফি অফিস

হোয়াইট হাউজের ক্যালিগ্রাফি অফিসে এক কর্মী; Image Source: C-SPAN

ইস্ট উইংয়ের তৃতীয় তলায় এই গ্রাফিক্স ও ক্যালিগ্রাফি অফিসটি অবস্থিত। এখানে হোয়াইট হাউজ ক্যালিগ্রাফারদের একটি দল বিভিন্ন দাপ্তরিক অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণপত্র ও অভিনন্দন পত্র নকশা করে থাকেন।

এছাড়া হোয়াইট হাউজে গেম রুম, সোলারিয়াম, চায়না রুম, ফ্লাওয়ার শপ, ব্যক্তিগত স্টাডি রুমসহ বিভিন্ন ধরনের কক্ষ রয়েছে।

হোয়াইট হাউজ সম্পর্কিত কিছু চমকপ্রদ তথ্য 

  • জর্জ ওয়াশিংটন হোয়াইট হাউজের কাজ শুরু করলেও তিনি এখানে থাকতে পারেননি। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ১৭৯৯ সালে তিনি মারা যান। 
  • হোয়াইট হাউজকে প্রথম দিকে ‘প্রেসিডেন্ট প্যালেস’, ‘প্রেসিডেন্ট হাউজ’, ‘এক্সিকিউটিভ ম্যানশন’ ইত্যাদি নামে ডাকা হতো।  ১৯০১ সালে প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট আনুষ্ঠানিকভাবে এর নাম ‘হোয়াইট হাউজ’ রাখেন। 
  • হোয়াইট হাউজের দেয়াল রঙ করার জন্য ৫৭০ গ্যালন রঙের প্রয়োজন হয়। 
  • স্থপতি জেমস হোবান নিজ দেশ আয়ারল্যান্ডের লেইনস্টার হাউজ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হোয়াইট হাউজের নকশা করেন। ডাবলিনে এখনো হোয়াইট হাউজের এই ‘জমজ’ ভবনটি আছে। 
  • হোয়াইট হাউজ নির্মাণে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আফ্রিকান-আমেরিকান দাসরা। এছাড়া ইউরোপীয় অভিবাসীরাও কাজ করে এটি নির্মাণে। 
  • হোয়াইট হাউজে শুরুর দিকে হুইল চেয়ার নিয়ে প্রবেশের সুবিধা ছিল না। প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট ছিলেন পোলিও রোগী। তিনি ১৯৩৩ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর হোয়াইট হাউজে হুইল চেয়ার নিয়ে প্রবেশের সুযোগ করে দেন।   

Related Articles