নিকট ভবিষ্যতের এক পৃথিবী। ভবিষ্যতের সেই সময়টায় আশা এবং দ্বন্দ্ব উভয়ই পাশাপাশি বিরাজ করছে। মহাকাশে বিচরণের ঘটনা এই পৃথিবীতে অত বড় কিছু আর নয়। মনুষ্যত্ব মহাকাশে তাকিয়ে আছে বুদ্ধিমান প্রাণীর খোঁজ পাওয়ার আশায়, মনুষ্যত্বকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশায়।
এমনই এক মনোলগ দিয়ে শুরু হয় এড আস্ট্রা সিনেমাটি। মনোলগের পর সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র রয় ম্যাকব্রাইড আমাদের তার গল্প বলতে শুরু করে। ছোটবেলা থেকেই নভোচারী হওয়ার স্বপ্ন দেখতো রয় এবং তার সেই স্বপ্ন অধরা থাকেনি। মহাকাশ প্রদক্ষিণে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও ভরসার ব্যক্তি এখন সে। খুব আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, তার বিপিএম কখনো ৮০ এর উপরে উঠে না। এমনকি মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে অবতরণেও না, যার কারণেই রয় ম্যাকব্রাইড বিভিন্ন মিশনে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি। এবং দারুণ এই দক্ষতার কারণে আমেরিকা স্পেস কমান্ডের তরফ হতে ডাক পড়ে রয়ের। নতুন এক মিশনে তারা রয়কে সাথে চায়।
এখন সেই মিশন নিয়েই বলা যাক। পৃথিবীর সোলার সিস্টেমে রহস্যময় পাওয়ারসার্জের আঘাত হানার আশংকা করছে স্পেস কমান্ড ইউনিট। একবার এই আশংকা সত্যি হলে ধ্বংস হয়ে যাবে গোটা মানবজাতি। পাওয়ারসার্জের আঘাত কতটা বিধ্বংসী তা রয় জানে, কারণ এমন অভিজ্ঞতার কবলে সে পড়েছে। তবে এই সার্জের উৎপত্তিস্থল কোথায় তা ইতিমধ্যে জানা হয়ে গেছে। নেপচুন গ্রহের কাছাকাছি একটি স্টেশনই সার্জের উৎপত্তিস্থল। নেপচুনের নাম শুনে রয়ের মাঝে ভাবান্তর ঘটতে দেখি আমরা। কারণ শব্দটার সাথে রয়ের অতীত সংযুক্ত আছে। (সেই সংযুক্তির সূত্রেই মূলত রয়কে তলব করেছে স্পেস কমান্ড।) এবং এ পর্যায়ে এসে আমরা জানতে পারি, রয়ের বাবা ক্লিফোর্ড ম্যাকব্রাইডও একজন নভোচারী ছিলেন।
২৯ বছর আগে রয়ের বাবা ক্লিফোর্ড ম্যাকব্রাইডের নেতৃত্বে বিখ্যাত মিশন দ্য লিমা প্রজেক্ট পরিচালিত হয়েছিল। এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবীর সোলার সিস্টেমের ক্ষমতার সীমা খুঁজে বের করা এবং মহাবিশ্বের বাকি অংশে বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণের অনুসন্ধান চালানো। সেই লিমা প্রজেক্টেই সর্বশেষ নেপচুন গ্রহের নাম শোনা গিয়েছিল। নেপচুনে পৌঁছানোর পর ১৬ বছর ধরে কোনো সংকেত আর আসেনি। ১৬ বছর পর সার্জের অবস্থান লিমা প্রজেক্টের দিকেই আঙুল তাক করছে। স্পেস কমান্ড মনে করছে, সেই মিশনের পরিচালক ক্লিফোর্ড ম্যাকব্রাইড হয়তো কোনো না কোনো উপায়ে এখনো বেঁচে আছেন।
এদিকে, ছোটবেলা থেকে বাবার পদক্ষেপ অনুসরণ করে বাবার মতোই নভোচারী হয়ে ওঠা রয় এতদিন বিশ্বাস করে এসেছে, তার বাবা মারা গেছেন। এতদিনের সেই বিশ্বাসে হঠাৎ ধাক্কায় এবং “বাবা হয়তো বেঁচে আছে” এমন ক্ষীণ আশায় দিশেহারা অনুভূতি হয় রয়ের। “বাবাকে হয়তো ফের দেখতে পাব”- একজন সন্তানের মাঝে এমন অনুভূতির তড়িৎ প্রকাশ সম্ভব নয়, সম্ভব হয়ে ওঠেনি রয়ের ক্ষেত্রেও। ধাক্কাটা সামলে রয় বাবার সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা এবং একইসাথে উন্নত প্রাণীর সন্ধান অব্যাহত রাখার মিশন হাতে নেয়। তবে এই মিশন শুধু তার বাবাকে খুঁজে পাওয়ার নয়, বরং ভেতরের বদ্ধমূল ধারণাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করার মিশন।
পৃষ্ঠতল দেখে বলা যায়, ‘এড আস্ট্রা’ বাবা-ছেলের গল্প, যা বয়ান করা হয়েছে কসমিক স্কেলে। তবে সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে দেখলে ধরতে পারা যায়, স্পেসভিত্তিক সিনেমার চেনা-জানা গল্পে শুরু হয়ে গভীর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি মেলে ধরে সিনেমাটি। একটু সতর্ক দৃষ্টি দিয়ে দেখলেই ‘ধর্ম’ নিয়ে সিনেমার বক্তব্যখানি স্বচ্ছ কাচের মতো আমাদের চোখে পরিষ্কার প্রতিফলিত হতে দেখতে পাব আমরা। “পৃথিবীজুড়ে এতসব দুর্যোগের কারণ হয়তো স্রষ্টা নিজেই, যিনি বহুকাল ধরে তার সৃষ্টির মাঝ থেকে অনুপস্থিত, যেহেতু সেই সৃষ্টি ‘আশা’ হারিয়ে ফেলেছে”- এই লাইনেই ধর্ম নিয়ে সিনেমায় বক্তব্যের দিকটি সুনিশ্চিত হয়ে ধরা দেয়, কিন্তু সিনেমায় এই বক্তব্যকে কখনোই ভারী করে মূল গল্পের গতি মন্থর করা হয়নি।
সায়েন্স ফিকশন ঘরানার সিনেমাগুলো প্রায়শই ব্যক্তিজীবনের অর্থ খোঁজাকে কেন্দ্র করে ভিত্তি স্থাপন করে। এবং এই সিনেমাটি আক্ষরিক অর্থেই একজন ব্যক্তির সৃষ্টি হওয়ার পেছনের কারণ অনুসন্ধানের সাথে সাথে যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন তাঁকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে এবং কেনই বা স্রষ্টা তার সৃষ্টিকে পরিত্যাগ করলো, সেই গল্প বর্ণনা করে। এতসব প্রশ্নের উত্তর পেতে চায় রয় ম্যাকব্রাইড। এবং তার এই যাত্রায় সে আমাদেরও সঙ্গী করে নেয় তার সাথে।
রয়ের যাত্রা প্রথমে আমাদের নিয়ে যায় চাঁদে। এবং আমরা খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে চাঁদে ভ্রমণপিপাসুদের কোলাহলের চিত্র দিয়ে বর্তমান দুনিয়ার ভোগবাদী তত্ত্বের বিদ্রূপাত্মক চিত্র ফুটিয়ে তুলতে দেখি সিনেমার পরিচালক জেমস গ্রেকে। একইসাথে রাজনৈতিক বক্তব্যের আঁচও পাওয়া যায়। সিনেমায় চন্দ্রপৃষ্ঠকে একটি যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে তুলনা করা হয়, রূপক অর্থে। চাঁদের সীমান্ত জটিলতা, আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব এসবের মধ্য দিয়ে বর্তমান বিশ্বের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকেই যেন আঙুল তাক করা হয়েছে। জেমস গ্রের এই সিনেমা ভবিষ্যৎ দুনিয়ার হলেও এর সমস্যা, জটিলতাগুলো খুবই সমকালীন এবং অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
চাঁদের পর রয়ের সাথী হয়ে আমরা চলি মঙ্গলে। মঙ্গলেও ততদিনে মানুষ তার বসতি গেড়ে ফেলেছে। এবং মঙ্গলে বসতি স্থাপনের এই বিষয় দিয়ে পরিচালক জেমস গ্রে তার পূর্ববর্তী সিনেমা দ্য লস্ট সিটি অফ জেডের মতোই, অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানো এবং জানার অন্বেষণে ছুটে চলার বাসনা মানুষকে কীভাবে বদলে দিতে পারে সেই বক্তব্য তুলে ধরেন।
ধর্ম, রাজনীতি এবং মানুষের অনুসন্ধিৎসু প্রকৃতি নিয়ে বক্তব্য রাখলেও মূল গল্পের মানবিকতার দিকটি ফোকাসে আনা হতে দূরে সরে যাননি জেমস গ্রে। প্রধান চরিত্র রয় ম্যাকব্রাইডের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে গ্রে রীতিমতো বেঁধে রাখেন আমাদের। আমরা তা-ই জানি, যা রয় জানে। তা-ই দেখি, যা রয় দেখে। এবং এর ফলস্বরূপ ‘এড আস্ট্রা’ ভারী ও গভীর বিষয়সমূহ ঘাড়ে নিয়ে ভীষণ রকম ‘পার্সোনাল’ একটি সিনেমা হয়ে ওঠে। তবে জেমস গ্রে এবং সহ-লেখক ইথান গ্রস চিত্রনাট্যে দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি সায়েন্স ফিকশন ঘরানার সিনেমার চিরাচরিত অ্যাকশনের পরতও কিছুটা রেখেছেন। প্রারম্ভিক দৃশ্যে একটি স্পেস এন্টেনার ধসে পড়া, পাওয়ার সার্জের আলোর বেগে ধেয়ে আসা কিংবা পরবর্তীর একটি দৃশ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে মহাকাশের একদল দস্যুদের রয় এবং তার দলের উপর আক্রমণ- এ দৃশ্যগুলোতে রয়ের যাত্রার বিপদসংকুল দিকটি দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠা করে খানিকটা অ্যাকশন, উত্তেজনার মুহূর্তও তৈরি করেছেন জেমস গ্রে।
রয় চরিত্রটির এই যাত্রায় অন্যান্য চরিত্রের (যেমন- ডোনাল্ড সাথারল্যান্ড, রুথ নেগা) সাথে রয়ের সাক্ষাৎ, বোঝাপড়ার দিকটি তার ভেতরকার মনুষ্যত্ববোধকে জাগ্রত করতেই গঠন করা হয়েছে। রয়, তার স্রষ্টার যত কাছে ঘেষছে, ততই নিজের মধ্যকার খুঁতগুলো সে দেখতে পারছে এবং মনুষ্যত্বকে অনুধাবন করতে পারছে। তাকে আঁকড়ে ধরে থাকা একাকিত্ব, বিচ্ছিন্নতাবোধের বিষয় দুটিতে কিংবদন্তী পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিকের ২০০১: আ স্পেস ওডিসি এবং আন্দ্রেই তার্কোভস্কিরসোলারিসের মতো বিখ্যাত দুটি সিনেমার আভাস পাওয়া যায়। তবে এই আভাসের মাঝে জেমস গ্রে নিজের ছাপটাকেই গাঢ় করে এঁকেছেন।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর ধরে জড়িয়ে থাকা আত্মদ্বন্দ্ব, পরিবার ও ব্যক্তিগত সম্পর্কে সেই দ্বন্দ্বের ফারাক বেঁধে দেওয়া এবং বিচ্ছিন্নতা তৈরির এই চিত্র পরিচালক তার লিটল ওডেসা (১৯৯৪), দ্য ইয়ার্ডস (২০০০), টু লাভার্স (২০০৮) সিনেমাগুলোতে বারবার বয়ান করেছেন। এবং শেষ পর্যন্ত, কেন আমরা মানুষ কিংবা কোন বিষয়টি আমাদের মানুষ করে তুলেছে- সেই প্রশ্নে আটকে রেখেছেন, যার সর্বাপেক্ষা দার্শনিক উত্তর ‘এড আস্ট্রা’ দিয়েছে জেমস গ্রের পূর্বেকার সিনেমাগুলোর তুলনায়।
উত্তর খোঁজার এই যাত্রায় আমাদের অর্থাৎ দর্শকদের বেঁধে রাখার জন্য যেমন চরিত্রের প্রয়োজন ছিল, তেমন চরিত্রই এই রয়। টেরেন্স মালিকের সিনেমার মতো রয়ের নিজের কণ্ঠস্বর তার মস্তিষ্কে প্রতিধ্বনিত হয়। তার ব্যক্তিগত জীবন মনোলগে যেভাবে প্রদান করা হয়, তা আমাদের সিনেমার শুরু থেকে শেষ অব্দি তাড়া করে বেড়ায়। ওই কণ্ঠ একইসাথে কাব্যিক এবং ভাবপূর্ণ। তবে বলতেই হয়, এই রয় চরিত্রটির জন্য ব্র্যাড পিট নিখুঁত অভিনেতা। রয় চরিত্রের একাকিত্ব, আবেগকে পিট তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সূক্ষ্ম অভিনয় দিয়ে বহন করেছেন। সময়ে সময়ে রয় বিভিন্ন নাটকীয়তার মুখোমুখি হয়েছে এবং ওই মুহূর্তগুলোয় জেমস গ্রে ক্যামেরাকে যতখানি সম্ভব ব্র্যাড পিটের মুখের কাছাকাছি থাকতে দিয়েছেন এবং পিটের অভিব্যক্তিগুলোকে নিখুঁত হয়ে ধরা পড়তে দিয়েছেন।
পিট ‘রয়’ চরিত্রটিকে লোক দেখানো করে তোলা আবার নির্বিকার করে রাখা দুটোই এড়িয়ে একেবারে পরিমিত অভিনয়ে দক্ষতার সাথে চরিত্রায়ন করেছেন। অভিনেতা হিসেবে সবসময় খানিকটা হালকা চালে বিবেচিত হয়ে আসা ব্র্যাড পিট ২০১৯ সালে ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’ সিনেমাটির পর এই সিনেমা দিয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর দুটি চরিত্রে তার অভিনয় দক্ষতা কতখানি তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
‘এড আস্ট্রা’র অন্যান্য অর্জনের মাঝে আরো একটি বড় অর্জন হলো এর কারিগরি দিক। ‘ইন্টারস্টেলার (২০১৪)’, ‘ডানকার্ক’ (২০১৭), ‘হার’ (২০১৩)- এসব সিনেমার চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফিতে হাত রয়েছে যে লোকের, সেই হয়্যটে ভ্যান হয়্যটেমা এই সিনেমাতেও সিনেমাটোগ্রাফারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এক্সট্রিম ক্লোজ-আপ শটগুলোতে ‘ইন্টারস্টেলার’ সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফি স্টাইলের ছায়া চোখে পড়ে। দারুণ এই শটগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে মহাকাশের বিশালতা ও শূন্যতা আর ক্লোজে প্রধান চরিত্রের সূক্ষ্ম অভিব্যক্তি দুটোকেই একই বিন্দুতে মিলায়।
সিনেমায় কালার গ্রেডিংয়ের ব্যবহারও দুর্দান্ত বলতেই হয়। ভিন্ন ভিন্ন জায়গাকে আলাদা করে তুলতে ভিন্ন ভিন্ন রঙের ব্যবহার করা হয়েছে। চাঁদের দৃশ্যে সাদা-কালো রঙের ব্যবহার করা হয়েছে, আবার মঙ্গলের দৃশ্যগুলোতে বিবর্ণ লালের কড়া উপস্থিতি চোখে পড়ে। এমন করে প্রতিটি দৃশ্যেই দারুণ সব কালার প্যালেট তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গীত বিভাগে ম্যাক্স রিচারের আবহসঙ্গীতের পরিমিত ব্যবহার করেছেন পরিচালক গ্রে। তিনি আমাদের মাঝে মহাশূন্যের একটা অভিজ্ঞতা জাগাতে সাধারণ শ্বাস-প্রশ্বাস, ভেতর এবং বাহিরের অল্প-স্বল্প আলাপচারিতা ছাড়া বেশিরভাগ সময় নীরবতাকেই কেন্দ্রে রেখেছেন। এবং সেই প্রসঙ্গে উল্লেখ করি, গ্রের সিনেমাগুলোকে আবেগপূর্ণ ও শক্তিশালী করে তোলার প্রধান দুটি হাতিয়ার এই শক্তিশালী সিনেমাটোগ্রাফি আর পরিমিত আবহসঙ্গীত, যা আরো একবার প্রমাণিত এই সিনেমায়।
বিষয় ও বক্তব্যের দিক থেকে নিগূঢ় এবং ভিজ্যুয়ালি স্ট্রাইকিং এই ‘এড আস্ট্রা’ সিনেমাটি ‘গ্র্যাভিটি’ (২০১৩) কিংবা ‘দ্য মার্শান’ (২০১৫) সিনেমাগুলোর মতো অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর সাই-ফাই সিনেমা নয়। ‘এড আস্ট্রা’র দুনিয়া ভবিষ্যতের হলেও, এড আস্ট্রা যা বলেছে তা আজকের মতো ভবিষ্যতেও বর্তমান এবং প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে। দর্শকের মনে চিন্তার খোরাক জাগিয়ে ইতি টানা ‘এড আস্ট্রা’ হয়তো সামনের দিনগুলোতে ‘২০০১: আ স্পেস ওডিসি’, ‘সোলারিস’-এর মতো বিখ্যাত সাই/ফাই সিনেমাগুলোর যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে পাশে বসবে।