খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ অব্দ থেকে চতুর্থ অব্দ। প্রাচীন গ্রিসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল হাজারেরও বেশি নগররাষ্ট্র। নগররাষ্ট্রগুলোতে ছিল বৈচিত্র্যময় শাসনব্যবস্থা। গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলোর শাসনকাঠামোতে রাজতন্ত্রের উপস্থিতি ছিল, অনেক নগররাষ্ট্রে ছিল সাংবিধানিক শাসন, আবার ছিলো প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের উপস্থিতিও। দীর্ঘ শাসনতান্ত্রিক বিবর্তন আর রাজনৈতিক সংস্কারের মধ্যে দিয়ে এথেন্সের মতো নগররাষ্ট্রগুলোতে গণতান্ত্রিক শাসনকাঠামোর বিকাশ ঘটে, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা হতো প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে।
গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলো প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের চর্চা করতো এসেম্বলির মাধ্যমে, প্রতি দশ দিন অন্তর অন্তর বসতো এসেম্বলি। বিশ বছরের উর্ধ্বে সকল এথেন্সিয়ান সমান নাগরিক মর্যাদা ভোগ করতেন, এসেম্বলিতে ছিল প্রাপ্তবয়স্ক সকল পুরুষের সমান ভোটদানের অধিকার। তবে, এসেম্বলিগুলোতে নারীদের রাজনৈতিক অধিকার চর্চার সুযোগ ছিল না, অংশগ্রহণ করতে পারতো না দাসেরাও। এথেন্সের মতো রাজনৈতিক কাঠামো ছিল আরো অনেক নগররাষ্ট্রের, সেসব রাষ্ট্রে চর্চা হতো প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র। প্রায় সব নগররাষ্ট্রের এসেম্বলিই ছিল নারীহীন ‘জেন্টলম্যানস ক্লাবের’ মতো।
প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলোর গণতন্ত্র বেশিদিন টিকে থাকেনি, দ্রুতই কর্তৃত্ববাদী শাসকের উত্থানে বিলুপ্ত হয়েছে এসেম্বলিগুলো। এথেন্সে গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৫০৮ অব্দে। আর গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিলুপ্তি ঘটে খ্রিষ্টপূর্ব ৩২২ অব্দে, মেসিডোনের আক্রমণের বিপরীতে এথেন্সের পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে।
এরপরের কয়েক শতাব্দীর মধ্যেই নগররাষ্ট্রের যুগের সমাপ্তি ঘটে, শুরু হয় সাম্রাজ্যবাদের যুগ। পৃথিবীজুড়ে গড়ে উঠতে থাকে বিশাল বিশাল সাম্রাজ্য, এরপর পতনও ঘটেছে এইসব সাম্রাজ্যের। গণতান্ত্রিক কাঠামো আবার আলোচনায় এসেছে আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের যুগে, আটলান্টিক রেভ্যুলুশনের পরবর্তী সময়ে। আধুনিক যুগেও গণতন্ত্র ক্রমাগত উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গেছে।
স্যামুয়েল পি. হান্টিংটনের মতে, আধুনিক যুগে গণতন্ত্রায়নের তিনটি ঢেউ সংগঠিত হয়েছে, হয়েছে উল্টোদিকের যাত্রাও। প্রথম গণতন্ত্রায়নের ঢেউ শুরু হয় ১৮২৮ সালে, সেই ঢেউ চলে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত। এরপর গণতন্ত্র উল্টোদিকে যাত্রা শুরু করে, ত্রিশ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে গণতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা চলে আসে এক ডজনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে আবার শুরু হয় গণতন্ত্রায়নের ঢেউ। এ ঢেউ চলে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত।
এরপর দ্বিতীয়বারের মতো আধুনিক গণতন্ত্রের উল্টোদিকে যাত্রা শুরু হয়। এ যাত্রা চলে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি বিস্তৃতি অর্জন করে গণতন্ত্রায়নের তৃতীয় ঢেউ, ১৯৭৫ সালে শুরু হওয়া এই ঢেউয়ে গণতন্ত্রায়ন হয় ৮০টিরও বেশি কর্তৃত্ববাদী দেশে, মোট গণতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় একশো ত্রিশের কোটা। স্নায়ু যুদ্ধের সমাপ্তির পর গণতন্ত্র পরিণত হয়েছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য শাসনব্যবস্থায়।
বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই গণতন্ত্রের সূচনাস্থান নিয়ে বিতর্ক চলছে, ভিন্নমত এসেছে এথেন্সেই প্রথম গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রথম সূচনা হয়েছে, এই বক্তব্যের ব্যাপারেও। গত শতাব্দী থেকে শুরু হওয়া গণতন্ত্রের উৎসের ব্যাপারে প্রতিনিয়ত অনুসন্ধান আমাদের দেখিয়েছে, এথেন্সের পঞ্চাশ থেকে দুইশো বছর আগ থেকেই প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের চর্চা হতো গ্রিসের আরেক নগররাষ্ট্র স্পার্টাতে। গণতন্ত্রের উৎসের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত অনুসদ্ধানে উঠে এসেছে, গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলোর বাইরেও ছিল গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, ছিল এসেম্বলি ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা। গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলোর বাইরে যেসব অঞ্চলে গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিকাশ ঘটেছিল, এখানে আলোচনা হবে সেই রাষ্ট্র আর সময় নিয়েই।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার মারি রাজ্য
প্রাচীন গ্রিসের বহু আগেই বিকশিত হয়েছিল মেসোপটেমীয় সভ্যতা, এই সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল দ্বিতীয় আর তৃতীয় মিলিনিয়ামে। এই সভ্যতারই এক রাজ্য ছিল মারি, যা গড়ে উঠেছিল বর্তমান সিরিয়া আর ইরাককে কেন্দ্র করে। স্বাধীন রাজ্য হিসেবে এর অস্তিত্ব ছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৭৬১ অব্দ পর্যন্ত। এই রাজ্যের শাসনকাঠামোতে ছিল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপস্থিতি।
মারি রাজ্যের গণতান্ত্রিক কাঠামো দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। স্থানীয় পর্যায়ে বয়োজ্যোষ্ঠদের নিয়ে গঠিত হতো লোকাল এসেম্বলি, যারা রাজস্বের ব্যাপারে তাদের মতামত দিতেন এবং স্থানীয় নীতি নির্ধারণ করতেন। স্থানীয় এই কাউন্সিলগুলো থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি আবার অংশ হতেন কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের। কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তুলে ধরতেন স্থানীয় কাউন্সিলের দাবিগুলো। বর্তমান সময়ে যে সুইস গণতান্ত্রিক মডেল রয়েছে, এই মডেল অনেকটা সে রকম। অনেকসময় শহরের সকল বাসিন্দাকে একত্রিত করে জিজ্ঞেস করা হতো, কে রাজকোষে কত দিতে পারবে। রাজস্ব সেই জায়গা থেকেও উঠে আসতো।
বিভিন্ন কারণেই মারি রাজ্যে গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিকাশ ঘটেছিল। প্রথমত, রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য মারি রাজ্যে জনপ্রতিনিধিত্বের সুযোগ দিয়েছিল শাসকেরা। এই রাজ্য ছিল গোত্রভিত্তিক, গোত্রগুলোর অবস্থান ছিল দূরে দূরে। ছিল যাযাবর গোত্রও। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে রাজস্ব আদায় করা সবসময়ই দূরূহ ছিল। দ্বিতীয়ত, অবস্থানগত কারণ। গোষ্ঠীকেন্দ্রিক কাঠামো আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গোষ্ঠীতন্ত্রের জন্য একক শাসনে রাখা প্রায় অসম্ভব ছিল। এ রকম রাষ্ট্রকাঠামোকে একক শাসনে রাখতে বিশাল সামরিক আর বেসামরিক আমলাতন্ত্রের প্রয়োজন, যার সাংগঠনিক কাঠামো মারি রাজাদের ছিল না। তাদের ছিল না অর্থনৈতিক সামর্থ্যও। আবার, কেন্দ্রীয় কাঠামো অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে চেয়েছে, স্থানীয় কাউন্সিল সেই নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ করে প্রতিনিধিত্বমূলক কাঠামো বজায় রেখেছে।
প্রাচীন ভারতের রিপাবলিকসমূহ
প্রাচীন ভারতে গণতন্ত্রের উপস্থিতি ছিল কিনা, এই বিতর্ক শুরু হয় বিংশ শতাব্দীতে- ব্রিটিশদের কলোনিয়াল শাসনের নৈতিক বৈধতা দেওয়া যায় কিনা, সেই বিতর্ককে কেন্দ্র করে। অতীতের পুরোটা সময় ভারতীয় উপমহাদেশে স্বৈরতন্ত্রের উপস্থিতি ছিল, এমন প্রমাণ থাকলে উপনিবেশ শাসনে বৈধতা দেওয়ার ন্যারেটিভ চালু হয়েছিল। বিপরীতে, অতীতে গণতান্ত্রিক শাসনের উপস্থিতি ছিল ভারতে, ভারতীয়রা নিজেরাই নিজেদের শাসন করতো, এমন প্রমাণ থাকলে বৈধতা পেতো ভারতীয়দের স্বাধীনতার দাবি।
১৯০২ সালে ব্রিটিশ স্কলার থমাস ডেভিস বৌদ্ধধর্মের পাঠে দেখতে পান, খ্রিষ্টপূর্ব সপ্তম থেকে ষষ্ঠ অব্দের ভারতে রাজতন্ত্রের পাশাপাশি উপস্থিতি ছিল রিপাবলিকের, শাসনকাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতো রাজ্যের বাসিন্দারা। সেই সময়কার গোষ্ঠীতন্ত্রগুলোতেও ছিল অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির চর্চা, গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে রাজা নির্বাচিত হতেন সম্মতির ভিত্তিতে, গোষ্ঠীর সকল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ছিল সমান অধিকার।
বলা হয়, যা নেই মহাভারতে, তা নেই ভারতে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ মহাভারতেও আছে রাষ্ট্রকাঠামোতে পার্লামেন্টের উপস্থিতির কথা, রয়েছে সম্মতিমূলক রাজনৈতিক উত্থানের উদাহরণ। তবে, গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ভারতের রিপাবলিকগুলোতেও নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল না। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে ভারত জয় করতে আলেকজেন্ডার দ্য গ্রেটও এখানে গণতান্ত্রিক কাঠামোর উপস্থিতি দেখতে পেয়েছিলেন, যার চর্চা ভারতে আরো দুই থেকে তিনশো বছর আগে শুরু হয়। অর্থাৎ, গ্রিসের সমসাময়িক বা গ্রিসের নগররাষ্ট্রগুলোর আগে থেকেই ভারতে গণতন্ত্রের চর্চা ছিল, ছিল অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির উপস্থিতি।
আধুনিক ভারতে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯২০ সালে, ব্রিটিশদের মাধ্যমে। তবে, গণতন্ত্র ভারতীয় উপমহাদেশে বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া শাসনব্যবস্থা নয়। প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যারল্ড জে লাস্কির মতে, গণতন্ত্র ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষদের জাতীয় পরিচয়েরও অংশ।
মধ্য-আফ্রিকার রিপাবলিকান কাঠামো
আধুনিককালের জাতিরাষ্ট্রের যুগে এসেও আফ্রিকাতে এখনো গোষ্ঠীতন্ত্রের উপস্থিতি রয়েছে। প্রাচীনকালেও আফ্রিকার মানুষেরা গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বসবাস করতো, রাজনৈতিক জীবন আবর্তিত হতো গোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে। একই পরিচয়ের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা এই গোষ্ঠীগুলোর নেতৃত্বে থাকতেন সাধারণত একজন পুরুষ, যিনি গোষ্ঠীর বয়োজ্যোষ্ঠদের নিয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতেন। গোষ্ঠীপ্রধানের পদ সাধারণত নির্ধারিত হতো সম্পদের উপর ভিত্তি করে, উত্তরাধিকার সূত্রে নয়।
প্রাচীন আফ্রিকাতে একটা সময় রাষ্ট্রকাঠামোর বিকাশ ঘটে, অনেকগুলো গোষ্ঠীকে নিয়ে তৈরি হতে থাকে রাজ্য। রাষ্ট্রকাঠামোর এই বিবর্তন দুইটি ধারায় ভাগ হয়ে যায়। একদিকে এককেন্দ্রিক রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে উঠে, অন্যদিকে গড়ে উঠে প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক কাঠামো। যেসব কাঠামোর স্থানীয় নেতৃত্ব কেন্দ্রীয়করণে বাঁধা দিয়েছে, নিজেদের প্রতিনিধত্ব নিশ্চিতে রাজনৈতিক ঐক্যমত দেখিয়েছে, সেসব গোষ্ঠীই সাধারণত বিকেন্দ্রীকৃত গণতান্ত্রিক কাঠামোতে বসবাসের সুযোগ পেয়েছে।
আফ্রিকার মসি, সংহায়, মালি আর কঙ্গো সাম্রাজ্যে প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক কাঠামোর উপস্থিতি ছিল, কিছু কিছু জায়গায় উপস্থিতি ছিল সাংবিধানিক শাসনেরও। রাজা সংবিধান না মানলে, নির্বাচিত প্রতিনিধের হাতে অনেক সময়ই সুযোগ ছিল রাজাকে ক্ষমতাচ্যুত করার।
কঙ্গো সাম্রাজ্যে রাজা উত্তরাধিকার সূত্রে তৈরি হলেও, উত্তরাধিকারিদের মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য নির্বাচিত হয়েই বসতে হতো শাসকের আসনে। প্রতিনিধিত্বমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি এই সাম্রাজ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছিল সরাসরি অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক অধিকার চর্চার সুযোগ। গ্রামবাসীরা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে গ্রামপ্রধান নির্বাচন করতো, নির্বাচন করতো গভর্নর। আবার, রাজ্যের বাসিন্দাদের সুযোগ ছিল গ্রামপ্রধান বা গভর্নরকে ক্ষমতাচ্যুত করার, এইভচাবেই নিশ্চিত হতো জবাবদিহিতা।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা আফ্রিকাতে শুরু হয় ইউরোপের অনেক আগে। যেই সলনের (Solon) মাধ্যমে প্রাচীন গ্রিসের নগররাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক কাঠামোর বিকাশ ঘটেছিল, তিনি গণতন্ত্রের ব্যাপারে উৎসাহিত হয়েছিলেন মিশর সফরের সময়, মিশরে প্রতিনিধিত্বমূলক কাঠামো দেখে। আবার, নাগরিক অধিকারের চার্টারও ইউরোপের অনেক আগেই তৈরি হয় আফ্রিকাতে। বিল অব রাইটস তৈরি হয় ১৬৮৯ সালে, দ্য ডিক্লারেশন অব দ্য রাইট অব ম্যান এন্ড অব দ্য সিটিজেন তৈরি হয় ১৭৮৯ সালে, ম্যাগনাকার্টা তৈরি হয় ১২১৫ থেকে ১২৯৭ সালের মধ্যে। অন্যদিকে, আফ্রিকার মালি সম্রাজ্যে নাগরিক অধিকারের চার্টার তৈরি হয় ১২৩৬ সালে।