দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়াকে শাসন করছেন পুতিন, যার বড় একটা সময়ই তিনি ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। হাইপার-প্রেসিডেন্সিয়াল একটি আমলাতান্ত্রিক কাঠামোতে ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হওয়া ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হিসেবেই থাকতে চাইবেন, সেটিই স্বাভাবিক। তবে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে পুতিন মাঝের চার বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব শেষে আবার ফিরে আসেন প্রেসিডেন্ট পদে। প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রী, পুতিন সবসময়ই ছিলেন রাশিয়ার ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে।
প্রসঙ্গত প্রশ্ন আসতে পারে, রাশিয়ার মতো একটি হাইপার-প্রেসিডেন্সিয়াল কাঠামোতে পুতিন কীভাবে প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিয়ে আবার ফিরে আসার সুযোগ পেলেন? এর উত্তর লুকিয়ে আছে রাশিয়ার রাজনৈতিক কাঠামোর কর্মপ্রক্রিয়ার মধ্যে। রাশিয়াতে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের পাশাপাশি একইরকম কার্যকর অপ্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে, কার্যকর রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মকে ব্যক্তিগত সম্পর্কের নিরিখে সুবিধাজনকভাবে প্রয়োগ করার পদ্ধতিও। রাশিয়াতে রয়েছে অনেকগুলো প্রভাবশালী অপ্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থগোষ্ঠী, যেগুলোর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নেই।
স্বার্থগোষ্ঠীগুলো নিজেদের মধ্যে সম্পদ আর ক্ষমতার জন্য প্রতিযোগিতা করে, প্রতিযোগিতা করে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার জন্যও। পুতিন রাশিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে একজন প্রেসিডেন্ট, অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলোতে পুতিন একজন ‘বস’। পুতিনের পরিবর্তে যিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, সেই মেদভেদেভ পুতিনের দীর্ঘদিনের মিত্র এবং বিশ্বস্ত সহযোগী। ফলে, প্রেসিডেন্ট পদে পুতিনের ফিরে আসার সুযোগ হতেই মেদভেদেভ পুতিনের জন্য প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দেন।
পুতিনের অধীনে ক্রেমলিন
ভ্লাদিমির পুতিনের কর্মজীবন শুরু হয় কেজিবির একজন এজেন্ট হিসেবে, সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়ে যেটি কাজ করত গোপন পুলিশ বাহিনী হিসেবে। কেজিবিতে থাকার সময়েই পুতিন পেয়েছিলেন নিয়ন্ত্রণ, স্থিতিশীলতা আর আনুগত্যের দীক্ষা। আশির দশকের শেষদিকে পূর্ব জার্মানিতে পোস্টিং পাওয়ার আগপর্যন্ত তিনি ছিলেন লেনিনগ্রাদে, তার বন্ধুমহলও গড়ে ওঠে এখান থেকেই। পূর্ব জার্মানি থেকে ফেরা পুতিন কেজিবির চাকরি হারান সোভিয়েত ইউনিয়ন সমাপ্তির সাথে, শুরু হয় তার নতুন ক্যারিয়ার।
পুতিনের ক্যারিয়ারে এবার যুক্ত হয় সেন্ট পিটার্সবার্গের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব। মেয়রের সাথে পুতিনের যোগাযোগ করিয়ে দেন তারই এক বন্ধু, সেই বন্ধুই আয়োজন করেন দুজনের মধ্যকার বৈঠক। সেন্ট পিটার্সবার্গের ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর পুতিন ১৯৯৬ সালে চলে আসেন মস্কোতে। এখানে আসার পরে তার দ্রুত উত্থান ঘটে, ফেডারেল সিকিউরিটি ব্যুরোর ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন শেষে নেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। সর্বশেষ, বরিস ইয়েলৎসিন প্রেসিডেন্সি ছাড়লে সেই দায়িত্ব নেন ভ্লাদিমির পুতিন। তার উত্থানেও ভূমিকা রেখেছে তার স্বার্থগোষ্ঠী (Clan) আর নেটওয়ার্কের যোগাযোগ।
স্বার্থগোষ্ঠী কেবল রাশিয়াতেই আছে, ব্যাপারটা এমন নয়। বরং, পূর্ব ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই রয়েছে স্বার্থগোষ্ঠীর উপস্থিতি, ক্ল্যানের উপস্থিতি রয়েছে দক্ষিণ আর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর স্বার্থগোষ্ঠীগুলোর যোগাযোগের উপর ভিত্তি করেই বণ্টন হয় রাষ্ট্রীয় সম্পদ, যোগাযোগের উপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে ব্যক্তিগত অর্থবিত্ত।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষিত হয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলোর নিয়মের মাধ্যমে, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে জবাবদিহিতার মাধ্যমে। রাশিয়াতে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলোর পাশাপাশি ক্ষমতার ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে স্বার্থগোষ্ঠীগুলোও, যোগাযোগ আর আনুগত্যের ভিত্তিতে স্বার্থগোষ্ঠীগুলো আদায় করে সম্পদের উপর কর্তৃত্বমূলক নিয়ন্ত্রণ। রাশিয়াতে পুতিন যেমন সকল সমস্যায় ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন, একইভাবে তিনি কাজ করেন একজন ডিলমেকার হিসেবেও। পুতিন আমলাতন্ত্র আর অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলোতে নিজের নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন, পরিণত হয়েছেন জারের মতো ব্যক্তিত্বে। সম্প্রতি পুতিন নিজেকে তুলনা করছেন জারদের সাথে, সামঞ্জস্য টানছেন বিখ্যাত জারদের সাথে নিজের কর্মকাণ্ডের।
স্বার্থগোষ্ঠী (Clan) ও নেটওয়ার্ক
রাশিয়ার রাজনীতিতে স্বার্থগোষ্ঠী হচ্ছে এমন একটি সংঘ, যারা একই ধরনের বৈশিষ্ট্য বা স্বার্থের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। সংঘগুলোর একই ধরনের স্বার্থ থাকে, আবার থাকে নিজেদের মধ্যে আনুগত্যের ধারণা। স্বার্থগোষ্ঠীগুলো যেমন ব্যক্তিগত স্বার্থ আদায়ে কাজ করে, তেমনই কাজ করে সংঘের স্বার্থ আদায়েও। স্বার্থগোষ্ঠীগুলোকে দল কিংবা গোষ্ঠী হিসেবে ডাকা যায়, ডাকা যায় গ্যাং নামেও। কিন্তু, রাশিয়ানদের মধ্যে ‘ক্ল্যান’ শব্দটি বহুল প্রচলিত।
স্বার্থগোষ্ঠীগুলোর নির্দিষ্ট কোনো সীমারেখা নেই, নেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। সরকারি আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেমন বিচ্ছিন্নতা আছে, স্বার্থগোষ্ঠীগুলোর ক্ষেত্রে সেটিও নেই। স্বার্থগোষ্ঠীগুলো একই এলাকা থেকে উঠে আসা মানুষদের নিয়ে তৈরি হতে পারে, তৈরি হতে পারে আমলাতান্ত্রিক পরিচয় কিংবা একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয়ের উপর ভিত্তি করেও। রাশিয়ার স্বার্থগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক থাকতে পারে, কারণ একজনের স্বার্থ রক্ষায় ছেলে বা মেয়ের চেয়ে ভালো আর কে হতে পারে? তবে, রাশিয়ার স্বার্থগোষ্ঠীগুলোতে পারিবারিক সম্পর্কের উপস্থিতি কম দেখা যায়।
অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থগোষ্ঠী নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। সাধারণত, নেটওয়ার্কের নেতৃত্বে থাকেন উচ্চপদস্থ কোনো আমলা কিংবা পুতিনের ঘনিষ্ঠ কোনো মন্ত্রী। নেটওয়ার্কের প্রধান হতে পারেন পুতিনের উপদেষ্টারাও, আবার তার ঘনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার বন্ধুরাও নেটওয়ার্কের নেতৃত্ব দিতে পারেন। তবে, সবকিছুর চূড়ান্ত কর্তৃত্ব ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে, রাশিয়াতে তার মতই শেষ কথা। নেটওয়ার্কগুলো তাই এসে সমাপ্ত হয় পুতিনের দপ্তরেই। নেটওয়ার্কের আধিক্য আর কার্যকারিতার জন্য রাশিয়াকে বলা হয় ‘নেটওয়ার্ক স্টেট’।
নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য
সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগুলোর মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠে স্বার্থগোষ্ঠী আর নেটওয়ার্ক। নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে ক্ষমতাবলয়ের নেটওয়ার্ক আছে, আছে অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিক স্বার্থকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নেটওয়ার্কও। নেটওয়ার্কগুলোর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকে, যেগুলোর নিরিখে পরিচালিত হয় নেটওয়ার্কগুলোর কাজ।
অপ্রাতিষ্ঠানিকতা
স্বার্থগোষ্ঠীর অস্তিত্ব রাশিয়ার কর্তৃত্ববাদী কাঠামোতে যেমন আছে, আছে পুঁজিবাদী কাঠামোতেও। স্বার্থগোষ্ঠীর আদর্শিক রূপ হিসেবে রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলো সমিতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আদর্শিক অবস্থায় স্বার্থগোষ্ঠীগুলো কাজ করে প্রেশার গ্রুপ হিসেবে, নিজেদের গ্রুপের পক্ষে রাজনৈতিক অধিকার আর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিতে কাজ করে। রাশিয়াতে স্বার্থগোষ্ঠীগুলো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে না। বরং, নিজেদের শ্রীবৃদ্ধির জন্য তারা নির্ভর করে যোগাযোগের উপর, নেটওয়ার্কিংয়ের উপর। রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো কে পাবে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের কর্তৃত্বমূলক নিয়ন্ত্রণ কার কাছে যাবে- সেসব নির্ভর করে নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি আর সক্রিয়তার উপর।
নেটওয়ার্কের অস্থায়িত্ব
রাশিয়াতে নেটওয়ার্ক একই এলাকার পরিচয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাদৃশ্য কিংবা কর্মজীবনের সামঞ্জস্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। পুতিন ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন সেন্ট পিটার্সবার্গে, ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি মস্কোর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছেন তার সেন্ট পিটার্সবার্গের বিশ্বস্ত বন্ধু আর সহকর্মীদের।
রাশিয়াতে স্বার্থগোষ্ঠী আর নেটওয়ার্ক সাধারণত দশকের পর দশক ধরে থাকে, থাকতে পারে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরেও। অনেক স্বার্থগোষ্ঠীই টিকে থাকে ব্যক্তিগত আর পারিবারিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে। তবে, রাশিয়াতে নেটওয়ার্কগুলো সময়ের সাথে পরিবর্তিতও হতে পারে নতুন প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে।
নেটওয়ার্কের অস্থায়িত্বের মূল কারণ জড়িয়ে আছে নেটওয়ার্কের মূল কাজের সাথে। নেটওয়ার্কগুলো সাধারণত সরকারি আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বের সীমানাকে অতিক্রম করে তৈরি হয়, তাদের আনুগত্য থাকে একটি শক্তিমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি। রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় কানেকশনও। এই বিষয়গুলোর কোনো একটির পরিবর্তন হয়ে গেলে নেটওয়ার্কও পরিবর্তিত হয়, কখনও নেটওয়ার্ক পুরোপুরি ভেঙে গিয়ে তৈরি হয় নতুন নেটওয়ার্ক।
নেটওয়ার্কসমূহের মধ্যে প্রতিযোগিতা
নেটওয়ার্কগুলো সাধারণত রাজনৈতিকভাবে নিজেদের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, আদায় করতে চায় অর্থনৈতিক স্বার্থও। একটি শহরের মেয়র পদের সাথে যেমন রাজনৈতিক কর্তৃত্বের প্রশ্ন আছে, আছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বরাদ্দের প্রশ্নও। ফলে, একটি শহরে একাধিক নেটওয়ার্কের অস্তিত্ব থাকলে তারা চেষ্টা করবে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে, রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক সুবিধা আদায় করে নিতে।
আমলাতন্ত্রের মধ্যে যেসব নেটওয়ার্ক ক্রিয়াশীল আছে, তারা কাজ করে নিজের নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা আমলাকে দ্রুত আর সহজে প্রমোশন দিতে, নিজেদের নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকা ব্যবসায়ীকে রাষ্ট্রীয় কাজ বরাদ্দ দিতে। সব মিলিয়ে নেটওয়ার্কগুলো ব্যক্তিগত স্বার্থের সুরক্ষা দেয়, সুযোগ তৈরি করে অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের। ফলে, প্রমোশন, রাষ্ট্রীয় প্রকল্প আর সম্পদ অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয় নেটওয়ার্কগুলো, প্রভাবিত করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
বহুধাপীয় সম্পর্ক
একটি নেটওয়ার্কে বিভিন্ন শ্রেণী আর সক্ষমতার মানুষ থাকেন। নেটওয়ার্কে থাকে প্যাট্রন-ক্লায়েন্ট সম্পর্ক, থাকে বস আর অধঃস্তনের সম্পর্কও। নেটওয়ার্কে সাধারণত স্থায়ী কোনো পদ থাকে না, থাকে না নির্ধারিত অবস্থান। সময়ের সাথে নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ধাপে পরিবর্তন আসে, সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন আসে নেটওয়ার্কে থাকা ব্যক্তিদের অবস্থান ও কাজেও। অঞ্চলভিত্তিক স্বার্থগোষ্ঠীগুলো সাধারণত বেশি সংঘাতে জড়ায়, তাদের মধ্যে সম্পর্কের ধরন আবার আলাদা।
পুতিনিস্ট দেশগুলোতে স্বার্থগোষ্ঠী আর নেটওয়ার্ক
স্বার্থগোষ্ঠী আর নেটওয়ার্ক কেবল রাশিয়ার বৈশিষ্ট্য না। এই ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতেও, রয়েছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও। পুতিনিস্ট এসব দেশে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নির্ভর করে স্বার্থগোষ্ঠীর ক্রিয়াশীলতার উপর, নেটওয়ার্কের শীর্ষে থাকা ব্যক্তির ক্ষমতাবলয়ে প্রাসঙ্গিকতা আর বুদ্ধিমত্তার উপর। স্বার্থগোষ্ঠীর উপস্থিতিতে পুতিনিস্ট স্টেটগুলোতে শুরু হয় কতিপয়তন্ত্রের চর্চা, যেখানে নাগরিকদের স্বার্থ উহ্য থাকে।