ধনীর ধন চুরি করে গরিবের মাঝে বিলিয়ে দেয়া রবিন হুডের গল্পটি যে ইংল্যান্ডের উপকথার সবচেয়ে জনপ্রিয় অধ্যায়, সে বিষয়ে নেই কোনও সন্দেহ। এই গল্পের এতগুলো ভার্শন রয়েছে যে কোনটা যে সত্যিকারের মানুষটিকে ঠিকভাবে তুলে ধরে, বুঝে ওঠাই ভার। তার চেয়েও বড় কথা, রবিন হুড বলে সত্যি সত্যিই কি কেউ ছিলেন? ইতিহাসের কষ্টিপাথরে ঘষে আমরা কতটুকু জানতে পারি? আজকের লেখায় আমরা সেটাই খুঁজে বের করব, আর জানবো রবিন হুডের যত গল্প।
প্রথমেই জেনে রাখা দরকার, রবিন হুড কিন্তু রূপকথা বা মিথ নয়, বরং উপকথা বা লেজেন্ড! রূপকথা তখনই হয় যখন তার বাস্তবিক ভিত্তি থাকে না, কিন্তু উপকথা মূলত বাস্তবের কোনো কাহিনীর অতিরঞ্জিত ফুলে ফেঁপে ওঠা এক সংস্করণ। রবিন হুড সম্পর্কে ঠিক যতটুকু গল্পের মোটামুটি সকল ভার্শনই একমত সেটি হলো- রবিন আর তার দল মেরি মেন (Merry Men) বাস করতেন ইংল্যান্ডে, তাদের শত্রু ছিলেন নটিংহ্যামের শেরিফ, আর তুখোড় তীরন্দাজ ছিলেন রবিন, রুখে দাঁড়াতেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
রবিন হুডের ঘটনাকাল ত্রয়োদশ কি চতুর্দশ শতকের, তখনকার প্রাচীন ইংরেজিতে বানানটা কিন্তু ছিল Robyn Hode (Robin Hood নয়)। ইউরোপে তখন চলছে মধ্যযুগ। একদম গোড়ার দিককার গল্পে, রবিন একজন ছোটখাট জমিদার ছিলেন, তবে এত বড় কিছু নয় যে তাকে সবাই সম্মান করে চলবে। ১৩৭০ সালে ‘পায়ার্স প্লাওম্যান’ কাব্যে রবিনের কথা পাই আমরা প্রথমবারের মতো। কড়া খ্রিস্টান রবিনের আনুগত্য ছিল কিং রিচার্ডের প্রতি। তরবারি আর তীরধনুকে তার পারদর্শিতার কথা আছে সব গল্পেই। তার প্রেমিকা ছিলেন ম্যারিয়ান, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ম্যারিয়ান কেবল প্রেমিকাই নন, বরং তার স্ত্রী। তার বন্ধুদের মাঝে আছে রবিনের ডান হাত লিটল জন, এক মিলারের ছেলে মাচ, উইল স্কারলেট। এরা মিলে তৈরি করে ‘মেরি মেন’। পরের গল্পগুলোতে যোগ দেন ম্যারিয়ান আর পাদ্রী ফ্রায়ার টাক।
তৃতীয় ক্রুসেড যুদ্ধের সময় রিচার্ড যখন যুদ্ধ করতে চলে গেছেন, তখন রিচার্ডের ভাই জন সিংহাসনে বসে চালাতে থাকে অত্যাচার। তার কবলে পড়েই সর্বস্বান্ত হন রবিন। এই রাজা জন আর নটিংহ্যামের শেরিফ (অর্থাৎ প্রধান পুলিশ আর কী) দুজনে ছিল রবিন হুডের প্রধান শত্রু। শেরউড ফরেস্ট বা শেরউড জঙ্গল থেকে রবিন হুডের মেরি মেন চালাতে থাকতো অন্যায়কারী রাজার বিরুদ্ধে অভিযান, আর যা যা সম্পদ কুক্ষিগত হতো সবই তারা বিলিয়ে দিত দরিদ্র প্রজাদের মাঝে। ফলাফলস্বরূপ, প্রজাদের মাঝে রবিনের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে, কিন্তু রাজা জনের দুর্নাম মুখে মুখে। এটা কী করে মেনে নিবেন জন? তাই রবিন রাজ্যের প্রধান পলাতক আসামী। গল্পের এই ভার্শনটি জনপ্রিয় হয় ষোড়শ শতকে।
অবশ্য প্রাথমিক কিছু গল্প যেমন অ্যা জেস্ট অফ রবিন হুড (A Gest of Robyn Hode), রাজার নাম এডওয়ার্ড বলা হয়েছে, সেখানে দেখা যায়, রবিনকে সেই রাজা ক্ষমা করে দেন। কিন্তু ক’দিন বাদেই রবিন আবার বনে ফিরে যান আর শুরু করেন দস্যিপনা। একদম প্রথমদিকের গল্পে অবশ্য রবিন সম্পদ বিলি করতেন না! কেবল একটি গল্পে তখন বলা হয়েছিল, এক দুর্ভাগা নাইটযোদ্ধাকে তিনি অনেক টাকা দিয়েছিলেন, আর বলেছিলেন, এ টাকা ফেরত দেয়া লাগবে না। ১৫৯২ সালে জন স্টো’র লেখা Annales of England এ আমরা প্রথমবারের মতো পাই, রবিন ডাকাতি করে ধনসম্পদ আনছেন আর বিলি করছেন।
রবিনের দলের সবাই তাকে এতই সম্মান করতো যে রাজাকে যেভাবে হাঁটু গেড়ে সম্মান দেয়া হতো সেকালে, সেভাবেই তার সামনে হাঁটু গাড়তো তারা। এমন কিন্তু নয় যে, আধুনিককালের মতো ’আমরা সবাই সমান’ মনোভাব ছিল রবিনের মাঝে। এমনও নয় যে, রবিন অতিরিক্ত কর আদায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন। একমাত্র তিনি সর্বস্বান্ত হওয়াতেই বরং তার টনক নড়ে; তবে কি বলা যায় রবিনের কাজকর্ম নিজের স্বার্থ থেকে এসেছিল? হয়তো আসলে রবিন হুড মধ্যযুগীয় ইউরোপের হাতেম তাঈ নয়!
ইংল্যান্ডের পুরনো এক উৎসব ছিল মে ডে (May Day) এর উৎসব। ভেবে বসবেন না যেন, এটি শ্রমিক অধিকারের কোনো দিবস ছিল, বরং এটি ছিল উত্তর গোলার্ধে বসন্ত ঋতু সংক্রান্ত একটি জনপ্রিয় উৎসব। পঞ্চদশ শতকের গোড়ার সময় থেকেই এই মে ডে’তে রবিন হুড হিসেবে সেজে আসার চল ছিল, পুরো ইংল্যান্ডে না হলেও নটিংহ্যামের দিকে তো বটেই। এমনকি রানী এলিজাবেথ বা রাজা অষ্টম হেনরির সময়কাল পর্যন্তও এমনটা দেখা যেত!
১৫৯৮ সালে অ্যান্থনি মানডে দুটো নাটক লিখেন, যাতে প্রথমবারের মতো রবিনের পরিচয় দেয়া হয় হান্টিংটনের একজন আর্ল। অর্থাৎ রবিন সেখানে নিজেই একজন অভিজাত ছিলেন, রাতের বেলা হুড পরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তেন আর ধনসম্পদ লুট করে গরিবদের দিতেন, আর দিনের বেলা ছিলেন একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য, হয়তো রাজার কাছের লোকও। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের অনেকগুলো নাটকেই আছে রবিন হুডের কথা, যেমন ধরুন, দ্য টু জেন্টেলমেন অফ ভেরোনা, অ্যাজ ইউ লাইক ইট, হেনরি দ্য ফোর্থ ইত্যাদি।
১৮২০ সালে এসে ‘দ্য মেরি অ্যাডভেঞ্চার্স অফ রবিন হুড’ শিরোনামে লেখা বই তুমুল জনপ্রিয় করে রবিন হুডের উপকথাকে, বিশেষ করে বাচ্চাদের মাঝে। আর বিংশ শতকে এসে রবিন হুড নিয়ে নির্মিত হয় সিনেমা যার মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল ১৯৩৮ সালের ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার্স অফ রবিন হুড’। তবে মজার ব্যাপার, ১৯৫৩ সালে মার্কিন মুল্লুকের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে পাঠ্যবইতে রবিন হুডের গল্প নিষিদ্ধ করা হয়, কারণ এতে করে শিশুরা ‘কমিউনিজম’ শিখে যেতে পারে।
১৯৭৩ সালে ডিজনি নিয়ে আসে রবিন হুড কার্টুন। আশির দশক থেকে হওয়া রূপালি পর্দার রবিন হুড ছবিগুলোতে কোনো না কোনোভাবে একজন মুসলিম চরিত্র ঢুকিয়ে দেয়া হতো রবিন হুডের দলে। এর কারণ হিসেবে দেখানো হতো চলমান তৃতীয় ক্রুসেড যুদ্ধ, যা অনুষ্ঠিত হচ্ছিল খ্রিস্টান আর মুসলিমদের মাঝে। এমনকি ২০১৮ সালের ‘রবিন হুড’ ছবিতেও লিটল জন চরিত্রকে দেখানো হয়েছে একজন সারাসেন বা মুসলিম। এ ছবিতে অনেকগুলো গল্পের মাঝে সেই গল্পটিকে বাছাই করা হয়েছে, যেখানে রবিনের ডাক পড়ে ক্রুসেডে যোগদানের জন্য, স্ত্রী ম্যারিয়ানকে রেখে তার যুদ্ধে যেতে হয়, সেখানে গিয়েই তিনি শেখেন তীরধনুক আর তরবারি চালনা। ফিরে এসে দেখেন স্ত্রীও নেই, জমিদারিও নেই। এরপর হুড পরিহিত হয়ে লর্ড রবিন পরিণত হন রবিন হুডে। এ গল্পটা প্রচলিত অধিক জনপ্রিয় গল্পের সাথে না মেলায় স্বাভাবিকভাবেই রেটিংয়ে ধ্বস নামে। ২০১০ সালের রাসেল ক্রো অভিনীত রবিন হুড ছবিতেও ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছিল রবিনকে, ফলাফল সেই একই, নিচু রেটিং।
তবে ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া চার সিজনের ‘দ্য নিউ অ্যাডভেঞ্চার্স অফ রবিন হুড’ ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় রবিন হুড, কারণ এতে মোটামুটি রবিন হুড উপকথার মূলভাব অনুসরণ করা হয়েছিল, অবশ্য যোগ করা হয় জাদুবিদ্যাও। ২০০৬ সালে বিবিসি’র রবিন হুড সিরিজও বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়।
অনেক তো হলো বই আর রূপালি পর্দার কথা। এবার আসা যাক আসল প্রশ্নে। আসলেই কি ছিলেন রবিন হুড? নাকি নিছকই গল্প?
ইতিহাসবিদগণ একমত যে, রবার্ট মধ্যযুগে খুবই সাধারণ আর প্রচলিত নাম ছিল ইংল্যান্ডে। রবার্টেরই সংক্ষিপ্ত ডাকনাম ছিল তখন ‘রবিন’, বিশেষ করে ত্রয়োদশ শতকে- অক্সফোর্ড ডিকশনারি তা-ই বলছে। ইতিহাসবিদরা অবশ্য হুড পড়বার কারণে রবিনের নামে হুড (Hood বা Hude বা Hode) যোগ হয়েছিল, এমনটা মানেন না। বরং, হুড তখন কমন একটি সারনেম (নামের পদবী) ছিল বলেই জানান তারা, তারা হুডের ব্যবসা করতেন। এমনকি মধ্যযুগে রবিন হুড নামেই অনেকের রেকর্ড পাওয়া যায়, আর তাদের কেউ কেউ বেআইনি কাজ করে কুখ্যাতও ছিলেন। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা বলছে, সম্ভবত লোকটির নাম ছিল উড বা কাঠ, সেটি থেকেই উচ্চারণ বিকৃত হয়ে হুড হয়ে যায়।
রবিন হুডকে নিয়ে ‘প্রায়’ ঐতিহাসিক যে রেফারেন্স প্রথমবারের মতো পাওয়া যায়, সেটি কিন্তু বেশ আগের ইংরেজিতে লেখা, পড়েই দেখুন না-
Lytil Jhon and Robyne Hude
Wayth-men ware commendyd gude
In Yngil-wode and Barnysdale
Thai oysyd all this tyme thare trawale
এটা ১৪২০ সালে লেখা হয়েছিল। সেখানে ১২৮৩ সালের কথা বলতে গিয়ে উপরের চরণগুলো উল্লেখ করা হয়। ১৪৪০ সালের একটি বইতেও ঐতিহাসিক সিমন দে মঁফরের পরাজয়ের কাহিনীর সাথে রবিনের কথা আসে, রবিন ছিলেন সিমনের পক্ষে লড়া একজন। শেরউড বনের কথাও ছিল সেখানে! শেরউডে রজার গডবার্ড নামে একজনের দেখা পাওয়া যেত বলে ঐতিহাসিক প্রমাণ আছে, যার কাজের সাথে রবিনের কাজের মিল পাওয়া যায়। হয়ত তিনিই ছিলেন রবিন হুড?
মধ্যযুগের স্কটিশ ঐতিহাসিক ওয়াল্টার বাওয়ার লিখেছিলেন ১২৬৬ সালের এক রবার্ট হুডের কথা, যিনি ছিলেন কুখ্যাত খুনী, যার এক সাথীর নাম লিটল জন, যাদেরকে জনতা খুব পছন্দ করত তাদের উল্লুক কর্মকাণ্ডের কারণে। কোনোই সন্দেহ নেই যে, ওয়াল্টারের সেই রবার্ট হুডই যে আমাদের রবিন হুড। ওয়াল্টার আমাদেরকে সেই রবার্টের গল্পও শোনান!
২০০৯ সালে একটি নথি আবিষ্কৃত হয়, যেখানে লাতিন ভাষায় এক সাধু লিখেছিলেন ১৪৬০ সালে, “প্রথম এডওয়ার্ডের রাজত্বকালে, লোকে বলে, এক বেআইনি লোক ছিল যার নাম রবিন হুড। সে তার সাথীদের নিয়ে ইংল্যান্ডের নানা জায়গায় ডাকাতি করে বেড়াতো।” তখন থেকে সরকারিভাবে রবিন হুড আখ্যা দেয়া মানে ছিল অপরাধীর দাগ দেয়া। গাই ফক্স যখন ১৬০৫ সালে গানপাউডার প্লট করেছিলেন তখন তাদেরকেও উপাধি দেয়া হয় রবিন হুড। তবে নটিংহ্যাম ছাড়াও ইয়র্কে আরেক রবিন হুডের খোঁজ পাওয়া যায়, যার ৩২ শিলিং ৬ পেন্স বাজেয়াপ্ত করবার পর তিনি ডাকাত বনে যান, সেটা ১২২৬ সালের কথা।
এরকম বহু রবিনকেই আসলে ইতিহাসে পাওয়া যায়। তাই ইতিহাসবিদরা এখন মনে করেন, হয় আসলেই রবিন হুড নামে একজন ছিলেন, যার বদান্যতা এতই ছড়িয়ে পড়ে যে যুগ যুগান্তর ধরে মানুষ তাকে মনে রাখে, তার গল্প করে। কিংবা, অন্য যে ব্যাপারটা হতে পারে, তা হলো, রবিন হুড নাম নিয়ে ডাকাতেরা ডাকাতি করতে লাগলো নানা জায়গায়, আর সে কারণেই নানা জায়গায় দেখা যেতে থাকে নানা সময়ে রবিন হুডের নাম। আসলে যে কী হয়েছিল কে জানে!
রবিন মারা যান কীভাবে জানেন? এক বিশ্বাসঘাতকায়, অন্তত উপকথা তা-ই বলে। একটা সময় রবিনের মনে হচ্ছিল, তিনি মারা যাবেন অসুস্থতায়, তাই তিনি এক ধর্মীয় চিকিৎসকের কাছে গেলেন। তখন একটি প্রচলিত চিকিৎসা ছিল, শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের করে দিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা। আর সেটা করতেন ধর্মীয় গুরুজনেরা। যার কাছে তিনি গিয়েছিলেন তিনি ছিলেন রবিনের আত্মীয়াও, তাই তাকে বিশ্বাস করেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি জানতেন না, রবিনের প্রতি মহিলাটির খুব রাগ ছিল, কারণ রবিন চার্চের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। উইল স্কার্লেট চাননি রবিন এ চিকিৎসা নিক, কিন্তু সেটা না শুনে রবিন লিটল জনকে সাথে নিয়ে রওনা দেন।
প্রায়োরি গেটহাউজে পৌঁছাবার পর রবিন লিটল জনকে দূরে যেতে বলেন। তখন রবিনের আত্মীয়া তার প্রেমিক পুরোহিত রেড রজারকে নিয়ে অগ্রসর হন রবিনের দিকে। তারা রবিনের রক্তপাত এমনভাবে করেছিল, যে তা আর থামছিল না। রবিন বুঝতে পারলেন তিনি মারা যাচ্ছেন, তিনি তার শিঙ্গা তিনবার বাজিয়ে ডাকলেন জনকে। জন এসে দেখলেন, রবিনকে বাঁচানো সম্ভব না।
রবিনের শেষ অনুরোধ ছিল, তাকে আর একটিবার তীর মারতে দেয়া হোক। ঠিক যেখানে তীর গিয়ে পড়বে সেখানেই যেন তার কবর হয়, এটাই ছিল রবিনের চাওয়া। জন তাকে তীর মারতে সাহায্য করলেন। ক্রোধে উন্মত্ত লিটল জন সেই ছোট গির্জার বারোটা বাজিয়ে দিতে চাইলেন, সবাইকে মেরে ফেলতে চাইলেন। কিন্তু রবিনের শেষ কাজ ছিল জনকে বোঝানো- এ কাজ যেন সে না করে।
চলে গেলেন রবিন হুড, যিনি কি না পরে রবিন অফ লক্সলি বা রবিন লংস্ট্রাইড নামেও পরিচিত হন। সবুজরঙা জামা পরা রবিন হুডের আদলেই যে ডিসি কমিক্সের গ্রিন অ্যারো চরিত্রটি গড়া তা কি আর বলতে?
তবে যা-ই হোক না কেন, ধনীর অন্যায় সম্পদে গরিবের হক ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে রবিন হুড হয়ে যান কিংবদন্তীতুল্য। তা-ই তো সাতশো বছর বাদেও আপনি আজও তাকে নিয়ে লেখা পড়ছেন!