বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মধ্যে একজন ফুতু। তার এবং তার পরিবারের করুণ কাহিনী উঠে এসেছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনের Sarah A. Topol-এর The Schoolteacher and the Genocide শিরোনামের একটি সুদীর্ঘ আর্টিকেলে। আমাদের এই সিরিজটি সেই আর্টিকেলেরই অনুবাদ। এটি হচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব।
সবগুলো পর্ব: ১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব | ৫ম পর্ব | ৬ষ্ঠ পর্ব | ৭ম পর্ব | ৮ম পর্ব | ৯ম পর্ব | ১০ম পর্ব
দুনসে পাড়ায় এমন কোনো বই ছিল না, যা থেকে ফুতু জানতে পারতেন যে, বহির্বিশ্বের মানুষেরা সেই অষ্টাদশ শতকেই এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপস্থিতি নথিভুক্ত করেছিল। ১৭৯৯ সালে ফ্রান্সিস বিউক্যান্যান নামে ভারতে বসবাসরত এক স্কটিশ চিকিৎসক তৎকালীন আরাকান ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, সেখানে দুটি সম্প্রদায় বসবাস করত: ‘ইয়াকাইন’ এবং ‘রুইঙ্গা’। (তার এই রেকর্ডটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশদের আগমনের পূর্বে কারা বার্মায় ছিল বা ছিল না, এবং এর ফলে কারা এই অঞ্চলের ভূমিপুত্র বা ভূমিপুত্র না, এই বিষয়ক বিতর্কে রেকর্ডটির কথা প্রায়ই উঠে আসে।)
ফুতু জানতেন, ব্রিটিশরা ১৮২৪ সাল থেকে রাখাইন রাজ্যের বর্তমান অঞ্চলটির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেছিল। কিন্তু তিনি এটা জানতেন না যে, বার্মার বাকি অংশের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে তাদের ছয় দশক সময় লেগে গিয়েছিল। বার্মা ছিল তৎকালীন ভারতবর্ষের একটি প্রদেশ। দুই দেশের সীমান্ত ছিল উন্মুক্ত। সে সময় ভারতের মধ্যে বর্তমান পাকিস্তান এবং বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ব্রিটিশরা ভারত থেকে বার্মায় অভিবাসনকে উৎসাহিত করত। তারা নবাগত মুসলমানদেরকে আকর্ষণীয় উচ্চপদ দিয়ে পুরস্কৃত করত, যা স্থানীয়দের মধ্যে ঈর্ষা এবং হতাশার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও সমৃদ্ধি ও শান্তির সময়কাল হিসেবে সমাজের অনেকেই ঔপনিবেশিক আমলের কথাই স্মরণ করে।
ফুতুর দাদা তাকে জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ সালে জাপানিরা যখন আরাকান আক্রমণ করে এবং পাহাড়ের উপর ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে, তখন সেই যুদ্ধ দুনসে পাড়ার লোকদেরকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু বাস্তবে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রোহিঙ্গা এবং রাখাইনরা পরস্পরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এই সাম্প্রদায়িক বিরোধই পরবর্তীতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে প্রতিধ্বনিত হয়।
বৌদ্ধ রাখাইনরা আক্রমণকারী জাপানিদেরকে সমর্থন করে, কারণ তারা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অন্যদিকে মুসলিম রোহিঙ্গারা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদেরকে সমর্থন করে, কারণ তারা তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করেছিল। ফুতুর দাদা কেবল তাকে জানিয়েছিলেন, বিশ্বযুদ্ধের সময় উভয় সম্প্রদায় লম্বা ছুরি এবং পাথর নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
ফুতুর পরিবারের মতো অনেক রোহিঙ্গা পরিবার আত্মরক্ষার জন্য রাজ্যের উত্তরে পালিয়ে গিয়েছিল। অন্যদিকে রাখাইনরা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্যের দক্ষিণে জমায়েত হয়েছিল। ফুতুর দাদার দাদী সে সময় এতই বৃদ্ধ ছিলেন যে, দ্রুত ছুটতে না পারার কারণে প্রতিপক্ষের ছুরির আঘাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন।
এক মাস উত্তরে অবস্থান করার পর যখন ফুতুর দাদারা ঘরে ফিরে আসেন, তখন তাদের বাড়িঘর ছিল বিধ্বস্ত। তাদের গরুগুলোও গায়েব হয়ে গিয়েছিল। এটি ছিল সাম্প্রতিক ইতিহাসের অনেকগুলো সহিংস সংঘাতের মধ্যে প্রথমটি। এই সংঘাতগুলোর প্রতিটির উৎস ছিল স্বতন্ত্র, কিন্তু সবগুলোই ছিল স্থানচ্যুতি এবং প্রত্যাবর্তনের এক নির্মম পুনরাবৃত্তি।
১৯৪৮ সালে বার্মার স্বাধীনতার প্রাক্কালে দেশটিতে ভারতবিরোধী এবং মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল। দাঙ্গাকারীদের দাবি ছিল, যারা ব্রিটিশদের সাথে এসেছিল তাদেরকে ব্রিটিশদের সাথেই ফিরে যেতে হবে। সে সময় অনেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, যা এখন বাংলাদেশ নামে পরিচিত, সেখানে পালিয়ে গিয়েছিল।
১৯৫০-এর দশকে, বার্মার প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইউ নুর সরকার ঘোষণা করেছিল, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের আগমনের পূর্বে থেকেই যারা বার্মার সীমান্তের মধ্যে বসবাস করে আসছিল, তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সে সময় ফুতুদের পরিবারের মতো অনেক রোহিঙ্গা পরিবারকে কাগজপত্র দেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে ভবিষ্যৎ স্বায়ত্তশাসনসহ বিভিন্ন অধিকারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু ১৯৬২ সালে জেনারেল নে উইনের অভ্যুত্থান এই পরিকল্পনাগুলো বন্ধ করে দেয়। নে উইন বিশ্বাস করতেন, রাষ্ট্রের পরিচয় হতে হবে বৌদ্ধ। জাতীয় সংহতির স্বার্থে তিনি অধিকারের জন্য আন্দোলনরত সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলোকে দমন করার পক্ষে ছিলেন। তার ক্ষোভ ছিল বিশেষভাবে মুসলমানদের প্রতি, যাদেরকে তিনি প্রতিস্থাপিত জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করতেন। তিনি আশঙ্কা করতেন, মুসলমানরা অধিকসংখ্যক সন্তানের জন্ম দিয়ে জনসংখ্যা তাদের পক্ষে পরিবর্তন করে ফেলবে।
সামরিক জান্তা রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তারা নতুন নির্দেশাবলী কার্যকর করার দায়িত্ব তুলে দেয় বৌদ্ধ রাখাইনদের হাতে। ১৯৬৩ সালে ফুতুর দাদাসহ অনেক রোহিঙ্গা পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ফুতুর দাদা সেই দিনগুলোর কথা খুব কমই বলতেন, কিন্তু ফুতু জানতেন নির্বাসনের সেই দিনগুলোতেই তিনি বাংলা পড়তে শিখেছিলেন। ফুতু যখন খুব ছোট ছিলেন, তখন প্রায়ই মাগরিবের নামাজের পর তিনি তার দাদাকে গানের মতো সুর করে দীর্ঘ বাংলা কবিতা পড়তে দেখতেন। গ্রামের লোকেরা এসে তার কবিতা আবৃত্তি শুনত, পুনরায় আবৃত্তি করার জন্য অনুরোধ করত।
১৯৭৭ সালের শুরুতে বার্মিজ সেনাবাহিনী, যারা ‘তাতমাদাও’ নামে পরিচিত, তারা বিশাল একটি অভিযান পরিচালনা করে। ‘নাগা মিন’ তথা ‘ড্রাগন কিং’ নামের ঐ অভিযানের লক্ষ্য ছিল ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ বার্মা থেকে বিতাড়িত করা। একদিন তাতমাদাও ফুতুদের গ্রামেও প্রবেশ করে। তারা ফুতুর বাবা-মা-সহ গ্রামের লোকজনকে এক জায়গায় একত্রিত করে এবং তাদের জামার হাতা উপরে উঠিয়ে টিকার দাগ দেখাতে বাধ্য করে। তাদের দাবি, বাংলাদেশিদের টিকার দাগ থাকে ডান বাহুতে, আর বার্মার নাগরিকদের থাকে বাম বাহুতে।
এই আতঙ্কজনক অভিযানের সময় রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে তাদের নাগরিকত্বের কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। সৈন্যরা গ্রামগুলো পুড়িয়ে দেয়, মসজিদগুলো ধ্বংস করে দেয় এবং জনগণকে খুঁটির বেড়া দিয়ে তৈরি আবদ্ধ জায়গায় স্থানান্তরিত করে। তারা পুরুষদেরকে খুন এবং নারীদেরকে ধর্ষণ করে। দুই লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ এবং বার্মাকে পৃথককারী নাফ নদীর অপর পাড়ে বাংলাদেশের জীর্ণ শিবিরগুলোতে গিয়ে ভিড় করে।
বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের বোঝা বহন করতে আগ্রহী ছিল না। তারা রোহিঙ্গাদেরকে ফিরে যেতে বাধ্য করার লক্ষ্যে খাবারের রেশন আটকে রাখে। বার্মা ছেড়ে পালানোর ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদেরকে জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এর তিন বছর পর বার্মার সামরিক সরকার ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন পাশ করে। আইনটি রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার কাজে ব্যবহৃত হয়। রোহিঙ্গারা পরিণত হয় একটি দেশের মধ্যে থাকা বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্রবিহীন জনসংখ্যায়।
১৯৯২ সালে ফুতুদের পরিবার যখন আবারও কয়েক হাজার রোহিঙ্গার সাথে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করে, তখন ফুতু সবেমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তারা পালাচ্ছিলেন রোহিঙ্গাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করার জন্য শুরু হওয়া একটি নতুন অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে, যে অভিযানের তালিকায় ফুতুর বাবার নামও ছিল। তাদের আগে পালানো রোহিঙ্গাদের দ্বারা সৃষ্ট পথ ধরে টানা ছয় দিন হাঁটার পর অবশেষে তারা বাংলাদেশে গিয়ে পৌঁছেন।
সেবার সর্বমোট ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বাংলাদেশে গিয়ে আশ্রয় নেয়। চার বছর পর্যন্ত তাদেরকে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করতে হয়। এই সময়ের মধ্যে তাদের অজান্তে বার্মিজ সরকার তাদের এলাকায় ‘মডেল’ বৌদ্ধ গ্রাম নির্মাণের একটি প্রকল্প শুরু করে। তারা দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে দরিদ্র রাখাইন এবং বামার বন্দীদেরকে বিশাল জমি, এক জোড়া বলদ এবং একটি বাড়ি প্রদানের বিনিময়ে সেখানে প্রতিস্থাপন করার জন্য নিয়ে আসে।
শরণার্থী শিবিরে গিয়েও ফুতুর বাবা তার সন্তানের পড়াশোনার আশা ছেড়ে দেননি। অব্যবহৃত একটি কুটিরে তিনি ফুতুর জন্য প্রাইভেট একটি ক্লাসের ব্যবস্থা করেন। সেখানে ছোট একটি দলের সাথে অন্য এক রোহিঙ্গা শরণার্থীর কাছ থেকে ফুতু ইংরেজি এবং বার্মিজ ভাষা শেখেন।
এক সকালে ফুতুদের পরিবারকে জানানো হয়, পরদিন তাদেরকে মায়ানমারে ফিরে যেতে হবে। তাদের কিছু করার ছিল না। যেসব শরণার্থী প্রতিবাদ করেছিল, তাদেরকে মারধর করা হয়। কয়েকজন মারাও যায়। পরদিন সকালে তাদের পরিবারকে একটি স্পিডবোটে করে নামিয়ে দেওয়া হয় এমন একটি ভূমিতে, যেখানে তাদেরকে কেউ চায় না।
উপকূলে পা রাখার পর ফুতুর মা যখন তাতমাদাও এবং রাখাইনদেরকে দেখেন, তখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের বাড়ির কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। পাহাড় থেকে কাঠ সংগ্রহ করা থেকে নিয়ে তাদেরকে সবকিছু আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছিল।
প্রাইমারি স্কুল শেষ করার জন্য ফুতু প্রতিদিন হেঁটে হেঁটে পার্শ্ববর্তী রাখাইন গ্রামে যেতেন। এরপর মিডল স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য তিনি পাশের একটি রাখাইন শহরে পাড়ি জমান। কিন্তু তাদের মনের মধ্যে যে ভয় ঢুকে গিয়েছিল, সেটা কখনোই কাটেনি। বিভিন্নভাবে সেটা নিজের উপস্থিতি জাহির করত। প্রত্যেক বার সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি টের পাওয়ামাত্রই ফুতুর বাবা আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন। তার শরীর কাঁপতে থাকত, তিনি বিচলিত হয়ে পড়তেন, যদিও ফুতু তখনও তেমন কোনো বিপদের আশঙ্কা দেখতেন না।
সবগুলো ঘটনার তারিখ এবং বিস্তারিত বিবরণ ইতিহাসে ঠাঁই না পেলেও মানুষের ট্রমা ঠিকই পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছিল। শিশুরা এটা আয়ত্ত করেছিল তাদের জন্য উদ্বিগ্ন মায়েদের আলিঙ্গন কিংবা বাবাদের ক্রোধের মধ্য দিয়ে। এটা উপস্থিত ছিল টহলদার বাহিনীকে আসতে দেখে তাদের বাবাদের শিউরে উঠার মধ্যে, কিংবা নিরাপত্তাবাহিনীর ভয়ে গ্রামের মানুষদের পালিয়ে যাওয়ার মধ্যে, রাতের পর রাত পাহাড়ের বুকে অতিবাহিত করার মধ্যে।
নির্মূলীকরণ ছাড়াই রোহিঙ্গারা বিলীন হয়ে যাচ্ছিল, শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের স্বপ্ন ধারণ করতে তারা অক্ষম হয়ে পড়ছিল। তাদের অনেকে সুন্দর বাড়ি তৈরি করতে আগ্রহী হতো না। আবার অনেকে এমন জমিতে বিনিয়োগ করত, যে জমি তাদেরকে চাইত না। একে একে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে, তাদের বেঁচে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তারা বড় হয়ে উঠছিল তাদের বাবা-মায়েদের ট্রমাগুলো নিজেরা বহন করে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। তারা এগুলোর উৎসও জানত না, কিংবা আবার কখন নতুন কিছু একটা এসে তাদেরকে জোরপূর্বক তাদের পৃথিবী ছুঁড়ে ফেলে দিবে, সেটাও জানত না।
পরবর্তী পর্ব পড়ুন এখান থেকে।
সবগুলো পর্ব: ১ম পর্ব | ২য় পর্ব | ৩য় পর্ব | ৪র্থ পর্ব | ৫ম পর্ব | ৬ষ্ঠ পর্ব | ৭ম পর্ব | ৮ম পর্ব | ৯ম পর্ব | ১০ম পর্ব