Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

প্রাচীন বাঙালিরা তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম প্রচার করেছিল যেভাবে

ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গীয় অঞ্চলের ইতিহাস সেই সুপ্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান। সুদীর্ঘ এই ইতিহাসের পথ পরিক্রমা জড়িত আছে ভারতবর্ষের বিখ্যাত মহাকাব্য রামায়ণ, মহাভারতের সাথেও। বাংলার চারপাশের অঞ্চলসহ এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য স্থানে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন প্রাচীন বাঙালি বৌদ্ধরা। সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীতে বাংলা ছিল ভারতে বৌদ্ধধর্ম বিস্তারের কেন্দ্রস্থল। সেই সাথে তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে অবদান ছিল তাদেরই, যা মহাযান এবং তান্ত্রিক বৌদ্ধদর্শনের শাখা হিসেবে বিচারিত। প্রাচীন বাঙালি বৌদ্ধদেরকে বর্তমানে প্রাক-তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে গণ্য করা হয়।

তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম; Image Source: Alamy.

প্রাচীন বাঙালি বৌদ্ধদের ইতিহাস

প্রাচীনকালে এই বাংলা অঞ্চল তার প্রভাবশালী রাজ্যসমূহের জন্য ছিল সুপরিচিত। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজ্যটির নাম হলো বঙ্গ। অন্যান্য প্রাচীন ভারতীয় বাংলা রাজ্যের মধ্যে গঙ্গাঋদ্ধি, পুণ্ড্রবর্ধন, সমতট, হরিকেল এবং গৌড় রাজ্য উল্লেখযোগ্য। বৈদিক যুগের অবসান ঘটার পর বাংলা বেশ কয়েকটি শক্তিশালী সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে ওঠে। এর মধ্যে হরিয়াঙ্ক রাজবংশ, নন্দ সাম্রাজ্য, মৌর্য রাজবংশ, এবং শক্তিশালী গুপ্ত সাম্রাজ্যের নাম স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করা আছে ইতিহাসের পাতায়।

খ্রি.পূ. ৫০০ অব্দে বাংলা অঞ্চল; Image Source: Wikimedia Commons.

গুপ্তদের পর গৌড়ের রাজা শশাঙ্ক (৭ম শতক) এক নবযুগ সূচনার মাধ্যমে বাংলাকে একটি স্বতন্ত্র ও পৃথক পরিচয় এনে দেন। ধর্মপ্রাণ হিন্দু রাজা শশাঙ্ক অন্য ধর্মকে তেমন সহ্য করতে পারতেন না। তিনি ছিলেন উত্তর-পশ্চিম বাংলার কনৌজের সম্রাট হর্ষের ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী। শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাস নিমজ্জিত হয় গভীর অন্ধকারের অতলে। সমগ্র ভূমি ছেয়ে যায় বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার ধূসর ছায়ায়। ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে স্থানীয় সর্দারদের সহায়তায় গৌড়ের সিংহাসনে আরোহণ করে সম্রাট গোপাল। সেসময় বিশৃঙ্খলা হটিয়ে সকল জঞ্জাল পরিষ্কারকরণে গোপালের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।

রাজা শশাঙ্ক; Image Source: History Flame.

পালবংশের দ্বারা বৌদ্ধধর্মের প্রসার

বিচক্ষণ শাসক গোপাল ছিলেন প্রাচীন বাংলার বিখ্যাত পাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। প্রাচীন প্রাকৃত ভাষায় পাল শব্দের অর্থ হলো ‘রক্ষাকর্তা’। গোপালের উত্তরসূরি, ধর্মপাল এবং দেবপাল, অত্যন্ত সাফল্যের সাথে উত্তরাধিকার বহন করে নিয়ে যান। এই তিনজন ছিলেন বিশিষ্ট প্রাচীন বাঙালি ভারতীয় বৌদ্ধ এবং তারা সকলেই তাদের শাসনামলে বৌদ্ধদর্শনকে ব্যাপকভাবে প্রচারে মগ্ন ছিলেন। পালদের হাত ধরেই ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারে ঘটে। তারা নির্মাণ করতেন বৌদ্ধধর্মীয় মঠ, উৎসাহ দিতেন বৌদ্ধধর্ম ও দর্শন সম্পর্কিত আলোচনাকে। বাইরের রাজ্য থেকে কেউ তাদের ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়নের জন্য আসলে, তাদেরকে মনখুলে সাহায্য করা হতো। ধর্মপাল এবং দেবপাল উভয়েই ইতিহাসবিখ্যাত নালন্দা এবং বিক্রমশীলাসহ বহু বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাকেন্দ্র নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণের সাথে যুক্ত ছিলেন। ঐতিহাসিক প্রমাণ অনুসারে, পাল সম্রাটেরা বৌদ্ধধর্মের মহাযান এবং তান্ত্রিক (বজ্রযান) সম্প্রদায়ের অনুগামী ছিলেন।

গোপাল, ধর্মপাল এবং ধর্মপালের কাল্পনিক চিত্র; Image Source: Midjourney AI.

তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্ম মূলত মহাযান এবং তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্মের একটি শাখা হিসাবে বিকশিত হয়েছিল। খ্রিস্টীয় ৮ম শতাব্দীতে, পাল সম্রাটদের দৃঢ় পৃষ্ঠপোষকতার দরুন, ভারতের সমভূমি পেয়েছিল কতক মেধাবী বৌদ্ধ ব্যক্তিত্ব। ৮ম শতাব্দীতে রাজা ত্রিসং ডেতসেনের আমন্ত্রণে তিব্বতে পা রেখেছিলেন কিংবদন্তি ভারতীয় বৌদ্ধ রহস্যবাদী গুরু পদ্মসম্ভব বা গুরু রিম্পোচে। গুরু পদ্মসম্ভব তিব্বতে তান্ত্রিক বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তনের পাশাপাশি সেখানে একটি বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। একই শতাব্দীতে, সম্ভবত বিখ্যাত বৌদ্ধ গুরু শান্তরক্ষিতাও সেখানে গিয়েছিলেন বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে। যদিও এদের কেউই বাঙালি ছিলেন না, তবুও তাদের এই যাত্রার পেছনে পরোক্ষভাবে পাল সম্রাটদের বৌদ্ধধর্মীয় পৃষ্ঠপোষকতা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।

ত্রিসং ডেতসেন; Image Source: Wikimedia Commons.

প্রাচীন বাঙালি তিলো পা

৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের দিকে, তিলো পা নামে এক প্রাচীন ভারতীয় বাঙালি জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্য গৃহত্যাগ করেন। ধারণা করা হয়, বঙ্গদেশের চাটিভাভো বা অধুনা চট্টগ্রামে এক ব্রাহ্মণ বা রাজপরিবারে জন্মেছিলেন তিনি। জ্ঞানপিপাসু তিলো পা জ্ঞানান্বেষণে ঘুরে বেড়ান পুরো ভারতজুড়ে, শিক্ষালাভ করেন বিভিন্ন পণ্ডিত-গুরুর থেকে। শেষ পর্যন্ত তিনি থিতু হন নেপালে। ওখানে এক গুরুর কাছ থেকে দীক্ষা নেওয়ার সময় নির্বাণ বা ‘সিদ্ধি’ লাভ করেন তিনি। কিছু কিংবদন্তি অনুসারে, তার এই বোধিলাভ ছিল সরাসরি এক দৈব উপহার। তিলো পা ছিলেন একজন পরিশ্রমী বৌদ্ধ সাধক। জ্ঞানের দীর্ঘ অনুসন্ধানের একপর্যায়ে তিনি তিল পিষে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন।

তিলো পা; Image Source: Midjourney AI.

তিলো পা’র শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তার দর্শন শিক্ষালয়ের অংশ হন নারো পা নামে একজন লোক। গুরুর মতো তার জন্মও এক রাজকীয় বাঙালি পরিবারে। তার আসল নাম ছিল সামন্তভদ্র বা অভয়কীর্তি। স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর নারো পা বাড়ি ছেড়ে চলে যান, একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তার প্রবল আগ্রহ তাকে ধাবিত করে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে। নালন্দায় ভর্তির পর তিনি বিভিন্ন বিষয়ে সেখানে অধ্যয়ন শুরু করেন। নালন্দার একজন মহান পণ্ডিত হিসেবে চারপাশে শুরু হয় তার জয়জয়কার। জনশ্রুতি আছে, একজন ডাকিনীর আহ্বানে তিলো পা’কে খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন নারো পা। মূল উদ্দেশ্য ছিল, তিলো পা’র দীক্ষায় জ্ঞানের সর্বোচ্চ চূড়ায় আহরণ করা। ততদিনে মহাসিদ্ধ হিসেবে তিলো পা’র জ্ঞান গরিমার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল চারিদিকে।

নালন্দায় দীক্ষা দিচ্ছেন নারো পা; Image Source: Midjourney AI.

যা-ই হোক, অবশেষে তিলো পা’র দর্শন পেলেন নারো পা। প্রথম দেখাতে নারো পা তাকে চিনতে পারেনি। জ্ঞান পরিধি বিস্তৃতির জন্য বারোটি কঠিন এবং বারোটি সহজসাধ্য কাজ দেওয়া হয়েছিল নারো পা’কে। নিজ অধ্যবসায় এবং কঠোর সাধনার গুণে এই অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নারো পা তার গুরুর সমস্ত দীক্ষা আয়ত্তে সক্ষম হন। পরবর্তীকালে, নারো পা তার শিষ্যদের মাঝে এই সমস্ত তত্ত্বজ্ঞান ছড়িয়ে দিয়ে যান। তাদের মধ্যে মার পা নামে একজন ছাত্র ছিলেন, যিনি সেই সমস্ত দিব্যজ্ঞান তিব্বতে নিয়ে এসেছিলেন।

তিলো পা’র থেকে দীক্ষা নিচ্ছে নারো পা; Image Source:Midjourney AI.

গুরু নারো পা’র একজন শিষ্য হিসাবে মার পা বৌদ্ধধর্মের সমস্ত নীতিসমূহে করেছিলেন সিদ্ধিলাভ, যা তাঁকে মোক্ষ, বিভিন্ন ধরনের বন্ধনমোচন, জ্ঞানার্জন, অপবর্গ, এবং মুক্তিলাভে সহায়তা করেছিল। দীক্ষা সমাপ্তির পর, মার পা’র গুরু তাকে বৌদ্ধ ধর্মের একজন প্রতিনিধি হিসেবে তিব্বতে পাঠান। উদ্দেশ্য, সেখানকার মানুষের মাঝে শান্তি আনয়ন। তিব্বতিরা বর্তমানে নারো পা’কে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৌদ্ধ মহাসিদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করে। কিংবদন্তি অনুসারে, বিখ্যাত বৌদ্ধ যোগিনী নিগুমা ছিলেন নারো পা’র বোন। তবে এর পেছনে শক্তপোক্ত কোনো প্রমাণ নেই।

মারো পা; Image Source: Wikimedia Commons.

অতীশ দীপঙ্করের আখ্যান

২০০৪ সালে ‘শ্রোতা জরিপ‘ নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিবিসি বাংলা। ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে?’ এটি ছিল জরিপের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। ৩০ দিনের চালানো এ জরিপে শ্রোতাদের ভোটে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ বিশজনের মাঝে ১৮ তম স্থানে জায়গা পান অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। তিনি ছিলেন নারো পা’র সামসময়িক। অতীশ দীপঙ্করকে প্রাক বৌদ্ধধর্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুরু হিসেবে সম্মান করা হয়। তিনি তিব্বত, সুমাত্রা এবং ভারত ও এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধধর্মের শান্তি ও অহিংসার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান; Image Source: Wikimedia Commons.

পিতা কল্যাণশ্রী এবং মাতা প্রভাতীর কোল আলো করে রাজকীয় এক বংশে জন্মগ্রহণ করেন ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষ। বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার বজ্রযোগিনী গ্রাম ছিল তার জন্মস্থান। অতীশের আসল নাম ছিল চন্দ্রগর্ভ। শৈশব থেকেই ক্রমশ স্ফুরণ ঘটাতে থাকে তাঁর জ্ঞানমহিমা। যুবক বয়সেই তিনি জ্যোতির্বিদ্যা, যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, সাহিত্য, ধ্যান বিজ্ঞান, শিল্প এবং সঙ্গীতের বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠেন। এর পাশাপাশি তিনি বৈষ্ণব, তান্ত্রিক হিন্দু এবং শৈব ধর্মের দীক্ষাও আয়ত্ত করেছিলেন।

অসংখ্য শিক্ষকের অধীনে শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। শীঘ্রই একজন সন্ন্যাসী হিসেবে নিযুক্ত হবার পর আরও অনেক ধর্মোপদেষ্টার কাছ থেকে বৌদ্ধ শাস্ত্রীয় শিক্ষায় পারদর্শিতা অর্জন করেন অতীশ দীপঙ্কর। এরপর তিনি বৌদ্ধধর্মকে আরও সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মভাবে জানার আগ্রহে উদ্‌গ্রীব হয়ে ওঠেন। তাঁর প্রচণ্ড জ্ঞানতেষ্টাই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে সফলতার স্বর্ণশিখরে। করে রেখেছে ইতিহাসের পাতায় অমর। তিনি অন্যান্য ধর্মের পণ্ডিতদের বিতর্কে সফলভাবে পরাজিত করাতেও ছিলেন বেশ পটু। তার তত্ত্বাবধানে গুটিকতক মঠ পরিচালিত হতো।

ধ্যানমগ্ন অতীশ দীপঙ্কর; Image Source: Midjourney AI.

এগারো শতকের গোঁড়ার দিকে, অতীশ সুবর্ণদ্বীপে (বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ) ভ্রমণ করেন। সেখানে মোট ১২ বছর অবস্থান করে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেন তিনি। ভারতে ফিরে আসার পর তাঁকে বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর কয়েক বছর পর, তিব্বতি রাজার একজন দূত আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি অতীশ দীপঙ্করকে অনুরোধ করেন তার সাথে তিব্বতে গিয়ে সেখানকার মানুষকে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করার জন্য।

সুমাত্রা দ্বীপে অতীশ দীপঙ্কর; Image Source: Midjourney AI.

তিব্বতে পা রাখার পর নিজ জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ও মেধার স্বাক্ষরে সেখানকার লোকজনকে করেছিলেন আকৃষ্ট। বানিয়েছিলেন বহু অনুসারী এবং শিষ্য। তিব্বতের মঠগুলোতে দ্বিতীয় বুদ্ধের পদে উন্নীত হন, যার প্রভাব ও খ্যাতি আজও অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হয়, এই তিব্বতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন অতীশ দীপঙ্কর। রাজধানী লাসার কাছে কোনো এক স্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

তিব্বতে অতীশ দীপঙ্কর; Image Source: Midjourney AI.

তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্ম প্রতিষ্ঠায় প্রাচীন বাঙালিদের অবদান

তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্ম এবং তিব্বতি সভ্যতার গোড়াপত্তনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিলো পা, নারো পা এবং অতীশ দীপঙ্কর। তিনজন ব্যক্তিই এমন একসময়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন, যখন বৌদ্ধধর্মের পাঁড় পৃষ্ঠপোষক পাল সাম্রাজ্যের একটি রাজবংশ বাংলাকে শাসন করেছিল। পালদের বৌদ্ধ পৃষ্ঠপোষকতার ফলে বৌদ্ধধর্ম এবং এর শান্তি, সহানুভূতি, অহিংসা ও মানবতাবাদের শিক্ষা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে।

তিলো পা, নারো পা, এবং অতীশ দীপঙ্কর; Image Source: Midjourney AI.

পালযুগের বৌদ্ধ বিপ্লব থেকে দারুণ উপকৃত হয়েছিল তিব্বত। বাঙালি তিলো পা, নারো পা এবং অতীশ দীপঙ্কর তিব্বতিদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন সর্বদা। তিব্বতিরা তাদের শান্তি এবং সার্বজনীন শুভেচ্ছা বার্তার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শান্তি ও অহিংসায় বিশ্বাসী মানুষেরা এখনও তিব্বতকে সেই স্থান হিসাবে বিবেচনা করে, যেখানে এই জ্ঞানের সূচনা হয়েছিল। এবং তা বাস্তবায়িত হয়েছিল প্রাচীন বাঙালি বৌদ্ধদের দ্বারা।

This is a Bengali article about how ancient Bengalis established Buddhism in Tibet.
References: Hyperlinked inside
Feature Image: MidJourney AI

Related Articles