Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

ওআইসি কি খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রতিশ্রুতি থাকলেও ওআইসি-র আরব সদস্য রাষ্ট্র মিশর ও জর্ডানের পর সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরায়েলের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক চালুর ঘোষণার মধ্য দিয়ে ওআইসির কার্যকারিতা এবং ঐক্য আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

বিশ্বে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হচ্ছে ওআইসি (Organization of Islamic Cooperation  – OIC)। এর সদর দপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত। বর্তমানে ৫৭টি সদস্যরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত সংস্থাটি ১৯৬৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ‘Organisation of the Islamic Conference‘ নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরে ২০১১ সালের ২৮ জুন এর নাম পরিবর্তন করে বর্তমান নাম রাখা হয়।

ওআইসি গঠনের প্রেক্ষাপট

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল ছ’দিনের যুদ্ধে জয়লাভের পর ১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট ইসরায়েল জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ আল আকসায় অগ্নিসংযোগ করে। এর ফলে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় মুসলিম দেশগুলো একটি সহযোগিতা সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

১৯৬৯ সালে পবিত্র আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ওআইসি গঠিত হয়; image source : Getty Images

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট মিশরের রাজধানী কায়রোতে ১৪টি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ একটি বৈঠকে মিলিত হন। ১৯৬৯ সালের ২২-২৫ সেপ্টেম্বর ২৪টি রাষ্ট্রের অংশগ্রহণে মরক্কোর রাজধানী রাবাতে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে ওআইসি-র যাত্রা শুরু হয়।

ওআইসি-র প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে মরোক্কোর রাবাতে তৎকালীন সৌদি বাদশাহ ফয়সাল; image source : Getty Images

ওআইসি-র লক্ষ্যসমূহ

ওআইসি মোট সাতটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য পথচলা শুরু করে। সংগঠনটি গঠনের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ইসলামি সংহতি বৃদ্ধি করা; সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা; পবিত্র স্থানসমূহের নিরাপত্তা বিধান করা এবং ফিলিস্তিনী জনগণের ন্যায্য সংগ্রামকে সমর্থন করা ও তাদের অধিকার আদায় ও ভূমি রক্ষা করার কাজে সাহায্য প্রদান; সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও সমঝোতা বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা।

ওআইসি-র বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫৭। এছাড়াও কয়েকটি দেশ ও সংস্থা ওআইসি-র পর্যবেক্ষক হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। এই সংস্থাটি বিশ্বের প্রায় ১৮০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। ওআইসি-র শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় প্রতি তিন বছর পর পর। এছাড়াও প্রতিবছর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ওআইসি এবং বাংলাদেশ

বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালের ২২-২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি-র দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ সংস্থাটির সদস্যপদ লাভ করে। এরপর থেকে ওআইসি-র বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।

১৯৭৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ওআইসি-র সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; image source : bdcgny.org

২০১৮ সালের ৫-৬ মে ওআইসি-র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৪৫ তম সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ৩৯ দফা ঢাকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হওয়া উক্ত সম্মেলনে মায়ানমারে নিরাপদে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের প্রস্তাবসমূহের যথাযথ বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

ওআইসি-র নিষ্ক্রিয়তার কারণ

প্রতিষ্ঠার পর থেকে অভীষ্ট লক্ষ্যসমূহ অর্জনে ওআইসি কাজ শুরু করে। কিন্তু সংস্থাটি তার কার্যক্রমের সফলতা নিয়ে বার বার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাদের নিষ্ক্রিয়তার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে প্রভাবশালী কয়েকটি মুসলিম দেশের ইচ্ছানুযায়ী এর কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়া। যতদিন পর্যন্ত ওআইসি-র ক্ষমতা কাঠামোয় আরব নেতাদের নিরঙ্কুশ প্রভাব বজায় থাকবে, ততদিন এটি একটি নিষ্ক্রিয় সংস্থা হিসেবে থাকবে এবং নির্যাতিত মুসলমানদের পরিবর্তে এটি কেবল আরব নেতাদের স্বার্থই রক্ষা করবে।

ওআইসি এর ব্যর্থতা

প্রতিশ্রুতি থাকলেও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ওআইসি পুরোপুরিভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ওআইসি-র সদস্যভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক আস্থার সংকটের কারণে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব দিন দিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব অব্যাহত রয়েছে; image source : aidvolunteers.org

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরায়েলের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক চালুর ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনীদের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল, বাহরাইন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এছাড়াও সৌদি আরবসহ আরও কয়েকটি আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলের দখলদারিত্বে গোপনে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শিয়া-সুন্নি বিরোধ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯০ সালের ৫ আগস্ট ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে মানবাধিকারবিষয়ক কায়রো ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার পাশাপাশি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সুশাসন ও সুষম উন্নয়নের অঙ্গীকার করা হয়। কিন্তু ওআইসিভুক্ত বেশিরভাগ দেশই এই অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত আবাসিক এলাকা; image source : Reuters

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ, ইয়েমেন সংকট এবং লিবিয়ার সংঘাত বন্ধে ওআইসি কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে সিরিয়া, ইয়েমেন এবং লিবিয়ার সংকট নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক, মিশরসহ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারস্পরিক ছায়াযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়াও ইরাক, আফগানিস্তান, লেবানন, সুদান, মিসর, কাতারসহ বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সংকট নিরসনে ওআইসি যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না। ইরাক-ইরান যুদ্ধ, উপসাগরীয় যুদ্ধ এবং ইরাক ও আফগানিস্তানে ইঙ্গ-মার্কিন আগ্রাসন থামাতে ওআইসি-র ভূমিকা খুবই হতাশাজনক।

১৯৯৫ সালের জুলাই মাসে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসা গণহত্যা বন্ধে ওআইসি ভূমিকা রাখতে পারেনি। ফিলিপাইনের মরো মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে পারলেও ওআইসি চীনের জিনজিয়াংয়ের মুসলমানদের রক্ষায় এবং ভারতের কাশ্মিরের মুসলমানদের অধিকার প্রশ্নে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়নি।

ওআইসি-র কার্যক্রমের কিছু ইতিবাচক দিক

ওআইসিভুক্ত দেশগুলো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বিভিন্ন সংকট নিরসনে ব্যর্থ হলেও ওআইসি কয়েকটি ক্ষেত্রে অবশ্য সফলতা দেখিয়েছে। ১৯৮১ সালে ওআইসিভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের ছাত্রদের পড়াশোনার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল শিক্ষার ক্ষেত্রে মুসলিমদের এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্য অর্জনে ওআইসি-র তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের গাজীপুর জেলায় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়াও ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণে ওআইসি কাজ করে যাচ্ছে। ইসলামি সংস্কৃতির প্রসারে ওআইসি-র বিশেষ শাখা – ইসলামিক এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন ঢাকাকে ২০১২ সালের জন্য ইসলামি সংস্কৃতির এশীয় অঞ্চলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

২০১৮ সালের শুরুর দিকে দশম ইসলামিক কনফারেন্স অব ট্যুরিজম মিনিস্টার্সের সভায় ২০১৯ সালের জন্য ঢাকাকে ওআইসি পর্যটন নগরী ঘোষণা করা হয়। ফলে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলোর সংস্কার ও সজ্জিতকরণের জন্য ওআইসি ১৩০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করে।

ওআইসি ২০২০ সালের জন্য ঢাকাকে ইয়্যুথ ক্যাপিটাল হিসেবে ঘোষণা করে। এই উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জুলাই “ঢাকা-ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০” শীর্ষক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি এবং মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণের একতরফা ঘোষণাকে ওআইসি প্রত্যাখ্যান করে।

ওআইসি পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে; image source : AFP

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলেও ওআইসি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আহবানে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ওআইসির বিশেষ সম্মেলন থেকে ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ২২ এপ্রিল ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ বৈঠকে মিলিত হন।

মায়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে ওআইসি ব্যর্থ হলেও ওআইসি-র পৃষ্ঠপোষকতায় এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মায়ানমারের বিরুদ্ধে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার মামলা এই সংকট সমাধানে কিছুটা হলেও সংস্থাটির সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ।

সংস্কার

বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ২০১৮ সালের ২৩-২৫ অক্টোবর সৌদি আরবের জেদ্দায় তিন দিনব্যাপী ওআইসির সংস্কার বিষয়ক প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওআইসি-র সংস্কার এবং এই সংস্থাটির কার্যক্রম আরও গতিশীল ও যুগোপযোগী করতে আলোচনা করা হয়। মুসলিম দেশগুলোতে বিদ্যমান বিভিন্ন উত্তেজনা নিরসনে পারস্পরিক মধ্যস্থতা এবং যৌথ কূটনৈতিক পদক্ষেপসহ বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ উপায়ে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য সংস্থাটিকে আরও কার্যকর করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে ওআইসির সংস্কার কার্যক্রম ব্যহত হবে।

ভবিষ্যত

ওআইসি-র পথচলার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সংস্থাটি যদি ঐকবদ্ধভাবে ইসলামোফোবিয়ার মতো সমস্যার সমাধান এবং একইসাথে তার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যায়, তাহলে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। সম্প্রতি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন ভূমিকা পালন করছেন। মুসলিম বিশ্বের চাহিদা পূরণ ও নেতৃত্বদানের লক্ষ্যে ওআইসি-র সাংগঠনিক দুর্বলতা নিরসনে সংস্কারের বিকল্প নেই এবং এই বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে আরও কাজ করতে হবে।

সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য ওআইসি-র কার্যকর ভূমিকার প্রয়োজন। কারণ সংগঠনটির প্রাসঙ্গিকতা এবং গুরুত্ব এখনও শেষ হয়ে যায়নি; বরং অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

Related Articles