Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

দ্বীন-ই-ইলাহি: সম্রাট আকবর যে ধর্মের প্রবর্তক

দ্বীন-ই-ইলাহি মুসলিমরা তো গ্রহণ করেইনি, এমনকি হিন্দুরাও এই ধর্মটি গ্রহণ করেনি। আদৌ এই ধর্মটিকে ধর্ম বলা যায় কি না তা নিয়েও সংশয় আছে। ‘দ্বীন-ই-ইলাহি’কে সম্ভবত একটি মুসলিম সাম্রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভিন্ন ধর্মালম্বী প্রজাদের সন্তুষ্টির জন্য গৃহীত একটি ধর্মীয় নীতিমালা হিসেবে ভাবাই বেশি যুক্তিসংগত হবে।

article

সম্রাট আকবরের ধর্মীয় বিশ্বাসের বৈচিত্র

চারিত্রিক দিক থেকে সম্রাট আকবর ছিলেন কৌতুহলী, তিনি যে কোন বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করতে পছন্দ করতেন। বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, আদর্শিক আর বাহ্যিক রীতিনীতি দেখে আকবর ধর্মগুলো সম্পর্কে কৌতুহলী হয়েছিলেন। এসবের মধ্যে রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এবং নিজের খামখেয়ালীপনা থেকে যা পছন্দ হয়েছে, তাই গ্রহণ করেছেন, পালন করেছেন।

article

ব্যাটল অফ হলদিঘাঁটি

রানা প্রতাপের এই চোরাগোপ্তা হামলা চললো টানা প্রায় দুই দশক, ১৫৯৭ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। হলদিঘাঁটির সেই যুদ্ধের পর পরই, ১৫৭৯ সালের দিকে সম্রাট আকবর পূর্ণ মনোযোগ দেন হিন্দুস্তানের উত্তরাঞ্চল আর মধ্য এশিয়ার দিকে। মেবারের দিকে বড় আকারের কোনো অভিযান প্রেরণের সুযোগ আর তিনি পাননি। এই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করলেন রানা প্রতাপ।

article

ব্যাটল অব রাজমহল: বাংলার বাদশাহ দাউদ শাহ কররানীর করুণ পরিণতি

বাদশাহের মৃত্যুর প্রতিক্রিয়াটা হলো ভয়াবহ, যা হয়তো হোসেন কুলি খান তুর্কমান নিজেও অনুমান করতে পারেননি। দাউদ শাহের মতো একজন বীর, যোগ্য ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাদশাহকে এভাবে অপমানিতভাবে হত্যার দায় মেটাতে হবে এখন গোটা মুঘল সাম্রাজ্যের।

article

সম্রাট আকবরের বাংলা অভিযানের প্রেক্ষাপট

দাউদ শাহ তার সেনাবাহিনীর সক্ষমতা আর সাফল্যে আত্মবিশ্বাসী হয়ে গোলযোগ সৃষ্টি করলেন মুঘল সীমান্তে। হামলা চালালেন উত্তর প্রদেশের জামানিয়া দুর্গে। সম্রাট আকবর তখন গুজরাটে অভিযানে ব্যস্ত ছিলেন। তার কানে যখন দাউদ শাহের এ ধরনের তৎপরতার খবর গেল, তৎক্ষণাৎ তিনি মুনিম খানকে বাংলা সীমান্তে পাঠিয়ে দিলেন। শুরু হয়ে গেল মুঘল সাম্রাজ্যের সাথে বাংলার এক দীর্ঘ লড়াই!

article

সুরাটে মুঘল সেনাবাহিনীর বিজয়: বিদ্রোহী মির্জাদের দমন

গুজরাটকে সম্পূর্ণভাবে মুঘল সাম্রাজ্যের সাথে একীভূত করতে আকবরের প্রায় এক বছরের কিছু বেশি সময় লেগেছিলো। এসময় তিনি গুজরাট থেকে যতটা না প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি বাধা পেয়েছিলেন বিদ্রোহী মির্জাদের থেকে। তবে শেষপর্যন্ত সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই মির্জাদের এই বিদ্রোহকে চূড়ান্তভাবে দমন করা হয়।

article

সম্রাট আকবরের গুজরাট বিজয়

প্রাচীনকাল থেকেই বাণিজ্যিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা গুজরাটের বন্দরগুলো ছিলো হিন্দুস্তানের মূল ভূখণ্ড থেকে অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডের সাথে যোগাযোগের সহজ একটি মাধ্যম।তাছাড়া গুজরাটের রাজনৈতিক অবস্থাও সেসময় স্থিতিশীল ছিলো না। যেহেতু গুজরাট পূর্বেও কিছুদিন মুঘল শাসনের আওতায় ছিলো, তাই আকবর চাচ্ছিলেন, এই সুযোগে পুনরায় গুজরাটকে মুঘল শাসনাধীনে নিয়ে আসতে।

article

দুর্ভেদ্য রণথম্ভোর দুর্গে মুঘল অভিযান

আপাতদৃষ্টিতে রণথম্ভোর অভিযান কম গুরুত্বপূর্ন মনে হলেও, আকবর তার দূরদৃষ্টি দিয়ে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, রাজপুতদের রণথম্ভোরকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ দিলে তা শেষপর্যন্ত মুঘল সাম্রাজ্যের নিরাপত্তার জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। কাজেই মুঘল সাম্রাজ্যের নিরাপত্তার জন্যই রণথম্ভোরের পতন অবশ্যাম্ভবী ছিলো।

article

সম্রাট আকবরের দুর্ভেদ্য চিতোর বিজয়

আকবর দেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও দেশের জনগনের জাতীয় সংহতির জন্য লড়াই করেছেন। তার বিজয় অভিযানে জাতীয় আবেগের কাছে আঞ্চলিকতাবাদ, বর্ণবাদ অথবা ধর্মীয় দিকটিকে পুরোপুরো পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। আকবর এ লক্ষ্য পূরণে তার সারাজীবন ব্যয় করেছেন এবং তার উত্তরসূরীরাও তার এই আদর্শ অনুসরণ করেছেন।

article

সম্রাট আকবরের রাজপুত নীতি

রাজপুতদের প্রতি উদার নীতির কারণে এভাবেই আকবর তার গ্রেট মুঘল হিন্দুস্তান গঠনে রাজপুতদের সহশক্তি হিসেবে পাশে পেয়ে গেলেন, যাদের বিশ্বাস করে একসাথে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়।

article

End of Articles

No More Articles to Load