এটি আরবের কোনো মরুভূমির গল্প নয়, বরং ভারতের থর মরুভূমির ঐতিহাসিক এক সাম্রাজ্যের কথা। যেখানে এখনো বর্তমান রয়েছে মধ্যযুগীয় এক সাম্রাজ্যের রাজপ্রাসাদ ও ঐতিহাসিক দলীল-দস্তাবেজ। ইতিহাসের নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে উক্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটলেও এখনও সেখানে বসবাস করছে তাদের বংশধররা। হ্যাঁ, বলা হচ্ছিলো রাজস্থানের জয়সালমিরে অবস্থিত সোনার কেল্লার কথা।
মধ্যযুগের ঐতিহাসিক এই দুর্গটি ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য। ১১৫৬ সালে রাজপুত রাও জয়সাল এ দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন। বেলেপাথরে নির্মিত এই দুর্গটি ত্রিকূট পাহাড়ের বুকে নির্মাণ করা হয়েছিল সংলগ্ন জয়সালমির সাম্রাজ্য শাসন করার জন্য। দুর্গটি ২০ তলা পর্যন্ত উচ্চতাবিশিষ্ট; কোথাও কোথাও আরও বেশি উচ্চতা পরিলক্ষিত হয়।
রাজপুত রাও জয়সাল নিজেই এই সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা ছিলেন। তারপর প্রায় ৬০০ বছর তার বংশধররা জয়সালমির ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা শাসন করেছেন। ১২৯৩ সালে সুলতান আলাউদ্দীন খলজীর হাতে সোনার কেল্লার পতন ঘটলেও ৯ বছরের মাথায় তা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিলেন রাজপুতগণ।
যদিও মোঘল সম্রাট হুমায়ূন এক অভিযানের মাধ্যমে এই দুর্গকে দীর্ঘকাল মোঘল শাসনের অধীনস্থ করে রেখেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে তৎকালীন রাজপুত বংশধর মহারাওয়াল মুলরাজ এক চুক্তির মাধ্যমে ইংরেজদের কাছ থেকে তা পুনরায় ফিরে পেয়েছিলেন। তবে সেই রাজত্ব যে আগের মতো সার্বভৌম ছিল না তা বলাই বাহুল্য।
ঐতিহাসিক এই দুর্গের দৈর্ঘ্য ১,৫০০ ফুট এবং প্রস্থ ৭৫০ ফুট। এর প্রতিটি দেয়ালে রয়েছে তিন স্তর বিশিষ্ট মজবুত গাঁথুনি। ভেতরে প্রবেশের জন্য রয়েছে চারটি সুবৃহৎ দরজা। সমগ্র দুর্গের সৌন্দর্যবর্ধন করে দাঁড়িয়ে আছে ৯৯টি সুদৃশ্য গম্বুজ।
রাজস্থানে এরকম আরও ৪টি ঐতিহাসিক দুর্গ রয়েছে, কিন্তু স্থাপত্যশৈলী ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে এটি মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে। হলুদ বেলে পাথরের উপর আকর্ষণীয় মধুরাঙা কারুকার্যের কারণে এই দুর্গটি ‘স্বর্ণের শহর’, ‘সোনার কেল্লা’, ‘স্বর্ণের দুর্গ’ ইত্যাদি নামে খ্যাতি পেয়েছে। যদিও বই-পুস্তকে এটি ‘জয়সালমির দুর্গ’ নামেই অধিক সমাদৃত।
খেয়াল করুন, আমরা যখন কোনো ঐতিহাসিক স্থাপত্যের সামনে যাই, তখন এক বিশেষ অনুভূতি আমাদেরকে আবিষ্ট করে তোলে; যেন এক বুড়ো ইতিহাসের সকল ভাড় নিজ কাঁধে নিয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। রাতের বেলা সে একাকী নির্জনে বসবাস করে। প্রভাতে তার কাছে পর্যটকরা গল্প শুনতে আসে। আমরাও যাই তার কাছে গল্প শুনতে। সে যে গল্প আমাদের বলে, তা আবার আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরি।
কিন্তু এদিক থেকে জয়সালমির দুর্গ এক ভিন্ন চরিত্রের অধিকারী। সে কখনও একাকী নির্জনে রাত অতিবাহিত করে না। সারা বিশ্বের যে গুটিকয়েক বিশ্ব ঐতিহ্যে এখনও মানুষ বসবাস করে, তার মধ্যে জয়সালমির দুর্গ অন্যতম। রাজপুতদের বংশধররাই পরম্পরায় সেখানে বসবাস করছে। এজন্য তাদের কোনো অর্থ কিংবা ভাড়া প্রদান করতে হয় না। বর্তমানে সেখানে দুই থেকে চার হাজার মানুষ বসবাস করছে। ২০১৩ সালে ইউনেস্কো একে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করলেও এখনো সেখানে তাদের বসবাস অব্যহত আছে।
এখনও সোনার কেল্লার অভ্যন্তরে ১২ শতকের অনেক প্রথা ও সংস্কৃতি চালু আছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে দুর্গটিতে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করতো; রাজপুতদের পাশাপাশি সেখানে রাজার উপদেষ্টাগণ ও রাজ্যের শিক্ষকগণ বসবাস করার সুযোগ পেতেন। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এই নিয়ম পুরোপুরি বলবৎ ছিলো। এখন তাদের উত্তরাধিকাররাই সেখানে বসবাস করছেন।
ইতিমধ্যেই দুর্গটি ৭টি শতাব্দী এবং ২৩টি প্রজন্মের বংশধরদের অতিক্রম করেছে। সেখানের অন্যতম বাসিন্দা ভিমাল কুমার গোপা। তার বর্তমান বয়স ৪৪ বছর। তার ভাষ্যমতে, শুরু থেকে অর্থাৎ ৭০০ বছরের অধিক সময় ধরে তার বংশধররা এই দুর্গে বসবাস করে আসছেন। শুধুমাত্র তার পূর্বপুরুষদের বংশধররাই বর্তমানে দুর্গের অভ্যন্তরে ৪২টি আলাদা পরিবারে বর্ধিত হয়েছে। তিনি বলেন,
দুর্গের অভ্যন্তরে পরিচয়ের জন্য আমাদের বংশের সবার নামের সাথে একটি অভিন্ন বংশীয় পদবী যুক্ত আছে। সাধারণত প্রত্যেক বংশের জন্যই এমন আলাদা আলাদা পদবী রয়েছে।
গোপা জানান, বংশীয় পদবীর সাথে হিন্দু ধর্মের বর্ণপ্রথার একটি সম্পর্ক রয়েছে। পদবী শুনলেই বোঝা যায়, কে কোন বর্ণ থেকে এসেছে। পুরোহিত ও ভাসরা ব্রাহ্মণ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত; গোপারাও ব্রাহ্মণ। অন্যদিকে যে রাজপুতদের বীরত্বগাঁথা ও শাসনকে কেন্দ্র করে এই দুর্গ গড়ে উঠেছে, তাদের শ্রেণীবিন্যাস নিয়ে কিছুটা বিতর্ক রয়েছে। তারা ভাট্টি, রাঠোর বা চৌহান নামে পরিচিত। তারা যোদ্ধা ছিলেন বিধায় সাধারণত তাদেরকে ক্ষত্রিয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত মনে করা হয়। কিন্তু অনেকে আবার তাদের ব্রাহ্মণ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত মনে করে থাকেন।
জ্যাতিন্দ্র পুরোহিত, বর্তমানে তিনি দুর্গের অভ্যন্তরে একটি শো-রুমে হস্তশিল্প সামগ্রীর বিক্রেতা হিসেবে কাজ করছেন, তিনি বলেন,
এখানে আমার বংশধররা প্রায় ৪০০ বছর যাবত বসবাস করে আসছে। এ সময়ের মধ্যে ঠিক কতগুলো প্রজন্ম আমাদের বংশ অতিক্রম করেছে তা বলতে পারবো না, তবে এই দুর্গকেই আমরা আমাদের একমাত্র ঘর হিসেবে জেনেছি।
গোপা ও পুরোহিত উভয়ের বংশমূল ও সংস্কৃতিতে বেশ মিল রয়েছে; যদিও মৌলিকভাবে তাদের বংশ আলাদা। তারা এখানে বহু বছর যাবত বসবাস করে আসছেন। রাজপ্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর তাদের মধ্যে যে সামান্য পার্থক্যটুকু ছিল তা-ও অদৃশ্য হয়ে গেছে। তারা সকলে এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এখানেই কাজ করছেন। অনেকে বাণিজ্যিক কারণে তাদের বাসস্থানের একাংশকে দোকান, ক্যাফে ও আবাসিক হোটেলে পরিণত করেছেন। তবে তাদের বাণিজ্যের এই ইতিহাস নতুন কিছু নয়।
ঐতিহাসিক সিল্ক রুট চালু থাকা অবস্থায় এই জয়সালমির সিল্ক রুটের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজে পরিণত হয়েছিল। সিল্ক রুট বর্তমান ইউরোপ, চীন, ভারত, আফগানিস্তান, তুরস্ক ও মিশরকে সংযুক্ত করেছিল। এই পথে সিল্ক পরিবহনের পাশাপাশি অনেক মূল্যবান পাথর, পশু-পাখি, চা, আফিম ইত্যাদি পণ্যও পরিবহণ করা হতো। এসব পণ্য বহনকারী বাণিজ্য কাফেলার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার সময় বিভিন্ন স্থানে বিশ্রাম নেয়ার প্রয়োজন হতো।
জয়সালমির তেমনই একটি বিশ্রামকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। ফলে এখানে খাদ্য, পানীয় ও রাত্রিযাপনের জায়গা ভাড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। স্থানীয় শাসকরা বাণিজ্য কাফেলার সম্পদ ও সদস্যদের নিরাপত্তা প্রদানের দায়িত্ব গ্রহণ করতেন; আর শহরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা সওদাগরদের কাছে বিভিন্ন কক্ষ তৈরি করে তা ভাড়া দিতেন। রাজস্থানের ভাষায় এসব কক্ষকে বলা হয় হাভেলি। এছাড়া তাদের আনুষঙ্গিক সেবার জন্য দুর্গের অভ্যন্তরে ও বাহিরাংশে অনেকগুলো মন্দির ও পান্থশালা নির্মাণ করা হয়েছিল।
দেশভাগের পর এই ঐতিহাসিক দুর্গটি কিছুদিনের জন্য আবেদন হারায়। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত চলমান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এই দুর্গের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থও হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে দুর্গটি আবার পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। ২০১৩ সালে ইউনেস্কো একে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ঘোষণা করলে মানুষের আকর্ষণ আরও বহুগুণে বেড়ে যায়।
বর্তমানে দুর্গটি রাজপ্রাসাদের জৌলুস কিছুটা হারিয়ে হলেও একটি আদর্শ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। হাভেলিগুলো আরও আকর্ষণীয় সাজে সজ্জিত হয়ে উঠেছে। ছোট ছোট চায়ের দোকান, ক্যাফে ও আবাসিক হোটেল পর্যটকদের আপ্যায়ন করার জন্য সর্বদা অপেক্ষা করছে। মন্দিরগুলো দর্শনার্থীদের আধ্যাত্মিক পরিবেশে বরণ করে নেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। বুটিক হাউজগুলো ক্রমাগত দর্শনার্থীদের আহ্বান করে যাচ্ছে। দোকানিরা ডেকে ডেকে বলছেন,
দেখলেই নিতে হবে না ম্যাডাম/স্যার
দেখলেই টাকা দিতে হবে না।
উটের চামড়ার তৈরি হাতব্যাগগুলো পর্যটকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করছে। এমব্রয়ডারি কাজের মাধ্যমে তৈরি ‘ম্যাজিক ভায়াগ্রা বেডশিট’ অনেকের মাঝে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করছে। বহু রঙের মিশ্রণে তৈরি রাজস্থানী পাগড়ি ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করছে। এছাড়া দুর্গের অভ্যন্তরে রাজস্থানী বাজনা, গান ও ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পর্যটকদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছে।
দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য জয়সালমির দুর্গের বাসিন্দাদের এক দুর্লভ ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের সম্পর্কে আবদ্ধ করে রেখেছে। গোপা বলেন,
সমগ্র দুর্গ মিলে আমরা একটি পরিবার। দুর্গের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই পরিবারটির বিস্তৃতি। দুর্গের মূল দরজাকে আমরা ‘আখেরি প্রল’ বলে অবিহিত করে থাকি, যা আমাদেরকে শহরবাসীদের থেকে আলাদা করে রেখেছে। আমাদের মধ্যে যখন কারো বিয়ে হয় কিংবা কেউ মারা যায়, তখন আমরা সকলে মিলেই সেই সুখ বা দুঃখ ভাগাভাগি করে নেই।
গোপা যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুরোহিত। তিনি গোপার সাথে যোগ করে বলেন,
কয়েক বছর আগে আমার মা একবার হার্ট অ্যাটাক করেন, তখন আমি কিংবা আমার ভাই কেউই তার কাছে ছিলাম না। কিন্তু আমার প্রতিবেশীরা মাকে আমাদের অনুপস্থিতি বুঝতেই দেননি। তারা মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা করান। এমন অনন্য সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এখনও এখানে বিরাজমান আছে। ভবিষ্যতেও এটি বহাল থাকবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।
বর্তমানে প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী সোনার কেল্লায় ভিড় করেন। পর্যটকদের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত মন্দিরগুলোতে উপাসনার জন্য আসা হিন্দু ও জৈন ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু জায়গার তুলনায় অত্যধিক মানুষের বসবাস ও ক্রমবর্ধমান পর্যটকদের আগমন গবেষকদের খানিকটা ভাবিয়ে তুলছে। কেননা, মানুষের আগমন বৃদ্ধির সাথে সাথে তাদের জন্য সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, যেমন- শৌচাগার, পানির সরবরাহ, আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বাড়াতে হচ্ছে, যা দুর্গটির আকর্ষণ ও ঐতিহ্যকে নষ্ট করে দিতে পারে।
এছাড়া অতিরিক্ত মানুষের চাপ ও কিছু অংশের ক্রমক্ষয়িষ্ণু অবস্থা দিন দিন দুর্গটিকে ঝুকির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুর্গের অনেক জায়গা থেকে দেয়াল চুইয়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি প্রবেশ করছে। ‘রানি কা মহল’ বা দুর্গের যে অংশে রানী বসবাস করতেন সেই অংশটি বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ভূমিকম্পের ফলে দুর্গটিতে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
কিন্তু ঐতিহাসিক কারণে সেখানকার বাসিন্দাদের স্থানান্তর করা কিংবা দুর্গটি পুরোপুরি সংরক্ষিত সম্পদে পরিণত করা বেশ দুরূহ ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পরিণত হয়েছে। ফলে সেখানে মানুষের আনন্দ-উচ্ছ্বাস বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিনিয়ত বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও। আপাতত কেউ কোনো কার্যকরী সমাধানের কথা বলতে পারছেন না। যাদেরকে কেন্দ্র করে এই ঐতিহাসিক দুর্গটি গড়ে উঠেছিল কিংবা যারা বংশ পরম্পরায় দীর্ঘকাল এই দুর্গে বসবাস করে আসছেন, তাদের কি সহসা পিতৃভূমি ছেড়ে যেতে বলা সম্ভব? ভবিষ্যৎ ইতিহাসের কাছে সোনার কেল্লার ভাগ্য যেন এমনই প্রশ্নবোধক!