অরোরা: স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে ভেসে আসা সুরের আহ্বান

২০১৮ সাল। নামকরা ম্যাগাজিন ভ্যানিটি ফেয়ার সাক্ষাৎকার নিচ্ছে চারিদিকে সারা ফেলে দেয়া টিনেজ গায়িকা বিলি এইলিশের। এ ধরনের সব সাক্ষাৎকারেই প্রশ্নকর্তাদের একটা কমন জিজ্ঞাসা থাকে, সঙ্গীতের ব্যাপারে কাকে শিল্পী অনুপ্রেরণা মনে করেন বা কাকে দেখে সঙ্গীতকে জীবনের প্রধান কাজ বলে বেছে নেয়ার ইচ্ছে সৃষ্টি হয়েছে। এইলিশ এর উত্তরে সঙ্গীতের প্রতি তার পরিবারের অনুরাগ এবং এর মধ্যে বেড়ে ওঠাকে গুরুত্ব দেন। তবে আলাদা করে সঙ্গীত নিয়েই যে তিনি ক্যারিয়ার গড়বেন সেই গল্প করতে গিয়ে তিনি বারো বছর বয়সে দেখা ইউটিউবের এক ভিডিওর কথা টেনে আনেন। রানঅ্যাওয়ে (Runaway) নামে সেই গানের শিল্পী তার কাছে ছিলেন সম্পূর্ণ অপরিচিত। কিন্তু যখন গানটির সূচনা বা ইন্ট্রো পরিবেশিত হচ্ছিল, তখন তা এইলিশের মাথায় গেঁথে যায়। এরপরেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন গানকেই তিনি জীবনের ধ্যানজ্ঞান করবেন।

বিলি এইলিশের সাক্ষাৎকার; image source: youtube.com

ঠিক তিন বছর আগের কথা। ডিসেম্বর ১১, ২০১৫ সাল। শুক্রবার।

নরওয়ের রাজধানী শহর অসলোর উপকণ্ঠে দেশের বৃহত্তম ইনডোর হল টেলেনর এরিনাতে সমবেত হয়েছেন নানা দেশের নামী ব্যক্তিরা। প্রতি বছর নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ীর সম্মানে নরওয়েতে অনুষ্ঠিত হয় কনসার্ট। এই বছরের কনসার্ট হচ্ছে এখানেই। নামকরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিল্পিদের সাথে পারফর্মার তালিকায় নাম আছে উনিশ বছরের এক কিশোরীর। খালি পায়ে মঞ্চে তিনটি গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের বিমুগ্ধ করলেন নরওয়েজিয়ান সেই কিশোরী, অরোরা অ্যাক্সনেস (Aurora Aksnes)। এর অন্তর্ভুক্ত ছিল তার অন্যতম প্রশংসিত গান রানঅ্যাওয়ে

নোবেল শান্তি পুরষ্কার কনসার্টে অরোরা; image source: youtube.com

অরোরা

নরওয়ের শিল্পী অরোরা অ্যাক্সনেসের  জন্ম ১৯৯৬ সালের ১৫ জুন জ্যান অয়েস্টিন অ্যাক্সনেস আর মেরি ব্রিট অ্যাক্সনেসের সংসারে। স্ট্যাভেঞ্জার (Stavanger) শহরে জন্ম হলেও অরোরার ছেলেবেলার বেশিরভাগ সময় কেটেছে বার্গেন (Bergen) শহরের উপকণ্ঠে অস (Os) এলাকাতে। নরওয়ের পশ্চিম উপকূলে সাগরপাড়ে ছিল তাদের বাড়ি। পার্বত্য আর গাছ গাছালিতে ছাওয়া এই অঞ্চলে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু কেনাকাটা করতে সাইকেল চালিয়ে বহুদূরে যেতে হত। এখানেই প্রকৃতির সান্নিধ্যে জ্যান আর মেরি সন্তানদের বড় করতে থাকেন।    

অরোরা এবং তার দুই বোন; image source: tumblr.com

পারিবারিকভাবেই অরোরা গানের মধ্যে বেড়ে উঠছিলেন। অ্যাক্সনেস পরিবারে কেউ শিল্পী না হলেও সকলেই গান শুনতে ভালবাসতেন। অরোরা নিজেই বলেছেন, শৈশবে বব ডিলান আর লিওনার্দ কোয়েনের গান তার মনকে প্রশান্ত করত। নিজে নিজেই গুনগুন করে গাইতেন। তার প্রতিবেশির বাগানে রাখা ছিল এক পাথর। দুই-তিন বছর বয়সে অরোরা যখন হাঁটতে শিখেছেন তখন তিনি গুটি গুটি পা ফেলে চলে যেতেন সেখানে, পাথরের উপর বসে কল্পনা করতেন, তিনি আছেন জাহাজের ডেকে। তখন টাইটানিক বক্স অফিসে ফাটিয়ে ব্যবসা করছে, টেলিভিশনের কল্যাণে অরোরার কানেও পৌঁছেছিল ছবিতে সেলিন ডিওনের বিখ্যাত গান মাই হার্ট উইল গো অন। অরোরা কল্পনার জাহাজে বসে সুর তুলতেন সেই গানের।

অরোরার বয়স যখন ছয়, তখন বাসার ভেতরে নতুন করে অন্দরসজ্জার কাজ শুরু হলে ভিক্টোরিয়া আর মিরান্ডা ঘরে থাকা একটা পিয়ানো পাঠিয়ে দেন চিলেকোঠায়। ছোট্ট অরোরা কীভাবে যেন পা টিপে টিপে চিলেকোঠায় উঠে গেলেন। পিয়ানোর চাবির টুংটাং শব্দ তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। শুরু হলো তার পিয়ানো শেখা। মাথার ভেতরে অবিরাম বাজতে থাকা অনেক গল্পকেও এই সময় সুরের ছন্দে লিখে ফেলতে থাকেন কাগজে।

নয় বছর বয়সে অরোরা গান লেখায় বেশি মনোযোগী হন। তিনি পরে ব্যাখ্যা করেছেন, আরো আগেই অনেক রকম কথা তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, কিন্তু একে সুরে রুপান্তরিত করার আগে তিনি ইংরেজি ভালভাবে শেখার অপেক্ষা করছিলেন। কারণ খুব সহজ। অন্যতম আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজির মাধ্যমেই অরোরা তার কণ্ঠ দিয়ে সবথেকে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবেন। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার সঙ্গীতের জন্য সবথেকে বড় আর প্রভাবশালী, ফলে নিজেকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে গেলে সেখানকার বাজারে প্রবেশ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।

অরোরার নয়-বার বছর বয়সে লেখা বেশ কয়েকটি গান পরবর্তীকালে অ্যালবামে প্রকাশিত হয়। এর মাঝে উল্লেখযোগ্য ছিল রানিং উইথ দ্য উল্ভস, আই ওয়েন্ট টু ফার আর রানঅ্যাওয়ে।  এর মধ্যে রানিং উইথ দ্য উল্ভস পরে উলফওয়াকার অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত হওয়ায় বহুল প্রচার পায়।

অরোরার শিল্পিসত্তা তার পরিবারও সযত্নে লালন করছিল। তবে একটা ব্যাপারে তাদের কিছুটা উদ্বেগ ছিল। অরোরা কিছুটা এক্সেন্ট্রিক (Eccentric) স্বভাবের ছিলেন। এর মানে তার নিজস্ব বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ব্যবহার ছিল যা হয়তো সাধারণের চোখে পাগলাটে মনে হবে। সমবয়সীদের থেকে তার পোশাকআশাকও ছিল কিছুটা ভিন্ন। সবাই যেখানে খাটো স্কার্টের প্রতি ঝুঁকেছিল সেখানে অরোরা পড়তেন প্রায় পা পর্যন্ত লম্বা স্কার্ট। এর সাথে তার সহজাত আচার ব্যবহারের কারণে হয়তো স্কুলে তাকে উত্যক্ত করা হতে পারে ভেবে বোনের ভয় পাচ্ছিলেন। তবে সবার আশঙ্কাকে মিথ্যে প্রমাণ করে অরোরা উল্টো স্কুলে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন তার ভিন্নধর্মী স্বভাবের কারণে।

সঙ্গীতশিল্পীর আবির্ভাব

গান নিয়ে অনেক সময় কাটালেও একেই যে জীবনের লক্ষ্য করবেন সেরকম কোনো চিন্তা প্রাথমিকভাবে অরোরা করেননি। অনেক কিশোর কিশোরীর মতো তার মনে ছিল বিজ্ঞানী বা নভোচারী হবার আকাঙ্ক্ষা। গান গেয়ে জীবন চালানো যায় এই বিষয়ে তার কোনো ধারণাই ছিল না। তবে স্কুলে সবাই তার গান গাওয়ার কথা জানত। স্কুলের ছোটখাট অনুষ্ঠানেও ডাক পড়ত তার। অরোরা মূলত অন্যান্য জনপ্রিয় গানের কভার করতেন।

দশম গ্রেডের এরকম এক সমাবেশে অরোরা নিজের লেখা একটি গান পরিবেশন করেন। বেশি লম্বা ছিল বলে ছাত্রছাত্রীরা খুব বেশি পছন্দ করল না তার পারফর্মেন্স। তবে সবার হাতে হাতে মোবাইল থাকায় অনুষ্ঠানের সাথে সাথে অরোরার গানও রেকর্ড হয়ে যায়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে গিয়ে সেই ভিডিও গিয়ে পড়ল মিগল্যান্ড নামে শিল্পীদের এক এজেন্টের কাছে। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল মেড ম্যানেজমেন্ট (Made Management)।

অরোরার মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পেলেন মিগল্যান্ড। কিন্তু তার প্রস্তাব অরোরা হেসেই উড়িয়ে দিলেন। গান হবে পেশা? কীভাবে সম্ভব? কিন্তু অরোরার মা তাকে পরামর্শ দিলেন প্রস্তাবটি ভেবে দেখতে। অরোরা যা বলতে চান তা সারা বিশ্বের সবার শোনার জন্যই, আর গানের মাধ্যমেই তিনি তা পৌঁছে দিতে পারবেন চারিদিকে। মায়ের কথায় অরোরা মত পরিবর্তন হলো। নভোচারী অথবা বিজ্ঞানী হবার স্বপ্ন পাশে সরিয়ে মেতে উঠলেন সঙ্গীতের জগতে।

পেশাদার শিল্পী হিসেবে অরোরার পথচলা আরম্ভ ষোল বছর বয়সে, যখন তার প্রথম গান হিসেবে প্রকাশিত হয় পাপেট। এরপর মিগল্যান্ডের তত্ত্বাবধানে অরোরা চুক্তিবদ্ধ হন দুটি রেকর্ড কোম্পানির সাথে, গ্লাসনোট (Glassnote Records) আর ডেকা (Decca Records)। ২০১৩ সালের মে মাসে বের হলো দ্বিতীয় গান অ্যাওয়েকেনিং। ২০১৪ সালের নভেম্বরে এলো আন্ডার স্টারস, এর তিন মাসের মাথায় অরোরা গাইলেন তার সম্ভবত সবচেয়ে পরিচিত এবং শ্রুত গান, রানঅ্যাওয়ে, যা তিনি লিখেছিলেন বার বছর বয়সে।  

ইংল্যান্ডে মিউজিক স্ট্রিমিং সাইট স্পটিফাইতে মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যেই রানঅ্যাওয়ে এক মিলিয়ন স্ট্রিম ছাড়িয়ে যায়। ইউটিউবেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে এর ভিউ। সমালোচকেরাও অরোরার এই গানের প্রশংসা করেন। নরওয়ের জাতীয় সংবাদমাধ্যমেও অরোরা লাইমলাইটে চলে আসেন। তবে আন্তর্জাতিকভাবে অরোরা সবচেয়ে বেশি পরিচিত পান ২০১৫ সালে ব্রিটিশ রিটেইল চেইন কোম্পানি জন লুইসের একটি বিজ্ঞাপনে কণ্ঠ দিয়ে। ক্রিসমাস উপলক্ষে বানানো এই বিজ্ঞাপনে অরোরার গাওয়া জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়েসিসের হাফ দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ে গানটি মানুষের মুখে মুখে ফিরতে থাকে। একই বছর নোবেল শান্তি পুরষ্কার উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টে ডাক পান অরোরা। সেখান হাফ দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ে ছাড়াও নিজের লেখা মার্ডার সং আর রানঅ্যাওয়ে অভ্যাগতদের সামনে পরিবেশন করেন তিনি।

জন লুইসের বিজ্ঞাপনের কাজে অরোরা; image source: tumblr.com

সঙ্গীতের ঘরানা চিন্তা করলে অরোরা পপ গানের শিল্পী। তার গানের ধরন ইলেক্ট্রোপপ, যেখানে বাদ্যযন্ত্রের সাথে ইলেক্ট্রনিক সাউন্ডের মিশেলে সুর সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ একে সিন্থপপের একটি ধারাও মনে করেন, যেখানে সিন্থেসাইজার নামে একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র বাদ্যযন্ত্রের পাশাপাশি সুরের কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে অরোরার লাইভ পারফর্মেন্স যারা দেখেছেন তার মোটামুটি একবাক্যে স্বীকার করেন যে বেশিরভাগ সময়েই রেকর্ডের থেকে তার লাইভ গান অনেক আকর্ষণীয়। তার গানের স্বতন্ত্র একটি আবেদন আছে। অরোরার কণ্ঠের পাশাপাশি তার শারীরিক অঙ্গভঙ্গিও তার গায়কিকে পূর্ণতা দান করে। বিশেষ করে অরোরার যেকোনো গানে তার হাত এমনভাবে ব্যবহৃত হয় যে অনেকে মজা করে বলে থাকেন অরোরার হাত বোধহয় সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একজন পারফর্মার।

অরোরা তার গান ইংরেজিতেই করে থাকেন। ২০১৬ সালে তখন পর্যন্ত গাওয়া গানগুলোকে কিছুটা পরিমার্জন করে ভার্টিগো বার্লিন রেকর্ডস থেকে মুক্তি পায় অরোরার প্রথম অ্যালবাম অল মাই ডেমনস গ্রিটিং মি অ্যাজ অ্যা ফ্রেন্ড (All My Demons Greeting Me as a Friend)। আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তিপ্রাপ্ত এই অ্যালবাম নিয়ে অরোরা বেশ প্রচারণাও করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা টিভি ব্যক্তিত্ব জিমি ফ্যালন তার অনুষ্ঠানে অরোরাকে আমন্ত্রণ জানান এই অ্যালবাম প্রচারণার অংশ হিসেবে। স্বদেশ নরওয়েতে সঙ্গীতের টপ চার্টে জায়গা করে নেয় সেই অ্যালবাম, ইংল্যান্ডে পৌঁছে চার্টের ২৮ নম্বরে। যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশেও চার্টের উপরের দিকেই এর স্থান হয়। ইউরোপিয়ান একজন শিল্পীর জন্য এটা ছিল বেশ বড় রকমের সাফল্য।   

অরোরার প্রথম অ্যালবাম; image source: coveralia.com

প্রথম অ্যালবামের পর অরোরা নরওয়ে, ইংল্যান্ড, ব্রাজিল, জাপান, আমেরিকা, ইউরোপসহ আরো নানা জায়গায় অনুষ্ঠান করতে থাকেন। তার দুই বোন সবসময় তার সঙ্গী হয়। ভিক্টোরিয়া অরোরার ফ্যাশন ডিজাইনার আর মিরান্ডা মেকআপ আর্টিস্ট। তার ভক্তের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এরা নিজেদের ডাকে সৈনিক এবং পাগলাটে বলে (Warriors and Weirdos)। তবে পৃথিবী চষে বেড়ানোর পাশাপাশি অরোরা নতুন গানের কাজও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০১৮ সালে গ্লাসনোট প্রকাশ করে অরোরার দ্বিতীয় অ্যালবাম ইনফেকশনস অফ অ্যা ডিফারেন্ট কাইন্ড, স্টেপ ১ , এর এক বছর পর ডেকা রেকর্ডস নিয়ে আসে অ্যা ডিফারেন্ট কাইন্ড অফ হিউম্যান, স্টেপ-২।  

স্টেজ শো’তে অরোরা; image source: tumblr.com

আড়ালে থেকে যাওয়া প্রতিভা

আমাদের কাছে পাশ্চাত্যের সঙ্গীত বলতে মার্কিন শিল্পিরাই মূলত পরিচিত। এর কারণও খুব স্বাভাবিক, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গীত বাজারে নাম করতে না পারলে বিশ্বজোড়া পরিচিতি পাওয়া খুব কঠিন। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য পর্যায়ের একজন খ্যাতিমান শিল্পীও অনেক সময় অন্য দেশের জাতীয় পর্যায়ের শিল্পীর থেকে বেশি পরিচিতি পেয়ে থাকেন।

অথচ যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ইউরোপসহ অন্যান্য জায়গাতে এমন অনেকেই আছেন যাদের গায়কী এবং কাজ অনেক নামকরা মার্কিন শিল্পীর থেকে কোনো অংশে কম নয়, বরং কখনো কখনো কিছুটা বেশিই। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে কাটতি নেই বলে তারা ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ নন। কেবল মার্কিন শিল্পী নন বলেই অরোরা পরিচিতির দিক থেকে পিছিয়ে আছেন। তবে তিনি বয়সে নবীন হলেও বিশ্বজনীন এক ভক্তকুল তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন। সম্প্রতি ডিজনির রাডারেও অরোরা চলে এসেছেন। ২০১৯ সালের ফ্রোজেন টু’তে এলসা’র মাথার ভেতর ফিসফিস করে কথা বলা কণ্ঠ ছিল অরোরার। ইডিনা মেঞ্জেলের সাথে ইন্টু দ্য আননোন গানে তারও কণ্ঠ ব্যবহার হয়েছিল। এর সুবাদে ২০২০ সালে অস্কারের মঞ্চেও অরোরার পা পড়ে। সঙ্গীত বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন এমন অনেকেই নিশ্চিত যে অরোরার সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।

Related Articles

Exit mobile version