ইংরেজিতে বলা হয় ‘সান টেম্পল’ বা ‘সোলার টেম্পল’। বাংলায় আমাদের কাছে সূর্য মন্দির হিসেবে পরিচিত। সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই মানুষ সূর্যের উপাসক ছিল। তাই সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে তার জন্য মানুষ তৈরি করেছে শত শত উপাসনালয়। সূর্য দেবতার উপাসনার নিমিত্তে তৈরি এসব মন্দিরকেই বলা হয় সূর্য মন্দির। সূর্য মন্দিরের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায় খ্রিস্টের জন্মের কয়েক হাজার বছর পূর্ব থেকেই। ভারত, চীন, মিশর আর জাপানের মতো প্রাচীন ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ দেশগুলোতে এখনো দেখা মেলে প্রাচীন কিংবা মধ্যযুগে নির্মিত সূর্য মন্দিরের। তবে, সারা বিশ্বে না হোক, অন্তত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে পাওয়া সূর্য মন্দিরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন, সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী আর দর্শনার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় মন্দিরটি অবস্থিত ভারতের উড়িষ্যার কোনার্ক শহরে। ‘কোনার্ক সুরিয়া মন্দির’ নামে পরিচিত এ মন্দিরের ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা আমরা জানবো এ আলোচনায়।
গ্রিক উপকথার সূর্যদেবতা হিলিয়াসের মতো ভারতীয় উপমহাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজনীয় সুরিয়া (এ লেখায় সূর্য দেবতাকে সুরিয়া নামেই সম্বোধন করা হয়েছে) দেবতারও রয়েছে একটি দর্শনীয় রথ, যাতে চড়ে তিনি আকাশে ঘুরে বেড়ান। তাই দেবতার সম্মানে কোনার্কের সম্পূর্ণ সূর্য মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে একটি অতিকায় রথের মতো করে। সাতটি তেজী ঘোড়া টগবগিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ১২ জোড়া চাকার উপর অবস্থিত একটি অতিকায় রথকে, যেটি আসলে মূল মন্দির। আর এর পুরোটাই পাথরে খোদাই করা ভারী কারুকাজে পরিপূর্ণ।
মন্দিরের মূল প্রবেশপথেই দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুজন অতিকায় প্রহরী। না, জীবন্ত কোনো প্রহরী নয়। যুদ্ধের হাতিকে পিষে ফেলতে থাকা দুটি বড় বড় সিংহ মূর্তি, যারা প্রতীকী অর্থে পাপ আর অসত্যকে বিনাশ করার প্রতীক। তবে এ অর্থটি আধুনিককালের। এর মূল অর্থ হচ্ছে বুদ্ধধর্মের (বুদ্ধধর্মের প্রতীক হাতি) চেয়ে হিন্দুধর্মের (সিংহ হিন্দুধর্মের প্রতীক) শ্রেষ্ঠত্ব নির্দেশ করা। তবে উপর থেকে দেখলে, সম্পূর্ণ মন্দিরটি একত্রে সূর্যদেবতার শ্রেষ্ঠত্ব আর মহিমাই প্রকাশ করে।
সিংহদ্বয়কে পেরিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে, মূল মন্দিরে প্রবেশের পূর্বে দেখা মিলবে একটি ‘নত মন্দিরের’। কোনার্কের এই সূর্য মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিককালে এ মন্দিরে নর্তকিরা নৃত্য পরিবেশন করতো দেবতার সন্তুষ্টির জন্য। এরপর ভেতরে প্রবেশ করলে পুরো মন্দিরের প্রাচীর দেয়ালগুলোতে চোখে পড়বে জ্যামিতিক প্যাটার্নে অঙ্কিত ফুল ও অন্যান্য নকশা। তবে দেয়ালের যে কারুকার্য অধিক নজর কাড়বে, তা হলো কামার্ত নরনারী ও দেবতাদের যৌনকর্ম আর প্রণয়ের ছোট ছোট চিত্রকর্ম। প্রতিটি খোদাইয়েই প্রাচীন কামাসূত্রের আদ্যোপান্তই যেন চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। এ ব্যাপারে একবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন,
“এখানে পাথরের ভাষা মানুষের ভাষাকে হার মানিয়েছে!”
৭টি ঘোড়া টেনে নিয়ে যাচ্ছে ১২ জোড়া সুসজ্জিত চাকার উপর অবস্থিত সুরিয়া দেবতার রথ, এরকম চমৎকার নকশায় এ মন্দির তৈরি হয়েছে ১৩ শতকের দিকে। ইতিহাসবিদগণ মনে করেন, পূর্ব তীরের গঙ্গা রাজবংশের রাজা প্রথম নরসিংহ দেবই এ মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। আনুমানিক ১২৫০ খ্রিস্টাব্দে শেষ হয়েছিল এর নির্মাণকাজ। অভিজাত মননে নির্মিত এ মন্দিরের ত্রুটিহীন পরিমাপ, নকশা আর চোখ ধাঁধানো সব পাথুরে খোদাই কাজ যুগে যুগে মধ্যযুগীয় স্থাপত্যকলা ও নির্মাণশৈলীর জয়গান গেয়ে চলেছে। পুরো মন্দিরজুড়ে হাজারো ভাস্কর্যে ফুটে উঠেছে যেন পুরো মধ্যযুগীয় ভারতের চিত্রই। নরনারীর প্রেম, ঝগড়া ফ্যাসাদ, বিরহ, বিচ্ছেদ কলহ, কিংবা রাজদরবারের চিত্র, রাজকবির গান, নর্তকীদের রাজসভায় নাচ, আর যুদ্ধ ময়দানের হাতি, ঘোড়া, তীর, বর্শা, বর্ম পরিহিত সৈন্য, স্বর্গে মদ্যপানরত দেব-দেবী আর আকাশে উজ্জ্বল চাঁদ সূর্য, সবই আছে সেসব ভাস্কর্য আর খোদাই করা চিত্রকর্মে।
কামদ ভাস্কর্যের জন্য কোনার্কের সূর্য মন্দিরের জুড়ি মেলা ভার। মানব জীবনের আদিম প্রবৃত্তিকে পাথরের মাঝে এমন সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তোলায় এ মন্দিরটি শুধু উড়িষ্যার নয়, পুরো ভারতেরই সবচেয়ে সুন্দর মন্দিরগুলোর একটি। বাস্তবতা আর আধ্যাত্মিকতা এর প্রতিটি দেয়ালে মিলেমিশে দুইয়ের মধ্যে এক কাব্যিক মেলবন্ধন গড়ে তুলেছে। কিন্তু কালে কালে ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ায় এর প্রকৃত সৌন্দর্য থেকে যে আমরা বঞ্চিত হয়েছি, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মাটি থেকে দু’শতাধিক ফুট উপরে অবস্থিত মন্দিরটির দেবতার মূর্তির জন্য পবিত্র বেদীটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। প্রবেশপথের নত মন্দিরেরও যে অংশটুকু দেখা যায় তা এক-তৃতীয়াংশেরও কম। তথাপি যা কিছু অবশিষ্ট আছে, তাতেই এ মন্দিরটি অন্যগুলোর চেয়ে অনন্য।
মন্দিরের দেয়াল ও বেদীর ভাস্কর্য এবং খোদাই করা পাথুরে কাজগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করা সম্ভব। একটি উপরের অংশ, অন্যটি নীচের। স্পষ্টত উপরের কাজগুলো নীচেরগুলোর চেয়ে অধিক নিপুণ এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত। উপরের অংশে মূলত বিভিন্ন পৌরাণিক পশুপাখি ও দেব-দেবীর ছবি রয়েছে। মা দূর্গার মহিষাসুরকে হত্যার ছবি, নিবিষ্টচিত্ত বিষ্ণু আর শিবলিঙ্গই এদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। তবে কৃষ্ণ, সরস্বতী আর গণেশের ভাস্কর্যও ছিল, যেগুলো ব্রিটিশ শাসনামলে লুণ্ঠিত হয়েছে। এরকম কিছু অত্যন্ত চমৎকার ভাস্কর্য বর্তমানে শোভা পাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জাদুঘরে।
কোনার্ক সূর্য মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছিল চন্দ্রভাগা নদীর তীরে। কিন্তু কালের বিবর্তনে নদীটির গতিপথ বেঁকে যায়। ফলে মন্দির থেকে নদীটির দূরত্ব বর্তমানে কয়েক কিলোমিটারের মতো। এটি নির্মাণ করা হয় কলিঙ্গ স্থাপত্যশৈলী অনুসরণ করে। পূর্বদিকে মুখ করে রাখা হয়েছে এর প্রবেশদ্বার এবং দেবতার আসন (বেদী)। ফলে প্রতিদিন ভোরবেলায় সূর্যের প্রথম আভা সরাসরি দেবতাকে ছুঁয়ে যায়। ভারতবর্ষের বাইরে থেকে আনা খন্দালাইত পাথরে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয় এর। অন্যদিকে, পুরো মন্দিরে রয়েছে ১২ জোড়া নিখুঁত সূর্যঘড়ি, যেগুলো দিয়ে মিনিট পর্যন্ত সঠিকভাবে হিসাব করা যায়। ১২ জোড়া সংখ্যাটা চেনা চেনা লাগছে না? হ্যাঁ, কোনার্ক সূর্য মন্দিরের ১২ জোড়া রথের চাকার প্রতিটিই একেকটি সূর্যঘড়ি!
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, কোণার্ক সূর্য মন্দিরটি রাজা নরসিংহ দেব নির্মাণ করেছেন। এ তথ্য নিয়ে ইতিহাসবিদগণের মাঝে বিতর্ক প্রায় নেই বললেই চলে। তবে বিতর্ক আছে এর নির্মাণকাল এবং স্থান নিয়ে। কিছু উৎসের মতে, এই সূর্য মন্দিরের নির্মাণকাজ প্রাথমিকভাবে বিহারে শুরু হয়। তবে ১২৫০ খ্রিস্টাব্দে (যে বছর এর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে আমরা ইতোপূর্বে জেনেছি) কোনো কারণে এর নির্মাণকাজ থেমে যায়। অসমাপ্ত থাকার কারণে কয়েক বছরের মধ্যেই এটি ভেঙে পড়ে। পরবর্তীতে, উড়িষ্যার বর্তমান স্থানটিতে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ এবং শেষ হয় ১২৭০ এর দশকে। কিন্তু এ দাবির পক্ষে তর্ক করার মতো ইতিহাসবিদ খুব কমই রয়েছেন। অধিকাংশের মতে, ১২৫০-৬০ এর মধ্যে শেষ হয়েছে এই সূর্য মন্দিরের নির্মাণকাজ এবং বর্তমান স্থানটিতেই কেবল এর নির্মাণকাজ হয়েছে।
কোনার্কের সূর্য মন্দিরটি কখনো পুরোপুরি ভেঙে পড়েনি এ ব্যাপারে একমত প্রায় সবাই। তথাপি মন্দিরটি বর্তমানে পুরো অক্ষত নেই। বিভিন্ন সময়ে মন্দিরের বিভিন্ন অংশ ক্ষয়প্রায় হয়েছে। সেগুলো নিয়ে রয়েছে একটি মুখরোচক গল্প, যা যুগে যুগে এই মন্দিরের পুরোহিতদের মুখে মুখে চলে আসছে। গল্পটি একটি শক্তিশালী চুম্বকের। বলা হয়, সূর্য মন্দিরের ঠিক মাথায় ছিল একটি অত্যাধিক শক্তিশালী এবং বড় চুম্বক। এর চারপাশের দেয়ালে ছিল তুলনামূলকভাবে কম শক্তির চুম্বক। ফলে কেন্দ্রের চুম্বকটির আকর্ষণে পুরো মন্দিরের কাঠামো ভারসাম্যপূর্ণ থাকতো! কিন্তু ঝামেলা বাঁধে মন্দিরের অদূরে চন্দ্রবাঘা নদীতে জাহাজের চলাচলের ক্ষেত্রে। এ চুম্বক এত শক্তিশালী ছিল যে এর কারণে নদীতে যাতায়াত করা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর কম্পাস দিক নির্ণয়ে ভুল করতো, কোনো কোনো জাহাজ তো ডুবেই যেত! এ কারণে মুসলিম বণিকরা (আফগান নাকি পারস্যের এরকম কোনো পরিচিতি নেই) একবার কোনার্কে জাহাজ ভিড়িয়ে ছিনিয়ে নেয় মন্দিরের মাথার বড় চুম্বকটি। আর তাতে ভারসাম্য হারিয়ে ধ্বসে পড়ে মন্দিরটি! এর চেয়ে দুর্বল আরো একটি গল্প প্রচলিত রয়েছে। সেটি কালাপাহাড়কে নিয়ে। ১৫ শতকে কালাপাহাড়ের আক্রমণে কোনার্ক সূর্য মন্দির একবার ধ্বসে পড়েছিল বলেও দাবি একটি ছোট অংশের।
কোনার্ক সূর্যমন্দির কেবল একটি মন্দির নয়। একটি রাজপ্রাসাদের যেমন ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভবন থাকে, তেমনি এখানে একাধিক মন্দির ও স্থাপনা ছিল, যেগুলোর ধ্বংসাবশেষ এখনো দেখতে পাওয়া যায়। সেই স্থাপনাগুলো সম্পর্কে একনজরে কিছু তথ্য জেনে নিই চলুন-
- মায়াদেবী মন্দির: ১৯০০ সালে কোনার্ক মন্দির কমপ্লেক্সে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময়ে মায়াদেবী মন্দির আবিষ্কৃত হয়। মন্দিরের মূল প্রবেশপথ থেকে পশ্চিমদিকে এর ধ্বংসাবশেষ এখনও টিকে আছে। কোনার্ক সূর্য মন্দিরের আগেই এটি নির্মিত হয়েছিল। খুব সম্ভবত একাদশ শতকে মায়াদেবী মন্দির নির্মিত হয় এবং এটিও একটি সূর্য মন্দির ছিল।
- বৈষ্ণব মন্দির: ১৯৫৬ সালে এটি খনন করে উন্মোচন করা হয়। এটি নিশ্চিতভাবেই একটি পরিপূর্ণ মন্দির ছিল। এর গঠন প্রকৃতির সাথে মায়াদেবী মন্দিরের গঠনের মিল পাওয়া যায় এবং দুটি মন্দিরের নির্মাণকালও একই। তবে, অনেক প্রত্নতত্ত্ববিদ মতামত দিয়েছেন, মায়াদেবী মন্দিরটি আসলে পৃথক কোনো মন্দির নয়। সেটি এই বৈষ্ণব মন্দিরেরই অংশ।
- ভোগ মণ্ডপ: মন্দিরের দক্ষিণদিকে রয়েছে ‘ভোগ মণ্ডপ’ নামক একটি বিশাল খাবার ঘর। পুরোপুরি খননের পর প্রত্নতাত্ত্বিকগণ বিস্মিত হয়েছিলেন এর গঠন এবং পরিচালনার ধরন দেখে। এখানে মূল খাবার ঘর ছাড়াও খাদ্যসামগ্রী সংরক্ষণের জন্য এবং রান্নার জন্য দুটি পৃথক ঘর রয়েছে। তাছাড়া ঘরের সাথে জল নিষ্কাশনের নালা এত চমৎকারভাবে করা হয়েছে যে শত শত মানুষের ভোজন সম্পন্ন হবার পর ময়লা পানি কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে নালা দিয়ে মন্দিরের বাইরে পাঠানো সম্ভব। অতিথিদের সুবিন্যস্তভাবে বসানোর জন্যও আছে বিশেষ ব্যবস্থা। তাছাড়া, রান্নাঘরের কাছাকাছিই রয়েছে দুটি গভীর কূপ, যেগুলো পানির যোগান দিত।
১৯৩০ সালের দিকে কোনার্ক সূর্য মন্দিরের আংশিক পুনর্নির্মাণ কাজ হয়। সংস্কার করা হয় এর বেশ কিছু ভাঙা অংশের। ভারত স্বাধীন হবার পর থেকেই ভারতের পর্যটকদের জন্য এ মন্দির একটি বড় আকর্ষণ। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে ইউনেস্কো যখন কোনার্ককে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তখন থেকে বিদেশি পর্যটকদের ভিড়ও বাড়তে থাকে এখানে। বিশেষ করে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এখানে পর্যটকদের ঢল নামে। কারণ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় বাৎসরিক চন্দ্রবাঘা মেলা, যা হিন্দু ধর্মালম্বীদের জন্য একটি ধর্মীয় উৎসব। আর দীর্ঘ ৮০০ বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক এই মন্দিরের আধ্যাত্মিকতার টানে প্রতিদিন এখানে ছুটে আসে শত শত ধর্মপ্রাণ মানুষও, যাদের জন্য এটি একটি তীর্থস্থান। ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, প্রত্নতত্ত্ব, প্রাচীনত্ব আর নির্মাণশৈলী, সব মিলিয়ে কোনার্কের সূর্য মন্দির অনন্য অসাধারণ।