এইডস আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ মারা গিয়েছে। এই তালিকায় এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা পৃথিবীর বুকে এমন কিছু করে যেতে পেরেছিলেন এবং সে কারণে মৃত্যুর পরেও মানুষের ভালোবাসায় অমর তারা। সেই তালিকায় একদম উপরের দিকেই আছে ফ্রেডি মার্কারির নাম।
বলছিলাম ব্রিটিশ রক ব্যান্ড কুইনের ফ্রন্টম্যান ফ্রেডি মার্কারির কথা। ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রক ব্যান্ড কুইন। ১৯৭০ সালে ব্রায়ান মে, রজার টেইলর ও ফ্রেডি মার্কারি মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ডটি। চলুন, আজ জেনে নেওয়া যাক কুইন এবং এর মধ্যমণি ফ্রেডি মার্কারির জীবনের উত্থান-পতনের গল্প।
ফ্রেডির জন্ম ও বেড়ে ওঠা
আফ্রিকার জাঞ্জিবার রাজ্যে (বর্তমানে কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়ার অংশ) ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় বংশোদ্ভূত বোমি বুলসারা ও জ্যার বুলসারার ঘরে জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান ফাররোখ বুলসারা। হাই স্কুল পর্যন্ত ভারতে পড়াশোনা করে পরিবারের সাথে জাঞ্জিবার ফিরে যান ফাররোখ। ১৯৬৪ সালে জাঞ্জিবার বিপ্লবের সময় সপরিবারে দেশত্যাগ করে ইংল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
হাই স্কুলেই প্রথম সঙ্গীতের সাথে পরিচয় হয় ফাররোখের। সাত বছর বয়সে পিয়ানো শেখা শুরু করেন তিনি। ১২ বছর বয়সেই স্কুলের বন্ধুদের সাথে ব্যান্ড খোলেন। ক্লিফ রিচার্ড, লিটল রিচার্ডদের মতো বিখ্যাত রক অ্যান্ড রোল আর্টিস্টরা ছিলেন ফাররোখের অনুপ্রেরণা। ইংল্যান্ডে ফিরে ফাইন আর্ট এবং গ্রাফিক ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। স্কুলে থাকতে ফাররোখকে ফ্রেডি বলে ডাকত বন্ধুরা। ১৯৭০ সালে কুইনে যোগ দেয়ার পর ফাররোখ নিজের নাম বদলে রাখেন ফ্রেডি মার্কারি।
কুইন
গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে কয়েকটি ব্যান্ডে যোগ দিলেও কোনোটিতেই স্থায়ীভাবে থাকেননি ফ্রেডি। কাপড়ের দোকানে চাকরি থেকে শুরু করে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে লাগেজ ওঠানো-নামানোর কাজও করেছেন তিনি। ১৯৭০ সালে বন্ধু রজার টেইলর ও ব্রায়ান মে এর ব্যান্ড ‘স্মাইল’-এ ভোকালের প্রয়োজন হলে ফ্রেডি তাদের ব্যান্ডে যোগ দেন। এই ব্যান্ডের নামই পরে বদলিয়ে ফ্রেডি রাখেন ‘কুইন’। ১৯৭১ সালে বেসিস্ট জন ডিকন যোগ দেন কুইনে।
কুইন নাম দেবার সাথে এর লোগোর নকশাও করেন ফ্রেডি। কুইন ব্যান্ডের এই বিখ্যাত লোগোকে বলা হয় ‘কুইন ক্রেস্ট’। লোগোটির বিশেষত্ব হলো, ব্যান্ডের সকল সদস্যের রাশিফলের চিহ্ন একত্র করে এটি তৈরি। জন ও রজারের সিংহরাশি, ব্রায়ানের কর্কটরাশি ও ফ্রেডির কন্যারাশির চিহ্ন লোগোতে দৃশ্যমান। রানীর মুকুটটি Q অক্ষরের ভেতরে। লোগোর উপরে ছেয়ে আছে গ্রিক পুরাণের পাখি ফিনিক্স।
১৯৭৩ সালে কুইনের প্রথম অ্যালবাম ‘কুইন’ প্রকাশ পায়। প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের পর রক জনরাপ্রেমীদের নজরে আসতে শুরু করে ব্যান্ডটি। একই বছর তারা পুরো ইংল্যান্ডে বিভিন্ন ব্যান্ডের সাথে সফর শুরু করে। ১৯৭৪ সালে দুটি অ্যালবাম, ‘কুইন টু’ ও ‘শিয়ার হার্ট অ্যাটাক’ প্রকাশ করে কুইন। সে বছর তারা প্রথম আমেরিকায় সফর করে কনসার্টের জন্য। অ্যালবামগুলো ইংল্যান্ডের মতো আমেরিকায়ও সমান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ধীরে ধীরে।
১৯৭৫ সালে চতুর্থ অ্যালবাম ‘আ নাইট ইন অপেরা’ প্রকাশ পাওয়ার পর সফলতার অনন্য চূড়ায় আরোহণ করে কুইন। অ্যালবামের গান ‘বোহেমিয়ান র্যাপসোডি’ ইতিহাস রচনা করে। ৫ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের এই গানকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রগ্রেসিভ রক গানের তকমা দেয়া হয়। ব্যালাড, অপেরা ও হার্ড রক; এই তিনটি জনরার সংমিশ্রণে গানটি। প্রকাশ হওয়ার পর থেকে টানা নয় সপ্তাহ ইংল্যান্ডের টপচার্টে ছিল এ গান। এক বছরের মধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ কপি বিক্রি হয় সিঙ্গেলটি। এখন পর্যন্ত এটি প্রায় ৬০ লক্ষ বার বিক্রয় হওয়ার মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ বিক্রিত সিঙ্গেল গান হিসেবে আছে। বিংশ শতাব্দীর সর্বোচ্চ ডাউনলোড হওয়া গানও এটি (প্রায় ১৬০ কোটি বার)।
এরপরে কুইন নিয়মিত ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সফর করে। আটলান্টিকের এপার-ওপার, সব জায়গায় চলতে থাকে কুইনের জয়যাত্রা। নিয়মিত অ্যালবাম প্রকাশ করতে থাকে ব্যান্ডটি। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ১৪টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় কুইনের। জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যায় তারা। হেভি রক, সফট রক, প্রগ্রেসিভ রক থেকে শুরু করে প্রায় সবধরনের গানই করেছে কুইন। রেডিওবান্ধব গানের জন্যও জনপ্রিয় তারা। রেডিও স্টেশনগুলো নিয়মিত প্রচার করতো কুইন এর গান। আজও করে।
কুইনের কিছু গান তাদেরকে অমর করে রাখবে। তার মধ্যে অন্যতম তিনটি গান হলো, ‘উই আর দ্য চ্যাম্পিয়নস’, ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’ ও ‘উই উইল রক ইউ’। অন্যতম সেরা ক্রীড়াসঙ্গীত হিসেবে আজো সকল বড় বড় ক্রীড়া অনুষ্ঠানে বেজে চলে, ‘উই আর দ্য চ্যাম্পিয়নস’ ও ‘উই উইল রক ইউ’। ভেঙে পড়া মানুষের মনে সাহসের যোগান দেয় ‘দ্য শো মাস্ট গো অন’। নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আজো সবার অনুপ্রেরণা কুইনের এই তিনটি গান। সর্বকালের অন্যতম রোমান্টিক দু’টি গানও কুইনের। ‘লাভ অভ মাই লাইফ’ আর ‘সামবডি টু লাভ’। প্রেয়সীর মন পেতে গানগুলো তুলনাহীন। এছাড়াও ‘রেডিও গা গা’ ও ‘অ্যানাদার ওয়ান বাইটস দ্য ডাস্ট’ গান দুটি বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত সফল হয়। ‘রেডিও গা গা’ গানটি প্রকাশের পর ১৯টি দেশের টপচার্টের শীর্ষস্থান দখল করে নেয়, যা একটি রেকর্ড।
কুইনের জনপ্রিয়তার আরেকটি মুখ্য কারণ তাদের প্রাণবন্ত স্টেজ পারফরম্যান্স। পুরো মঞ্চ জুড়ে থাকত ফ্রেডির আকর্ষণীয় উপস্থিতি। দর্শকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশের জন্য বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, গানের তালে তালে নাচ কিংবা এক হাতে পিয়ানো বাজানো আর অন্য হাতে বিখ্যাত স্ট্যান্ডভাঙ্গা মাইক্রোফোন নিয়ে উদ্দাম হয়ে গান গেয়ে যাওয়া- এ সবই ছিল ফ্রেডির স্টাইল। রঙ-বেরঙের পোশাক পরতেন সব সদস্যই, যা ছিল সে সময়ের তুলনায় ব্যতিক্রম।
কুইনের কনসার্টগুলো হতো সবসময় মেগা কনসার্ট। ১৯৭৭ সালে হাইড পার্কে দু’লাখ দর্শক হয় কুইনের ফ্রি কনসার্টে। এছাড়াও পৃথিবীর বৃহত্তম টিকেট কনসার্টও কুইনের। ১৯৮১ সালে সাও পাওলোতে প্রায় দেড় লাখ দর্শক সমবেত হয় কনসার্টটিতে। ১৯৮৫ সালে রক ইন রিও কনসার্টে প্রায় তিন লক্ষ দর্শকের জন্য পারফর্ম করে কুইন। এছাড়াও লাইভ এইড কনসার্টে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রায় ৮০ হাজার দর্শকের সামনে পারফর্ম করে কুইন, যা আবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রচারিত হওয়া সর্ববৃহৎ কনসার্ট। বিশ্বজুড়ে প্রায় দশ কোটি মানুষ উপভোগ করে সেই লাইভ এইড কনসার্ট।
ফ্রেডি মার্কারিকে রোলিং স্টোন ম্যাগাজিন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ১০০ জন গায়কের মধ্যে অষ্টাদশ স্থানে রেখেছে। ফ্রেডির সামনের চারটি দাঁত উচু ছিল, যার কারণে তিনি কণ্ঠের নিয়ন্ত্রণ বেশি করতে পারতেন। তিনি কণ্ঠ স্বরগ্রাম অষ্টকের চতুর্থ সীমা পর্যন্ত নিতে পারতেন, যা ছিল অত্যন্ত বিরল। ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও ছিলেন নিজ নিজ ক্ষেত্রে সেরা। গিটারিস্ট ব্রায়ান মে একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী এবং জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী; দুটি থিসিস পেপারের সহ-লেখক তিনি। লিভারপুল জন মুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ছিলেন ব্রায়ান এবং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ফেলো হিসেবে আছেন।
যত অর্জন
কুইনের অর্জনের তালিকা বেশ লম্বা। সর্বোচ্চ অ্যালবাম বিক্রি করেছে এমন ব্যান্ডের তালিকায় একদম উপরের দিকেই আছে ব্যান্ডটি। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিলিয়ন অ্যালবাম বিক্রি করেছে কুইন। ব্রিটিশ সঙ্গীতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১৯৯০ সালে সম্মানজনক ব্রিট অ্যাওয়ার্ড পায় কুইন। ২০০১ সালে রক অ্যান্ড রোল হল অভ ফেমে স্থান করে নেয় ব্যান্ডটি। ২০১৮ সালে গ্র্যামির লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পায় কুইন। কুইনের ২৪টি গান বিলবোর্ডের টপচার্টে বিভিন্ন সময় সেরা দশে স্থান করে নেয়। শুধুমাত্র স্টুডিও অ্যালবামের জন্য বিভিন্ন দেশের বিলবোর্ডে ৪৭ বার প্লাটিনাম ও ৩৩ বার গোল্ড সার্টিফিকেশন পায় কুইন, যা একটি বিরল সম্মান।
নক্ষত্রের ফিকে হয়ে আসা
মঞ্চ মাতানো তারকা ফ্রেডি মার্কারি বাস্তব জীবনে ছিলেন খুবই লাজুক। তার জীবনে ভালোবাসা এসেছিল প্রথমবার, ১৯৭০ সালে। মেরি অস্টিনের সাথে চাইলেই তিনি জীবন সাজাতে পারতেন সুন্দর করে। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার পরিবর্তন দেখতে পান। তিনি একসময় আবিষ্কার করেন, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি তার আকর্ষণ কমে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে সমলিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে মেরি অস্টিনের সাথে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
বিভিন্ন পুরুষের সাথে সম্পর্কের কথা শোনা যায় ফ্রেডির। যাদের মধ্যে বিখ্যাত আরজে কেনি এভারেট ও ফ্রেডির ব্যক্তিগত সহকারী পল প্রেন্টার অন্যতম। এরপর পার্টি আর কোকেইনেও আসক্ত হয়ে পারেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যমও ব্যাপারটা ভালোভাবে নেয়নি। মিডিয়ায় ফ্রেডির আপত্তিকর ছবি প্রকাশ হয়। ব্যান্ড সদস্যদের সাথেও কিছু সময়ের জন্য বিচ্ছেদ ঘটেছিল ফ্রেডির। একক ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগ দেন কিছুদিনের জন্য। দুটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করলেও প্রথম ভালোবাসা মেরি অস্টিনের সাথে আজীবন বন্ধুত্ব ছিল ফ্রেডির। ফ্রেডি বলতেন, মেরি তার জীবনের একমাত্র বন্ধু। ১৯৮৫ সালে জিম হাটন ফ্রেডির জীবনে আসেন বন্ধু হয়ে। যার ভালোবাসায় ফ্রেডির জীবন বদলে যায়। জিম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ফ্রেডির পাশে ছিলেন।
একদিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, ফ্রেডির সাবেক দুই পুরুষ বন্ধু এইডসে মারা গিয়েছেন। এর পরেই শুরু হয় ব্রিটিশ গণমাধ্যমের অনুসন্ধান। ফ্রেডিও কি তবে এইডসে আক্রান্ত? কিছু কি অপ্রকাশিত আছে? কিন্তু ফ্রেডি কিংবা তার ব্যান্ড সদস্যেরা কেউই কোনো তথ্য দেননি গণমাধ্যমকে। মেরিও জানান, ফ্রেডি ঠিক নেই। শারীরিক অবস্থারও দিন দিন অবনতি ঘটছিল তার। অতঃপর অনেক জল্পনা কল্পনার পরে ১৯৯১ সালের ২৩ নভেম্বর ফ্রেডি গণমাধ্যমকে জানান, তিনি এইডসে আক্রান্ত। এবং ঠিক পরদিনই, ২৪ নভেম্বর, নিজের বাসায় এইডসজনিত ব্রঙ্কো-নিউমোনিয়া হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুর পর ১৯৯৫ সালে ফ্রেডির রেকর্ড করে যাওয়া ভোকাল নিয়ে ১৫ তম এবং শেষ অ্যালবাম প্রকাশ করে কুইন। এভাবেই মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ঝরে পড়েন পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফ্রন্টম্যান ফ্রেডি মার্কারি।
বর্তমান অবস্থা ও বোহেমিয়ান র্যাপসোডি
ফ্রেডির মৃত্যুর পর ব্যান্ডের বাকি সদস্যরা এবং জিম হাটন মিলে প্রতিষ্ঠা করেন ‘দ্য মার্কারি ফিনিক্স ট্রাস্ট’, যার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ এইডস আক্রান্ত রোগীদের সহায়তায় ব্যয় করা হয়। মাঝখানে বেশ কয়েকজনকে ভোকাল হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পরে বর্তমানে অ্যাডাম লাম্বার্টকে ভোকাল হিসেবে নিয়ে বিভিন্ন দেশে সফর করে বেড়াচ্ছে কুইন। মাঝে ১৯৯৭ সালে বেসিস্ট রজার ডিকন অবসর গ্রহণ করেন।
২০১৮ সালে ব্রায়ান সিঙ্গারের পরিচালনায় মুক্তি পায় ফ্রেডি মার্কারির জীবনী নিয়ে সিনেমা ‘বোহেমিয়ান র্যাপসোডি’। মুক্তির পরই জয়জয়কার পড়ে যায় সিনেমাটির। জিতে নেয় চারটি অস্কারসহ আরো অনেক পুরস্কার। ফ্রেডি মার্কারির চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার অস্কার জয় করে নেন রামি মালিক।
কুইনের পুরো যাত্রা কোনো রূপকথার গল্প থেকে কম নয়। এবং সেই গল্পের নায়ক অবশ্যই ফ্রেডি মার্কারি।