প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় মানেই যেন ক্লাস, ল্যাব, কাটখোট্টা পড়াশোনা এবং একরাশ হতাশা! তার উপর তো আছে ক্যারিয়ার নিয়ে ভয়, চিন্তা এবং নানা রকম চাপ। কেউ চাচ্ছে প্রকৌশল বিদ্যাই রপ্ত করতে, কেউ উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছে, কিংবা কেউ তার প্রিয় শখকে বানাতে চাচ্ছে পেশা! এসব দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগা শিক্ষার্থীদের চাই একটু সঠিক নির্দেশনা এবং অনুপ্রেরণা।
গত ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ আয়োজিত হয়েছে লজেন্স নিবেদিত “Baffling with career choices’’, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাইনোমিয়াল ট্রায়ো খ্যাত খালিদ ফারহান, এনায়েত চৌধুরী এবং সাদমান সাদিক। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে ছিল কুয়েটের স্বনামধন্য ক্লাব ‘কুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব’ বা ‘কেসিসি’।
এই আয়োজনে বক্তারা ক্যারিয়ার নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন শিক্ষার্থীদের। কুয়েট ছাড়াও এই আয়োজনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকগুলো সেগমেন্টের সমন্বয়ে চলে অনুষ্ঠানটি। শিক্ষার্থীরা ক্যারিয়ার সম্পর্কে তাদের ধোয়াশাগুলো তুলে ধরেন, এবং বক্তারা তাদের সেই অনুযায়ী পরামর্শ দেন। ক্যারিয়ারের ব্যপ্তি ও প্রকার নিয়ে আরো ধারণা দিতে তারাও বিভিন্ন গঠনমূলক প্রশ্ন করেন শিক্ষার্থীদের।
খালিদ ফারহান, একজন উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী, তার কাছে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। সেরা উত্তর, সেরা প্রশ্ন এবং সেরা উদ্যোগ বিভিন্ন সেগমেন্টে বই উপহার দেওয়া হয় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের।
এনায়েত চৌধুরী বুয়েটের লেকচারার, রিসার্চার এবং প্রাক্তন বিতার্কিক হওয়ার পাশাপাশি কীভাবে আরো বিভিন্ন বিষয়ে নিজের জ্ঞানচর্চায় সময় দেন সেই বিষয়ে ধারণা দেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এত ব্যস্ত জীবনে কীভাবে সব দিকে ভারসাম্য রাখা যায় এই নিয়ে অনুপ্রেরণা পায় শিক্ষার্থীরা।
সাদমান সাদিক, অনলাইন এডুকেটর এবং কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কীভাবে নিজের স্কিল বাড়ানো যায় এবং সেটা দিয়ে অর্থোপার্জনের পথ খোলা যায় এই নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি মনে করেন, ‘কমিউনিকেশন’ এমন একটি স্কিল যেটা সবচেয়ে জরুরি। বই পড়া নিয়েও তিনি বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
“Jack of all trade or master of ONE?” এই প্রশ্নটির বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তর সম্মানিত অতিথিবৃন্দ এবং দর্শকদের থেকেও পাওয়া যায় ক্যারিয়ার সম্পর্কিত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
কুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আশরাফ উল আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট অর্জুন রায়, এবং জিএস রাজিয়া খান বক্তাদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক, গাছ এবং ফুল তুলে দেন। চমৎকার এই আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল রোর বাংলা।