মানুষের পাঁচটি প্রধান মৌলিক চাহিদার দ্বিতীয়টিই হচ্ছে বস্ত্র। পোশাক ছাড়া আধুনিক সভ্যতা কল্পনার অতীত। সেই সুদূর অতীতে যখন আদিম মানুষ লজ্জা নিবারণ করার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারলো, সেদিন থেকেই বোধ করি শুরু হলো পোশাক শিল্পের নব অধ্যায়। গাছের বাকল, পশুর চামড়া দিয়ে শুরু করে শেষাবধি এখনকার আধুনিক সমাজের পোশাক আমাদের মনে করিয়ে দেয় পোশাক শিল্পের দীর্ঘ আন্দোলনের কথা। এই পোশাক শিল্পই এখন হয়ে উঠেছে বর্তমান পৃথিবীর শিল্পসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি। গর্বের বিষয় হলো এই যে, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে নিরন্তর রেখে যাচ্ছে গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রির দিকে যাওয়ার আগে টেক্সটাইল শিল্প সম্বন্ধে একটু জ্ঞান থাকা জরুরি। যদি বলা হয় টেক্সটাইল শিল্পের কথা, তবে সেটি হবে একটি বৃহৎ পরিসরের গল্প। গার্মেন্টস বা পোশাক শিল্প সেই বৃহদায়তনের একটি অংশবিশেষ। সাধারণভাবে যদি টেক্সটাইল শিল্পকে ভাগ করা হয়, তবে চারটি প্রধান ভাগে বিভাজন করা সম্ভব। যেমন, প্রথমটি হচ্ছে স্পিনিং, অর্থাৎ সুতা তৈরির প্রক্রিয়া। সেটা হতে পারে তুলা বা লিনেন থেকে। তবে সাধারণত তুলাই এক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। স্পোর্টস আইটেমের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ যেখানে ইলাস্টিসিটি দরকার কিন্তু ঘাম শোষণের দরকার নেই, সেখানে পলিস্টার ইয়ার্ন (সুতা) ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্পিনিংয়ের প্রভাব ততটা লক্ষ্য করা যায় না।
এরপর আসে ফেব্রিক। স্পিনিংয়ে উৎপাদিত সুতা থেকে উইভিং এবং নিটিংয়ের মাধ্যমে ফেব্রিক বা কাপড় প্রস্তুত করা হয়। পরের ধাপে আছে ডায়িং বা সহজ বাংলায় কাপড়কে বিভিন্ন রঙে রঞ্জিত করা। কারণ গ্রে ফেব্রিক, অর্থাৎ উইভিং এবং নিটিং পরবর্তী ফেব্রিকে থাকে প্রাকৃতিক তেল, ওয়াক্স ইত্যাদি এবং এর রঙও থাকে প্রাকৃতিক। কাজেই সেটা দূর করা প্রয়োজন। আর সে কারণেই ফেব্রিকের ওয়েট প্রসেসিং দরকার।
এরপরই আসে আমাদের আলোচ্য পোশাক তৈরীর ব্যাপার-স্যাপার। ওয়েট প্রসেসিং ধাপে পাওয়া রঞ্জিত ফেব্রিকসমূহ পরবর্তীতে কাটিং, সুইং, ট্রিমিং, ফিনিশিং ইত্যাদি বেশ কয়েকটি ধাপ পার করার পরই আমাদের পরিধেয় বস্ত্র উৎপাদিত হয়। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশ বর্তমানে তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানিতে সারা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। প্রথম অবস্থানে আছে চীন।
এখন আসা যাক এদেশের গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবহৃত প্রযুক্তির মান নিয়ে। অর্থাৎ আমরা আদৌ বহির্বিশ্বের সাথে টেক্কা দিতে পারবো কি না। কিংবা আমরা চীনকে টপকে প্রথম অবস্থানে যেতে পারবো কি না! এসব প্রশ্নের উত্তরগুলো বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন, আমরা কাঁচামাল কিভাবে সরবরাহ করছি, কোথা থেকে সরবরাহ করছি কিংবা আমরা কেমন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি ইত্যাদির উপর।
প্রাথমিকভাবে দেশের তুলনামূলক সস্তায় পাওয়া শ্রমজীবী মানুষের প্রাচুর্য এবং কিছু প্রতিভাবান শিল্পপতিদের হাত ধরেই এদেশে পোশাক শিল্পের ভিত্তি গড়ে উঠেছে। নানা প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতার মাঝেও দেশের তৈরি পোশাক শিল্প (রেডিমেড গার্মেন্টস) রপ্তানিতে এরকম এক বিশেষ জায়গা অর্জন করতে পেরেছে। কিন্তু পৃথিবীব্যাপী নিত্যনতুন উদ্যোক্তার জন্ম হচ্ছে, হচ্ছে শিল্পপতিদের উত্থান। নতুন নতুন প্রযুক্তির জন্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত, কোনোটি সেমি-অটোমেটিক, কোনো কোনো প্রযুক্তি আবার অটোমেটিক। এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে একদিকে যেমন সময় কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদন বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণে। শ্রমিকের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে সেই তুলনায়, ফলে মোট উৎপাদন খরচ কমে যাচ্ছে।
তৈরি পোশাক শিল্পের বায়ার বা ক্রেতা দেশগুলো সবসময়ই চাইবে কম মূল্যে তুলনামূলক অধিক গুণসম্পন্ন পণ্য ক্রয় করতে। ফলে আমাদের প্রতিযোগিতার বাজারও তাই বেড়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। কারণ এখনো আমরা কনভেনশনাল বা গতানুগতিক পদ্ধতির উপর নির্ভর করে আছি অনেকখানি। কাজেই এই প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে এবং সেখান থেকে উন্নত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই। তবে আশার কথা হলো বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু করেছে।
যেসব প্রযুক্তির ব্যবহার করছি আমরা
পোশাক উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রথমেই যে জিনিসের দরকার হয় সেটি হচ্ছে প্যাটার্ন তৈরি করা। প্যাটার্ন তৈরি করা হয় মূলত পুরু প্যাটার্ন পেপারে। গার্মেন্টসের বিভিন্ন পার্টের প্রতিকী বা রেপ্লিকা তৈরি করা হয় এই প্যাটার্ন পেপার দিয়ে। এভাবে বিভিন্ন সাইজের প্যাটার্ন তৈরি করা হয়। সাধারণভাবে হিসেব করলে এ কাজের জন্য একদিকে যেমন লাগে অপেক্ষাকৃত দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তির, তেমনি এ কাজের জন্য সময়ও ব্যয় হয় অধিক।
তো এ কাজ যদি আমরা কম্পিউটারে সফটওয়্যারের মাধ্যমে করতে পারি, সেক্ষেত্রে সময়ও বাঁচবে, আর এ কাজে জনবলও লাগবে খুবই কম। দেশের শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিগুলো এখন তাই ঝুঁকছে কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন (CAD) সফটওয়্যারের দিকে। এই সফটওয়্যারের সাহায্যে সহজেই এখন বিভিন্ন গার্মেন্টসের বিভিন্ন অংশের প্যাটার্ন তৈরি করা এবং সেটা কম্পিউটার মেমোরিতে সেভ করে রাখা সম্ভব। প্যাটার্নের এই সফটকপিকে আবার বড়-ছোট করে বিভিন্ন সাইজের গার্মেন্টসের প্যাটার্ন তৈরি করা যায়।
তবে এখনো অনেক ইন্ডাস্ট্রিই প্যাটার্ন তৈরির জন্য গতানুগতিক পদ্ধতির ব্যবহার করে।
প্রতিটি গার্মেন্টসের সবগুলো প্যাটার্নকে এরপর মার্কার পেপারে বসানোর দরকার পড়ে। মার্কার পেপার মূলত একধরনের পাতলা এবং মোটামুটি ফেব্রিকের সমান আকারের কাগজ। গার্মেন্টস তৈরির জন্য ফেব্রিক কাটিংয়ের প্রয়োজন হয়। তো এই কাটিংয়ের সময় যেন ফেব্রিকের অপচয় কম হয় এবং গার্মেন্টসের প্রতিটি অংশ যেন তাদের নির্দিষ্ট গ্রেইন লাইন অনুসরণ করে, এসব প্লানিং করা হয় মূলত মার্কার পেপারে প্যাটার্নগুলো বসিয়ে। বোঝাই যাচ্ছে এতে কতটা শ্রম ও সময় ব্যয় হতে পারে।
এই জটিল ও সময়সাপেক্ষ কাজটাও এখন করা হচ্ছে কম্পিউটার দ্বারা। কম্পিউটারে ক্যাড প্রযুক্তির সাহায্যে প্যাটার্নগুলোকে ম্যানুয়ালি বা অটোমেটিকভাবে সাজিয়ে খুব কম সময়ে এবং অবশ্যই কম শ্রমে তৈরি করা হচ্ছে মার্কার। এরপর প্লটার নামক প্রিন্ট প্রযুক্তির সাহায্যে কম্পিউটারে তৈরি মার্কারের প্রিন্ট বের করে নেয়া হয় এবং এটিই এরপর কাটিং রুমে ফেব্রিক কাটিংয়ের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়।
কাটিং রুমে সাধারণত দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি হচ্ছে ফেব্রিক স্প্রেডিং, অর্থাৎ ফেব্রিকের রোল থেকে ফেব্রিক উন্মুক্ত করা হয় এবং লম্বা টেবিলের উপর ফেব্রিককে অনেকগুলো লেয়ারে সাজানো হয়। এভাবে অনেকগুলো লেয়ারকে একসাথে কাটার ফলে কম সময়ে অধিক গার্মেন্টস তৈরি সম্ভব হয়, সময়ও লাগে অনেক কম। স্প্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে জনবল সাধারণত খুব বেশি লাগে না। কিন্তু এতে সময় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে যথেষ্ট। এখন ফেব্রিক স্প্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে তাই ব্যবহার করা হচ্ছে সেমি-অটোমেটিক রেইল সিস্টেম, যেখানে একজন অপারেটরই কাজটি সহজে করতে পারে। তবে এখনও বেশিরভাগ ইন্ডাস্ট্রিতে গতানুগতিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
ফেব্রিক কাটিংয়ের ক্ষেত্রে পূর্বের পদ্ধতিই এখনো ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ সেমি-অটোমেটিক কাটিং মেশিন। ফেব্রিক স্প্রেডিং করার পর এর উপর মার্কার বসানো হয় এবং মার্কারের উপর স্থাপন করা প্যাটার্ন অনুযায়ী কাটিং মেশিনের সাহায্যে ফেব্রিক লেয়ারগুলোকে একসাথে কাটা হয়। যদিও দেশে কয়েকটি ইন্ডাস্ট্রিতে অটোমেটিক কাটিং মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্ত খুবই সীমিত পরিমাণে। ফেব্রিক কাটিংয়ের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে আছে লেজার কাটিং সিস্টেম। কিন্তু বাংলাদেশে এই সিস্টেম নেই বললেই চলে।
কাটিং সেকশনের পরে যেটা আসে সেটা হচ্ছে গার্মেন্টসের কাটা অংশগুলোকে সেলাই করে পূর্ণাঙ্গ গার্মেন্টসে রূপ দেয়া। এই সেকশনকে বলা হয় সুইং সেকশন। সেলাইয়ের কথা বললে আমাদের মনে চলে আসে গ্রাম বাংলায় আমাদের মা-দাদীদের সেই পায়ে চালিত সেলাই মেশিনের কথা। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির চিত্রটা একদম আলাদা। এখানে গার্মেন্টস সুইংয়ে ব্যবহার করা হয় হাইস্পিড সুইং মেশিন যা ইলেক্ট্রিসিটির সাহায্যে পরিচালিত করা হয়। আগে সাধারণত গতানুগতিক প্রযুক্তির যে ব্যবহার ছিলো সেটাতে সময় ও শ্রম লাগতো অনেক বেশি। এখন সেখানে সেমি-অটোমেটিক, কিংবা অটোমেটিক প্রযুক্তির কল্যাণে সময় ও শ্রম কমে এসেছে অনেকগুণ, সেই সাথে বেড়েছে উৎপাদন।
আমরা সাধারণ দৃষ্টিতে সেলাই বলতে কেবল একধরনের সেলাইকেই বুঝে থাকি। কিন্তু বাস্তবে একটি গার্মেন্টসে বিভিন্ন প্রকার সেলাই দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। যেমন, দুটি ফেব্রিককে যুক্ত করতে (টি-শার্টের ফ্রন্ট পার্ট ও ব্যাক পার্ট) লক স্টিচ দেয়া হয়। কিন্তু কাটা ফেব্রিকের কোনো পার্শ্ব হতে যেন সুতা বের হয়ে না যায় সেজন্য একটা আলাদা বিশেষ স্টিচ দেয়া হয়, যাকে বলে ওভারলক স্টিচ। কাজেই এক্ষেত্রে সুইংয়ের সাথে সাথে সুইং মেশিনেরও পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। যদিও এখন সব ইন্ডাস্ট্রিতেই ইলেক্ট্রিক সুইং মেশিনের প্রচলন হয়ে গেছে। কেবল মাঝেমধ্যে এসব মেশিনের কনফিগারেশনই পরিবর্তন হয়। মূল প্রসেস ঠিক আছে।
সুইং ছাড়াও আরেকটি বিষয় আছে, যেটা হলো এমব্রয়ডারি। এমব্রয়ডারিও এখন করা হচ্ছে ইলেক্ট্রিক মেশিন আর কম্পিউটার সফটওয়্যারের সাহায্যে। নির্দিষ্ট কোনো ডিজাইন, অর্থাৎ যে ডিজাইন বা লোগো এমব্রয়ডারি করতে হবে সেটি কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইনপুট দেয়া হয় এবং এমব্রয়ডারি মেশিনের সাহায্যে সেটি ফেব্রিকের উপর ফুটিয়ে তোলা হয়।
কাটিং-সুইং এর পর কোনো কোনো গার্মেন্টসকে ওয়াশ করার প্রয়োজন পড়ে। যেমন ডেনিম বা জিন্সের আইটেমগুলোতে ফেডিং ইফেক্ট আনার জন্য ওয়াশিং করা হয়। গার্মেন্টস ওয়াশিং আর আমাদের নিত্যদিনের পোশাক ওয়াশিং মোটেও এক জিনিস নয়। আমরা আমাদের প্রতিদিনকার আইটেমগুলো ওয়াশ করি ময়লা পরিষ্কারের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে গার্মেন্টস ওয়াশিং মূলত এতে নানা ধরনের ইফেক্ট দিতেই ব্যবহৃত হয়। ডেনিমের প্যান্টে যেসব ফেড ইফেক্ট দেখা যায় সেগুলো মূলত স্টোন ওয়াশিংয়ের মাধ্যমে তৈরী করা।
এরপর আরো আছে প্রেসিং সেকশন, ফোল্ডিং সেকশন। তৈরিকৃত গার্মেন্টসকে প্রেস করার প্রয়োজন হয় যেন এর অনাকাঙ্ক্ষিত ভাঁজসমূহ দূর হয়ে যায়। সাধারণ অর্থে আমরা একে আয়রনিং করা হিসেবেই বুঝে থাকি। কিন্তু আয়রনিং ছাড়াও আরো নানা উপায়ে প্রেস করা সম্ভব। যেমন- জলীয়বাষ্পের সাহায্যে প্রেস করা যায়, আবার ভ্যাকুয়ামের সাহায্যেও করা যায়। যদিও বাংলাদেশে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার তেমন একটা নেই। পোশাক ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে শ্রমিকরাই মূলত প্রেসিং এবং ফোল্ডিংয়ের কাজগুলো করে থাকে।
আমরা প্রযুক্তিতে এগিয়ে আছি নাকি পিছিয়ে আছি?
যদি বলা হয় যে, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহার হওয়া প্রযুক্তির দিক দিয়ে আমরা কতটা এগিয়ে আছি, তাহলে দেখা যাবে যে, দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু ইন্ডাস্ট্রিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে তুলনামূলকভাবে উন্নতমানের। এছাড়া নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহারও শুরু হচ্ছে, হচ্ছে ওল্ড ফ্যাশনড মেশিনের কনফিগারেশনের পরিবর্তন। কিন্তু তারপরও অনেক ইন্ডাস্ট্রিতেই এখনো সেভাবে সব প্রযুক্তির সুষ্ঠু ব্যবহার করাটা সম্ভব হচ্ছে না।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কাটিংয়ের ক্ষেত্রে এখনো ম্যানুয়াল বা সেমি অটোমেটিক কাটিং মোটামুটি সব ইন্ডাস্ট্রিতেই প্রচলিত। কিন্তু গুটিকয়েক ইন্ডাস্ট্রিতেই অটোমেটিক কাটিং মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। কাজেই আমাদের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে আরো উন্নত করতে এবং গ্লোবাল মার্কেটে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প রপ্তানিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ফিচার ইমেজ: dhakatribune.com