
তথ্য-প্রযুক্তি ও যোগাযোগব্যবস্থার পাশাপাশি নানা খাতে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। বাংলাদেশকে আরো সামনে এগিয়ে নিতে ও এর জীবনমানগত ভিত মজবুত করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নানা সময়ে হাতে নিয়েছে নানান পরিকল্পনা। এর কিছু হয়েছে বাস্তবায়িত, কিছু বন্দী হয়ে রয়েছে কাগজ কলমেই, কিছু পেয়েছে প্রশংসার নৈবেদ্য, আবার কিছু জোয়ার এনেছে বিতর্কের। নাগরিক সুবিধা ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত মেগাপ্রজেক্ট পরিকল্পনার দ্বিতীয় কিস্তি থাকছে আজকের লেখায়।
কর্ণফুলি আন্ডারওয়াটার টানেল
কর্ণফুলি নদীর তলদেশে নির্মিতব্য এই ডুবো-সুড়ঙ্গ হবে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম পানির নিচে তৈরি পথ। কয়েক লেনের পথযুক্ত এই সুড়ঙ্গটি চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য প্রান্তের সাথেও সংযোগ স্থাপন করবে। প্রায় ৮৪.৪৭ বিলিয়ন টাকা ব্যয়ের এই প্রজেক্টে চায়না এক্সিম ব্যাংক দেবে ৪৭.৯৯ বিলিয়ন টাকা, বাকি টাকা আসবে রাষ্ট্রীয় তহবিল হতে। এই সুড়ঙ্গপথ কর্ণফুলির ওপর নির্মিত দুটো সেতুর যানজটের চাপ কমিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যবর্তী যোগাযোগব্যবস্থাকে আরো সুগম করবে। কর্ণফুলি নদীর ওপর আরেকটি সেতু তৈরি করা হলে নদীর নাব্যতা হারিয়ে যেতে পারে বিধায় এই ডুবো-সুড়ঙ্গ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রপতি ঝি জিনপিং এর এটি উদ্বোধন করার কথা। ৩.৪ কিলোমিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গপথের কাজ ২০২০ সাল নাগাদ শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নির্মিতব্য কর্ণফুলি আন্ডারওয়াটার টানেল
এলএনজি টার্মিনাল
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা লিক্যুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল একটি ভাসমান স্থল যা তরল গ্যাস সংরক্ষণ ও পুনঃবায়বীয়করণের কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। এই এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে বাংলাদেশ কাতার থেকে দৈনিক প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানী করতে পারবে। এই পরিমাণ তরলীকৃত গ্যাসকে পুনঃবায়বীয়করণের মাধ্যমে তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
মহেশখালি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার লম্বা পাইপলাইন নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে জাতীয় গ্রিডের সাথে এই টার্মিনালের সংযোগ স্থাপন করা যায়। এই এলএনজি আমদানী করতে বার্ষিক খরচ হবে প্রায় ১.৫৬ বিলিয়ন ডলার। দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পুনঃতরলীকরণে খরচ পড়বে ২ লাখ ৪৮ হাজার ডলার। এলএনজি আমাদের জন্য অনেক খরুচে প্রমাণিত হলেও এর মাধ্যমে প্রধান জ্বালানী উৎসকে অন্যমুখী করা যাবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে গ্যাস বা জ্বালানী সংকটে যেন গ্যাসভিত্তিক কারখানা ও শিল্পগুলো বন্ধ না হয়ে যায় তা নিশ্চিত করা যাবে। পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে ২৪,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে এই এলএনজি আমদানী বেশ সাহায্য করবে।
এই ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এক্সেলারেট এনার্জি বাংলাদেশকে, যারা কিনা ১ লাখ ৫৯ হাজার ১৮৬ ডলার নেবে এলএনজি টার্মিনালের ভাড়া হিসেবে এবং ৪৫,৮১৪ ডলার নেবে এটিকে চালানোর জন্যে। অন্যান্য খাতে ব্যয় হবে আরো ৩২,০০০ ডলার। ফলস্বরূপ প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম পড়বে অন্তত ৩.২ ডলার করে। এই চুক্তির মেয়াদ ১৫ বছর। এছাড়াও আরো একটি ভাসমান ও চারটি স্থলজ এলএনজি টার্মিনালের কাজ চলছে।

এলএনজি টার্মিনাল
মাতারবাড়ি কয়লা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
মহেশখালীর নিকট মাতারবাড়িতে নির্মিত হতে যাওয়া মাতারবাড়ি কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রায় ১,৫০০ একর জায়গার ওপর তৈরি হচ্ছে। জায়গাটিকে উপযুক্ত করে কাজ করা খুবই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট হবে এবং এটি পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা ব্যয়বহুল বিদুৎকেন্দ্রের মধ্যে একটি হবে। কেননা ৪.৬ বিলিয়ন ডলার খরচে নির্মিতব্য এই স্থাপনাটির থাকবে কয়লা আমদানীর জন্য নিজস্ব গভীর সমুদ্রবন্দর। পাওয়ার ইভাক্যুয়েশন, সাবস্টেশন এবং প্ল্যান্টের পাশাপাশি বন্দর নির্মাণের কাজের জন্য নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর সীমানাপ্রাচীরের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ২০২২ সাল নাগাদ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটির কাজ শেষ হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

মাতারবাড়ি কয়লা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
ঢাকা এক্সপ্রেস উড়ালসড়ক
এটি বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেস উড়ালসড়ক। ৪৭.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মহাখালী, তেজগাঁও ও কমলাপুর হয়ে কুতুবখালীকে সংযুক্ত করবে। নগরীর যানজট কমাতে সহায়ক এই একপ্রেস উড়ালসড়ক পথের বাজেট ধরা হয়েছে ১২২ বিলিয়ন টাকা।

ঢাকা এক্সপ্রেস উড়ালসড়ক
গভীর সমুদ্রবন্দর
বাংলাদেশের বর্তমান তিনটি সমুদ্রবন্দরের কোনোটিই গভীর সমুদ্রবন্দর নয়। তাই বড় জাহাজ থেকে ছোট ছোট জাহাজ বা নৌযানে করে এনে পণ্য খালাস করা হয় বন্দরে- যা সময়সাপেক্ষ ও জটিল ব্যাপার। গভীর সমুদ্রবন্দর হলে সরাসরি জাহাজ থেকেই পণ্য খালাস করা সম্ভব হবে এবং বেঁচে যাবে দৈনিক প্রায় ১৫,০০০ ডলারের অতিরিক্ত পরিবহন খরচ। এই লক্ষ্যে কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির কথা থাকলেও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মারপ্যাঁচের দরুণ বাংলাদেশকে এটি বাতিল করার কৌশলী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এছাড়া অর্থসংকটও এর জন্য দায়ী।
বর্তমানে বাংলাদেশ পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে মনোনিবেশ করেছে। এটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে পটুয়াখালী এলাকায় তৈরি হবে। ব্রিটিশ কোম্পানি এইচআর ওয়েলিংফোর্ড এই বন্দরের উপযুক্ততা যাচাই করে দেখেছে এবং নির্মাণকাজে এরা বাংলাদেশকে নির্দেশনা দেবে। চীন, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক এবং ভারত আর্থিকভাবে সম্পৃক্ততার প্রস্তাব দিয়েছে। ১৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থলগ্নি করতে তারা আগ্রহী।
১৯টি আলাদা টেন্ডারের মাধ্যমে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে তিনটি মেয়াদে। স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে- পাথরবাহী, সারবাহী ও অন্যান্য বড় জাহাজগুলোর বহিঃনোঙ্গর করার ব্যবস্থা করা। মধ্যম কিস্তিতে ২০১৮ সালের মধ্যে বড় বহুমুখী টার্মিনালের অবকাঠামোর পাশাপাশি ১০ মিটার গভীর চ্যানেল তৈরি করা হবে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনানুসারে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৬ মিটার চ্যানেলসহ গভীর সমুদ্রবন্দরটি সম্পূর্ণ সচল হবে।

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর
পদ্মা বাঁধ
বাংলাদেশ সরকার পদ্মা বাঁধ তৈরির কথা ভাবছে। বন্যার সময় ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিলে বন্যায় পানির নিচে তলিয়ে যায় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকা। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ পদ্মা বাঁধ তৈরির কথা ভাবছে। এ বাঁধ ঐ মৌসুমে বন্যা আটকাতে শুধু পানিই ধরে রাখবে না, বরং এর থেকে পাওয়া যাবে বহুমুখী উপকারিতা।
যেমন- এই বাঁধের মাধ্যমে সঞ্চিত পানি, যা কিনা প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার জুড়ে রাজবাড়ীর পাংশা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাংখা পর্যন্ত প্রায় ২,৯০০ মিলিয়ন ঘনমিটার। খরা মৌসুমে তা ব্যবহার করে সেচ দেয়া থেকে শুরু করে গড়াই, মধুমতি ও পদ্মা নদীতে পানির যোগান দিয়ে এগুলোকে পুনঃসজীব করে তোলা যাবে। বৃহত্তর কুষ্টিয়া, ফরিদপুর যশোর, খুলনা, বরিশাল, পাবনা এবং রাজশাহীর প্রায় ১৯ লাখ হেক্টর কৃষিজমি এ থেকে উপকৃত হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের মাটিতে লবনাক্ততা কমাতেও ভূমিকা রাখবে এটি। এর পাশাপাশি এটি মৎস্য উৎপাদন বাড়িয়ে বৎসরে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টনে নিয়ে যাবে। পরিকল্পনামাফিক এর পাশে একটি পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা হলে তা বাৎসরিক ১৫০ মেগাওয়াট করে জাতীয় গ্রিডে যোগান দেবে।

পদ্মা বাঁধ
রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
বহুল বিতর্কিত বাংলাদেশের একটি প্রজেক্ট হলো রামপাল কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। ১,৩২০ মেগাওয়াটের এই শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি।
সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার উত্তরে পশুর নদীর তীরে ১,৮৩৪ একর জমির ওপর এটি তৈরি হচ্ছে। এটি তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার। এটি চালাতে বছরে ৪.৭২ বিলিয়ন টন কয়লা লাগবে যা প্রতিটি ৮০,০০০ টন ক্ষমতা সম্পন্ন মোট ৫৯টি জাহাজে করে নিয়ে আসা হবে। এই সব জাহাজ থেকে তেল, সালফার, ছাই কিংবা অন্যান্য জৈব-রাসায়নিক পদার্থ পশুর নদীতে প্রতিনিয়ত মিশতে থাকবে। এছাড়াও এসব জাহাজ ডুবে গেলে সেটাও ক্ষতি ডেকে আনবে। কেননা এতে বহনকারী সকল পদার্থ পানিতে মিশে যাবে। এতে জীব-বৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সুন্দরবন থেকে এটি মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ায় এর থেকে নির্গত তাপ ও অন্যান্য বস্তু পরিবেশের ক্ষতি ডেকে আনতে ভূমিকা রাখবে। এই শক্তিকেন্দ্রের প্রতিদিন দুই লক্ষ উনিশ হাজার ছয়শ ঘনমিটার পানি লাগবে যা পশুর নদী থেকে টেনে নেয়া হবে এবং ব্যবহৃত পানি প্রক্রিয়াজাত করে নদীতে ছাড়া হলে তা নানানভাবে পরিবেশ, জলজ জীবন ও জীববৈচিত্র্য এবং ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এখান থেকে নির্গত হওয়া বিষাক্ত গ্যাস, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ও নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ পরিবেশকে বিপর্যস্ত করবে। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর এক রিপোর্টে এই প্রজেক্টের ঝুঁকির কথা বলে বাংলাদেশকে এটি বাতিল করার অনুরোধ করা হয়। ভারতেও একসময় মধ্য প্রদেশে এর অনুরূপ একটি প্রজেক্ট বাতিল করে দিয়েছিল।
সরকারের দাবি অনুযায়ী, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্রীন হাউজ গ্যাসের নির্গমন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা হবে এবং দূষণ রোধে উন্নত মানের কয়লা, ২৭৫ ফিট লম্বা চিমনিসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ সামগ্রী আমদানী করা হচ্ছে। পক্ষ-বিপক্ষের নানা মতামত ও আলোচনার পাশাপাশি বিতর্কের জন্ম দিয়েই এগিয়ে চলেছে রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ। এ প্রজেক্টটি শেষপর্যন্ত কোন পরিণতিতে গিয়ে ঠেকবে তা একমাত্র সময়ই বলে দিতে পারে।

রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
৪ লেনের রাস্তা
ঢাকা-চট্টগ্রামের পর ঢাকা-সিলেট চার লেনের রাস্তার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে ১,৬০৩.৩৫ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সাহায্য প্রয়োজন।
এছাড়াও শান্তিনগর-মাওয়া উড়ালসড়ক ও ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালসড়ক, ঢাকা বাইপাস তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। এর পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি, সীতাকুন্ড-কক্সবাজার এলাকায় প্রহরা, পদ্মাসেতু রেল লিঙ্ক ১ ও ২, পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণসহ আরো নানা প্রজেক্টের জন্য বাংলাদেশ সরকার চীনের সাথে চুক্তি করেছে।
এভাবেই দেশজ উন্নয়ন ও উৎকর্ষতা সাধনকল্পে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে অসংখ্য পরিকল্পনা। এগুলোর সম্ভাবনা ও উপকারিতার পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে বিতর্ক, আশঙ্কা ও সমালোচনার সলতেও যে উস্কে উঠেছে তা বলবার অপেক্ষা রাখে না। প্রাকৃতিক সম্পদের যথার্থ মূল্যায়ন ও ব্যবহার এবং অর্থ-সম্পদের সঠিক প্রয়োগই রুখে দিতে পারে যেকোনো অযাচিত ফলাফল- সার্থক করতে পারে মেগা প্রজেক্টসমূহের মহৎ উদ্দেশ্যকে। বাংলাদেশের নেয়া এই মেগা প্রজেক্ট পরিকল্পনাসমূহ আমূল বদলে দিতে পারে দেশের ভবিষ্যত।
এ সিরিজের পূর্ববর্তী পর্ব
তথ্যসূত্র
১) goo.gl/eiW1iX
২) goo.gl/IyB5Sz
৩) goo.gl/m2mM21
৪) goo.gl/cx8ZFB
৫) goo.gl/RWBuu7
৬) goo.gl/hWWEoy
৭) goo.gl/xF4CiG