৮৫ টাকা মূল্যের মানুষেরা!

বৃষ্টিস্নাত বিকেলে রেঁস্তোরার নিয়ন আলোয় কিংবা রাস্তার মোড়ের ঝুপড়ি দোকানে চায়ের আড্ডা জমে ওঠে বেশ। মানুষের ভিন্নতায় আলাপের ধরন বদলায়। ক্রিকেটপ্রেমী তরুণ-তরুণীরা মেতে ওঠেন মাশরাফি কিংবা সাকিবের মতো তারকাদের নিয়ে। সুশীল নাগরিকের বেশভূষায় দেশের উন্নয়ন আর সমৃদ্ধি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করেন কেউ কেউ। রাজনীতি সচেতন যুবক-যুবতীদের আড্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে হয়ত থাকে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা কিংবা স্বাধীনতার প্রায় অর্ধ শতাব্দী পরও বাংলাদেশের গণতন্ত্রহীনতা। আবার নর-নারীর প্রেমের মতো রসালো আলাপেও মাতেন কেউ কেউ। চায়ের আড্ডার তাই নির্দিষ্ট কোনো ধরন নেই। চায়ের আড্ডা রাজনৈতিক, চায়ের আড্ডা অরাজনৈতিক; চায়ের আড্ডা সামাজিক, চায়ের আড্ডা অসামাজিক; চায়ের আড্ডা সুন্দর, চায়ের আড্ডা অশ্লীল!

কিন্তু যে চা হাতে কোটি মানুষ আড্ডায় মেতে ওঠেন, তার কারিগরদের নিয়ে আলাপ জমে কতটা? চায়ের রপ্তানি বাণিজ্য নিয়ে আনন্দের শেষ নেই, কিন্তু সেই বাণিজ্যের কতভাগ যায় চা শ্রমিকের হাতে? চায়ের কাপ হাতে প্রাণখোলা হাসি হাসেন আড্ডাবাজরা, কিন্তু এমন হাসির একটু-আধটুও কি শোনা যায় সিলেট কিংবা মৌলভীবাজারের চা শ্রমিকের ঝুপড়িতে? আজ রোর বাংলা ইনসাইটসে আমরা উত্তর খুঁজব এই প্রশ্নগুলোর।

Since then, in the last 97 years, little change has come into the lives of tea workers. Today they could barely live by the wage they earn, many of them go to bed half-fed, and their families cram into small quarters lacking any sanitation facilities.

Related Articles

Exit mobile version