বিশ্বের অনেক দেশের একনায়কদের ইতিহাসই মোটামুটি একইরকম। শুরুতে তারা জনগণের সমর্থন নিয়ে বিপ্লব করে অথবা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন, প্রথম কয়েক বছর বেশ জনকল্যাণমূলক কাজ করেন, কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে নিজেরাই জনগণের উপর জেঁকে বসেন। একটা সময় পর তাদের বিরুদ্ধেই নতুন করে বিপ্লব করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ বুতাফ্লিকাও এই চক্রের বাইরে যেতে পারেননি।
বংশগতভাবে আলজেরিয়ান হলেও আব্দুল আজিজ বুতাফ্লিকার জন্ম মরক্কোর ঔজদা শহরে, ১৯৩৭ সালের মার্চের ২ তারিখে। তার বাবা ছিলেন একজন সুফি শেখ। বাবার তত্ত্বাবধানে বাল্যকালেই তিনি পবিত্র কুরআন শরিফে হাফেজ হন। এরপর ঔজদার হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক শেষ করে দর্শন বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে তার বয়স তখন মাত্র ১৯ বছর, তখন পড়াশোনা শেষ না করেই তিনি আলজেরিয়ার স্বাধীনতাকামী সংগঠন এফএলএন (FLN – National Liberation Front)-এর সামরিক শাখা এএলএন (ALN – National Liberation Army)-এ যোগ দেন।
সে সময় মরক্কোতে এএলএনের কমান্ডার ছিলেন হুয়ারি বুমেদিন। মেধাবী, চৌকস যুবক বুতাফ্লিকা নিজ যোগ্যতা দ্বারা বুমেদিনের নজর কাড়তে সক্ষম হন। ফলে তিনি সংগঠনের ভেতর দ্রুত পদোন্নতি লাভ করতে থাকেন। ১৯৬০ সালে বুমেদিন বুতাফ্লিকার হাতে আলজেরিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত মালিয়ান ফ্রন্টের নেতৃত্ব তুলে দেন। এ সময় তিনি আব্দুল কাদের আল-মালি উপাধি লাভ করেন, যা দীর্ঘকাল স্থায়ী হয়।
১৯৬২ সালে আলজেরিয়ার স্বাধীনতার পর দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসে আলজেরিয়ার পশ্চিমে এবং মরোক্কো ফ্রন্টে লড়াই করা এএলএনের শাখাটি, যারা স্থানীয়ভাবে ঔজদা গ্রুপ নামে পরিচিত ছিল। এ সময় আব্দুল আজিজ বুতাফ্লিকা স্বাধীন আলজেরিয়ার প্রথম মন্ত্রিসভায় প্রেসিডেন্ট আহমেদ বেন বেল্লার অধীনে ক্রিড়া, যুব ও পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন। পরের বছর যখন তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন তিনি হন বিশ্বের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যে রেকর্ডটি আজও তিনি ধরে রেখেছেন।
১৯৬৪ সালে আব্দুল আজিজ বুতাফ্লিকা তৎকালীন আলজেরিয়ার একমাত্র রাজনৈতিক দল এফএলএনের পলিটিক্যাল ব্যুরো এবং সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তার এবং যুদ্ধের সময় তার কমান্ডার বুমেদিনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন প্রেসিডেন্ট আহমেদ বেন বেল্লা। ১৯৬৫ সালে যখন তিনি বুতাফ্লিকাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রির দায়িত্ব থেকে অপসারণ করার উদ্যোগ নেন, তখন এক রক্তপানহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন হুয়ারি বুমেদিন। এই অভ্যুত্থানে বুতাফ্লিকাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ফলে দেশ পরিচালনার জন্য নবগঠিত বিপ্লবী কাউন্সিলে তিনিও স্থান পান।
আব্দুল আজিজ বুতাফ্লিকা ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছর আলজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করা বুতাফ্লিকার মধ্যে এ সময় তৃতীয় বিশ্বের নিপীড়িত এবং স্বাধীনতাকামী বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রতি সহযোগিতামূলক পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করার নীতি পরিলক্ষিত হয়। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মতো সাহসী পদক্ষেপও গ্রহণ করেন।
দীর্ঘদিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আব্দুল আজিজ বুতাফ্লিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টি, ওমানের ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন পার্টিসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের বিভিন্ন বিপ্লবী সংগঠনকে সহায়তা প্রদান করেন। তিনি আর্জেন্টাইন বিপ্লবী নেতা চে গুয়েভারাকে আর্থিক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানেরও ব্যবস্থা করেন। ১৯৭৪ সালে বুতাফ্লিকা যখন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন, তখন তিনিই ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামের নেতা ইয়াসির আরাফাতকে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে বক্তব্য দানের সুযোগ করে দেন।
১৯৭৮ সালে হুয়ারি বুমেদিনের মৃত্যুর পর এফএলএনের নেতৃত্বের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়। বুমেদিনের উত্তরসূরি হিসেবে বুতাফ্লিকা এবং এফএলএনের পরিচালক সালাহ ইয়াহইয়োকে বিবেচনা করা হলেও শেষপর্যন্ত ক্ষমতায় বসেন সামরিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট প্রতিরক্ষামন্ত্রী শাদলি বেনজেদিদ। এ সময় বুতাফ্লিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও উঠতে থাকে। ১৯৮১ সালে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করা হয় এবং তাকে এফএলএন পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
কারাবরণের হাত থেকে বাঁচতে তিনি দেশ ত্যাগ করেন। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্সে স্বেচ্ছা নির্বাসনে কাটান তিনি। ১৯৮৩ সালে তার অনুপস্থিতেই আদালত ঘোষণা করে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ডিপ্লোম্যাটিক এবং কন্স্যুলার মিশনগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট থেকে সর্বমোট ৫৯ মিলিয়ন আলজেরিয়ান দিনারের অপব্যবহার করেছিলেন।
বুতাফ্লিকার একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইয়াসির আরাফাত এবং আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী শেখ জায়েদের অনুরোধে ১৯৮৬ সালে প্রেসিডেন্ট বেনজেদিদ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন। পরবর্তী বছর বুতাফ্লিকা দেশে ফিরে যান। দুই বছর পর, ১৯৮৯ সালে এফএলএন পুনরায় তাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করে। এ সময় আলজেরিয়ায় ধীরে ধীরে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করতে শুরু করে।
কিন্তু ১৯৯১ সালের সংসদীয় নির্বাচনের সময় ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট (FIS) যখন জয়লাভের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়, তখন সেনাবাহিনী সেখানে হস্তক্ষেপ করে। তারা নির্বাচন বাতিল করে, এফআইএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং এর কর্মীদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করে। প্রতিক্রিয়ায় ইসলামপন্থী দলগুলো বিভিন্ন মিলিশিয়া গঠন করে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হলে দেশে দীর্ঘমেয়াদি গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
এরকম পরিস্থিতিতে ১৯৯২ সালে সেনাবাহিনী সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বুদিয়াফ নিহত হওয়ার পর ১৯৯৪ সালে সেনাবাহিনী বুতাফ্লিকাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানায়। কিন্তু বুতাফ্লিকা সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন এই আশঙ্কায় যে, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে তিনি স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কিন্তু এর পাঁচ বছর পর ১৯৯৯ সালে হঠাৎ করেই তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করতে রাজি হয়ে যান। ঐ নির্বাচনে তিনি ৭৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন, যদিও নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে জালিয়াতির অভিযোগে অন্য সকল প্রার্থি তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়।
ক্ষমতায় আসার পর বুতাফ্লিকা প্রথমেই নজর দেন আট বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের দিকে। তিনি হাজার হাজার ইসলামপন্থী মিলিশিয়াকে জেল থেকে মুক্তি দেন, তাদের সাথে সমঝোতায় যান এবং তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা চালান। ফলে ধীরে ধীরে আলজেরিয়া শান্তির পথে এগোতে থাকে এবং ২০০২ সালে প্রায় এক দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
২০০৪ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি শান্তি প্রক্রিয়া বজায় রাখার উদ্দেশ্যে অবশিষ্ট বন্দীদেরকেও মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সরাসরি হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত নয়, এরকম সকল বন্দীদেরকে ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি ‘চার্টার ফর পিস অ্যান্ড রিকন্সিলিয়েশন’ প্রবর্তন করেন এবং এর পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালান। সে বছর সেপ্টেম্বর মাসে এর উপর গণভোটের আয়োজন করলে ৯৭ শতাংশ জনগণ এতে হ্যাঁ ভোট দেয়। ফলে গৃহযুদ্ধ শেষে আলজেরিয়ার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের সুযোগ উন্মুক্ত হয়।
গৃহযুদ্ধ শেষে বুতাফ্লিকা দেশ গঠনের প্রতি মনোযোগ দেন। সে সময় একইসাথে দেশে স্থিতিশীলতা আসায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য বেশি থাকায় তিনি দেশ পুনর্গঠনের কাজে ব্যাপক বিনিয়োগ করার সুযোগ পান। তিনি আলজেরিয়ার সকল বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হন এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, অবকাঠামোসহ সকল খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করার সুযোগ পান।
দুই মেয়াদের সফল শাসন শেষে, গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে এবং আলজেরিয়াকে উন্নয়নের ট্রেনে উঠিয়ে দিয়েই যদি বুতাফ্লিকা অবসরে যেতেন, তাহলে হয়তো তিনি আলজেরিয়ানদের হৃদয়ে চিরস্থায়ী আসন করে নিতে পারতেন। কিন্তু সমসাময়িক অন্যান্য আরব নেতার মতোই তিনিও ক্ষমতার লোভ ছাড়তে পারেননি। ২০০৮ সালে ৭১ বছর বয়সী বুতাফ্লিকা সংবিধান সংশোধন করে সর্বোচ্চ দুইবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যে সীমা ছিল, তা উঠিয়ে দেন এবং কার্যত আজীবন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বহাল থাকার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
২০১১ সালে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় যখন আরব বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে, তখন আলজেরিয়াতেও সীমিত আকারে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হয়েছিল। কিন্তু বুতাফ্লিকা সে যাত্রা জনগণকে শান্ত করেছিলেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে, এরপর তিনি আর নির্বাচনে দাঁড়াবেন না। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের ধকল কাটিয়ে উঠা আলজেরিয়ান জনগণও সে সময় নতুন করে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে আগ্রহী ছিল না।
কিন্তু আরব বসন্তের পর আট বছর অতিক্রান্ত হলেও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি বুতাফ্লিকা। ২০১৩ সালে স্ট্রোক করে হুইল চেয়ারে আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও ২০১৪ সালে পুনরায় ক্ষমতায় বসেছেন তিনি। এরমধ্যে তেলের মূল্যহ্রাস, দুর্নীতি, বেকারত্ব, সবকিছু মিলিয়ে জনগণ তার উপর হতাশ এবং বীতশ্রদ্ধ। ফলে ২০১৯ সালে ৮২ বছর বয়সী অথর্ব বুতাফ্লিকা যখন ঘোষণা দেন যে, তিনি পুনরায় নির্বাচনে দাঁড়াবেন, তখন রাস্তায় নেমে আসে আলজেরিয়ার জনগণ।
এ কথা সত্য যে, আব্দুল আজিজ বুতাফ্লিকার হাত সমসাময়িক অন্যান্য স্বৈরশাসকদের মতো জনগণের রক্তে রঞ্জিত না। আলজেরিয়ার জনগণও আন্দোলন করছে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে, পুলিশও তাদেরকে থামাতে খুব বেশি বল প্রয়োগ করছে না। কিন্তু তারপরেও গত একমাস ধরে চলা আলজেরিয়ার এ আন্দোলন পরিণত হয়েছে আলজেরিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আন্দোলনগুলোর মধ্যে একটি।
জনগণের চাপের মুখে বুতাফ্লিকা শেষপর্যন্ত নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু নিজেকে এবং পুরানো নেতৃত্বকেই ক্ষমতার আশেপাশে রেখে নতুন নির্বাচনের যে পরিকল্পনা তিনি ঘোষণা করেছেন, তাতেও জনগণ সন্তুষ্ট হতে পারছে না। বিশেষ করে অতীতে প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা ভঙ্গ করায় অনেকেই আশঙ্কা করছে, এবারও হয়তো তিনি জনগণকে শান্ত করার জন্যই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ফলে দিনে দিনে আলজেরিয়ার রাজপথের মিছিলের আকার বেড়েই চলছে।
যে আব্দুল আজিজ বুতাফ্লিকা একটা সময় জনপ্রিয় থেকেই ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়ে ইতিহাসের অংশ হতে পারতেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে গিয়ে তিনি হয়তো নিক্ষিপ্ত হতে যাচ্ছেন ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে।