‘অ্যাপসলস টু দ্য স্ল্যাভস’ বা স্ল্যাভনিকদের দূত হিসেবে তারা ইতিহাসে পরিচিত। অর্থোডক্স চার্চ কর্তৃক তারা সেইন্ট হিসেবে অভিহিত। সেখানে তাদের খেতাব ‘ইকুয়ালস টু দ্য অ্যাপসল’। প্রতিবছর তাদের স্মরণে চার্চে আয়োজন করা হয় বিশেষ ভোজ, এতটাই সম্মানিত তারা। আর এই সম্মান তারা আদায় করে নিয়েছেন নিজেদের কর্মের মাধ্যমেই। সমগ্র স্ল্যাভিক জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনধরন তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। তাদের আবিষ্কৃত গ্ল্যাগোলিটিক এবং সিরিলিক বর্ণমালার উপর ভিত্তি করে লিখিত রূপ তৈরি হয়েছে শতাধিক ভাষার, যার মাঝে ৫০টি এখনো প্রচলিত। তারা সিরিল এবং মেথোডিয়াস ভাতৃদ্বয়।
সিরিল এবং মেথোডিয়াস ভাতৃদ্বয়ের জন্ম মধ্যযুগীয় গ্রিসের থেসালোনিকি নামক শহরে। তাদের বাবা লিওন ছিলেন শহরের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। এই বাইজেন্টাইন গ্রিক যোদ্ধার ঘরে জন্ম হয় ৭ সন্তান, যাদের মাঝে সর্বকনিষ্ঠ সিরিলের জন্ম ৮২৭ খ্রিস্টাব্দে। তার একবছর পূর্বে জন্ম নেন মেথোডিয়াস। সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম হওয়ায় তাদের শৈশব কেটে গিয়েছিল নির্বিঘ্নে। ক্লাসিক্যাল পড়ালেখা এবং সমরশাস্ত্র অধ্যয়নই ছিল তাদের প্রাথমিক শিক্ষা। কৈশোরে লিওন মারা গেলে বয়সে সবচেয়ে ছোট এই দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নেন তাদের চাচা থিওকটিসটস। থিওকটিসটস ছিলেন গ্রিসের লেখাপড়া সংক্রান্ত একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তার অধীনে সিরিল আর মেথোডিয়াসের পড়ালেখাটা তাই সম্পন্ন হয়েছিল বেশ ভালোভাবেই।
তবে দুই ভাইয়ের পড়ালেখা সম্পন্ন হয়েছিল ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, ভিন্ন পথে। মেথোডিয়াস কনস্টান্টিনোপলের বিখ্যাত আশ্রম পলিকর্নে পড়ালেখা করেন। সিরিল থেকে যান জন্মস্থানেই, যেখানে তিনি ফোটিয়াসের মতো বিখ্যাত শিক্ষকের কাছে শিক্ষা লাভ করেন। জ্যোতির্বিদ্যা, জ্যামিতি, ভূগোল, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, অলংকারশ্রাস্ত্র আর সঙ্গীতে বিস্তর পড়ালেখা করলেও তিনি সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন ভাষাবিদ্যায়। মাতৃভাষা গ্রিকের পাশাপাশি তিনি আরবি, ফার্সি, ল্যাটিন আর হিব্রুতেও সমান দক্ষ হয়ে ওঠেন। পড়ালেখা শেষ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করলেও বেশিদিন তা টেকেনি। পরবর্তীতে একটি আশ্রমে দর্শনের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।
কিছুকাল শিক্ষকতা করার পর সিরিল দেখলেন যে তিনি তার মেধার যথার্থ প্রয়োগ ঘটাতে পারছেন না। নিজের একাধিক ভাষায় দক্ষতাকে কাজে লাগাতে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন সরকারের ধর্ম বিষয়ক বৈদেশিক দূত (কূটনীতিক) হিসেবে কাজ করবেন। বংশগত পরিচয়ের পাশাপাশি তার মেধার কথাও কারো অজানা ছিল না। ফলে সহজেই তিনি চাকরি পেয়ে গেলেন। তার প্রথম কূটনৈতিক সফর ছিল আব্বাসীয় খলিফা আল-মুতাওয়াক্কিলের দরবারে। উদ্দেশ্য ছিল খলিফার সাথে হোলি ট্রিনিটি নিয়ে আলোচনা করে খেলাফত এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। আরবি ভাষায় সাবলীল হওয়ায় তার প্রথম সফরই সফল হয়।
এই সফরের পর কূটনীতিক হিসেবে তার খ্যাতি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে আরো অসংখ্য রাষ্ট্রীয় সফরে কূটনৈতিক দূতের ভূমিকা পালন করেন তিনি। মুসলিম খলিফাদের পাশাপাশি একাধিক খ্রিস্টান ও ইহুদী রাজার দরবারেও শান্তির বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন সিরিল। এসবের মধ্য দিয়ে বাইজেন্টাইন রাজনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুনাম লাভ করেন। তবে ব্যর্থতা যে ছিল না এমনও না। খাজার খাগানে এক ইহুদী রাজা তার রাজ্যে বাধ্যমূলক ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করার আইন জারি করেন। এই আইন শান্তি ভঙ্গ করতে পারে এমন আশংকায় সিরিলকে সেখানে দূত হিসেবে প্রেরণ করেন বাইজেন্টাইন সম্রাট তৃতীয় মাইকেল। সিরিল সেই রাজাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসলে মেথোডিয়াস পুনরায় সিরিলকে নিয়ে খাজার খাগান গমন করেন। কিন্তু দ্বিতীয়বারেও ব্যর্থ হন সিরিল। দেশে দেশে রাষ্ট্রীয় ভ্রমণের মাঝেও দর্শনের শিক্ষক হিসেবে পাঠদান চালু রেখেছিলেন তিনি।
৮৬২ খ্রিস্টাব্দে সিরিল ও মেথোডিয়াসের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়টির সূচনা হয়, যা তাদেরকে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে। সে বছর মোরাভিয়ার শাসক রাস্টিস্লাভ সম্রাট তৃতীয় মাইকেলের কাছে তার রাজ্যে (রাস্টিস্লাভের) ধর্মীয় দূত প্রেরণ করার জন্য আবেদন করেন। এ আবেদন ধর্মীয় কারণের চেয়ে বেশি রাজনৈতিক কারণে ছিল। রাস্টিস্লাভের রাজ্যে ফ্রাঙ্কিশ রাজা লুইসের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি ক্ষমতা হারানোর আশংকা করছিলেন। তাই বাইজেন্টাইন ধর্মীয় দূতের মাধ্যমে তাদের সাথে সম্পর্ক ভালো করে নিজের অবস্থান শক্ত করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। এদিকে এটি ছিল বাইজেন্টাইনদের জন্যও সাম্রাজ্যের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ। সম্রাট এই ধর্মীয় কূটনৈতিক সফরে সিরিল আর মেথোডিয়াসকে প্রেরণের সিদ্ধন্ত নেন।
১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের দিকে মোরাভিয়ায় ধর্ম, একইসাথে বাইজেন্টাইন সংস্কৃতি প্রচার শুরু করেন সিরিল ও মেথোডিয়াস ভাতৃদ্বয়। প্রথমেই তারা নিজেদের কিছু অনুগত সমর্থক ও শিষ্য তৈরি করেন নানারকম দীক্ষাদানের মাধ্যমে। এরপর তারা তৎকালীন স্ল্যাভিক ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করেন, যে ভাষাটি এখন ‘ওল্ড চার্চ স্ল্যাভনিক’ নামে পরিচিত। প্রাথমিকভাবে কোনো বাধার সম্মুখীন না হলেও দ্রুতই তাদের সাফল্যে শংকিত হয়ে ওঠে ইকলিজিয়াস্টিক চার্চ। তাদের বাধার মুখে ওল্ড চার্চ স্ল্যাভনিক ভাষায় অনুবাদ করা বাইবেলের প্রচারণা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষের সর্বোচ্চ সৃজনশীলতা প্রকাশ পায়। সিরিল ও মেথোডিয়াসের ক্ষেত্রেও তাই হলো। উভয়ে মিলে গ্ল্যাগোলিটিক বর্ণমালা তৈরি করেন, যা পরবর্তীতে আবিষ্কৃত সিরিলিক বর্ণমালার ভিত্তি। এই বর্ণমালাটি তারা এমনভাবে তৈরি করেন যা তৎকালীন স্ল্যাভিক ভাষার জন্য মানানসই ছিল। এই বর্ণমালা ব্যবহার করে তারা পুনরায় বাইবেলসহ অন্যান্য ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বইপত্র অনুবাদ করেন। এসব অনুবাদের ভাষাকে ওল্ড চার্চ স্ল্যাভনিকের উন্নত সংস্করণও বলা হয়, যা এখনো অনেক ক্যাথলিক চার্চে প্রচলিত আছে।
এদিকে, নতুন করে গ্লাগোলিটিক বর্ণমালায় ধর্মীয় অনুবাদ করেও সফল হন সিরিল এবং মেথোডিয়াস, যা পুনরায় এতদঞ্চলের ইকলিজিয়াস্টিক চার্চের যাজকদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নতুন করে কলহ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় পোপ প্রথম নিকোলাস ধর্মপ্রচারক ভাতৃদ্বয়কে রোমে আমন্ত্রণ জানান। উল্লেখ্য, ততদিনে তাদেরকে বৈদেশিক দূত কিংবা কূটনীতিকের পাশাপাশি ধর্মপ্রচারক হিসেবে অভিহিত করতে শুরু করেছে অনেকে। অবশ্য মোরাভিয়া তথা সমগ্র কনস্টান্টিনোপলে সিরিল ও মেথোডিয়াসের ওল্ড চার্চ স্ল্যাভনিকের চর্চা গৃহীত হয়নি ইকলিজিয়াস্টিক চার্চের গোঁড়ামির জন্য, যারা ল্যাটিন, হিব্রু এবং গ্রিক ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করতে নারাজ ছিলেন। যা-ই হোক, রোমে সিরিল এবং মেথোডিয়াসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। তাদের ধর্মের মাধ্যমে শান্তি স্থাপনের প্রয়াসকে প্রশংসা করা হয়। ভাতৃদ্বয়ের সাথে আসা তাদের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ৫ শিষ্যকেও সম্মানিত করা হয়। দুই ভাই এবং ৫ জন শিষ্যসহ মোট ৭ জনকে একত্রে ‘দ্য সেভেন সেইন্টস’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। এই উপাধিগ্রহণের ঠিক ৫০ দিন পর, ৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই ফেব্রুয়ারি সিরিল মৃত্যুবরণ করেন।
ভাইয়ের মৃত্যুতে মেথোডিয়াস প্রথমে দমে গেলেও পরে সিদ্ধান্ত নেন যে, তিনি পুনরায় মোরাভিয়ায় গিয়ে ধর্মপ্রচারের কাজ শুরু করবেন। কিন্তু, মোরাভিয়ার শাসক রাস্টিস্লাভকে ততদিনে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে ফেলেছে রাজা লুইসের সমর্থকরা। ফলে, পোপের দ্বারা নির্বাচিত হবার আগপর্যন্ত মোরাভিয়া যাওয়া তার জন্য নিরাপদ ছিল না। তাই প্রাথমিকভাবে প্যানোনিয়ায় ধর্মপ্রচারের কাজ শুরু করেন মেথোডিয়াস। ৩ বছর পর ৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি পোপ কর্তৃক প্যানোনিয়া এবং মোরাভিয়া, উভয় অঞ্চলের আর্চবিশপ নির্বাচিত হন। অবশ্য ইতিহাসবিদদের একটা অংশের দাবি, তাকে ১৮৭০ সালেই আর্চবিশপ করা হয়েছিল। রাজনৈতিক সমস্যা না মেটার কারণে ক্ষমতা গ্রহণ করতে ৩ বছর লেগে যায়।
এদিকে মেথোডিয়াসের আর্চবিশপ হওয়া নিয়ে দুটি প্রতিপক্ষ শ্রেণী তৈরি হয়। পোপের সমর্থন থাকা স্বত্বেও জার্মানির রাজা লুইসের অধীনে থাকা চার্চগুলোর বিশপগণ মেথোডিয়াসকে ঐতিহ্য ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন। রোমের (পোপ এবং রোমের আর্চবিশপগণ) সরাসরি হস্তক্ষেপে মুক্ত হবার আগে রিজেন্সবার্গ শহরে আড়াইবছর জেলে কাটাতে হয়েছিল তাকে। এতকিছুর পরও মোরাভিয়ায় ধর্মপ্রচারের জন্য স্ল্যাভনিক ব্যবহারের সুযোগ হয়নি তার। বাইবেলে এবং চার্চগুলোতে ল্যাটিন, গ্রিক এবং হিব্রু ছাড়া আর কোনো ভাষাই ব্যবহারের অনুমতি দিতে নারাজ ছিল সেখানকার গোঁড়া বিশপগণ। এছাড়াও নানারকম ছোটবড় বিবাদ লেগেই ছিল বৃহত্তর মোরাভিয়ায়। এসব বিবাদ আর সমস্যা সামলাতে সামলাতেই পৃথিবীতে নিজের কর্মময় অধ্যায়ের ইতি টানেন মেথোডিয়াস। ৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে মোরাভিয়ার রাজধানীর প্রধান চার্চে সমাহিত করা হয়েছিল। সমস্যা হলো, বৃহত্তর মোরাভিয়ার রাজধানী আসলে কোন শহরটি ছিল, তা নিশ্চিত করতে পারেননি ইতিহাসবিদগণ। তাই মেথোডিয়াসের সমাধি কোথায় তা এখন অজানা।
গ্ল্যাগোলিটিক বর্ণমালা তৈরি করাই ছিল সিরিল এবং মেথোডিয়াস ভাতৃদ্বয়ের সবচেয়ে বড় অর্জন। বিভিন্ন স্ল্যাভিক বর্ণমালার মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রাচীন। গোঁড়া চার্চগুলোর ল্যাটিন ব্যবহারের একগুঁয়েমির কারণে যদিও এর বিস্তার খুব বেশি হয়নি, তথাপি তাদের স্থাপিত ‘গ্রেট মোরাভিয়া একাডেমি’র হাত ধরে বাইবেল ও অন্যান্য ধর্মীয় পুস্তকের মাধ্যমে ঠিকই প্রসার লাভ করেছিল এটি। পরবর্তীকালে আসে সিরিলিক বর্ণমালা যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব সমস্ত ঐতিহাসিক দলিলের মাধ্যমে সিরিলকেই দেয়া হয়েছে, যদিও সিরিলের জীবদ্দশায় এ বর্ণমালা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়নি। তার মৃত্যুর পর ক্লিমেন্ট এবং নোম নামক তার দুজন শিষ্য একে পূর্ণতা দান করেন। তথাপি সিরিলের মৃত্যুর অন্তত দুশো বছর পর সিরিলিক বর্ণমালা ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়। বাইজেন্টাইন সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, এরকম আশংকায় বুলগেরিয়ান সাম্রাজ্য কিংবা জার্মানরা এ বর্ণমালা গ্রহণ করেনি দীর্ঘকাল। তারা গ্রিক এবং ল্যাটিন ব্যবহার করতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করতো।
মৃত্যুর পরপরই সিরিল এবং মেথোডিয়াসকে তাদের শিষ্যরা ঈশ্বরের পবিত্র দূত হিসেবে প্রচার করতে শুরু করেন। এ প্রচারণা মোরাভিয়া, প্যানোনিয়া এবং রোমের মানুষজন সাদরে গ্রহণ করেছিল। ইকলিজিয়াস্টিক চার্চগুলোতেও একসময় তাদেরকে সেইন্ট বলে ডাকা শুরু হলো। তারা পেয়ে গেলেন ‘সেইন্ট অব দ্য স্ল্যাভস’ পরিচিতি। এ পরিচিত এসেছিল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে, যারা মেথোডিয়াসের শেষকৃত্যের দিন দুই ভাইকেই সেইন্ট বলে শ্লোগান দেন। ১৯ শতকে রোমান এবং ক্যাথলিক, উভয় চার্চ কর্তৃক ‘অ্যাপোসলস অব দ্য স্ল্যাভস’ খেতাবে ভূষিত হন তারা। তাদের স্মরণে ক্যাথলিক চার্চে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভোজের আয়োজন করা হয়, অর্থোডক্স চার্চে করা হয় ১১ই মে। তাদের জন্মদিনে রোমের রাস্তায় বের হয় রঙিন শোভাযাত্রা। সব মিলিয়ে, সিরিল এবং মেথোডিয়াস ভাতৃদ্বয় ইতিহাসে ভাষাতাত্ত্বিক গুরুত্বের পাশাপাশি ধর্মীয় দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত হয়ে আছেন।