সিন্ধুর সম্ভ্রান্ত বংশের সন্তান শেখ মুসা। চরিত্র আর জ্ঞান- উভয় কারণেই বেশ পরিচিত। তারই বংশধর শেখ খিজিরের মধ্যে প্রধান হয়ে দেখা দিল আধ্যাত্মিক তৃষ্ণা। অদ্ভুত অনুসন্ধিৎসার কারণে ছুটে বেড়ালেন পূর্ব থেকে পশ্চিম। পূর্বপুরুষ এসেছিল আরব থেকে। তাই আরবের ঠিক যে বংশ থেকে তাদের উদ্ভব, সেই জাতিগোষ্ঠীর সাথেও কাটান বেশ কিছুদিন। শেষমেশ থিতু হলেন আজমীরের নিকটে নাগোর নামক স্থানে। নিয়মিত হাজির হতেন চিশতিয়া তরিকার সুফি শেখ হামিদুদ্দিনের জলসায়। এই শেখ খিজিরের পরিবারেই ৯১১ হিজরিতে জন্ম গ্রহণ করেন শেখ মোবারক। শেখ খিজিরের পুত্র।
মাত্র চার বছর বয়স থেকেই শেখ মোবারক পরিচয় দিতে থাকেন রক্তের। তা ফুটে উঠে মেধা এবং চিন্তাশক্তির মাধ্যমে। পিতার উত্তরাধিকার হিসেবেই পেয়েছিলেন ভেতরের তৃষ্ণা। পিতার চেয়ে ছুটাছুটি কম করেননি তিনি তার জন্য। সুফি মননের কারণে সমালোচিতও কম হননি। তারপরেও পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতি হিসেবে মোঘল শাসক বাবরের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। বাবর তখন ভারতে এসে সদ্য প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। আরো পরে ৯৫০ হিজরিতে মহররম মাসে আগ্রায় চারবাগ ভিলার নিকটে স্থায়ী হন। সেই চারবাগ ভিলাও বাবরেরই নির্মিত। যা-ই হোক, সেখানেই জন্মগ্রহণ করে দুই পুত্র। প্রথমজন আবুল ফয়েজ কবি ও গণিতজ্ঞ। নিজের যোগ্যতাতে অনেক আগেই জায়গা করে নেন তৃতীয় মোঘল সম্রাট আকবরের প্রিয়মহলে। তবে প্রজ্ঞা আর প্রভাবে তাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন ছোট ভাই। শুধু মোঘল আমল না; ভারতের গোটা বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার ইতিহাসে বিশেষভাবে উজ্জ্বল সেই নাম- আবুল ফজল।
আবুল ফজলের ব্যক্তিত্ব এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ জীবন গঠনে পিতা শেখ মোবারকের ভূমিকা ব্যাপক। শৈশব থেকেই উৎসাহ আর মনোযোগের সাথে অধ্যয়ন করতে থাকেন তার সান্নিধ্যে। মাহদি মতবাদ সমর্থনের দরুণ রাজ দরবারের পণ্ডিত ব্যক্তিদের হাতে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে শেখ মোবারককে। সেই সময় হিজরি সহস্রাব্দের পরিবর্তন ঘটছিলো। খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতকের শেষ দিকেই সৈয়দ মুহাম্মদ জৈনপুরী নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করে দারুণ সাড়া পান। তিনি ক্রমবর্ধমান বস্তুবাদিতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আধ্যাত্মিক অগ্রগতির পথে ডাকেন।
বিদ্যমান নানা অস্থিরতার কারণে ক্রমে মাহদি মতবাদ জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। যেকোনো সহস্রাব্দ বদলের ঘটনায় বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিশেষ আন্দোলন দেখা যায় বিভিন্ন ধর্ম ও সমাজে। এই ধারণা মিলেনারিয়ানিজম নামে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ক্রুসেডপূর্ব জেরুসালেমমুখী পশ্চিমা জনতার স্রোতের একটা বড় কারণ ছিলো খ্রিষ্টীয় পঞ্জিকায় সহস্রাব্দ বদলের ঘটনা। যীশুর পুনরায় আবির্ভূত হবার সম্ভাব্য সময়। অর্থাৎ সহস্রাব্দ মতবাদ। ভারতের প্রেক্ষাপটে হিজরি সহস্রাব্দের এই পরিবর্তন ধারণা মাহদি মতবাদের পেছনে কিছুটা হলেও জ্বালানির ভূমিকা পালন করা অসম্ভব না। অসম্ভব না পরবর্তীতে খোদ আকবরের দীন-ই ইলাহি প্রতিষ্ঠার পেছনে ক্রিয়াশীল মনস্তত্ত্ব গঠনে।
যা-ই হোক, তরুণ আবুল ফজলের মনে সেই বিশ্বাসের অস্থিরতা গভীর রেখাপাত করে। এই প্রভাবেই শিক্ষালাভ করেন ধর্ম, দর্শন এবং অন্যান্য শাস্ত্র; যা তাকে উদার হিসেবে পরিণত করেছে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে আরবি বলতে ও লিখতে পারার যোগ্যতা এবং পনের বছর বয়সেই মানসিক পরিপক্কতা সমসাময়িক ব্যক্তিদের বিস্মিত করে। আবুল ফজলের লেখাপড়াতে মনোযোগ ছিল প্রবল। দরবারে থাকার ফলে বন্ধনের সৃষ্টি হয়। এ কারণে অনাড়ম্বর বন্ধনহীনতাকেই বেছে নিয়েছিলেন। নিজেকে লুকিয়ে রাখার দরুণ তাকে কেউ অনুভব করতে পারেনি গোড়ার দিকে। অবশেষে বড় ভাই আবুল ফয়েজ তার জন্য তৈরি করে দেন দরবারে পথ। ৯৮১ হিজরির শেষ এবং ১৫৭৪ সালের দিকে আবুল ফজল সম্রাট আকবরের সামনে হাজির হন বড় ভাইয়ের সাথে। সেই উপস্থিতিই বদলে দেয় সবকিছু। আকবর তার প্রতিভায় রীতিমতো অভিভূত। রত্নের অন্বেষণে থাকা ডুবুরির কাছে যেন এক আস্ত সমুদ্র এসে ধরা দিলো।
১৫৭৯ সাল থেকে আবুল ফয়েজ এবং আবুল ফজল- দুই ভাইয়ের সাথে সম্রাট আকবরের সম্পর্ক ঘনীভূত হতে থাকে। আকবরের কাছে বড় ভাইয়ের অবস্থান বোঝা যায়; যখন দেখা যায় রাজপুত্র মুরাদের শিক্ষক হিসেবে তাকে নিযুক্ত দেয়া হলো। অবশ্য ফয়েজ এবং ফজল উভয়েই সেনাবাহিনীতে প্রবেশ করেছিলেন। বিভিন্ন বিভাগে চাকরির ফলে নতুন নতুন সম্মানের সুযোগ খুলে যায়। দুই ভাই-ই থাকতেন ফতেহপুর সিক্রিতে। বছর দুইয়ের মধ্যেই বড় ভাই আগ্রা, কালপী এবং কালিঞ্জরের সদর নিযুক্ত হন। অন্যতম কাজ ছিলো নিষ্কর ভূমি দখলে আনার চেষ্টা করা। অন্যদিকে আবুল ফজল ১৫৮৫ সালে নিযুক্ত হন এক হাজারি মনসবদারে। এক হাজারি মনসবদার বলতে এক হাজার ঘোড়সওয়ারের সেনাপতি বোঝানো হয়। পরের বছরই দিল্লি প্রদেশের দেওয়ান নিযুক্ত হন তিনি। ১৫৮৯ সালের শেষের দিকে আবুল ফজলের মা মারা যান। তার স্মরণেই উৎসর্গ করা হয় আকবরনামা গ্রন্থটি। সম্রাট সান্ত্বনা দিতে তার নিকট গমন করেন এবং বলেন, ‘এই পৃথিবীর লোকেরা যদি চিরদিন বেঁচে থাকত’!
ধর্মীয় বিষয় এতদিনে আরো বহুদূর অগ্রসর হয়ে গেছে। আকবর প্রবর্তন করেছেন ‘দীন-ই ইলাহি’ নামের নতুন মতবাদ। এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং আকবরকে দুনিয়ায় তার প্রতিনিধি বলে স্বীকৃতি দান এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। অবশ্য বিভিন্ন সংস্কৃতিতে শাসকদের ঐশ্বরিক হিসেবে গণ্য করার ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। দরবারে ইসলামী আচার-উপাসনা হ্রাস পেল। তারিখ-ই ইলাহি নামে প্রবর্তন করা হলো নতুন অব্দ গণনা। পরবর্তীকালে এই তারিখ-ই ইলাহি থেকে জন্ম লাভ করে বাংলা বর্ষপঞ্জি। যা-ই হোক, দরবারের আমির-উমরাহগণ আকবরের উপর আবুল ফজলের প্রভাব দেখে নাখোশ ছিলেন। রাজপুত্র সেলিম (পরবর্তীতে সম্রাট জাহাঙ্গীর) সেই নাখোশ ব্যক্তিদের অন্যতম। তার ক্রোধ এতটাই গভীর ছিল যে, সেলিম মনে করতে লাগলেন তার সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রধান অন্তরায় আবুল ফজল। কয়েকবার তাকে বিপাকে ফেলতে সফলও হন। দুয়েকবার সম্পর্কের অবনতি ঘটে সম্রাট আকবরের সাথে। অবশ্য তা সাময়িকের জন্য।
আকবরের দরবারে তখন পণ্ডিতদের মহাসমারোহ। বাদায়ুনী, নকীব খান, শেখ সুলতান, হাজী ইব্রাহীম, শেখ মুনাউয়ার এবং ফয়েজি তথা আবুল ফয়েজ। যে যার মতো ইতিহাস, বিজ্ঞান, সংস্কৃত ও হিন্দি থেকে ফারসি ভাষায় পুস্তক রূপান্তরের কাজে হাত দিয়েছেন। ফয়েজি গণিতশাস্ত্রের বিখ্যাত গ্রন্থ লীলাবতী অনুবাদে রত। আর আবুল ফজল ফারসিতে অনুবাদ করেন আরবি গ্রন্থ ‘কালিলা ওয়া দিমনা’ এবং ‘ইয়ার দানিশ’। মহাভারতের অনুবাদ তারিখে আলফির অনুবাদেও ছিল তার অংশগ্রহণ। হিজরি ১০০০ অব্দ বা ১৫৯২ সালের মাঝামাঝি আকবর আবুল ফজলকে দোহাজারি মনসবদারে উন্নীত করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি দরবারে উমারায়ে কিবার বা প্রধান আমীরদের মধ্যে পরিগণিত হতে লাগলেন।
শেখ মোবারকের মৃত্যু হয় ১৫৯৩ সালে। ঠিক তার দুই বছর পর ৫০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ফয়েজি। পর পর দুটি আঘাত আবুল ফজলকে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। শোকে মুহ্যমান হয়ে যান খোদ সম্রাট। ভাইকে কত গভীরভাবে ভালোবেসে ছিলেন আবুল ফজল তা বোঝা যায় আকবরনামা এবং আইন-এ আকবরীতে। নিজের শত কর্মব্যস্ততা সত্ত্বেও ভাইয়ের মৃত্যুর দুই বছর পর ফয়েজির ‘মারফাজুল আদওয়ার’ নামক সংকলনে বিক্ষিপ্ত কবিতাগুলো একত্র করে সংগ্রহ করেছিলেন। তাছাড়া আকবরনামাতে ফয়েজির অসংখ্য লেখা উদ্ধৃত করে গিয়েছেন আবুল ফজল। প্রায় কাছাকাছি সময়ে আড়াই হাজার ঘোরসওয়ার সৈন্যের সেনাপতি পদে উন্নীত হন। সমাপ্ত করেন আইন-এ আকবরী লেখার কাজও।
আকবরের রাজত্বের ৪৩ তম বছরে আবুল ফজল প্রথম সক্রিয় কাজে অংশগ্রহণ করেন। দাক্ষিণাত্যে মুরাদ ঠিকমতো শাসনকাজ চালাতে পারছিলেন না। উদ্বিগ্ন সম্রাট আবুল ফজলকে পাঠালেন রাজপুত্রকে নিয়ে রাজধানীতে ফিরে আসার জন্য। দীর্ঘ নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় আবুল ফজলের আনুগত্য এবং নিষ্ঠা। ১০০৮ হিজরিতে যখন সম্রাট আকবরের সাথে বিলাগড়ের নিকটে আবুল ফজল মিলিত হন, তখন সম্রাট তাকে কবিতা দিয়ে অভিনন্দিত করেন। উন্নীত করা হয় চার-হাজারি মনসবদারে। ঠিক কাছাকাছি সময়ে দাক্ষিণাত্যে গোলযোগ বাধলে ফের সেখানে যাবার প্রয়োজন হয়। রাজপুত্র দানিয়েলকে বুরহানপুরে রেখে আকবর ফিরে যান আগ্রাতে। আবুল ফজল তখন সম্রাটের অন্যতম ভরসার বিন্দু।
আকবরের রাজত্বের ৪৭ তম বছর। রাজপুত্র সেলিমের মধ্যে বিদ্রোহের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। চিন্তিত আকবর একমাত্র বিশ্বাসভাজন আবুল ফজলকে তলব করেন। বাহিনীকে দাক্ষিণাত্যে রেখে আসার পরামর্শ দিলেন। শাহজাদা সেলিম ব্যক্তি আবুল ফজলের প্রতি অতটা ক্রুদ্ধ ছিলেন না। তৎপর ছিলেন আকবরের ভরসার জায়গাটা সরিয়ে দেবার জন্য। অরক্ষিত আবুল ফজলকে হত্যা করাটা আকবরের ডান হাত ভেঙে দেবার শামিল।
সেলিম উবচার বুন্দেলা নেতা রাজা বীর সিংহকে অনুরোধ করেন তার এলাকা দিয়ে যাবার সময় আবুল ফজলকে যেন হত্যা করা হয়। ১০১১ হিজরী মোতাবেক ১৬০২ সালের ১২ আগস্ট নারওয়ারের ছয় ক্রোশ দূরে সরাইবার থেকে এক ক্রোশ দূরে বীর সিংহের সৈন্যরা আবুল ফজলের হদিশ পেলো। সঙ্গীরা পলায়নের পরামর্শ দিলেও আবুল ফজল তা নিজের জন্য অপমানজনক বলে মনে করলেন। খুব অল্প সময় সাহসের সাথে টিকে থাকতে পারলেন। তারপর জনৈক পদাতিকের বর্শার আঘাতে লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে।
এভাবে পিতার সাথে সেলিমের সম্পর্কের টানাপোড়েনে বলি হলেন আবুল ফজল। বীর সিংহ তার মাথা কেটে এলাহাবাদে সেলিমের কাছে পাঠিয়ে দেয়। আবুল ফজলের মৃত্যুসংবাদ সম্রাট আকবরের সামনে দিতে কেউ সাহস পায়নি। অবশেষে তার উকিল হাতে নীল রুমাল বেঁধে উপস্থিত হলে আকবর বিষয়টা বুঝতে পারেন। তৈমুরিয় বংশের রীতিই ছিলো রাজপুত্রদের কেউ মারা গেলে; তা সাধারণ ভাষায় দরবারে উপস্থাপন করা যাবে না। উকিল নীল রুমাল কবজিতে বেঁধে হাজির হলে সবাই বুঝে নিতো। সে যা-ই হোক, আবুল ফজলের মৃত্যুসংবাদে আকবর পুত্রশোকের চেয়েও বেশি বিলাপ করেছিলেন।
লেখক হিসেবে আবুল ফজল অদ্বিতীয়। শব্দের তেজস্বিতা, পদ গঠনের শৈলী, যৌক্তিক শব্দ প্রয়োগের দক্ষতা, এবং যতি ছেদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছিলে নিজস্ব ধরন। ফলে সর্বত্র পঠিত হলেও তার লেখার অনুকরণ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। সে যুগে আবুল ফজলের প্রভাবও ছিল অসাধারণ। তার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করা হলেও তার বেশিরভাগই অতি উৎসাহী প্রচারণা। আকবরনামার ভূমিকা পড়লে যে কারো দ্বারা তা বোঝা সম্ভব।
আবুল ফজলের লেখা গ্রন্থগুলোর মধ্যে প্রধান- আকবরনামা, মাকতুবাত-ই আল্লামী এবং আয়ার দানিশ। প্রথমটি সম্রাট আকবরের শাসনকাল ও প্রশাসনব্যবস্থার সামগ্রিক ধারণা, দ্বিতীয়টি বিভিন্ন শাসক ও বিশিষ্ট ব্যক্তির প্রতি আবুল ফজলের লেখা চিঠির সংকলন এবং শেষেরটি অনুবাদ। এছাড়া রিসাল-ই মুনাজাত, জামিউল-লুগাত প্রভৃতি তার রচনা। শেষ করা যায় আবুল ফজলের একটি লেখা দিয়ে; যা কাশ্মিরের এক মন্দিরে খোদিত-
“হে আল্লাহ, সব মন্দিরে আমি দেখি লোক তোমার সন্ধান করছে। সব ভাষাতেই শুনি তোমার প্রশংসা। একেশ্বরবাদী এবং বহু ঈশ্বরবাদী- উভয়েই তোমার অনুগামী। মসজিদ হলে লোক দরুদ ও মোনাজাত পড়ে, আর গীর্জা হলে তোমারই প্রেমে ঘন্টা বাজায়। তোমার দুঃখের তীরে লক্ষ প্রেমিক হৃদয়, তোমাতে মগ্ন জগৎ, অথচ তুমি লক্ষের অগোচরে। তাই আমি কখনো মঠে, কখনো মসজিদে, আবার কখনো মন্দিরে তোমাকে খুঁজি।