“Let’s teach for mastery, not test scores” -Sal Khan @TED talks 2011
এমআইটি থেকে গণিত আর কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক করার পর হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ ডিগ্রী গ্রহণ করলেন সুদর্শন এক যুবক। পড়ালেখার পাট চুকিয়ে এবার নিজ পায়ে জীবন গড়ার স্বপ্ন তার চোখে। গণিত আর কম্পিউটার সায়েন্সের ভালো অভিজ্ঞতা থাকায় হয়তো নামিদামি কোনো কোম্পানির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই মানাতো তাকে। কিন্তু কয়েক বছর পর যোগদান করলেন যুক্তরাষ্ট্রের এক স্থানীয় ফান্ডিং কোম্পানিতে আর্থিক বিশ্লেষক হিসেবে।
অনেক চৌকস মানুষের কাছে দাবা কিংবা মাথা ঘোরানো কোনো ধাঁধার সমাধানে হার স্বীকার করলেও বীজগণিতে তার সাথে পেরে উঠতেন না অনেকেই। ছোটবেলা থেকেই গণিতে তার মূল ভিত্তি ছিল বেশ শক্তপোক্ত। আর্থিক বিশ্লেষক হিসেবে দিন ভালোই কেটে যাচ্ছিল তার, কলেজের বান্ধবী উমাইমা মারভি নামের চিকিৎসকের সাথে বিয়েটাও করে ফেলেন তখন। কোম্পানিতে যোগদানের প্রায় এক বছর পর, তার কাজিন নাদিয়া দেখা করতে আসে বোস্টনে তাদের বাসায়। কাজিনদের সাথে সম্পর্ক বেশ ভালোই ছিল তার। ঘটনাপ্রসঙ্গে জানতে পারলেন, বারো বছর বয়সের নাদিয়া সেভেন গ্রেডের গণিতে বেশ খানিকটা দুর্বল। কাজ চালানোর মতো সমাধান পারলেও গণিতভীতি রয়েছে তার মধ্যে।
নাদিয়ার ঘাটতি কোথায়, তা আর বুঝতে বাকি রইল না তার। কিন্তু নাদিয়া থাকে যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অর্লিন্সে। বোস্টন থেকে দূরত্ব প্রায় দেড় হাজার মাইল। এত দূরে থেকে কাজিনকে গণিতকে শেখানোটা প্রায় দুঃসাধ্য। কিন্তু উপায় ঠিকই বাতলে ফেললেন। ছুটি শেষ ফিরে যাবার পর নাদিয়ার গণিত পাঠ শুরু হলো টেলিফোন কলের মাধ্যমে। সময়টা তখন ২০০৪ সাল।
টেলিফোন টিউটরিং নাদিয়ার জন্য টনিকের মতো কাজ শুরু করলো। গণিতভীতি কমে গেল অনেকাংশে। ফলাফলও আগের থেকে ভালো হতে শুরু করলো। আর নাদিয়ার এই ভালো ফলাফলের নেপথ্যে থাকা মানুষটির কথা পরিবারের বাকি কাজিনদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। পুরো পরিবার থেকে যোগ হলো আরো ১৫ জন। কিন্তু সমস্যা বাঁধলো এখানেই। টেলিফোনে একইসাথে এতজনের পাঠদান এখন আরো বেশি দুঃসাধ্য। এবারো উপায় বাতলে ফেললেন তিনি। সাহায্য নিলেন ইয়াহু ডুডলের, যা সে সময়ে ইয়াহু মেসেঞ্জারের একটি ফিচার ছিল। কম্পিউটারে বসে এক প্রান্তে কিছু লিখলে বা আঁকলে অন্য প্রান্তে থাকা মানুষটিও তা দেখতে পায়। টেলিফোনের পাশাপাশি শুরু হলো দৃশ্যমান উদাহরণ।
কাজিনদের আগ্রহ ও শিখে আনন্দ পাবার অনুপ্রেরণায় এবার আরো কিছুটা করার কথা ভাবলেন তিনি। কম্পিউটার সায়েন্সের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করে ফেললেন একটি ওয়েবসাইট, যেখানে তাদের জন্য বিভিন্ন সমস্যা দিতে থাকলেন, যেগুলো সমাধান করতে হত ওয়েবসাইটেই এবং একইসাথে তাদের ফলাফল ট্র্যাক করতে থাকলেন। কোথাও আটকে গেলে ওয়েবসাইটেই তাদের জন্য ক্লুয়ের ব্যবস্থা ছিল।
দিন গড়াতে থাকলো। বছর দুয়েক পর তারই এক বন্ধু আইডিয়া দিয়ে বসলেন সবগুলো লেকচারকে ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করতে।
“ইউটিউব? সে তো বিড়ালের পিয়ানো বাজানো ভিডিও, আর বিনোদনের জায়গা, সেখানে পড়ালেখার ভিডিও আবার কেউ দেখবে নাকি?”
বন্ধুর সামনে এই কথা বললেও আইডিয়াটা খারাপ লাগেনি তার। মনে ঘুরতে থাকা আইডিয়াটাকে বাস্তবে রূপ দিতে বসে পড়লেন কম্পিউটার আর একটি গ্রাফিক্স ট্যাবলেট নিয়ে। কাজিনরা এবার বেশ প্রশংসা করলো। সাথে সাথে এটাও জানালো, ফোনে বা সামনাসামনি তাকে দেখার থেকে তার ভিডিওগুলোই নাকি বেশি ভালো। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশংসা শুনে খুশি হবেন নাকি রাগ করবেন, সেটি অবশ্য ভেবে পাননি তিনি।
কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটা শুরু হলো, যা তিনি কল্পনাও করেননি। তার জীবনের মোড় ঘোরা শুরু হলো।
ভিডিওগুলো তিনি প্রাইভেট করে রাখার কোনো প্রয়োজন মনে করেননি। তাই ভিডিওগুলো তার কাজিনদের বাইরেও অনেকেই দেখা শুরু করলো। শুধু তা-ই নয়, তার কাজিনদের থেকে বরং অন্যরা আরো বেশি পছন্দ করা শুরু করলো তার ভিডিওগুলো। বুঝতে পারলেন, তিনি কেবল এই প্রজন্মেরই উপকার করছেন না, বরং এর স্বাদ পাবে পরের প্রজন্মগুলোও। ভিডিওর সংখ্যাও বাড়তে থাকল।
ভিডিওগুলোর প্রতিক্রিয়া আসা শুরু হল ভিউয়ারদের থেকে। তার মধ্যে মজার কয়েকটি কমেন্ট ছিল:
“ক্যালকুলাসের ডেরিভেটিভ করার পর এই প্রথম আমার মুখে হাসি ফুটলো”
“ক্লাসে ম্যাট্রিক্স করার পর আমার মন বেশ ভালো হয়েছিল, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমি গণিতের কুংফুও পারি”
এক মা চিঠি পাঠিয়েছিলেন,
“আমার বাচ্চাটা প্রতিবন্ধী, তাকে গণিত শেখাতে পারিনি আমরা কোনোভাবেই, কিন্তু আপনার এই ভিডিও দেখার পর সে বিষয়গুলো বুঝে উঠতে শুরু করেছে, আমরা রোজ আপনার জন্য প্রার্থনা করি সবাই মিলে।”
পরবর্তী ধাপে এগোনোর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এই কমেন্টগুলোর থেকে ভালো আর কীইবা হতে পারে, তা না হয় আপনারাই ভেবে দেখুন। গণিতের গণ্ডি পেরিয়ে বিজ্ঞান আর ইতিহাসের অন্য শাখাগুলোতেও এবার নজর দিলেন তিনি। দু বছর পর প্রতি মাসে দশ হাজারেরও বেশি করে ভিডিও দেখতে থাকলো গোটা পৃথিবী জুড়ে। আর এত ঘটনার নেপথ্যে থাকা মানুষটিকে আমরা অনেকেই চিনি ছোটবেলা থেকে, যার নাম সালমান খান, মানুষের কাছে যিনি নিজেকে ‘স্যাল খান’ বলে পরিচয় দিতে ভালোবাসেন।
সময়টা তখন ২০০৮ সাল। স্যাল খানের মাথায় আসলো এক পাগলাটে বুদ্ধি। তার মধ্যে অনুপ্রেরণার কোনো কমতি নেই তখন। সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলেন পুরো পৃথিবী জুড়ে বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রদান করবেন তিনি, কিন্তু বিনামূল্যে। তাকে অনেকেই পাগল ভেবে বসলেন এই কারণে। পৃথিবীজুড়ে শিক্ষা বা বিশ্বমানের শিক্ষার স্বপ্ন দেখার জন্য নয়, বিনামূল্যে এই সেবা দেয়ার জন্য। কিন্তু কে জানতো তার এই পাগলাটে চিন্তাই তাকে সুপরিচিতি এনে দেবে বিশ্ব জুড়ে আধুনিক কার্যকরী শিক্ষার আদর্শ মডেল হিসেবে! কারণ, স্যাল খান গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে কখনোই সন্তুষ্ট ছিলেন না।
অভিযানের শুরুটা এখান থেকেই। ২০০৮ সালেই স্যাল প্রতিষ্ঠা করলেন ‘খান একাডেমি’, যা সম্পূর্ণ অলাভজনক। একাই বসে পড়লেন একের পর এক ভিডিও তৈরি করতে। শুরুর দিকে আর্থিক বিশ্লেষকের চাকরিটা করে গেলেও পরের বছর তা ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরিভাবে নিজেকে নিয়োজিত করে দেন এই প্রতিষ্ঠানের পেছনে। এই বুদ্ধির কথা শুনে তার সিলিকন ভ্যালির বন্ধুরা জিজ্ঞেস করেছিলেন তার বিজনেস প্ল্যান কী, অবাক হয়ে তিনি বলেছিলেন এর জন্য কোনো ‘বিজনেস’ প্ল্যান নেই তার। কিন্তু এরপর সালমান খানের আর পিছে ঘুরে তাকানোর প্রয়োজন পড়েনি। খ্যাতির গল্পে আসার আগে তার কিছুটা পরিচয় জেনে নেয়া যাক।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সালমান খানের জন্ম ১৯৭৬ সালের ১১ অক্টোবর। ছেলেবেলা কাটিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অর্লিন্সে। তার বাবা ছিলেন বাংলাদেশের বরিশাল জেলার এবং মা পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের। তারা উভয়েই পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী হিসেবে।
চাকরি ছেড়ে দেবার পর ন’মাস স্যাল তার নিজের জমানো টাকায় দিন কাটিয়েছেন। কিন্তু এরপরেই প্রথম অনুদানের সূচনা ঘটে অ্যান ডোরের মাধ্যমে। প্রথমে ১০,০০০ ডলার এবং পরে আরো ১ লক্ষ ডলার অনুদান দেন তিনি। ছড়িয়ে পড়তে থাকে খান একাডেমির নাম বিশ্বব্যাপী। শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ভলান্টিয়ার হিসেবে যোগদানও করে বেশ কয়েকজন।
কিন্তু স্যালের জন্য হয়তো আরো বড় একটা প্রাপ্তি অপেক্ষা করছিল, যা তিনি কখনো ভাবেননি। টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস অ্যাসপেন ফেস্টিভালের এক বক্তৃতায় বলেন, তিনি তার মেয়েকে পড়াশোনার জন্য খান একাডেমির ভিডিও দেখান। খুব আনন্দের সাথেই তার ছেলেমেয়েরা ভিডিওগুলো উপভোগ করে এবং শেখে। কিন্তু এই কথার শোনার পর স্যাল বেশ নার্ভাস হয়ে বলেন, “ভিডিওগুলো ছিল নাদিয়ার জন্য, বিল গেটসের ছেলেমেয়েদের জন্য না।” তার কিছুদিন পরেই বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে স্যাল খানের ডাক আসে গেটসের সাথে এক মিটিংয়ে এবং এরপর থেকে খান একাডেমিতে অনুদান দিতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এখানেই শেষ নয়, নাসা আর গুগলের মত আরো জায়ান্ট সব কোম্পানি এবারে পাশে এসে দাঁড়ায় খান একাডেমির।
স্যাল এবার তার স্কুলের বন্ধু এবং এমআইটির রুমমেট শান্তনু সিনহা কে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট পদে আহবান জানান এবং বেন ক্যামেন্স আর জেসন র্যাসফ নামের দুই পাকা সফটওয়্যার ডেভেলপারকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির আরো উন্নয়ন শুরু করেন। ২০১০ সালে তারা ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেনভিউতে ছোট্ট অফিসে কাজ শুরু করেন।
২০১২ সালের মধ্যে খান একাডেমির ভিডিও প্রতি মাসে কয়েক মিলিয়ন বার দেখা হতে থাকে। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের থেকে চিঠি আসতে থাকে যে তারা ভিডিওগুলো স্কুলের বাচ্চাদের দেখিয়ে পড়াচ্ছেন। একই বছরে প্রতিষ্ঠানটি তাদের উল্লেখযোগ্য ‘কোচ’ ফিচার নিয়ে আসে স্কুলের জন্য। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের খান একাডেমির কন্টেন্ট অনুযায়ী পড়াতে পারবেন, এমনকি তাদের গতিবিধি ট্র্যাক করতে পারবেন। কেউ কিছু না বুঝলে শিক্ষকরা তাদের সাহায্য করবেন বুঝতে। রীতিমতো সাড়া ফেলে অনেক স্কুলে ব্যবহৃত হতে থাকে এই সুবিধা।
এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে কয়েকশ’ দারুণ উদ্যমী প্রশিক্ষক, যারা প্রতিনিয়ত বিনামূল্য শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন গণিত থেকে বিজ্ঞান, ইতিহাস থেকে দর্শন, অর্থনীতি কিংবা রাষ্ট্রবিজ্ঞান, স্যাট প্রিপারেশন থেকে কম্পিউটার ফান্ডামেন্টালস, প্রোগ্রামিং এমনকি অ্যানিমেশনের মতো কোর্সের মাধ্যমে। এখন পর্যন্ত ৭ হাজারেরও বেশি ভিডিও তৈরি করেছেন তারা, যার সিংহভাগ স্যাল খান নিজেই তৈরি করেছেন। ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১.৪ বিলিয়নেরও বেশিবার ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী রয়েছে ৪২ মিলিয়নেরও বেশি রেজিস্টার্ড শিক্ষার্থী, যারা নিজের পছন্দ অনুযায়ী, শ্রেণি অনুযায়ী কোর্স করে পরীক্ষাও দিতে পারে ওয়েবসাইটেই। বাংলাসহ প্রায় ২৬টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে সেই কন্টেন্টগুলো। ভিডিও দেখা, আর্টিকেল পড়া, টেস্ট দেয়া, ফোরামে অংশ নেয়ার জন্য দেয়া হয় মজার মজার অনেক ব্যাচ আর পয়েন্টও। সব মিলিয়ে শিক্ষাকে আনন্দঘন করার কোনো চেষ্টায় কমতি রাখেননি তারা।
স্যাল খানের প্রাপ্তির খাতাটাও ছোট নয়। ২০১২ সালে টাইম ম্যাগাজিনের দেয়া বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকাতে ছিল তার নাম। একই বছর ফোর্বস ‘$1 Trillion Opportunity’ শিরোনামে তার কভার সহ ম্যাগাজিন বের করে। ২০১১ সালে বিল গেটস তাকে আমন্ত্রণ জানান টেড টকে বক্তৃতা দেয়ার জন্য। ২০১৬ সালেও তিনি টেড টকে বক্তৃতা দেন। একই বছর জিতেছেন ভারতে পদ্মশ্রী অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৪ হেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড জয়ী পাঁচ জনের তিনি একজন। নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, পিবিএস এর মতো নামিদামি পত্রিকাগুলোর শিরোনাম হয়েছেন অনেকবার। ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম বই ‘The One World Schoolhouse: Education Reimagined’, যা বেশ সাড়া ফেলে দেয়।
কালো পর্দার আড়ালে থেকে নিয়ন রংয়ের ডিজিটাল কালি দিয়ে এক অসাধারণ ক্ষমতায় একঘেয়ে সব বিষয়কেও মজাদার করে তুলতে পারে খান একাডেমি। প্রেজেন্টেশন আহামরি কিছু না হলেও প্রত্যেকটি বিষয়কে সহজ আর কার্যকরীভাবে উপস্থাপন আপনার বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে অনেকটা, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আর গ্রাফিক্স ট্যাবলেট হাতে বসে থাকা স্যাল খানের কণ্ঠ আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে অনেকটা। নিজের চাহিদা এবং সক্ষমতা অনুযায়ী বোঝার সুযোগটিই অন্যান্য সব কোর্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের থেকে বিশেষত্ব দিয়েছে খান একাডেমিকে।
মজার বিষয় হলো, চাইলে আপনিও পারবেন তাদের মজার এই মিশনের অংশ হতে। চাইলে ভলান্টিয়ার হিসেবে কিংবা খান একাডেমিতে নিজের ক্যারিয়ারও গড়তে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে হতে হবে অনেক মজার এবং উদ্যমী একজন মানুষ, সেই সাথে অন্যকে শেখানোর আগ্রহ আর বিশ্বকে নিরক্ষরতামুক্ত করার তীব্র ইচ্ছা।