Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

২০২২ সালের সেরা ৩ ইউরোপিয়ান হরর সিনেমা

হররের জন্য ২০২২ সাল আরো একটি চমৎকার বছর। ব্যবসায়িক সাফল্য, সমালোচক সাফল্য- দু’দিকেই হররের তরী ভারী। হরর সময়ের সাথে সাথেই নিজেকে সংস্কার করতে পারে, সবরকমভাবে প্রাসঙ্গিক হতে পারে। আর হররটাই যে এখন বাস্তবিক। দিন যত বাড়ছে, মানুষের হিংস্রতা তত বাড়ছে। পরিবেশের প্রতি, অন্য প্রাণীদের প্রতি, এবং দুঃখজনকভাবে, নিজেদের প্রতি। তাই হররই ভবিষ্যৎ, যা ছেয়ে আছে বিস্তৃত তমসায়। যাক, সেসব বিষাদপূর্ণ দার্শনিক কথা তোলা থাক। এই নিবন্ধের কথা বলা যাক। আমেরিকান হররের কথা বললে দুর্দান্ত, অভিনব, উত্তেজনাপূর্ণ সব হরর তো আছেই। তবে এই নিবন্ধে আমেরিকার বাইরের অর্থাৎ ইউরোপের তিনটি দেশের ২০২২ সালের তিনটি সেরা হরর সিনেমা নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

হ্যাচিং (২০২২) – ফিনল্যান্ড

‘হ্যাচিং’ ফিনিশ বডি হরর সিনেমা। তবে ক্রোনেনবার্গিয়ান (পরিচালক ডেভিড ক্রোনেনবার্গ, যে এই বডি হরর জনরার অগ্রদূত) বডি হরর নয়। হ্যাঁ, ডিস্টার্বিং ইমেজারি আছে। কিন্তু এর ভাবে আর অনুপ্রেরণায় আছে জেনিফার কেন্টের ‘দ্য বাবাডুক’, ‘দ্য নাইটিংগেল’-এর মতো সাইকোলজিক্যাল ড্রামা হররগুলো। তারপর টমাস আলফ্রেডসনের ‘লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন’-এর গতি ও আবহের সিনেমা এটি। সাথে একদম সাম্প্রতিক ‘সাসপিরিয়া’ (২০১৮) সিনেমার মতো ভিজ্যুয়াল সিমেট্রিও চোখে পড়ে হ্যাচিংয়ের ভিজ্যুয়াল ভাষায়। পরিচালক হানা বার্গহোম নানান আধুনিক হররের অনুপ্রেরণাই কাজে লাগিয়েছেন তার এই অভিষিক্ত সিনেমায়। 

‘হ্যাচিং’ মূলত হররের মোড়কে একটা বক্তব্যধর্মী ড্রামা সিনেমা। গল্পটা ১২ বছর বয়সী কিশোরী জিমন্যাস্ট তিনিয়াকে ঘিরে। তার মা ছিল একজন স্কেটার। তাই মেয়ের উপরও চাপিয়ে দিয়েছে তার নিজের চাওয়া, ইচ্ছা। তিনিয়াও প্রাণপণ চেষ্টা করে তার মাকে খুশি করতে। কিন্ত সেটাই সম্ভব হয় না। যতই ভালো সে করুক, মা খুশি হয় না। এদিকে তার মা আবার ইমেজ নিয়ে আচ্ছন্ন একজন। নিজের ভ্লগে প্রতিদিন ভিডিও দেয়, দুনিয়ার সবাইকে জানাতে যে তার পরিবার কতটা ‘আদর্শ পরিবার’।

মায়ের ইমেজ অনুযায়ী নৈপুণ্য দেখানোর প্রবল চাপ তিনিয়াকে বিধ্বস্ত করে। ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়, যখন সে একদিন একটা একটা রহস্যময় ডিম পায়! এর আগেই একটা কাকের ঘাড় মটকে দেবার মতো বিচ্ছিরি এক ঘটনার মুখোমুখি হয় তিনিয়া। কাজটা করে তার মা! সেই কাককে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে গিয়েই ডিমটা পায় সে। সবার অলক্ষ্যে যত্ন করে ডিমটা এনে ঘরে লুকিয়ে রাখে। সেই ডিমই খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফোটে। কিন্তু ডিম ফুটে বের হওয়া বাচ্চা দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। আর সেটা হতে থাকে অবিকল তিনিয়া! তিনিয়ার চাপা পড়া সকল আবেগ, রাগের হিংস্র বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে ডিম ফুটে বের হওয়া সেই যমজ তিনিয়ার মাধ্যমে। 

‘হ্যাচিং’ তৃতীয় অংকে গিয়ে পুরোদস্তুর হরর তো হয়। কিন্তু এর আগে যে একদমই নীরস ড্রামার মেকানিজমে এগিয়েছে, তা কিন্তু নয়। শুধু স্থূল ড্রামার স্টেজিংয়েই যে সিনেমা আর্টিস্টিক হয়ে ওঠে না, এই জিনিসটা হানা খুব ভালোভাবেই বুঝেছেন। এবং সেই কারণেই তার ক্রাফটম্যানশিপে এই নৈপুণ্যের দেখা পাওয়া গেছে। ‘হ্যাচিং’ দুর্দান্ত হয়ে উঠেছে সবকিছুর বিপরীত কম্বিনেশনে। যুবতী না হওয়া, কিশোরী তিনিয়ার অবদমিত আবেগ এবং এই বয়সে মা-বাবার কাছে শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়ে উঠবার যে আদুরে বাসনা, যাতে বার বার ব্যর্থ হয়ে আরো বিষাদগ্রস্ত হয়ে ওঠে সে- সেসবকে ড্রামাটিক অনুনাদে দেখানোর পাশাপাশি কিছু সময় পর পর হররের কোনো একটা জনরা অলংকার ব্যবহার করেছে দর্শককে চমকে দিয়েছেন।

তিনিয়া ও সেই অদ্ভুতুড়ে ডিম; Image Source: Imdb

সিনেমার তৃতীয় অংকে সামনে আসা সেই দানব, যে কিনা তিনিয়ারই আরেক রূপ, সেটা যে তিনিয়া অবদমিত আবেগ থেকে সৃষ্ট; সেসব রূপকে থাকা বক্তব্যকে প্রকাশে তেমন সূক্ষ্মতার সাহায্য নেননি হানা বার্গহোম। কিন্তু স্ট্রেইটফরোয়ার্ড হররের ক্ষেত্রে সেটা আবার সাহায্য করেছে। আত্মবিধ্বংসী যে দানব তৈরি হয়েছে, সেটার গোটা গ্যামাট তো চিত্রনাট্যে পরিষ্কারভাবেই আছে। এবং কামিং অফ এইজের এমন ফেয়ারিটেইলকে যেভাবে মনস্টার-হররে ধাবিত করেছেন, তা-ও শৈল্পিক আঙ্গিকে; বস্তুনিষ্ঠ নন্দনে, সেটা হানা বার্গহোমের তেরছা রসবোধকেও ইঙ্গিত করে। স্পেশাল ইফেক্টের প্রশংসাও করতে হয় সেই লাইনে। ডেভিড লিঞ্চিয়ান একটা ভাইব পাওয়া যায়। সমাপ্তিতে ‘হ্যাচিং’ সারপ্রাইজের উপাদান রাখার পাশাপাশি বক্তব্যধর্মী সিনেমা হবার উদ্দেশ্যকেও যথাযথভাবে রেখেছ, এবং হয়ে উঠেছে প্রয়োজনীয়।

পিগি (২০২২) – স্পেন

স্প্যানিশ এই সাইকোলজিক্যাল-ড্রামা, হরর সিনেমা ভাবে-গন্ধে ৭০ দশকের আমেরিকান গ্রাইন্ডহাউজ সিনেমা আর এক্সপ্লয়টেশন সিনেমার কথা মনে করিয়ে দেয়। নারী পরিচালক কার্লোতা পেরেডা সত্তরের হোমাজরূপেই যে ডিজাইন করেছেন এই সিনেমাকে।

‘পিগি’ স্প্যানিশ এক মফস্বল আর সেখানকার মেয়ে সারার গল্প বলে। তার কোনো বন্ধু নেই। যারা আছে আশেপাশে সবাই তাকে বুলি করতে ব্যস্ত। তার দৈহিক ওজন একটু বেশি। সেই কারণেই সে সবার হাসি-তামাশার খোরাক হয়। সমবয়সীরা তাকে ডাকে ‘পিগি’ বলে। এরকম পীড়ন যখন চলছে সর্বতোভাবে, হঠাৎই একদিন এক সাইকোপ্যাথ তারই চোখের সামনে অপহরণ করে তার দুই সমবয়সী মেয়েকে, যারা তাকে বুলি করতো। সারা আর সেই সাইকোপ্যাথের মধ্যে নজর বিনিময় হয় অনেকক্ষণ। কী যেন একটা ভাষা দুজনেই পড়ে নেয়। সারা কিন্তু চেঁচায় না। অপহরণ নিয়ে কাউকে কিছু বলেও না। শুধুই ভাঙে নিজের মধ্যে। এই বুলিদের বাঁচাবে, নাকি তাকে পীড়নের প্যাসিভ বদলা নেবে! নিজের মনে ভাঙতে ভাঙতেই পৌঁছে যায় সে এক চরম সিদ্ধান্তে। ভায়োলেন্স আর গোরে মাখামাখি যে সিদ্ধান্ত আর সমাপ্তি মনে করায় ব্রায়ান দে পালমার ক্লাসিক ‘ক্যারি’ সিনেমার কথা। ওটাকেই হোমাজ দিয়েছে!

পিগি আর সাইকোপ্যাথ মুখোমুখি; Image Source: Imdb

কার্লোতা পেরেডা তার দ্বিতীয় শর্টফিল্মের গল্পকেই পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার গল্পে বিস্তৃত করেছেন। এবং সেই সিদ্ধান্ত যে পুরোপুরি সফল, ‘পিগি’ সেই কথাই জানান দেয়। সিনেমার গল্পে আর চিত্রনাট্যে একসাথে অনেককিছুকে জড়িয়েছেন তিনি। মূলত সাইকোলজিক্যাল ড্রামা। তাই ক্যারেক্টার স্টাডি হয়েছে যথার্থভাবেই। এবং ক্ষোভ থেকে উন্মত্ততা, সারা চরিত্রের এই গোটা গ্যামাট, ড্রামাটিক অনুনাদ আর চিন্তার জায়গা দুটোকেই সমভাবে রেখেই পূর্ণ হয়েছে। বুলি করার মনোভাব, দৈহিক আকৃতি নিয়ে বৈষম্যের যে সংস্কৃতি প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে, তা নিয়ে বক্তব্য রাখে এই সিনেমা, যেটা উল্লেখ না করলেও স্পষ্টতই আসবে নজরে। তবে আলাদা করে মজাটা তৈরি হয়েছে এর সেটিংয়ের কারণে।

গোটা সিনেমা মফস্বলের সেটিং বেছে নিয়েছে। এবং বেছেই শুধু নেয় না, মফস্বলের লোকেদের নিজস্ব যে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ, সেসব উপস্থাপনের পাশাপাশি মফস্বলের বিচিত্র সব চরিত্রকে রঙিন রূপ দেয় কমেডির উপাদান হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনে, যা খুব ভালোভাবেই কার্যকর হয়েছে। এবং সিনেমার সামগ্রিক বাতাবরণ, এতে আরো প্রাণবন্ত হয়েছে। এর সাথে স্ল্যাশারের উপাদানকে মিশিয়ে ভালোই জনরা থ্রিল দিয়েছে। হরর, স্ল্যাশারের সেই আবহগত দিক থেকে হয়েছে। 

অ্যাসপেক্ট রেশিও থেকে শুরু করে অ্যাস্থেটিক স্টাইলে এই সিনেমা সত্তরেই শ্বাস নিয়েছে। বেড়ে উঠেছে। ওই অ্যাসপেক্ট রেশিও একদিকে সত্তরের ‘টিভি ফিল্ম’ আর লো-বাজেট হররের আমেজটা এনেছে, আবার আরেকদিকে মফস্বলের ল্যান্ডস্কেপকে একটা চারকোণা বাক্সে এনে এখানকার লোকেদের দৃষ্টিভঙ্গী আর মানসিকতা একটা গণ্ডিতে আটকে যাবার বৈপরীত্যকেও ধরেছে। ইমেজারিতে সত্তরের ওয়াশড আউট আর গ্রেইনি ভাব আছে। ওই ন্যাচারালিস্টিক কোয়ালিটির সাথে আধুনিক কালার ট্রিটমেন্টও আছে। আর ক্লাইম্যাক্সের গোরে প্র‍্যাক্টিক্যাল ইফেক্টসের সুচারুতা একে এই সময়ের আদর্শ গ্রাইন্ডহাউজ সিনেমাই বানিয়েছে, যেটা আরো সমুজ্জ্বল রূপ পেয়েছে লরা গালানের অমন আত্মবিশ্বাসী অভিনয়ে। কার্লোতা পেরেডার ফিল্মমেকিং দক্ষতার প্রশংসাই করতে হয়। সবকিছুকে যেভাবে ভিন্ন ভিন্ন স্তরে বেঁধেছেন, তাতে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষী মনোভাবও বেশ পরিষ্কার। 

স্পিক নো ইভিল (২০২২) – ডেনমার্ক

ডেনমার্কের এই সাইকোলজিক্যাল-হরর সিনেমা দেখতে বসেই ২০০৮ সালের অন্যতম বিখ্যাত সুইডিশ হরর ‘লেট দ্য রাইট ওয়ান ইন’-এর কথা মনে পড়ে। না, গল্পে মিল নেই। তবে আবহটা ভারী চেনা। ‘স্পিক নো ইভিল’ শুরুর মুহূর্ত থেকেই এর খুবই স্বাভাবিক, অনাড়ম্বর মুহূর্তের মধ্য দিয়ে অস্বস্তিকর আর উশখুশ করার মতো আবহ তৈরি করে। ভয়কে একদম অন-ফেইস না করে, চামড়ার নীচ দিয়ে একটা শীতল অনুভূতি তৈরি করেই ভয়কে মনে জাগানোর চেষ্টা করে। 

ছুটিতে গিয়ে এক ড্যানিশ আর ডাচ পরিবারের পরস্পরের সাথে পরিচিত হবার ঘটনা দিয়েই খুব শান্ত গতিতে এই সিনেমা এগোয়। সেই ডাচ পরিবারে থাকা ছেলের আবার এক বিরল রোগের কারণে জন্মের পর থেকেই তার মুখের ভেতর জিহ্বা অনুপস্থিত! তবে ভয়ের পরিবেশ তখনও ডালপালা মেলেনি। মেলে তখন, যখন ডাচ পরিবারটি কয়েক সপ্তাহ বাদে ড্যানিশ পরিবারকে তাদের বাড়ি আমন্ত্রণ জানায়। আলগা আতিথেয়তায় স্বতঃস্ফূর্ততা অবশ্য ড্যানিশ পরিবারটি অনুভব করেনি। তবে ধীরে ধীরে অস্বস্তিকর সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে থাকে লুইস (অ্যাগনেসের মা)। লুইস, ডাচ দম্পতির একটু আগ্রাসী আচরণ, তার ভেজিটেরিয়ান স্বভাব নিয়ে ঘটনাগুলোতে অস্বস্তি বোধ করতে থাকে। এরই মাঝে আরেক বিচিত্র ঘটনায় ড্যানিশ পরিবারটি না বলে চলে যেতে চাইলেও আবার ফিরে আসতে বাধ্য হয়।

এবং সেই ফেরাই তাদের কাল হয়ে দাঁড়ায়। ধীরে ধীরে ড্যানিশ পরিবারের কর্তাব্যক্তিটি আবিষ্কার করে, এই ডাচ পরিবারের বাড়ির পেছনের এক কেবিন। যেখানে সে আবিষ্কার করে এই পরিবারের নোংরা আর ভয়ংকর রূপ। কিন্তু ততক্ষণে পালানোর পথ অবরুদ্ধ। তারা যে ‘শিকার’ হয়েছে এখানে পা দেবার পরের মুহূর্তেই সেটি বুঝতে দেরি হয়। চোখটা যে তাদের উপর নয়, ছিল তাদের মেয়ে অ্যাগনেসের উপর! পরিবর্তনের আসল রূপ তখন ডাচ দম্পতি সহাস্যে প্রকাশ করে।

Image Source: Imdb

পরিচালক ক্রিশ্চিয়ান তাফরুপের এই সাইকোলজিক্যাল হরর আদতে তীক্ষ্ণ এক সোশাল স্যাটায়ার। তাফরুপ ‘বিয়ন্ড গুড এন্ড ইভিল’ এ যাননি, তবে এই আধুনিক সমাজে ‘ইভিল’ কতটা বিস্তৃত, সেটাই চিত্রায়িত করেছেন। ভদ্রতার মুখোশে অন্তর্গতভাবেই মানুষ কতখানি অভদ্র, তারই রূপক ওই ডাচ পরিবার আর এই সিনেমা। ভদ্র আর সভ্য সাজতে গিয়ে এই সময়ে কারো উপর বিশ্বাস করাটা যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা-ই চিত্রায়িত হয়েছে ড্যানিশ পরিবারের দুর্দশায়।

মাইকেল হ্যানেকের গ্রেট সিনেমা ‘ফানি গেমস’ (১৯৯৭) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে এবং সেই বক্তব্যকেই এই সময়ে, যখন পলিটিক্যাল কারেক্টনেস হয়ে উঠেছে মানুষের, বিশেষ করে মিডলক্লাসের ভদ্রতার পরিচায়ক, নতুন করে বলেছে। একদমই এই সময়ের নিরীখে। তুমুল বিদ্রুপের বাণে আর ব্যাঙ্গাত্মক হাসির সশব্দ চড়ে। এমন প্রগাঢ় একটি চিত্রনাট্য আর ভয় জাগানোর মতো উপাদানগুলোর এমন নুয়্যান্সড ব্যবহারে সিনেমাটির প্রশংসা করতেই হয়। তাফরুপের দুর্দান্ত লেখনী আর নিয়ন্ত্রিত ফিল্মমেকিংয়ে ‘স্পিক নো ইভিল’ এর প্রভোকেটিভ প্রকৃতি নিয়ে সন্দেহ করার কোনো পথই নেই। এবং বছরের অন্যতম সেরা হরর হিসেবেও তার জায়গা তাই শিরোধার্য।

This Bengali article is a compiled review of 3 finest horror films of 2022, chosen from 3 different European countries.
Feature Image: IMDB

Related Articles