শেখ মুজিবুর রহমান; বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধুসহ আরো অজস্র বিশেষণ তাঁর নামের পূর্বে। এসবের বাইরেও তাঁর ব্যক্তিজীবন ছিল; স্ত্রী, পরিবার, বন্ধু, আত্মীয় সবই ছিল। ব্যক্তিজীবনের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্লেষণ কমই হয়েছে, যতটা হয়েছে তাঁর নেতৃত্ব, প্রশাসক, রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে বিভিন্ন সফলতা-বিফলতার বিশ্লেষণ। এবিএম মূসা রচিত ‘মুজিব ভাই‘ বইটি সেদিক থেকে অনন্য। এখানে ঘরোয়া শেখ মুজিবুর রহমানকে পাওয়া যাবে, পাওয়া যাবে অন্য এক শেখ মুজিবুর রহমানের দেখা।
লেখক তাঁর বইয়ে শেখ মুজিবকে “মুজিব ভাই” হিসেবে সম্বোধন করেছেন, বইয়ের নামও দিয়েছেন ‘মুজিব ভাই‘। এর ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে বইয়ের ‘শেখ মুজিবের বিশাল হৃদয়খানি’ প্রবন্ধে,
শেখ মুজিব, জনগণের শেখ সাহেব, কর্মীদের মুজিব ভাই, সহকর্মীরা তাঁকে সম্বোধন করে নেতা বলে। সাধারণ মানুষ বলে শ্যাখ সাহেব, কর্মীরা বলে নেতা অথবা মুজিব ভাই। ‘বঙ্গবন্ধু’ বলেন তাঁরা, যাঁরা তাঁকে সসম্মানে দূরে সরিয়ে রাখেন, ভালবাসেন কতটুকু জানি না।
মূল লেখায় যাওয়ার আগে লেখকের সম্বন্ধে কিছু কথা বলা দরকার। বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক এবিএম মূসা বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন, ছিলেন অধুনালুপ্ত “দৈনিক মর্নিং নিউজের” সম্পাদক। ১৯৭৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে ফেনী আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘সময়ের প্রতিবিম্ব’ নামে কলাম লিখতেন, বইটি লেখকের কলামগুলোর গ্রন্থরুপ।
এবিএম মূসার জন্ম ১৯৩১ সালে, ফেনী জেলায়। ২০১৪ সালে ঢাকায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল, বেগম মুজিবের সাথেও ছিল আন্তরিক সম্পর্ক। সাংবাদিকদের মাঝে তিনজন ছিল বঙ্গবন্ধুর অতি প্রিয়- আবদুল গাফফার চৌধুরী, ফয়েজ আহমদ এবং এবিএম মূসা। এই তিনজনকে দেখলে তিনি মজা করে বলতেন, “এই সারছে রে! আপদ, বিপদ, মুসিবত একসঙ্গে। কী জানি কী ফ্যাসাদে ফেলবে!”
বইটির প্রথম প্রবন্ধ ‘অন্তরঙ্গ আলোকে কিছু স্মৃতি’। এতে পাওয়া যাবে লেখকের সাথে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিবরণ। ঝানু সাংবাদিক হিসেবে জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধুকে একচোখা দৃষ্টিতে দেখতেন লেখক, প্রশংসার সাথে সমালোচনাও কম করতেন না। তাই তো বঙ্গবন্ধু লেখককে দেখলেই বলতেন, “বঙ্গবন্ধু সবার বন্ধু, তোমার বন্ধু নয়।”
সদ্য স্বাধীন দেশে লেখক জার্মান দূতাবাসের আমন্ত্রণে জার্মানি সফরে যেতে চাইলে বঙ্গবন্ধু আবেদনপত্রে স্বহস্তে লিখে দেন, “দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে আপনাদের বিদেশযাত্রার অনুমতি দিতে পারলাম না বলে আমি দুঃখিত।” সেনাবাহিনী থেকে একটি বেওয়ারিশ জিপগাড়ি লেখক নিজের কাছে নিতে চাইলে বঙ্গবন্ধু জানিয়ে দেন, “জীবনে কখনো কোনো অন্যায় আবদার প্রশ্রয় দিই নাই, ভবিষ্যতেও দিব না। আপনার প্রার্থনা মঞ্জুর করিতে পারিলাম না বলে দুঃখিত।”
এসব ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে লেখকের মনোব্যথার কারণ হলেও সেটা একদমই স্বল্পস্থায়ী ছিল। তিনি পরে আক্ষেপ করে বলেছেন, “বহু বছর পর ভেবেছি, সত্যিই বঙ্গবন্ধুকে যারা বুঝেছিল, শুধু তারাই বাঙালিকে চিনেছিল, বাংলাদেশকে ভালবেসেছিল এবং এখনও ভালবাসে তাঁর স্মৃতি ও অমূল্য কীর্তি বাংলাদেশকে।”
বঙ্গবন্ধু অন্যের গলা নকল করে কথা বলতে পারতেন। লেখক নিজে শুনেছেন ভরা মজলিশে শেরে বাংলা এ কে ফজলুক হকের গলা নকল করতে। তিনি সময়ে-অসময়ে নানা রসিকতা করতেন বন্ধু-সহকর্মীদের সাথে। এরকমই একটি ঘটনা উল্লেখ করা যাক বই থেকে।
বাহাত্তরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বাংলাদেশ সফরে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠান শেষে তিনি ১৪ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী প্রত্যেকের হাতে উপহারস্বরূপ একটি করে ভারতীয় বেঙ্গালুরু সিল্কের শাড়ি দিলেন। শাড়িগুলো মন্ত্রীদের বেগম সাহেবদের জন্য। শাড়ি বিতরণ শেষে মন্ত্রীরা ইন্দিরা গান্ধীকে সমবেতভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। এমন সময় দূর থেকে এগিয়ে এলেন বঙ্গবন্ধু। তৎকালীন আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধরের শাড়িখানি প্রায় ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়ে জহুর আহমদ চৌধুরীর হাতে ধরিয়ে দিলেন। ইন্দিরাজী অবাক হয়ে বঙ্গবন্ধুর দিকে তাকালেন। তিনি বললেন, মনোরঞ্জন ধর ব্যাচেলর মানুষ। তাঁর শাড়ির দরকার নেই। বেচারা জহুরের দুই বউ। এক শাড়ি নিয়ে দুজনে টানাটানি করবে। তাই তারটি জহুরের আরেকটি বউয়ের জন্য দিলাম।
এই ঘটনাসহ আরো কিছু মজার ঘটনা পাওয়া যাবে ‘রঙ্গরসে বঙ্গবন্ধু’ প্রবন্ধে।
‘স্মৃতিতে কামাল জামাল রাসেল’ প্রবন্ধে আছে বঙ্গবন্ধুর পুত্রসন্তানদের কথা, তাদের কর্মকান্ড, আচার, ব্যবহার ইত্যাদি। লেখকের কাছে শেখ জামালকে নিরীহ, অমিশুক চরিত্রের মনে হত। তিনি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, যাকে গুম করে পাকিস্তান সরকার, এরকম রটনা রটিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার পাকিস্তানকে বেশ বিপাকে ফেলেছিল। লেখক রণাঙ্গনে শেখ জামালের ছবি তুলে ইংল্যান্ডের ‘দ্য লন্ডন টাইমস’-এ প্রকাশ করেছিলেন।
শেখ কামালের সংস্কৃতিসেবার কথা উঠে এসেছে এখানে, যার হাতে গড়ে উঠেছে দেশের প্রথম ব্যান্ড দল। ছোট্ট রাসেলের দুরন্তপনা লেখকের চোখ এড়ায়নি। একদিন বঙ্গবন্ধুর কাছে শেখ রাসেলের নাম নিয়ে সকৌতুক মন্তব্য করেছিলেন,
মুজিব ভাই, বড় দুই ভাইয়ের নাম কামাল-জামাল, এই দুষ্টটির নাম ‘দামাল’ রাখলেন না কেন? মুজিব ভাই হেসে বললেন, তোর ভাবিকে জিজ্ঞেস কর। আমি তো জেলে-জেলেই কাটালাম, কে কখন এলো, কার নাম কী রাখা হলো, তা জানতাম নাকি! ভাবি কী বুঝলেন কে জানে। কৃত্রিম লজ্জা-মেশানো রুষ্ট স্বরে বললেন, কখন কী বলেন কথার আগাপাছা থাকে না।
আওয়ামী মুসলিম লীগের (পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। একসময় মাওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধুকে সেক্রেটারি করে নেন। লেখক এ বিষয়ে বলেন,
শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আওয়ামী লীগের তৃতীয় কাতারের নেতা। ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর পর আতাউর রহমান, কফিল উদ্দিন চৌধুরী ও আবদুস সালাম খান প্রমুখ। তারপরই শেখ মুজিব ও তাঁর সমসাময়িক তরুণের দল। কয়েক বছর পর সেই মুজিবুরকে ভাসানী সামনের কাতারে নিয়ে এসেছেন অন্য সবাইকে আড়াল করে। তাঁর মধ্যেই তিনি দেখতে পেয়েছিলেন ভবিষ্যতের দাবদাহের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, যে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে।
মাওলানা ভাসানীর সাথে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কের নানা দিক উঠে এসেছে ‘মাওলানা ও তার মুজিবর’ প্রবন্ধে।
আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু যখন জেলে, তখন সাংবাদিক আতাউস সামাদকে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘সামাদ, মওলানাকে গিয়ে বলো আমার মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে, বিশেষ কর্মসূচি দিতে।’ মওলানাকে ম্যাসেজ দিল সামাদ অথবা রহিম, ‘হুজুর, শেখ সাহেব জানিয়েছেন আপনাকে তাঁর মুক্তির জন্য আন্দোলনে যেতে হবে।’ মাওলানা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, ‘আন্দোলন করব। তবে আইয়ুবের গোলটেবিলের পর।’ সামাদ বলল, ‘হুজুর, শেখ সাহেব আরেকটা কথা বলেছেন, তিনি এগারো বছর আপনার জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন।’ বলেছেন, ‘এ দেশে রাজনীতি করতে হলে তাঁর আমাকে প্রয়োজন হবে, আমারও তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করতে হবে।’ মাওলানা উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলেন, ‘মুজিবর এ কথা বলেছে? ঠিক আছে তাকে মুক্ত করে ছাড়ব।’
তার পরদিনই মাওলানা পল্টন ময়দানে আঙুল তুলে হুংকার দিয়ে উঠলেন, লক্ষ জনতার সমাবেশে সেই বিখ্যাত হুংকার ‘খামোশ’!
দেশ স্বাধীনের পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মাওলানা ভাসানী বলেছেন, “মুজিবরের বিপদ এখনো কাটেনি।” ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাওলানা ভাসানীর ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হয়েছে। ভাসানী একসময় নতুন দল তৈরি করলেন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), তিনি তাঁর দলের সেক্রেটারি পদে একে একে অনেককে বসালেন, আর কথায় কথায় লেখককে আক্ষেপ করে বলেছেন, “মুজিবরের মতো কাউরে সেক্রেটারি পাইলাম না।”
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হলেন, নিয়মানুযায়ী তাঁর বঙ্গভবনে থাকার কথা, তিনি থাকলেন ধানমন্ডির বাসভবনে। কেন তিনি এই বাড়ি ছেড়ে বঙ্গভবনে গেলেন না? লেখকের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে সেই কথা ‘প্রেরণাদায়িনী ফজিলাতুন্নেসা মুজিব’ প্রবন্ধে।
বেগম মুজিব কখনো চাননি নিজে বঙ্গভবনে যেতে, তবে তিনি বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গভবনে থাকতে বলেছিলেন। বেগম মুজিবকে ছাড়া বঙ্গবন্ধুরও বঙ্গভবনে যাওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধুর পত্নী সহজ-সরল এবং একইসাথে দৃঢ় চরিত্রের ছিলেন; এই বিষয়ে দুটি কথা না বললেই নয়।
সদ্য স্বাধীন দেশে প্রথম ভিনদেশী রাষ্ট্রনেতা হিসেবে এলেন ইন্দিরা গান্ধী, রেসকোর্সে নির্মিত হলো ‘ইন্দিরা মঞ্চ’, জীবনে সেই প্রথম অন্দর থেকে বাইরে এসেছিলেন বেগম মুজিব। পরে জেনেছি, বঙ্গবন্ধু বহু খোশমোদ করে বেগম সাহেবকে সেই মঞ্চে আনতে পেরেছিলেন। চিরকাল আটপৌরে শাড়ি পরা বেগম মুজিব সেদিন বহু আয়াসসাধ্য প্রচেষ্টায় একটি কাতান পরেছিলেন। মঞ্চের কাছাকাছি ছিলাম বলে দেখলাম, এক হাতে বারবার কাতানটি সামলাচ্ছেন, অন্য হাতে পানের বাটাটি ধরে আছেন। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রের সবচেয়ে সম্মানিত মহিলাটির আঁচলের আড়ালে পানের বাটা আগলে রেখেছেন। দেখে আমারই হাসি পাচ্ছিল। অদূরে বসে শুনলাম, বঙ্গবন্ধু মৃদুস্বরে ধমকে উঠলেন, ‘ঐটা আবার নিয়ে আসলে ক্যান?’ বেগম মুজিবের মুখে অপ্রস্তুত হাসি। তারপর বাটাটি আঁচলের তলে ভাল করে ঢাকা দিতে থাকলেন। এ হচ্ছে সহজ সরল চিরায়ত গ্রাম্যবধূ বঙ্গবন্ধু জয়ার চিত্ররূপ।
অন্য ঘটনাটি হলো, আগরতলা যড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষিতে গণঅভুত্থানে বিপর্যস্ত আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব দেন। বেগম মুজিব সেদিন বন্দী স্বামীকে খবর পাঠালেন, “হাতে বঁটি নিয়ে বসে আছি, প্যারলে মুচলেকা দিয়ে আইয়ুবের দরবারে যেতে পারেন; কিন্তু জীবনে ৩২ নম্বরে আসবেন না।”
প্রশাসক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নানা দিকের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ নিয়ে লেখক ইংরেজি ভাষায় লেখা মওদুদ আহমদের একটি বইয়ের কথা বলেছেন- ‘ইরা অব শেখ মুজিবুর রহমান‘। বইটির লেখক বিএনপি নেতা বলে অনেকেই বইটি নিয়ে তেমন আলোচনা না করলেও এবিএম মুসার কাছে মনে হয়েছে বইটি তথ্যবহুল ও যুক্তিনির্ভর। এ প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রবন্ধে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় বিদেশী রাষ্ট্রের প্রভাব, সাতই মার্চের ভাষণ, স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসা, তাঁর পিতার কথাও উঠে এসেছে আলাদা আলাদা প্রবন্ধে। বইটিতে বঙ্গবন্ধুর নানা সময়ের চৌদ্দটি আলোকচিত্র আছে। বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে ১৯৭৫ সালের পনেরই আগস্টের শহীদদের।
‘মুজিব ভাই‘ বইটির ভাষা বেশ সহজবোধ্য ও শ্রুতিমধুর। বইটি পড়ে নতুন এক বঙ্গবন্ধুর পরিচয় পাওয়া যাবে, যার ছিল বিশাল হৃদয়। সেই হৃদয়ে শত্রু-মিত্র সবাইকে জায়গা দিতেন। বিবিসির সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে তিনি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর প্রবল শক্তিমত্তার দিক তাঁর দেশের জনগণ, দুর্বলতার দিক জনগণের জন্য ভালবাসা।
বইটিতে মোট এগারটি প্রবন্ধ আছে। ভূমিকা লিখেছেন লেখকের বন্ধু ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, ‘আমার কথা’ অংশে লেখক বইটি লেখার পটভূমি লিখেছেন। বইটি প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশনী, ২০১২ সালে; গায়ের দাম ২৪০ টাকা, পৃষ্ঠাসংখ্যা ১০৩। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানতে ও জানাতে আগ্রহী যেকোনো পাঠকের কাছে বইটি নিঃসন্দেহে ভাল লাগবে।
অনলাইনে বইটি সংগ্রহ করতে ক্লিক করতে পারেন এই লিঙ্কে:
১) মুজিব ভাই