
“পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটিকে দেখে হয়তো আপনার মনেই হতো না যে স্বাভাবিকের বাহিরে কিছু দেখা যাচ্ছে তার মাঝে, যদি না তার দাঁড়িয়ে থাকাটা এতটা স্থির আর একাকী না হতো। গোড়ার দিকের বর্ণনাগুলোতে এমনভাবে তার কথা বলা হয়েছে যে মনের মাঝে নিশ্চিত কোনো চিত্র আপনি কল্পনা করতেই পারবেন না। তিনি দেখতে এত লম্বাও না, আবার খাটোও না। এত চিকনও না, মোটাও না। এখানে ওখানে মাঝে মাঝে তার সুদর্শন গঠন নিয়ে দুয়েকটা কথা চোখে পড়ে, আর সেগুলো বেশ প্রীতিকর আর আশ্চর্যেরও বটে।
মনে হতে পারত, এই পাহাড়চূড়ায় ধ্যান করতে আসা একটা মানুষ হয়ত রুক্ষসূক্ষ্ম হবেন, কিন্তু না, লালচে ফরসা মানুষটিকে দেখে আপনাকে অবাকই হতে হবে। যখন হাঁটছেন তখন একটু ঝুঁকে পড়ে হাঁটছেন, যেন কোথায় যাবার তাড়া। যখন কারো সাথে কথা বলেন, পুরো ঘাড় ঘুরিয়ে কথা বলেন। তার গড়ন দেখেই আপনি বুঝে যাবেন, সম্ভ্রান্ত এক ঘরে তার জন্ম।
হ্যাঁ, চল্লিশ বছর বয়স তার, আর আট দশজন মক্কাবাসীর মতোই হয়ত চলছেন, এতিম অনাথ থেকে বড় হয়ে এখন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, সুখের একটা সংসার আছে তার। সবার শ্রদ্ধা আর সম্মানের পাত্র। কিন্তু কেন যেন তার পোশাক পরিচ্ছদ, এমনকি পায়ের জুতোখানা দেখেও বোঝার উপায় নেই তিনি যে এত ধনী মানুষ।

খুব কাছ থেকে যদি খেয়াল করে থাকত কেউ, হয়ত দেখা যেত একটা অস্থিরতা আর একই সাথে দৃঢ়তা কাজ করছে তার মাঝে, তার ঠোঁটদুটো একটুখানি ফাঁক করা, যেন আঁধারের মাঝে ফিসফিস করে বলে উঠবেন কিছু একটা, কিন্তু বলছেন না। এ বয়সে এসে তিনি সবকিছু পেয়েছেন, তবুও কীসের তাড়না তার? কী খুঁজছেন তিনি? নিজের মনের এক ফোঁটা শান্তি বুঝি? কিন্তু তিনি কি শান্তিতে নেই? তাহলে কি আরো বড় কিছু খুঁজছেন? খুব, খুব বড় কিছুর একরত্তি আভাস? ওহ, তাঁর নাম? মুহাম্মাদ (সা)।
একটা ব্যাপার আমরা নিশ্চিত- মুহাম্মাদ (সা) এর নিজের ভাষ্য মতেই, ৬১০ সালের সেই রাত্তিরে তিনি এমন কিছুর মুখোমুখি হয়েছিলেন, এমন কিছু অনুভব করেছিলেন যার জন্য তিনি আদৌ প্রস্তুত ছিলেন না। একটুও না।”
বইয়ের শুরুটা যদি বাংলায় বলতে হয়, তবে ভাবানুবাদটা এরকম। হয়ত শিরোনাম পড়ে ভাবছেন, একজন ইহুদী লিখছেন ইসলাম ধর্মের শেষ নবী মুহাম্মাদ (সা) এর জীবনী? মুসলিমদের মাঝে প্রচলিত ইহুদীবিদ্বেষের কারণে আপনার মনে হতেই পারে, নিশ্চয়ই উলটোপালটা বদনাম করে রেখেছে। কিন্তু অবাক করা বিষয়, আসলেই বইটিতে হযরত মুহাম্মাদ (সা)-কে নিয়ে কোনো খারাপ কিছু নেই। বরং এমনটাও হতে পারে, কিছু কিছু অধ্যায় আর কিছু কিছু ঘটনা পড়ে আপনার চোখের কোণে জমে উঠলো কয়েক ফোঁটা অশ্রু- তিনি এতটাই সুন্দর করে লিখেছেন ‘দ্য ফার্স্ট মুসলিম’ বইটি।

লেখকের নামই তো বলা হলো না। নাম তার লেজলি হ্যাজেল্টন। মহিলার বয়স এখন চলছে ৭৩, জন্ম তার ইহুদী পরিবারে। পরিচয়ের দিক থেকে ইহুদী হলেও বিশ্বাসের দিক থেকে তিনি অ্যাগনস্টিক, বাংলায় যাকে কিনা বলে অজ্ঞেয়বাদী, অর্থাৎ তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস না করলেও অবিশ্বাসও করেন না, কোন ধর্ম সঠিক সে বিষয়েও তিনি সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি।

বিখ্যাত টাইম পত্রিকার রিপোর্টার হিসেবে তিনি জেরুজালেমে কাটিয়েছেন ১৯৬৬-৭৯ সাল পর্যন্ত। অবশ্য তিনি বেড়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডে। এরপর ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি নিউ ইয়র্কে শহরে কাটান। তার লেখনি ছাপা হতো নিউ ইয়র্ক টাইমসেও। সিয়াটলে গিয়েছিলেন পাইলটের লাইসেন্স নিতে, কিন্তু পরে মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে নেন। তার বইগুলো ধর্ম নিয়ে হলেও, তিনি কিন্তু আসলে পেশায় একজন সাইকোলজিস্ট, মনস্তত্ত্ববিদ। সাইকোলজির উপর দু’খানা ডিগ্রি তার, একটি ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে, আরেকটি জেরুজালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে।
আদতে ‘স্কলার’ বলতে যা বোঝায়, তিনি তা নন, নিজেই স্বীকার করেন তিনি। একজন বহিরাগত হিসেবে তিনি পরধর্মগুলো জানতে চান। এজন্যই তিনি ইসলাম নিয়ে জানা শুরু করেন। কুরআন পড়া শুরু করেন। আরবিও শিখে নেন, আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য কয়েকটি অনুবাদ সাথে রাখেন। আর তাফসির গ্রন্থগুলো তো আছেই। কুরআন পড়তে গিয়ে তার মনে হয়েছিল, এ শৈল্পিক গ্রন্থটি আসলে যতটা না রিডিং পড়ে যাবার, তার থেকে বেশি শোনার জন্য, সুললিত কন্ঠে কুরআনের বাণীগুলো যেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে শিহরণ জাগায়। এ নিয়ে টেড টক-ও দিয়েছেন তিনি।
পেশাগত জীবনে তাকে রিপোর্ট করতে হতো ধর্ম আর রাজনীতির মিলনবিন্দু নিয়ে। সেই থেকে ধর্মের প্রতি তার আগ্রহ, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব বলে যাকে। ইহুদী হবার কারণে, তাওরাত বা বাইবেল সংক্রান্ত জিনিসগুলো আগে থেকেই তার জানা ছিল। তাই যখন ইসলামকে জানতে শুরু করলেন তখন মোটেও অচেনা লাগেনি তার। কিন্ত অচেনা লেগেছিল ২৩ বছর ধরে ইসলামের বাণী প্রচার করে যাওয়া মুহাম্মাদ (সা)-কে। কারণ পশ্চিমা বিশ্বের মানুষ হিসেবে এতদিন যে তথাকথিত বর্বর ধর্মের কথা তিনি জেনে এসেছিলেন, সে ধর্মের নবীর জীবনে যে এত অসাধারণ সব ঘটনা আছে কে জানতো?

হ্যাঁ, মুসলিম বিশ্বের মানুষেরা হয়তো জানে। কিন্তু যে অঞ্চলগুলো মুসলিমপ্রধান নয়, তাদের জানবার কথা না। তাই তিনি অচেনা থেকে যে মুহাম্মাদ (সা)-কে জানলেন, অজানা পথে পাড়ি জমালেন, নতুন ধর্মকে জানবার জন্য- সেটাই পশ্চিমা বিশ্বের ইসলামভীতিসম্পন্ন মানুষদের জন্য উপস্থাপন করতে চাইলেন। ইসলাম যে কোনো বর্বর ধর্ম নয়, নবী মুহাম্মাদ (সা)-কে নিয়ে যে অপপ্রচারগুলো প্রচলিত সেগুলো যে মিথ্যে, সেটাই তিনি জানাতে চাইলেন। শুরু করলেন লেখা, ‘দ্য ফার্স্ট মুসলিম’।
বইয়ের নাম তিনি নিয়েছিলেন পবিত্র কুরআনের ৩৯:১২ আয়াত থেকে, “বল, (হে মুহাম্মাদ,) আমাকে আদেশ করা হয়েছে প্রথম মুসলিম হতে।” সেই থেকে বইয়ের নাম প্রথম মুসলিম, অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা)।
বইয়ের শুরু পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়ানো মুহাম্মাদ (সা) এর চিন্তাভাবাপন্ন অবস্থা থেকে, সে রাত্রেই তিনি নবুয়ত পান। একজন অমুসলিম হিসেবে লেজলিকে নাড়া দেয় সে রাতের ঘটনা- কেন মুহাম্মাদ (সা) প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি? কেন মনে করেছিলেন, ওহী নিয়ে আসা সত্ত্বা আসলে ফেরেশতা নন? কেন তার মনে ছিল ভয়? কেন সন্দেহ? এতই ভয় পেয়েছিলেন তিনি যে তার জ্বর চলে এসেছিল, আর খাদিজা (রা) তাকে কম্বল দিয়ে জড়িয়ে ধরেন, তাকে সান্ত্বনা দেন।

এ ঘটনার পরপরই লেজলি চলে যান ফ্ল্যাশব্যাকে পেছনের দিকে, মুহাম্মাদ (সা) এর জন্ম আর সে সময়ের কাহিনীগুলো। বাবাহারা শিশুর বেড়ে ওঠার অধ্যায়গুলো পড়তে গেলে মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। এ বইটি লিখতে গিয়ে তিনি এমন একটি ধারা ব্যবহার করেছেন, যেটি এর আগে কেউ করেননি। তিনি বুঝতে চেষ্টা করেছেন, কোন মুহূর্তে মুহাম্মাদ (সা) ঠিক কেমন অনুভব করে থাকতে পারেন। চল্লিশ বছর পর্যন্ত নির্ভেজাল জীবন কাটিয়ে দেয়া একটি মানুষ কি জানতেন যে পরের ২৩ বছরে তিনি হবেন আরবভূমির নেতা? আক্রান্ত নির্যাতিত মানুষগুলো ইসলাম নামের ধর্মটির জন্য মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চেষ্টা করছিল মক্কার অলিতে গলিতে, তিনি কি তখন জানতেন ১৪০০ বছর পর সেটি হবে প্রায় দেড় বিলিয়ন মানুষের ধর্ম? এ উত্তরগুলো খোঁজার চেষ্টা করেছেন লেজলি হ্যাজেল্টন।
অস্বীকার করবার উপায় নেই, এই অনুভূতিগুলো ধারণা করতে গিয়ে, আন্দাজ করতে গিয়ে সময়ে অসময়ে ভুলও করেছেন তিনি। তিনি যে স্কলার মনে করেন না নিজেকে, সেটা তো আগেই বলা হয়েছে। তাই অনেক সময়ই হয়ত তার লেখনিতে স্থান পেয়েছে কিছু জাল বর্ণনা, কিংবা দুর্বল কাহিনী। কিন্তু একজন বহিরাগত হিসেবে মুহাম্মাদ (সা)-কে জানতে তিনি যে পরিশ্রম করেছেন গোড়া থেকে সেটা প্রসংশার দাবিদার। বইটি হয়ত কোনো প্রামাণ্য সীরাত গ্রন্থ নয়, কিন্তু অমুসলিমদের ইসলামভীতি দূর করবার জন্য প্রথম বই হিসেবে খুবই যোগ্য।

জন্মসূত্রে লেজলি ইহুদী। আর ইহুদীদের নিয়ে সীরাত গ্রন্থগুলোতে রয়েছে নানা কাহিনী, নানা রক্তপাতও। বিশেষ করে সবচেয়ে আলোচিত কুরাইজা গণহত্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হয়ত তার ইহুদী পরিচয়ের দাগ রেখে গেছেন, কিন্তু একইসাথে ঘটনাটি দেখানোর চেষ্টা করেছেন মুহাম্মাদ (সা) এবং মুসলিম দৃষ্টিকোণ থেকেও। তিনি কী লিখেছেন এগুলো নিয়ে সেটা না হয় বইটি পড়ার সময়টার জন্য তুলে রাখা হোক।
একে একে তিনি ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করেছেন, কেন আসলে ইসলাম বর্বর ধর্ম নয়, বরং সহিংসতার নির্দেশগুলো আসলে নির্দিষ্ট সময়ের গণ্ডীর বাহিরের জন্য ছিল না। বইটি পড়তে গিয়ে চেনা জানা ঘটনাগুলোও আপনার কাছে নতুন করে জানছেন মনে হবে। নবী হিসেবে তার জীবনী নিয়ে অনেক অনেক বই লেখা হয়েছে, অমুসলিমদের হাতেও লেখা হয়েছে বটে। কিন্তু, একজন অসহায় অনাথ শিশু থেকে অবিসংবাদিত নেতা হবার গল্পটা যে মানুষকে ঘিরে, সেই মনুষ্যত্বের কাহিনী হয়ত এভাবে জোর দিয়ে লেখা হয়নি আগে। এর বেশি কিছু বলা হয়ত ঠিক হবে না, বাকিটুকু না হয় বইটা পড়েই আপনি অনুভব করুন পাঠক হিসেবে!

প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ধর্মতত্ত্ব গবেষক প্রফেসর এমেরিটাস কর্নেল ওয়েস্ট বইটি নিয়ে বলেন, “অসাধারণ সুন্দরভাবে লেখা, ফার্স্ট মুসলিম বইটি ইসলামের শেষ নবীকে যেন পরিপূর্ণ দৃষ্টিতে দেখতে চেষ্টা করে, অতুলনীয় একজন মানুষের মনুষ্যত্বকে তুলে ধরে।”
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিভিউ বলছে, “মুহাম্মাদ (সা) এর কাহিনী আপনার পরিচিত হলেও বইটি পড়তে গিয়ে যেন নতুন রূপে ধরা দেয়। বইটিকে সেদিক দিয়ে আমরা সার্থক বলতে পারি, জীবনীকে জীবন্তভাবে ফুটিয়ে আনতে পেরেছেন লেজলি।”
লেজলির ভাষায়, মুহাম্মাদ (সা) এর জীবনী এতটাই অসাধারণ, যে এর সমান্তরালে ইতিহাসে আর কারো জীবনী নেই, এই মানুষটির জীবনটাকেই তিনি কথার জাদুতে উঠিয়ে আনবার চেষ্টা করেছেন। কতটা সার্থক হয়েছেন, সেটা বিচার করবেন পাঠকরাই। কষ্টিপাথরের যাচাইয়ে নিখাদ প্রামাণ্য গ্রন্থ যদি আপনি চান, তবে বইটি হয়তো আপনার জন্য নয়। কিন্তু সেই যে পাঠ্যবইতে আমরা পড়েছিলাম মানুষ মুহাম্মাদ (সা) এর কথা, তাকে নিয়ে যদি গভীরে জানতে চান, তবে বইটি আপনার প্রিয় হয়ে উঠবে।

সবশেষে বইটি কেমন ভাষায় লেখা সেটার আরেকটি উদাহরণ, ঠিক যেভাবে শেষ হয়ে যায় বইটি-
“বুধবার ভোরের আলো ফুটবার আগেই ঘুম ভেঙে যায় আইশার (রা), ঘুম ভাঙার কারণ আর কিছুই না, পাশের মসজিদের উঠোন থেকে মাটিকাটার আওয়াজের প্রতিধ্বনি। মুহাম্মাদ (স) এর ইন্তেকালের পর তিনি হাফসার সাথে থাকছেন। গভীর শোকে হয়তো তিনি উঠে গেলেন না শব্দটা কীসের জন্য হচ্ছে দেখতে। যদি যেতেন, তবে তিনি আবিষ্কার করতেন, শব্দটা আসলে পাথুরে জমিতে শাবলের আঘাতের। কোদাল শাবল নিয়ে আলী আর তার সঙ্গীরা কবর খুঁড়ছেন, মুহাম্মাদ (সা) এর কবর।
মুহাম্মাদ (সা) একবার বলেছিলেন, নবীরা যেখানে মারা যায় সেখানেই তাদের কবর হওয়া উচিত। তাই তারা সেখানেই কবর খুঁড়ছিলেন যেখানে তিনি মারা গিয়েছেন। ঠিক যে ঘরে থাকতেন আইশা, ঠিক যে বিছানায় আইশার কোলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি, এখানেই হয়ত তার শেষ ইচ্ছে ছিল সমাহিত হবার। যথেষ্ট গভীর হবার পর তারা কাফনের কাপড়ে মোড়ানো দেহটিকে শুইয়ে দিলেন মক্কার দিকে মুখ করে, যেন প্রার্থনারত তিনি। এরপরই দ্রুত মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলা হলো, আর তার উপর এক খণ্ড পাথর।
কোনো বিশাল হৈ চৈ না, বড় মিছিল না, কান্নার শোরগোল না- ভোরবেলায় সমাহিত হলেন মুহাম্মাদ (সা), একদম নীরবেই। ঠিক যেভাবে নীরবে তিনি এসেছিলেন এক এতিম পরিবারে, ভোরের আলো ফুটবার সাথে সাথে সেভাবেই বিদায় নিলেন নিঃশব্দে। কবরে প্রবেশ করলেন এক অসাধারণ কিন্ত সামান্য মানুষ হিসেবে, কোনো রাজনৈতিক আক্রোশ কিংবা ক্ষমতার হানাহানি তাকে স্পর্শ করবে না আর। ঠিক যে শান্তিটা তার প্রয়োজন ছিল, সেটাই তিনি পেলেন। একদম জীবনের বেলা শেষে- এতটুকু বিশ্রাম।”
ফিচার ইমেজ: umrahsb