খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে হাল্ট প্রাইজ – অন ক্যাম্পাস ২০১৮-১৯। হাল্ট প্রাইজ, হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন, জাতিসংঘ এবং ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ-এর অংশীদারিত্বে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বখ্যাত সামাজিক সমস্যা সমাধানমূলক (স্যোশাল অন্ট্রাপ্রেনারশিপ কম্পিটিশন) একটি প্রতিযোগিতা। আহমেদ আস্কার ২০১০ সালে হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুলের সহায়তায় হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। খাদ্য নিরাপত্তা, পানি, শক্তি এবং শিক্ষা এই বিষয়গুলো নিয়ে মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিয়ে এই প্রতিযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন চ্যালেঞ্জ নির্ধারণ করে প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে বিজয়ী ঘোষণা করেন। বিজয়ী দলকে ১ মিলিয়ন ডলার প্রদান করা হয়। এ বছরের চ্যালেঞ্জ নির্ধারণ করা হয়েছে যুব বেকারত্বের উপর। প্রতিযোগীদের এমন একটি বিজনেস আইডিয়া দিতে হবে যার মাধ্যমে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০,০০০ যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর শিক্ষার্থীদেরকে এই প্রতিযোগিতার আদ্যোপান্ত জানাতে এবং তাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টার (SWC)-তে এই ইনফো সেশন এবং ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। ইনফো সেশনের শুরুতে হাল্ট প্রাইজ – অন ক্যাম্পাস ২০১৮-১৯ এর খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন হাল্ট প্রাইজ, কুয়েটের ক্যাম্পাস ডিরেক্টর অভিষেক দে। এরপর বক্তব্য রাখেন কুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী এবং মাইক্রোসফট ইয়াং বাংলা স্টার্টআপ কম্পিটিশনের বিজয়ী মাহমুদুল হাসান। তিনি হাল্ট প্রাইজের পূর্ববর্তী বিজয়ীদের সমস্যা এবং তাদের সমাধানগুলো নিয়ে কথা বলেন।
পরবর্তীতে বক্তব্য রাখেন হাল্ট প্রাইজ ২০১৭ এর সেরা ২০ ক্যাম্পাস ডিরেক্টরদের মধ্যে একজন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর সাবেক ক্যাম্পাস ডিরেক্টর মুহাইমিনুল ইসলাম। তিনি তার হাল্ট প্রাইজের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। পরবর্তীতে গুগল বিজনেস গ্রুপ খুলনা শাখার ব্যবস্থাপক আতহার আনসারি সোশ্যাল বিজনেস কম্পিটিশন এবং সামাজিক সমস্যা সমাধানে এর ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। সর্বশেষে বক্তব্য রাখেন সিটি ব্যাংক খুলনা ব্রাঞ্চের ক্লাস্টার হেড ব্রাঞ্চ অপারেশনস ম্যানেজার হিমাদ্রি শেখর। তিনি বিজনেস কেস কম্পিটিশনের বিভিন্ন শাখা যেমন– কেস ক্র্যাকিং, মার্কেটিং, স্ট্রাকচার অ্যানালাইসিস, বিজনেস প্ল্যানিং ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
হাল্ট প্রাইজ অ্যাট কুয়েট ২০১৮-১৯ এর মূল প্রতিযোগিতা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যার শুরুতে সারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনলাইন রাউন্ডে আবেদনকারী দলগুলো থেকে বাছাইকৃত সেরা ৩০টি বিজনেস আইডিয়া সেমিফাইনালের জন্য উত্তীর্ণ হবে। পরবর্তীতে সেমিফাইনাল থেকে উত্তীর্ণ ছয়টি দল অন ক্যাম্পাস রাউন্ডের বিজয়ী হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নামবে। উল্লেখ্য, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল রাউন্ড আগামী ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। অন ক্যাম্পাস ইভেন্টের বিজয়ী দলটি সরাসরি মুম্বাই, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, দুবাই, বোস্টন, লন্ডন, স্যান-ফ্রান্সিসকো এবং বিশ্বের আরো ২০টি শহরের যেকোনো একটি শহরে রিজিওনাল রাউন্ডে অংশগ্রহণ করার জন্য যাবে।
হাল্ট প্রাইজ অ্যাট কুয়েট ২০১৮-১৯ এর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে রোর বাংলা।