একবার জেমস বন্ড সিরিজের মূল অভিনেতাদের কথা ভাবুন। এই মুহূর্তে আপনার শন কনারি, ড্যানিয়েল ক্রেগ, পিয়ার্স ব্রসনান কিংবা অন্য কোনো অভিনেতার কথা মনে পড়ছে, যারা প্রত্যেকেই জেমস বন্ড সিরিজে অভিনয় করেছেন। আপনার চোখের সামনে হয়তো ভেসে উঠছে জেমস বন্ড সিরিজের কোনো পছন্দের অভিনেতা তার অতিপরিচিত স্যুট পরে ক্যাসিনোর মধ্যে প্রবেশ করছেন, আর সম্মোহনী স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে নিজের পরিচয় দেওয়ার জন্য বলছেন, “মাই নেজ ইজ পোপোভ, ডুসকো পোপোভ।“
না, জেমস বন্ড সিরিজে এই কথাগুলো নেই। এই সিরিজে মূল অভিনেতারা নিজেদের পরিচয় দেওয়ার জন্য বলেন, “মাই নেম ইজ বন্ড, জেমস বন্ড।” এই একটি বাক্য থেকেই বোঝা যায় বাস্তব জীবনের ‘জেমস বন্ড’ ডুসকো পোপোভের সাথে মিল রয়েছে পর্দার জেমস বন্ডের।
এর আগে জানা প্রয়োজন, এই পোপোভ আসলে কে? ডুসকো পোপোভ হচ্ছেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একজন ডাবল এজেন্ট। যার জন্ম হয়েছিল তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ায়।
ডুসকো পোপোভকে খুব কাছে থেকে দেখেছেন জেমস বন্ডের স্রষ্টা ইয়ান ফ্লেমিং। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পোপোভ যখন জার্মান ও ব্রিটিশ হয়ে গোয়েন্দাগিরি করছিলেন, ফ্লেমিং তখন ব্রিটেনের নেভাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের বিশেষ সহকারী। সেই কারণে তিনি একাধিকবার এসপিওনাজ মিশনে অংশও নিয়েছেন।
ফ্লেমিংয়ের জন্ম হয়েছিল এক বিত্তশালী পরিবারে। লেখক হবার আগে তিনি একাধিক পেশায় কাজ করেছেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তার কালজয়ী জেমস বন্ড সিরিজ লেখা শুরু করেন।
এই সিরিজে তিনি যুদ্ধের সময়কার ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা ফিকশন আকারে তুলে ধরেন। যার প্রথমটি ছিল ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’।
এই বইটি মূলত ১৯৪১ সালে পর্তুগালে ক্যাসিনো এস্ট্রোরিলে পোপোভের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লেখা। যদিও ফ্লেমিং কখনো তা স্বীকার করেননি। তবে ধারণা করা হয় জেমস বন্ড সিরিজ লেখার পেছনে ডুসকো পোপোভের জীবনকাহিনী ফ্লেমিংকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
পোপোভের প্রাথমিক জীবন
১৯১২ সালে বর্তমান সার্বিয়ায় এক ধনকুবের পরিবারে ডুসকো পোপোভের জন্ম। তার শৈশব কেটেছে আড্রিয়াটিক সাগরে পারিবারিক ইয়টে ভ্রমণ করে। এরপর বয়স বাড়ার সাথে সাথে তিনি ইউরোপের কিছু নামকরা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পাশাপাশি জার্মান, ফ্রেঞ্চ এবং ইতালিয়ান ভাষা শেখেন।
পোপোভ কিছুদিন ইংল্যান্ডেও কাটান। তার বাবা সারের একটি নামকরা বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তার বেশিদিন থাকা হয়নি।
একবার সিগারেট খাওয়ার সময় তিনি শিক্ষকের হাতে ধরা পড়েন। সেই অপরাধে শিক্ষক তাকে বেত্রাঘাত করেন। তখন পোপোভ শিক্ষকের হাত থেকে বেত কেড়ে নিয়ে তা দুই টুকরো করে ফেলেন।
এরপর পোপোভ দেশে ফিরে স্কুলজীবন পার করে বেলগ্রেড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে তিনি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। আইনে ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য জার্মানি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সাথে জার্মান ভাষায় অধিকতর দক্ষতা অর্জনও অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।
জার্মানিতে এসে পোপোভ ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন । সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় জোহান জেবসেনের। পোপোভের মতো জেবসনও ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান ছিলেন।
তাদের দুজনের মধ্যে রুচিগত কিছু মিল ছিল। যার ফলে তারা দুজনে খুব তাড়াতাড়ি ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে যান। পোপোভ আর জেবসন দুজনই স্পোর্টিং কার আর নারীর নেশায় মত্ত হয়ে পড়েন।
পোপোভ শুধু অর্থের জোরে নারীদের প্রেমে ফেলতেন, তা নয়। তিনি দেখতে বেশ আকর্ষণীয় ছিলেন। তার সবুজাভ চোখের চাহনি যেকোনো নারীকে আকর্ষণ করতো। নিজেদের স্পোর্টস কারে নারী নিয়ে পোপোভ আর জেবসেন একের পর এক ক্লাবে ঘুরে বেড়াতেন। খুব তাড়াতাড়ি প্লেবয় হিসেবে তারা পরিচিতি পান।
এসব বিষয়ের বাইরেও পোপোভ আর জেবসেনের মধ্যে আরো অনেক বিষয়ে মিল ছিল। তারা দুজনেই নাৎসিদের ঘৃণা করতেন, যারা কিছুদিন আগেই জার্মানির ক্ষমতা দখল করেছেন।
পোপোভের সাথে প্রায়ই ফ্রেইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাৎসি সমর্থক ছাত্রদের মতবিরোধ হতো। এছাড়া তিনি তাদের সাথে বিতর্কেও জড়াতেন, যা একসময় হিটলারের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে আসে।
১৯৩৭ সালে পোপোভ যখন তার গ্র্যাজুয়েশন শেষ করায় প্যারিসে আনন্দ-উল্লাস করার জন্য জার্মানি ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলেন, তখন তিনি গেস্টাপোর হাতে ধরা পড়েন।
জেবসেন সাথে সাথে পোপোভের বাবার কাছে ফোন করে ঘটনা খুলে বলেন। এরপর পোপোভের বাবা যুগোস্লাভিয়া সরকারের সহায়তায় তার ছেলেকে আট দিন পর ফ্রেইবার্গ জেল থেকে মুক্ত করেন। তাকে সুইজারল্যান্ডের ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়৷
ট্রেনে পোপোভের জন্য জেবসেন অপেক্ষা করছিলেন। পোপোভ তার বন্ধুর কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন এবং প্রতিশ্রুতি জীবনে যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে তিনি এই ঋণ শোধ করবেন।
জার্মানি থেকে ফেরার পর পোপোভ ক্রোয়েশিয়ায় তার আইন ব্যবসায় মনোযোগ দেন। এরপর বন্ধু জেবসেনের এক টেলিগ্রাম তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
টেলিগ্রামে তিনি জানান, জার্মান মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স আবএয়া (Abwehr)-তে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এজন্য তার পোপোভের কিছু সাহায্য দরকার। পরবর্তীকালে তারা দুজন বেলগ্রেডের একটি হোটেলে দেখা করেন। সেখানে জেবসেন আরো একবার বলেন যে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ করার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার এটিই একমাত্র সুযোগ।
বন্ধুর সিদ্ধান্তে প্রথমে পোপোভ রাজি হননি। কারণ যারা তাকে জেলে বন্দী করে রেখেছিল তাদের পক্ষে কাজ করতে মন সায় দিচ্ছিল না। বরং তার ইচ্ছা ছিল হিটলারের শত্রুপক্ষের কারো সাথে কাজ করতে। এজন্য তার প্রথম পছন্দ ছিল ব্রিটেন।
ব্রিটেনের হয়ে কাজ করার আগে তিনি জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার একজন এজেন্ট হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। যা তাকে পরবর্তীতে নাৎসিদের ক্ষতি করতে সহায়তা করবে।
এরপর পোপোভ জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হন। তাকে এসপিওনাজ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সেই সাথে তার কোড নেম দেওয়া হয় ইভান।
যখন তার প্রশিক্ষণ শেষ তখন তাকে অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি শুরুতেই জার্মান অর্থে লন্ডন চলে যান। জার্মান কর্তাব্যক্তিদের বলে যান সেখানে তিনি একটি গোয়েন্দা চক্র গড়ে তুলবেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি ব্রিটিশ কতৃপক্ষকে সাহায্য করার প্রস্তাব দেন।
প্রথমে ব্রিটেন ইন্টেলিজেন্স বিভাগের কর্মকর্তারা রাজি না হলেও পরে সম্মতি। তখন তারা পোপোভের কোড নেম দেন
ডাবল এজেন্ট হিসেবে পোপোভের রোমাঞ্চকর জীবন
ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-সিক্স পোপোভকে দিয়ে মূলত জার্মানিকে ভুয়া তথ্য সরবরাহ করার জন্য নিয়োগ দিয়েছিল। সেই সাথে তার পক্ষে জার্মানির শাসকদের ভেতরের খবর বের করাও সম্ভব ছিল। ফলে পোপোভ এমআই-সিক্সে ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা।
এদিকে জার্মানরাও তাকে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা ভেবেছিল। কারণ তিনি প্রতিনিয়ত ব্রিটেনের বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছিলেন। যার সবই ছিল এমআই-সিক্সের তৈরি।
আবএয়ার গোয়েন্দা হিসেবে পোপোভের কর্মক্ষেত্র ছিল পর্তুগালের রাজধানী লিসবন। পর্তুগাল তখন নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। আর সেখানে বসে জার্মানির অর্থে নারী ও গাড়ি নিয়ে ফূর্তি করছিলেন, আর জার্মানিরই ক্ষতি করে যাচ্ছিলেন।
পোপোভের কাজে জার্মানি খুবই সন্তুষ্ট ছিল। কারণ তারা কখনোই বুঝতে পারেনি পোপোভের দেওয়া তথ্যগুলো ভুয়া। যখন আবএয়া জানতে পারলো পোপোভ ইংল্যান্ডে একটি গোয়েন্দা চক্র তৈরি করবে, এই কাজ ঠিকভাবে হাসিলের জন্য তারা পোপোভের হাতে ৫০ হাজার ডলার তুলে দেয়। কিন্তু পোপোভ এসব অর্থ লিসবনের ক্যাসিনো এস্ট্রোরিলে উড়াতেন।
১৯৪১ সালের একরাতে ফ্লেমিংকে সাথে নিয়ে ক্যাসিনোর মধ্যে দিয়ে পোপোভ হাঁটছিলেন৷ ফ্লেমিংকে মূলত এমআই-সিক্স সাথে দিয়েছিল। পোপোভের কাছে তখন জার্মানির দেওয়া ৫০ হাজার ডলারই ছিল। তখন ক্যাসিনোর মধ্যে লিথুনিয়ার এক ব্যবসায়ী চিৎকার করে বলছিলেন তার বেকারাট টেবিলে যত অর্থ নিয়ে খেলতে চান, তিনি রাজি।
বিষয়টি পোপোভকে রাগান্বিত করে। তিনি তখন সেই ব্যবসায়ীর টেবিলে গিয়ে পুরো ৫০ হাজার ডলার বাজি ধরেন। পুরো ক্যাসিনো তখনও নীরব। কারণ এই পরিমাণ অর্থ পর্তুগালে বাৎসরিক আয়ের ১০ গুণের বেশি।
তখন সেই ব্যবসায়ী ক্যাসিনোর মালিকদের বলেন, তিনি যদি হারেন পোপোভকে সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দিতে পারবেন কি না। ক্যাসিনো মালিক অপারগতা প্রকাশ করলে পোপোভ তার অর্থ তুলে নেন।
ফ্লেমিংয়ের জেমস বন্ড সিরিজের প্রথম প্রকাশিত বই ‘ক্যাসিনো রয়্যাল’-এ এমন একটি ঘটনা রয়েছে। যেখানে রাশিয়ার এক এজেন্টকে বেকারাট খেলে দেউলিয়া করে দেন। ধারণা করা হয়, পোপোভের এই ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ফ্লেমিং তার বইয়ে এমন একটি দৃশ্যের অবতারণা করেছিলেন।
পোপোভের উল্লেখযোগ্য গোয়েন্দাগিরি
১৯৪০ সালের নভেম্বর, ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্স ও রয়্যাল নেভি একযোগে রাতের আঁধারে টারান্টোতে থাকা ইতালির নৌঘাঁটিতে হামলা চালায়। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম আকাশ থেকে শত্রুপক্ষে নৌঘাঁটিতে হামলা। এই হামলা কীভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে জানার জন্য জাপান তৎপরতা জানায়। জার্মানি কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিল এরকম হামলা জাপান করতে পারে।
জার্মানি তখন পোপোভকে যুক্তরাষ্ট্রের পার্ল হারবার ঘাঁটির তথ্য সংগ্রহ করতে বলেন। পরবর্তীতে তিনি ব্রিটিশ ডাবল ক্রস কমিটিকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি ট্রিপল এজেন্ট নন। তাদের মাধ্যমে এফবিআই এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন পোপোভ।
কিন্তু এফবিআই এর সাথে তার সম্পর্ক মোটেই সুখকর হয়নি। তারা চেয়েছিল পোপোভের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা জার্মান এজেন্টদের ধরতে। কিন্তু পোপোভ তাতে সায় দেননি।
পার্ল হারবারে জাপানের হামলার চার মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি জাপান ও জার্মানির এমন তৎপরতা সম্পর্ক অবগত করেছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা কানে নেয়নি। এরপর যখন ৭ ডিসেম্বর জাপানের হামলা করার খবর পেলেন, পোপোভ তখন প্রথমে খুশি হন। কিন্তু হতাহতের খবর শুনে কিছুটা দুঃখ পান।
তবে এখনও একটা রহস্য যে, জাপানকে পার্ল হারবার সম্পর্কে কে তথ্য দিয়েছিল। হামলার বিষয়ে জার্মান নেতাদের কাছে খুব বেশি তথ্য ছিল না। তবে যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পেরেছিল, এর সাথে জার্মানির কোনো গোয়েন্দা ছিলেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, যা পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
নাৎসিদের পরাজয়ের পেছনে পোপোভের বড় ভূমিকা একটি ছিল। তিনি হিটলারের বাহিনীকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, মিত্র পক্ষের সেনারা নরম্যান্ডিতে অবস্থান নেবেন না। বরং তারা ফ্রান্সের দিয়েপ্পে অথবা ক্যালাইসে অবস্থান করবেন। যে কারণে নরম্যান্ডির সমুদ্র সৈকত থেকে হিটলারের অধিকাংশ সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে ব্রিটিশ ও মার্কিন সেনারা সেখানেই এসে ঘাঁটি গাড়েন। কৌশলগতভাবে জায়গাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা পরবর্তীতে মিত্রপক্ষের জয়ের পেছনে অবদান রাখে।
ডুসকো পোপোভকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এমআই-সিক্সের সেরা গোয়েন্দা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেউ কেউ তাকে ব্রিটেনের ইতিহাসে সেরা গোয়েন্দা হিসেবেও আখ্যা দিয়ে থাকেন। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তিনি প্যারিস চলে যান। সত্তরের দশকে গোয়েন্দা জীবন নিয়ে একটি আত্মকাহিনী প্রকাশ করেন।
১৯৮১ সালে অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপানজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মজার বিষয় হচ্ছে, জেমস বন্ড যদি সত্যিকারের চরিত্র হতেন, তাহলে তারও জীবনাবসান সম্ভবত পোপোভের মতোই হতো। পোপোভ ছিলেন জেমস বন্ডের প্রতিরূপ। তার জীবনকাহিনী আমাদের আরো একটি শিক্ষা দেয়। তা হলো অস্ত্রের চেয়ে বুদ্ধির জোর অনেক বেশি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে আরও জানতে পড়তে পারেন এই বইটি
১) সাচিকো – নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিল যে মেয়েটি