আফ্রিকার লৌহমানব হিসেবে খ্যাত লিবিয়ার সাবেক নেতা মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফীকে নিয়ে রোর বাংলায় কয়েকটি লেখা আছে। ভবিষ্যতেও তার চার দশকের বর্ণাঢ্য শাসণকালের বিভিন্ন দিক নিয়ে আরো অনেক লেখা আসবে। কিন্তু আজ কোনো লেখা নয়, চলুন দেখে নিই গাদ্দাফীর এমন সব ছবি, যার অনেকগুলোই হয়ত আপনি আগে কখনো দেখেননি।
গাদ্দাফীর বৈচিত্র্যময় জীবনের হাজার হাজার ছবি ইন্টারনেটে আছে। কিন্তু তার শেষ জীবনের ছবির অনেকগুলোই টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটের কল্যাণে আমাদের দেখা হয়েছে। এখানে সেগুলো এড়িয়ে তার অপেক্ষাকৃত দুর্লভ ছবিগুলোকেই স্থান দেওয়া হয়েছে। তাই এখানের অধিকাংশ ছবিই সত্তর এবং আশির দশকের।
গাদ্দাফী এবং তার পরিবার
১) গাদ্দাফীর বাবা-মা সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। তার বাবার নাম ছিল মোহাম্মদ আব্দুসসালাম, যিনি আবু মিনিয়ার নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। আর তার মায়ের নাম ছিল আয়েশা। তার বাবা ১৯৮৫ সালে এবং মা ১৯৭৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এই ছবিতে গাদ্দাফীকে তার বাবা, মা এবং একজন আত্মীয়ের সাথে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবিটি কত সালে তোলা হয়েছিল, তা জানা যায়নি, তবে গেটি ইমেজ এটি প্রথম প্রকাশ করে ১৯৯৪ সালে।
২) গাদ্দাফীর জন্ম সিরতের নিকটবর্তী একটি বেদুইন পরিবারে। এই ছবিতে সিরতের নিকটকবর্তী একটি মরুময় এলাকায় তার বাবার তাঁবুতে বসে এলাকাবাসী এবং আত্মীয়দের সাথে চা পান করছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১ আগস্ট, ১৯৭৩
৩) বাবার তাঁবুতে বন্ধু এবং আত্মীয়দের সাথে রাইফেল হাতে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১ আগস্ট, ১৯৭৩
৪) ১৯৮২ সালে গাদ্দাফী সপরিবারে অস্ট্রিয়া ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সে সময় ভিয়েনায় এ ছবিটি তোলা হয়। গাদ্দাফীর কোলে বসে আছে তার দ্বিতীয় পুত্র সাইফ আল-ইসলাম। সাথে আছেন তার স্ত্রী সাফিয়া ফারকাশ এবং অন্যান্য সন্তানরা।
৫) নিজ বাসভবন বাব আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ডে দুই ছেলেমেয়ের সাথে গাদ্দাফী। বামে হানিবাল এবং ডানে আয়েশা। ছবিটি গাদ্দাফীর বিরুদ্ধে ১৯৮৪ সালের ৮ মে সংঘটিত ব্যর্থ অভ্যুত্থানের কদিন পরেই তোলা। “ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফর দ্য স্যালভেশন অফ লিবিয়া”র সদস্যরা বাব আল-আজিজিয়াতে গাদ্দাফীর বাসভবনে প্রবেশ করে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়। প্রকাশকাল: ১২ মে, ১৯৮৪
৬) ১৯৮৫ সালে তিন দিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে সেনেগালে গিয়েছিলেন গাদ্দাফী। সাথে ছিলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাফিয়া ফারকাশ। এ ছবিটি সেনেগালের রাজধানী ডাকারে তোলা। পেছনে সেনেগালের প্রেসিডেন্ট আব্দু দাইউফ। প্রকাশকাল: ৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৫
৭) নিজের বেদুইন তাঁবুতে কন্যা আয়েশার সাথে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১২ জানুয়ারি, ১৯৮৬
৮) ১৯৮৬ সালে মার্কিন বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হয় গাদ্দাফীর বাব আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ডের বাড়িটি, নিহত হয় তার চার বছর বয়সী দত্তক নেওয়া শিশুকন্যা হ্যানা। এই ছবিটি বাব আল-আজিজিয়াতে তার বিধ্বস্ত বাড়ির সামনে তোলা। সাথে তার স্ত্রী সাফিয়া এবং দুই পুত্র মোহাম্মদ ও সাইফ আল-ইসলাম এবং কন্যা আয়েশা। প্রকাশকাল: ১ নভেম্বর, ১৯৮৬
৯) গাদ্দাফী ও তার স্ত্রী সাফিয়া, সাথে তাদের এক সন্তান। তারিখ না জানা এ ছবিটি গাদ্দাফীর পতনের পর তার বাড়িতে পাওয়া গিয়েছিল।
১০) নিজের তাঁবুতে গাদ্দাফী, স্ত্রী সাফিয়া ও তিন সন্তান। সর্ববামে সাইফ আল-ইসলাম।
১১) ১৯৯২ সালে ত্রিপলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ত্রী সাফিয়ার সাথে গাদ্দাফী।
১২) নিজ বাসভবন বাব আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ডের ভেতর স্ত্রী সাফিয়ার সাথে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১৮ মার্চ, ১৯৯২
১৩) নিজ বাসভবন বাব আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ডের ভেতর ছেলের সাথে ফুটবল খেলছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১৮ মার্চ, ১৯৯২
১৪) নিজ বাসভবন বাব আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ডের ভেতর স্ত্রী সাফিয়া ও তিন ছেলে সাইফ আল-আরব, খামিস এবং মৌতাসেম বিল্লাহ’র সাথে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১৮ মার্চ, ১৯৯২
বিপ্লবী নেতা গাদ্দাফী
১৫) ১৯৬৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন গাদ্দাফী। এরপর নভেম্বর মাসে প্রথম জনসমক্ষে সরাসরি ভাষণ দেন। প্রকাশকাল: ১৪ নভেম্বর, ১৯৬৯
১৬) ১৯৬৯ সালের বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে জনগণের উদ্দেশ্য ভাষণ দিচ্ছেন গাদ্দাফী।
১৭) ১৯৬৯ সালের শেষ দিকে এক রাষ্ট্রীয় সফরে সুদানে যান গাদ্দাফী এবং তার রেভল্যুশনারী কমান্ড কাউন্সিলের সদস্যরা। সর্বডানে আছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবুবকর ইউনুস জাবের, যিনি ২০১১ সালে গাদ্দাফীর সাথে একই দিনে বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। প্রকাশকাল: ১ জানুয়ারি, ১৯৭০
১৮) রেভোলিউশনারী কমান্ড কাউন্সিলের এক মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী আব্দুসসালাম জাল্লুদের সাথে গাদ্দাফী। আব্দুসসালাম জাল্লুদ পরবর্তীতে গাদ্দাফীর সাথে মতানৈক্যের কারণে পদত্যাগ করেছিলেন। দীর্ঘ কয়েক দশক তাকে নজরবন্দী করে রাখা হয়েছিল। ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধের সময় বিদ্রোহীরা তাকে মুক্ত করে। প্রকাশকাল: ১ আগস্ট, ১৯৭৩
১৯) বিদেশে অধ্যয়নরত লিবিয়ান ছাত্রদের সাথে ত্রিপলীতে সাক্ষাৎ করছেন গাদ্দাফী। সাথে আছেন প্রধানমন্ত্রী আব্দুসসালাম জাল্লুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খোয়েইলদি হামিদি এবং বিপ্লবী কমান্ড কাউন্সিলের অন্যান্য নেতারা। প্রকাশকাল: ১ আগস্ট, ১৯৭৩
২০) বিদেশে অধ্যয়নরত লিবিয়ান ছাত্রদের সাথে ত্রিপলীতে গল্প করছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১ আগস্ট, ১৯৭৩
২১) বিদেশে অধ্যয়নরত লিবিয়ান ছাত্রদেরকে নামায পড়াচ্ছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১ আগস্ট, ১৯৭৩
২২) ১৯৭৩ সালে রেভ্যলুউশনারী কমান্ড কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যদের সাথে মতানৈক্যের কারণে গাদ্দাফী এর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। কাউন্সিল তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করায় তিনি আবার ফিরে আসেন। সে সময় লক্ষ লক্ষ জনতা তার সমর্থনে সমবেত হয়। প্রকাশকাল: ২৩ জুলাই, ১৯৭৩
২৩) ১৯৭৬ সালে মাল্টায় গিয়েছিলেন গাদ্দাফী। সেখানে মাল্টিজ ভক্তদের সাথে করমর্দন করছেন তিনি। প্রকাশকাল: ২৩ মে, ১৯৭৬
২৪) ১৯৭৬ সালে মাল্টার রাজধানী ভ্যালেটাতে মাল্টিজ প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের বাইরে মাল্টিজ ভক্তদের সামনে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ২৯ মে, ১৯৭৬
২৫) ত্রিপলী মিলিটারি এয়ারপোর্টে আরব রাষ্ট্রের নেতাদেরকে অভ্যর্থনা জানাতে এসে সাংবাদিক এবং ফটোগ্রাফারদেরকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন গাদ্দাফী। ১৯৭৭ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ইসরায়েল সফর করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গাদ্দাফী ত্রিপলীতে আরব রাষ্ট্র প্রধানদের জরুরী মিটিং ডাকেন। প্রকাশকাল: ২ ডিসেম্বর, ১৯৭৭
২৬) মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের ইসরায়েল সফরের প্রতিবাদে ডাকা জরুরী বৈঠকে বক্তৃতা দিচ্ছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ২ ডিসেম্বর, ১৯৭৭
২৭) ১৯৮২ সালে ত্রিপলীতে অর্গানাইজেশন অফ আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ৮ আগস্ট, ১৯৮২
২৮) ত্রিপলীতে নিজের অফিসে বসে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাদ্দাফী।
বিশ্বনেতাদের সাথে গাদ্দাফী
২৯) দ্বিতীয় ওআইসি সম্মলনে বাম থেকে ইয়াসির আরাফাত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জুলফিকার আলি ভুট্টো এবং মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪
৩০) বাম থেকে গাদ্দাফীর স্ত্রী সাফিয়া ফারকাশ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো, মোয়াম্মার আল-গাদ্দাফী এবং ভুট্টোর স্ত্রী নুসরাত ভুট্টো। প্রকাশকাল: ২৭ জানুয়ারি, ১৯৭২
৩১) ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে গাদ্দাফী। সাথে গাদ্দাফীর স্ত্রী সাফিয়া এবং তাদের পুত্র-কন্যারা।
৩২) ১৯৬৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর ক্ষমতায় আরোহণ করার পর অক্টোবার মাসে প্রথমবারের মতো মিসর সফরে যান গাদ্দাফী। সে সময় তার আদর্শিক নেতা গামাল আবদেল নাসেরের সাথে তোলা প্রথম ছবি। প্রকাশকাল: অক্টোবর, ১৯৬৯
৩৩) ১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিন ও জর্ডান সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আকস্মিক মিসর সফর করেন গাদ্দাফী। সে সময় মিসরের বন্দর নগরী আলেক্সান্দ্রিয়াতে তাকে অভ্যর্থনা জানান মিসরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসের। প্রকাশকাল: ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০
৩৪) ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বরে মরক্কোর রাজধানী রাবাতে আরব সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য পৌঁছেন গাদ্দাফী এবং গামাল আবদেল নাসের। প্রকাশকাল: ১ ডিসেম্বর, ১৯৬৯
৩৫) জীপে চড়ে মিসরের সামরিক বাহিনীর মহড়া পরিদর্শন করছেন গাদ্দাফী এবং গামাল আবদেল নাসের। সামনে আছেন মিসরের যুদ্ধমন্ত্রী মোহাম্মদ ফৌজি। প্রকাশকাল: ২২ জুন, ১৯৭০
৩৬) লিবিয়া ভ্রমণকালে গাদ্দাফীর সাথে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো। প্রকাশকাল: ৮ মার্চ, ১৯৭৭
৩৭) লিবিয়া ভ্রমণকালে গাদ্দাফীর সাথে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর আরেকটি ছবি। প্রকাশকাল: ৮ মার্চ, ১৯৭৭
৩৮) লিবিয়ার মরুভূমিতে তাঁবুর সামনে ফিদেল ক্যাস্ট্রো এবং গাদ্দাফী।
৩৯) জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অষ্টম সম্মেলনে নিকারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওরতেগা (বামে) এবং কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর (ডানে) সাথে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৬
৪০) ১৯৭৩ সালে মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ইসরায়েলের সাথে চুক্তি করলে লিবিয়ার সাথে মিসরের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে এবং একপর্যায়ে যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত আলজেরিয়া এবং ফিলিস্তিনের উদ্যোগে যুদ্ধ বন্ধ হয়। এই ছবিটি ১৯৭৩ সালের, যখন ইয়াসির আরাফাত লিবিয়াতে গিয়েছিলেন গাদ্দাফীকে যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানাতে।
৪১) ১৯৮১ সালে বেনগাজীতে ইয়াসির আরাফাতের সাথে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮১
৪২) ১৯৯১ সালে লিবিয়ার বেনগাজীতে ইয়াসির আরাফাতের সাথে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ২৯ আগস্ট, ১৯৯১
৪৩) ১৯৯২ সালের ৭ এপ্রিল মরুঝড়ের কবলে পড়ে ইয়াসির আরাফাতকে বহনকারী একটি বিমান লিবিয়ার মরুভূমিতে বিধ্বস্ত হয়। দুজন পাইলট এবং একজন ইঞ্জিনিয়ার মারা গেলেও আরাফাত আহত হন। পরদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে যান গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ৮ এপ্রিল, ১৯৯২
৪৪) ১৯৮১ সালে গাদ্দাফীর পেছনে নামায আদায় করছেন ইয়াসির আরাফাত সহ অন্যান্যরা। প্রকাশকাল: ১ জানুয়ারি, ১৯৮১
৪৫) জর্ডানের সরকারের সাথে পিএলও’র যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে কায়রোতে মিলিত হয়েছেন আরব বিশ্বের নেতারা। বাম থেকে যথাক্রমে গাদ্দাফী, ইয়াসির আরাফাত, গামাল আবদেল নাসের এবং বাদশাহ হোসেন। প্রকাশকাল: ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০
৪৬) ১৯৭৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর গাদ্দাফীর বিপ্লবের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে লিবিয়াতে গাদ্দাফীর সাথে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট হাবিব বুরগেবা এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত। প্রকাশকাল: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩
৪৭) জর্ডানে শান্তি আলোচনায় গাদ্দাফী, বাদশাহ হোসেন (মাঝে) এবং ইয়াসির আরাফাত। প্রকাশকাল: ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৭৮
৪৮) ১৯৮০ সালে ত্রিপলীতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল-আসাদ এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১২ এপ্রিল, ১৯৮০
৪৯) ১৯৭১ সালের এপ্রিলে লিবিয়া, মিসর এবং সিরিয়া মিলে “ফেডারেশন অফ আরব রিপাবলিক” গঠন করে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর বাম থেকে মিসরের আনোয়ার সাদাত, গাদ্দাফী এবং সিরিয়ার হাফেজ আল-আসাদ। প্রকাশকাল: ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১
৫০) জর্ডানের সাথে ফিলিস্তিনের দ্বন্দ্ব নিরসনে কায়রোতে আরব বিশ্বের নেতারা। বাম থেকে সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল, গাদ্দাফী, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দুর রহমান আল-ইরিয়ানি এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসের। প্রকাশকাল: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০
৫১) ১৯৭২ সালে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় অর্গানাইজেশন অফ আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলনে বাম থেকে সিরিয়ার হাফেজ আল-আসাদ, উগান্ডার ইদি আমিন, মিসরের আনোয়ার সাদাত এবং গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ২৯ জুন, ১৯৭২
৫২) উগান্ডার গুলু এয়ারফিল্ডে উগান্ডার জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে গাদ্দাফীর পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইদি আমিন। প্রকাশকাল: ৩ মার্চ, ১৯৭৪
৫৩) উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইদি আমিনের সাথে গাদ্দাফী।
৫৪) যুগোস্লাভিয়া ভ্রমণের সময় প্রেসিডেন্ট জোসেফ টিটোর সাথে গাদ্দাফী।
৫৫) রাষ্ট্রীয় সফরে পূর্ব জার্মানীতে কমিউনিস্ট নেতা এরিখ হনেকারের সাথে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ২৬ জুন, ১৯৭৮
৫৬) রাশিয়া সফরকালে ১৯৮১ সালে মস্কোতে গাদ্দাফীকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ব্রেজনেভ। প্রকাশকাল: ২৭ এপ্রিল, ১৯৮১
৫৭) ১৯৮৪ সালে লিবিয়ার মরুভূমিতে বুলগেরিয়ার কমিউনিস্ট নেতা টোডর জিকভের সাথে গাদ্দাফী।
৫৮) ফিলিপিনের ফার্স্ট লেডি ইমেল্ডা মার্কোস ১৯৭৬ এবং ১৯৭৭ সালে দুবার লিবিয়া ভ্রমণ করেছিলেন ফিলিপিনের ইসলামপন্থী উগ্রবাদীদেরকে দমনের ব্যাপারে গাদ্দাফীর সাহায্য চাওয়ার জন্য। সে সময় একটি অনুষ্ঠানে ইমেল্ডার সাথে গাদ্দাফী।
৫৯) ইমেল্ডা মার্কোসের সাথে গাদ্দাফীর আরেকটি ছবি।
গাদ্দাফীর অন্যান্য ছবি
৬০) ক্ষমতায় আসার আগে গাদ্দাফী সেনাবাহিনীর হয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। প্রচন্ড জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ গাদ্দাফী ঐতিহ্যবাহী লিবিয়ান পোশাকেই ইংল্যান্ডের রাস্তাঘাটে যাওয়া আসা করতেন। এই ছবিটি ১৯৬৬ সালে লন্ডের পিকাডেলিতে তোলা। সে সময় গাদ্দাফীর বয়স ছিল ২৪ বছর।
৬১) পরবর্তী জীবনে গাদ্দাফী এবং পুত্ররা অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবন যাপন শুরু করলেও প্রথমে যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন থেকে শুরু করে পুরো সত্তর এবং আশির দশক পর্যন্ত গাদ্দাফী অত্যন্ত সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। ১৯৭৩ সালের এ ছবিতে গাদ্দাফীকে তার নিজের বেডরুমে দেখা যাচ্ছে। খুবই সাদামাটা আসবাবপত্রের রুমের এক কোণে একটি জায়নামাযের অস্তিত্বও দেখা যাচ্ছে।
৬২) নিজের বাড়ির একটি কক্ষে কার্পেটের উপর আধশোয়া অবস্থায় বই পড়ছেন গাদ্দাফী।
৬৩) ১৯৭৩ সালে নিজের বাসায় বিপ্লবী নেতাদের সাথে গাদ্দাফী।
৬৪) ১৯৭৩ সালে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সিরতের মরুভূমির একটি বাড়িতে গাদ্দাফী।
৬৫) নিজের বাড়িতে গাদ্দাফী। ছবি তুলছেন ফটোগ্রাফার জেনেভিভ শোভেল।
৬৬) ১৯৭৩ সালে লিবিয়ার মরুভূমিতে নামায পড়ছেন গাদ্দাফী এবং তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবু বকর ইউনুস জাবের।
৬৭) ১৯৭৩ সালে ত্রিপলীতে একদল ব্রিটিশ হিপ্পির সাথে গল্প করছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১ জুলাই, ১৯৭৩
৬৮) বন্ধুদের সাথে মরুভূমিতে মাদুর পেতে শুয়ে শুয়ে বই পড়ছেন গাদ্দাফী। মাথার নিচে ব্যাগ, পাশে রেডিও এবং জায়নামায।
৬৯) ১৯৭৫ সালে ত্রিপলীতে এক অনুষ্ঠানে ঘোড়ার পিঠে গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: নভেম্বর, ১৯৭৫
৭০) ১৯৭৭ সালে আনোয়ার সাদাতের ইসরায়েল সফরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গাদ্দাফীর আহ্বানে ত্রিপলীতে আরব রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠক চলাকালে বিকেলে বাইরে হাঁটতে বেরিয়েছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ডিসেম্বর, ১৯৭৭
৭১) বিখ্যাত ইতালিয়ান সাংবাদিক ওরিয়ানা ফালাচিকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ১৯৭৯
৭২) ১৯৮৬ সালে নিজের কার্যালয় থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করার সময় এক সাংবাদিকের করা প্রশ্ন শুনছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: ৯ জানুয়ারি, ১৯৮৬
৭৩) ১৯৮৬ সালের ১৫ই এপ্রিল গাদ্দাফীর বাসভবন বাব আল-আজিজিয়াতে বিমান হামলা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে প্রায় ৬০ জন লিবিয়ান আহত ও নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিল গাদ্দাফীর চার বছর বয়সী পালিত শিশুকন্যা হ্যানা। সে সময় বিধ্বস্ত বাড়ির ভেতরে তোলা গাদ্দাফীর ছবি। প্রকাশকাল: নভেম্বর, ১৯৮৬
৭৪) ট্রাক্টরে চড়ে মার্কিন হামলায় বিধ্বস্ত বাব আল-আজিজিয়া কম্পাউন্ড পরিষ্কার করছেন গাদ্দাফী। প্রকাশকাল: নভেম্বর, ১৯৮৬
৭৫) ২০০২ সালে একটি ফ্যাশন শোর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে লিবিয়াতে গিয়েছিলেন ভারতীয় কয়েকজন মডেল। সে সময় তারা গাদ্দাফীর সাথে ছবি তোলেন। ২০১৭ সালে ছবিটি প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা ক্যাটরিনা কাইফ। ছবিতে গাদ্দাফীর পাশে ক্যাটরিনা কাইফ এবং নেহা ধুপিয়াকে দেখা যাচ্ছে।
ফিচার ইমেজ- Wikimedia Commons