Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

চৌসার যুদ্ধে বিজয়: বিজয়ী শের খান হলেন ‘শের শাহ’

১৫৩৯ সালের ২৬ জুন। ভোরের আলো ফোটার কিছুক্ষণ পূর্বে শের শাহের চালানো ঝটিকা আক্রমণে শোচনীয় পরাজয় স্বীকার করেন তৎকালীন অজেয় শক্তি মুঘল সম্রাট হুমায়ুন। কোনোমতে প্রাণ নিয়ে বীরপুরে এসে পৌঁছান। ঝটিকা আক্রমণ থেকে যারা নিজেদের জীবন বাঁচাতে পেরেছিলেন, তারা সম্রাটের সাথে মিলিত হতে লাগলেন ধীরে ধীরে।

বীরপুর থেকে সম্রাট দ্রুত চুনারে এলেন। পেছনে রেখে এলেন প্রায় ৮ হাজার মুঘল যোদ্ধার মৃতদেহ। দীর্ঘ এই মৃত্যুর মিছিলে নাম লিখিয়েছিলেন সম্রাটের হেরেমের অনেক নারীও। সম্রাটের স্ত্রী বেগা বেগম বন্দী হয়েছিলেন শের খানের হাতে। 

১৮০৩ সালে অঙ্কিত চুনার দুর্গের একটি চিত্র; Image Source: Wikimedia Commons

সম্রাট হুমায়ুনের জীবনীকার গুলবদন বেগমের বর্ণনা অনুসারে, সম্রাট চুনারে মোট তিনদিন অবস্থান করলেন। এরপর বর্তমান ভারত রাষ্ট্রের এলাহাবাদের আরাইলে এসে পৌঁছালেন। সম্রাটের সাথে এখানে সাক্ষাত করলেন গহোরের রাজা বীরভান। রাজা বীরভান নিজের আনুগত্যের চূড়ান্তটা দেখালেন। তিনি সম্রাট আর তার সঙ্গীদের প্রয়োজনীয় খাদ্যসহ অন্যান্য রসদ সরবরাহের ব্যবস্থা করলেন।

সম্রাট হুমায়ুন আরাইলে ৫/৬ দিন অবস্থান করলেন। এর ভেতরেই একদিন শুনতে পারলেন শের খানের সৈন্যরা সম্রাটকে তন্নতন্ন করে খুঁজছে। যেকোন মুহূর্তে তারা আরাইলেও চলে আসতে পারে। সম্রাট দ্রুত আরাইল ত্যাগ করলেন। এদিকে সত্যি সত্যিই শের খানের আফগান সৈন্যরা আরাইলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। রাজা বীরভান প্রায় ৬ হাজার সৈন্য নিয়ে আফগানদের পথরোধ করে দাঁড়ালেন। ফলে হুমায়ুন দ্রত আফগানদের থেকে দূরত্ব তৈরির সুযোগ পেয়ে গেলেন।

আরাইল থেকে সম্রাট হুমায়ুন কড়া এবং কড়া থেকে কালপি হয়ে দীর্ঘ কষ্টকর যাত্রা শেষ করে আগ্রা পৌঁছালেন। মুঘল সাম্রাজ্যের সবচেয়ে সুরক্ষিত ব্যাক্তিটিকেও জীবন হাতে নিয়ে পালিয়ে আগ্রা এসে পৌঁছাতে হল। সম্ভবত একেই বলে নিয়তি! হুমায়ুন যখন আগ্রায় আসেন, তখন মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানীতে মঞ্চায়িত হতে থাকে আরেক কাহিনী। সে আলোচনা যথাসময়ে করা হবে। আপাতত আমরা দৃষ্টি ফেরাই শের খানের দিকে। চৌসায় এ অকল্পনীয় এবং সহজে বিজয় লাভের পর তিনি কী করছেন?

পরাক্রমশালী অজেয় মুঘল সালতানাতের বিরুদ্ধে এরকম বিশাল জয় যেকোনো সেনাবাহিনীকেই আত্মবিশ্বাসের চূড়ান্ত অবস্থানে পৌঁছে দেবে। আফগানদের ক্ষেত্রেও তা-ই হল। খানুয়ার যুদ্ধে মুঘলদের কাছে পরাজিত হওয়ার পর এই প্রথম আফগানরা তাদের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল। তবে শের খান চৌসায় বিজয়লাভ করেই বসে রইলেন না। তিনি জানেন সামান্য একটু সময় পেলেই শক্তিশালী মুঘল সাম্রাজ্য এই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়ে নেবে। তাই তিনি তার বিজয় ধরে রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে শুরু করেন।

চৌসায় নাটকীয় বিজয় লাভের পর প্রথমেই শের খান নতুন উপাধী নিলেন। তার নতুন উপাধী হল ‘হজরত আলী’। শের শাহের জীবনীকার আব্বাস সারওয়ানীর তথ্যানুসারে, নিজের অভিষেক সম্পন্ন হওয়ার পর শের শাহ ‘শাহ আলম’ উপাধীও নিয়েছিলেন। তবে এই বিষয়টি প্রমাণিত নয়। মসনদে অভিষেকের পর শের শাহ তার বিজয় সংবাদ দূত মারফত বিভিন্ন রাজদরবারে প্রেরণ করার নির্দেশ দিলেন। তবে প্রথম বার্তাটি লিখে দিতে অনুরোধ করলেন মসনদ আলী ঈশা খানকে। তিনি বললেন,

আপনি শায়খ মলহির বংশধর। আমাকে মসনদে বসতে, নিজের নামে মুদ্রা প্রচলন করতে আর খুতবা পাঠ করাতে আপনিই আমাকে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন। তাই আমার বিজয়ের প্রথম বার্তাটি আপনি নিজ হাতে লিখে দিন। বাকিগুলো আমার পত্রলেখকরা লিখে দেবে।

মসনদ আলী ঈশা খান শের খানের ইচ্ছা পূরণ করলেন। তিনি শের শাহের প্রথম বিজয়বার্তাটি নিজ হাতে লিখে দিলেন। শের শাহের পত্রলেখকরা এরপর ব্যস্ত হয়ে গেল। শের শাহের অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রভাবশালী বিভিন্ন আফগান নেতা। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন, খান-ই-আজম উমর খানের পুত্র মসনদ আলী ঈশা খান, মুঘল বিদ্বেষী আফগান নেতা আজম হুমায়ুন সরওয়ানী প্রমুখ।

শের খানের অভিষেক অনুষ্ঠান মোট ৭ দিন ধরে চলে। এ সময় আফগানরা তাদের নিজস্ব রীতিতে আনন্দ-উৎসবে মেতে থাকে। অভিষেকের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে শের খান আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত সামরিক তৎপরতা শুরু করলেন। শের খান জানেন, চৌসার যুদ্ধে যদিও মুঘল সম্রাট হুমায়ুন পরাজিত হয়েছেন, কিন্তু এখনো তিনিই হিন্দুস্তানের সম্রাট। আর হিন্দুস্তানের বেশিরভাগ ভূখণ্ড এখনো তারই পদানত। কাজেই এখন যদি শের খান দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সক্ষম না হন, তাহলে তার অতীতের সাফল্য খুব দ্রুতই ম্লান হয়ে পড়বে।

চৌসার যুদ্ধে চেরুহ জমিদারদের মিথ্যা আক্রমণের সংবাদ দ্বারা মুঘল সেনাবাহিনীকে বিভ্রান্ত করলেও সত্যিই এই জমিদাররা বিদ্রোহ করেছিল। তাই চৌসার যুদ্ধের পর প্রথমেই শের খান খাওয়াস খানকে চেরুহের দিকে পাঠিয়ে দিলেন তাদের দমন করার জন্য। বিদ্রোহীদের আর সুযোগ দেয়া উচিত হবে না। এরপর তিনি হাজী খাঁ বটনী আর জালাল খাঁ বিন জালুকে পাঠালেন বাংলার রাজধানী গৌড় অধিকার করে আবারও বাংলা পদানত করতে।

গৌড়ের দাখিল দরওয়াজা বা নতুন দরজা। এই ফটকের দুই পাশের স্তম্ভগুলোর উচ্চতা প্রায় ৫৩ ফুট ছিল। কালের আবর্তনে এর অনেকটুকুই মাটির নিচে চলে গেছে; Image Source: Wikimedia Commons

আর শের খান স্বয়ং নিজে গেলেন হুমায়ুনকে তাড়া করতে। কনৌজ পর্যন্ত হুমায়ুনকে ধাওয়া করে তিনি আর সামনে না এগিয়ে বরমজীদ গৌড়কে হুমায়ুনের পেছনে পাঠিয়ে দিলেন। এর ভেতরে সম্রাট হুমায়ুনকে তাড়া করতে করতেই দখল করে নিলেন কাল্পী আর কনৌজ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এক ভূখণ্ড। 

এদিকে গৌড়ে শের খান তৈরি করলেন বিশ্বাসঘাতকতার আরেক নির্মম উপাখ্যান। সম্রাট হুমায়ুন বাংলা ত্যাগ করার আগে জাহাঙ্গীর কুলি বেগকে বাংলার রাজধানী গৌড় ধরে রাখার নির্দেশ দিয়ে আসেন। জাহাঙ্গীর কুলি বেগের কাছে তখন মাত্র ৫ হাজার সৈন্য ছিল। চৌসার যুদ্ধে বিজয়লাভের পর শের খানের নির্দেশে হাজী খাঁ বটনী আর জালাল খাঁ বিন জালু গৌড় অবরোধ করে।

গৌড়ের প্রবেশপথ; Image Source: Wikimedia Commons

জাহাঙ্গীর কুলি বেগ তার মাত্র ৫ হাজার সৈন্য নিয়ে তীব্র অবরোধ গড়ে তুললেও তিনি বেশ ভালোই জানতেন আগ্রা থেকে সহায়তা না পেলে গৌড় দখলে রাখা যাবে না। শেষ পর্যন্ত তাকে সৈন্যসহ নিরাপদে আগ্রা যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে, এই শর্তে তিনি গৌড় আফগানদের হাতে তুলে দিতে চুক্তিবদ্ধ হন। এদিকে শের খানও ইতোমধ্যে গৌড়ে চলে এসেছেন।

শের খান; Image Source: thefamouspeople.com

তিনি এসেই জাহাঙ্গীর কুলি বেগের সাথে সম্পাদিত চুক্তির বরখেলাপ করে ৫ হাজার সৈন্যসহ জাহাঙ্গীর কুলি বেগকে নির্মমভাবে হত্যা করার নির্দেশ দেন। বাংলার মাটিতে ঘটে গেল আরেকটি নির্মম গণহত্যা। শেষ পর্যন্ত আফগানরাও তাদের চুক্তির মর্যাদা দিতে পারল না। গৌড় পুনরুদ্ধার করে শের খান আবারো তার উপাধী পরিবর্তন করলেন। তার নতুন উপাধী হল ‘শের শাহ’। শের খান হয়ে গেলেন শের শাহ। এ নামেই পরবর্তীতে তিনি ইতিহাসের পাতায় স্থায়ী হলেন।

শের শাহ জানতেন সম্রাট হুমায়ুন অবশ্যই চৌসায় পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এগিয়ে আসবেন। তাই তিনিও সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করতে লাগলেন। তার বার্তা নিয়ে গুজরাট আর মাণ্ডুর দিকে ছুটে গেলেন খান-ই-আযম উমর খানের পুত্র মসনদ আলী ঈশা খান। মাণ্ডু, উজ্জয়নী আর সারংপুরের রাজা ছিলেন তখন কাদির শাহ। ভূপত শাহের শিশুপুত্র রাজা পরাবতের রাজপ্রতিনিধি হিসেবে রাইসিন আর চান্দেরী শাসন করছিলেন পূরণ মল। সিকান্দার খান মিয়ানা ছিলেন সিওয়াসের মসনদে। অন্যদিকে তখন ভূপালের মসনদে ছিলেন মহেশ্বর নামক এক ব্যাক্তি। শের খান এসব রাজাদের উদ্দেশ্য করে লিখলেন,

আমি কয়েকদিনের মাঝেই আমার পুত্রকে আপনাদের অঞ্চলে পাঠাচ্ছি। সম্রাট হুমায়ুন যদি কনৌজের দিকে এগিয়ে আসার জন্য তৎপরতা দেখান, তবে আমার পুত্রের নেতৃত্বে আগ্রা আর দিল্লি আক্রমণের সময় আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন হবে।

মুঘল বিদ্বেষী এসব রাজারা জোটবদ্ধ হয়ে জানালেন, আগ্রা আর দিল্লি আক্রমণের সময় শের শাহকে তারা তাদের সর্বচ্চটুকু দিয়ে সহায়তা করবে। এদিকে এই মসনদ আলী ঈশা খানের পরামর্শে শের শাহ মুঙ্গেরে বন্দী খান-ই-খানান ইউসুফ খইলকে নির্মমভাবে হত্যা করলেন।

মালব অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের রাজারা শের শাহকে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের বিরুদ্ধে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলে শের শাহ তার পুত্র কুতুব খানকে মাণ্ডুর দিকে প্রেরণ করলেন। কুতুব খানের উপর শের শাহের নির্দেশ স্পষ্ট। সম্রাট হুমায়ুন যদি শের শাহকে বাঁধা দিতে কনৌজের দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে কুতুব খানের প্রধান কাজ হবে মালবের রাজাদের সহযোগীতা নিয়ে দিল্লি আর আগ্রায় চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। এতে সম্রাট উভয় দিক থেকেই চাপে পড়ে যাবেন। 

কুতুব খান প্রথমেই এটোয়া আর কালপির দখল বুঝে নিতে অগ্রসর হলেন। জবাবে সম্রাট হুমায়ুন হুসেন সুলতান, কামরান মির্জার এক আমির ইস্কান্দার সুলতান আর ইয়াদগার নাসির মির্জাকে পাঠালেন আফগান বাহিনীকে বাঁধা দিতে। 

কালপির নিকট উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত মুঘল সেনাবাহিনী বিজয় ছিনিয়ে আনে। যুদ্ধে নিহত হয় শের শাহের পুত্র কুতুব খান। 

মালবের রাজাদের মুঘলদের বিরুদ্ধে শের শাহকে সাহায্য করার কথা থাকলেও সম্রাট হুমায়ুনের ভয়ে তারা শেষ পর্যন্ত তাদের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসে। হুমায়ুন মালবের রাজাদের এই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ব্যাপারটি মনে রাখলেন।

এদিকে আগ্রায় মুঘল পরিবারের মাঝে ঘটে চলছে যুদ্ধক্লান্ত সম্রাট হুমায়ুনের নিজ পরিবারের পুনর্মিলন, ভাইদের সাথে মানসিক টানাপোড়ন, ক্ষমতার দ্বন্দ্বসহ টানটান উত্তেজনাপূর্ন নানা ঘটনা। হিন্দুস্তানের মাটিতে  আবারও বেজে উঠতে যাচ্ছে যুদ্ধের দামামা। শীঘ্রই অতীতের শিহরণ জাগানো সেই ঘটনাগুলো আলোচনা করা হবে।

তথ্যসূত্র

  1. মোগল সম্রাট হুমায়ুন, মূল (হিন্দি): ড হরিশংকর শ্রীবাস্তব, অনুবাদ: মুহম্মদ জালালউদ্দিন বিশ্বাস, ঐতিহ্য প্রকাশনী, প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারী ২০০৫
  2. তারিখ-ই-শের শাহ; মূল: আব্বাস সারওয়ানী, অনুবাদ গ্রন্থের নাম: শের শাহ, অনুবাদক: সাদিয়া আফরোজ, সমতট প্রকাশনী, প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  3. রিয়াজ-উস-সালাতীন, মূল লেখক: গোলাম হোসায়ন সলীম, অনুবাদ গ্রন্থের নাম: বাংলার ইতিহাস, অনুবাদক: আকবরউদ্দীন, অবসর প্রকাশনী, প্রথম প্রকাশ ফেব্রুয়ারী ২০০৮
  4. হুমায়ুননামা, মূল: গুলবদন বেগম, অনুবাদ: এ কে এম শাহনাওয়াজ, জ্ঞানকোষ প্রকাশনী, প্রকাশকাল: জানুয়ারী ২০১৬

এই সিরিজের আগের পর্বসমূহ

১। প্রাক-মুঘল যুগে হিন্দুস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা || ২। তরাইনের যুদ্ধ: হিন্দুস্তানের ইতিহাস পাল্টে দেওয়া দুই যুদ্ধ || ৩। দিল্লী সালতানাতের ইতিকথা: দাস শাসনামল || ৪। রাজিয়া সুলতানা: ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক || ৫। দিল্লি সালতানাতের ইতিকথা: খিলজী শাসনামল || ৬। দিল্লি সালতানাতের ইতিকথা: তুঘলক শাসনামল || ৭। দিল্লি সালতানাতের ইতিকথা: তৈমুরের হিন্দুস্তান আক্রমণ ও সৈয়দ রাজবংশের শাসন || ৮। দিল্লী সালতানাতের ইতিকথা: লোদী সাম্রাজ্য || ৯। রাজকীয় মুঘল সেনাবাহিনীর গঠন এবং গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস || ১০। রাজকীয় মুঘল সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত কিছু অস্ত্রশস্ত্র || ১১। জহির উদ-দিন মুহাম্মদ বাবুর: ‘একজন’ বাঘের উত্থান || ১২। বাদশাহ বাবরের কাবুলের দিনগুলো || ১৩। বাদশাহ বাবর: হিন্দুস্তানের পথে || ১৪। বাদশাহ বাবরের হিন্দুস্তান অভিযান: চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি || ১৫। মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থান: হিন্দুস্তানে বাবরের চূড়ান্ত লড়াই || ১৬। খানুয়ার যুদ্ধ: মুঘল বনাম রাজপুত সংঘাত || ১৭। ঘাঘরার যুদ্ধ: মুঘল বনাম আফগান লড়াই || ১৮। কেমন ছিল সম্রাট বাবরের হিন্দুস্তানের দিনগুলো? || ১৯। মুঘল সম্রাট বাবরের মৃত্যু: মুঘল সাম্রাজ্য এবং হিন্দুস্তানের উজ্জ্বল এক নক্ষত্রের অকাল পতন || ২০। সিংহাসনের ষড়যন্ত্র পেরিয়ে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের অভিষেক || ২১। মুঘল সাম্রাজ্যের নতুন দিগন্ত: সম্রাট হুমায়ুনের ঘটনাবহুল শাসনামল ||  ২২। দিল্লি সালতানাত থেকে মুজাফফরি সালতানাত: প্রাক-মুঘল শাসনামলে গুজরাটের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস || ২৩। মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের গুজরাট অভিযানের প্রেক্ষাপট || ২৪। সম্রাট হুমায়ুনের গুজরাট অভিযান: সুলতান বাহাদুর শাহের পলায়ন || ২৫। সম্রাট হুমায়ুনের গুজরাট অভিযান ও গুজরাটের পতন || ২৬। গুজরাট থেকে মুঘলদের পলায়ন: মুঘল সাম্রাজ্যের চরম লজ্জাজনক একটি পরিণতি || ২৭। শের খান: হিন্দুস্তানের এক নতুন বাঘের উত্থানের গল্প || ২৮। শের খানের বাংলা অভিযান || ২৯। গুজরাটের সুলতান বাহাদুর শাহ হত্যাকাণ্ড: সাম্রাজ্যবাদী পর্তুগীজদের বিশ্বাসঘাতকতার একটি নিকৃষ্ট উদাহরণ || ৩০। শের খানের বাংলা বিজয় || ৩১। সম্রাট হুমায়ুনের বাংলা বিজয়: বাংলা থেকে শের খানের পশ্চাদপসরণ || ৩২। মির্জা হিন্দালের বিদ্রোহ: মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের আগ্রা যাত্রা || ৩২। চৌসার প্রান্তরে শের শাহ বনাম হুমায়ুন: যুদ্ধের মহড়া || ৩৩। ব্যাটল অফ চৌসা: মুঘল সাম্রাজ্যের ছন্দপতনের সূচনা

ফিচার ইমেজ: magicalbengal.wordpress.com

Related Articles