সংবাদমাধ্যমে সর্বাধিক আলোচিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। তাদের নিয়ে আলোচনার বেশ কিছু কারণও রয়েছে। মূলত আমেরিকান বিপ্লবের পর থেকে এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসকে ৩টি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। জর্জ ওয়াশিংটন এবং থমাস জেফারসনের হাত ধরে যে সূচনা হয়েছিল তার সমাপ্তি ঘটে সকল অঙ্গরাজ্যের পুরুষদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে।
অতঃপর দাসপ্রথা নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় কৃষ্ণাঙ্গদের নাগরিক অধিকার আন্দোলন, পরোক্ষভাবে যার সমাপ্তি এখনও ঘটেনি। আর তৃতীয় ধাপে মার্কিন মুলুকের আগ্রাসী নীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিকে উল্লেখ করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, প্রতিটি পর্যায়ে রাষ্ট্রপ্রধানেরা নিজেদের সফলতার চাবিকাঠি হিসেবে সে সময় প্রচলিত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমকে ব্যবহার করতেন। উদাহরণ হিসেবে জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বারাক ওবামার মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধিকে উল্লেখ করা যেতে পারে।
যদিও ইতিহাসে জায়গা করে নেয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টদের অনেকে আবার স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছেন। আর এতেই ঘটেছে বিপত্তি! ‘ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা’ হিসেবে তাদের যে পরিচিতি, তার পেছনে রাষ্ট্রীয় নীতি বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। কিন্তু যারা এর বিপরীতে গিয়ে নতুন ইতিহাস গড়তে চেয়েছেন, তারা আবার ইতিহাস হয়েছেন মৃত্যুবরণ করে। এখন অবধি ৪ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হয়েছেন। তাদের প্রত্যেককেই দায়িত্বরত অবস্থায় হত্যা করা হয়। আর এই হত্যাকাণ্ডসমূহের মধ্য দিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে যে সংস্কারের দেখা মেলে, তা একটি নতুন রাজনৈতিক যুগের সূচনা করে।
চলুন, জানা যাক ৪ জন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হত্যার পর কীভাবে বদলে গিয়েছিল মার্কিন রাজনীতির প্রেক্ষাপট।
আব্রাহাম লিংকনের হত্যাকাণ্ড পুনর্গঠনের যুগে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটায়
আব্রাহাম লিংকন ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম প্রেসিডেন্ট। ১৮৬০ সালে রিপাবলিকান পার্টির হয়ে মনোনয়ন পান তিনি। এরপর ১৮৬১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সফল রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার পথে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই যেন আঞ্চলিক বিভেদের কারণ হয়ে ওঠেন আব্রাহাম লিংকন।
এছাড়াও সে সময় উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে একটি অদৃশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল সর্বজনস্বীকৃত। উত্তরাঞ্চলের একজন নেতা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় সেটি মেনে নিতে পারছিল না দক্ষিণের রাজনৈতিক নেতারা। আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই দাসপ্রথা বাতিলের মতো ঐতিহাসিক কাজে হাত লাগান লিংকন। এতে শ্বেতাঙ্গদের চোখের বালিতে পরিণত হন তিনি। সব মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবেশ তার একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। স্বয়ং রিপাবলিকান দলের অনেক বড় নেতাও তার এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন।
দক্ষিণের ৭টি অঙ্গরাজ্য আব্রাহাম লিংকনের বিরোধীতা করে ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে কনফেডারেট স্টেট অফ আমেরিকা গঠন করে। মার্কিন ইউনিয়নের সঙ্গে কনফেডারেট স্টেটের সম্মুখ যুদ্ধ একপর্যায়ে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। শুরু হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ। যদিও শেষপর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়েননি প্রেসিডেন্ট লিংকন। অতঃপর ১৮৬৫ সালের ১১ এপ্রিল তারিখে কনফেডারেট সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে এই গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
কিন্তু এরই মধ্যে শুরু হয় অন্য আরেকটি ষড়যন্ত্র। সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের ৭ দিন পর আব্রাহাম লিংকন সস্ত্রীক ওয়াশিংটনের ফোর্ড থিয়েটার হলে একটি নাটক উপভোগ করছিলেন। সেখানে ২৬ বছর বয়সী অভিনেতা জন উইলকিস বুথের গুলিতে নিহত হন তিনি। এই ঘটনার পর একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করে মার্কিন প্রশাসন। মূলত তরুণ অভিনেতা বুথ ছিলেন কনফেডারেট সমর্থক। লিংকনের প্রতি ঘৃণার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি এবং আরো কয়েকজন মিলে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন বলে জানা যায়।
প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন হত্যাকাণ্ড ছিল গৃহযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার-ব্যবস্থা চিরতরে ধ্বংস করার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। পরবর্তীতে তিনি যে পুনর্গঠনের ডাক দিয়েছিলেন সেটি কার্যকরের উদ্যোগ নেন তার উত্তরসূরি প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন। প্রেসিডেন্ট জনসন ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের অল্প কয়েকজন নেতার একজন যিনি গৃহযুদ্ধ চলাকালেও ইউনিয়ন বজায় রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বেশিরভাগ কনফেডারেট নেতাকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেন এবং দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যসমূহে নতুন করে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের নির্দেশ দেন। ফলশ্রুতিতে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন রাজ্য সরকার গঠন হয় এবং প্রণীত হয় বিতর্কিত ‘ব্ল্যাক কোড’। মূলত এর মধ্য দিয়ে আব্রাহাম লিংকনের সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের দমন করার ব্যবস্থা করা হয়। এতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই দক্ষিণাঞ্চলে চাষাবাদের কাজে সম্পৃক্ত হন আফ্রিকান-আমেরিকান সেসকল আমেরিকান নাগরিক।
জেমস অ্যাব্রাম গারফিল্ড হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার প্রচলিত ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করেছিল
১৮৮১ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ জেমস অ্যাব্রাম গারফিল্ড। দায়িত্ব গ্রহণের ৪ মাসের মাথায় ২ জুলাই তারিখে পর পর দুবার গুলিবিদ্ধ হন তিনি। ওয়াশিংটন ডি.সি-র বাল্টিমোর এবং পটোম্যাক রেলস্টেশনে হামলার শিকার হন তিনি। সেদিন ম্যাসাচুসেটসের স্বাধীনতা দিবসে বক্তৃতা দিতে ভ্রমণ করছিলেন প্রেসিডেন্ট জেমস গারফিল্ড। তবে সেখানেই নিহত হননি তিনি। বেঁচে ছিলেন আরও দুই মাস। তিনি হয়তো বেঁচে যেতেন যদি তার কাঁধে এবং পিঠের অস্ত্রোপচার সঠিকভাবে সম্পন্ন হতো। পরবর্তীতে ইনফেকশনের কারণেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
যে লোকটি প্রেসিডেন্ট গারফিল্ডকে গুলি করেছিলেন তার নাম ছিল চার্লস গাইটো। পেশায় একজন আইনজীবী হলেও তিনি ছিলেন খুবই ধূর্ত। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টকে গুলি করার প্রায় ২ মাস আগে থেকেই ওয়াশিংটন ডি.সি-তে গোপনে অনুসরণ করছিলেন তিনি। অথচ এর কয়েকমাস পূর্বে খুনি গাইটো প্রেসিডেন্ট গারফিল্ডের পক্ষে বক্তৃতা দেন। এমনকি নির্বাচনী প্রচারণায় তিনিও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু চার্লস গাইটোর প্রদান করা বক্তৃতা তখন বরাবরই উপেক্ষা করে গেছেন প্রেসিডেন্ট জেমস গারফিল্ড। গাইটো তার বস্তব্যের কয়েকটি জায়গায় প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনে সহায়তার বিষয়টি উল্লেখ করেন, এবং তাকে প্যারিসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়ার দাবি করেন।
প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর ক্ষোভ জন্মায় গাইটোর মনে। ফলশ্রুতিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের কারণে অসন্তুষ্ট সরকারি কর্মকর্তা সন্ধানকারী পেন্ডেলটন সিভিল সার্ভিস আইন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সক্রিয় হন পরবর্তীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চেস্টার আর্থার। ১৮৮৩ সালে স্বাক্ষরিত এই আইনের মধ্য দিয়ে সিভিল সার্ভিস সিস্টেমে বহুল প্রতীক্ষিত সংস্কার প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সাথে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার বদলে যোগ্যতা অনুযায়ী ফেডারেল চাকরি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
উইলিয়াম ম্যাককিনলে হত্যাকাণ্ড সিক্রেট সার্ভিস গঠন করেছিল
আমেরিকান গৃহযুদ্ধের অন্যতম নায়ক উইলিয়াম ম্যাককিনলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান ১৮৯৭ সালের মার্চ মাসে। বেশ ভালোভাবেই দায়িত্ব পালন করছিলেন ওহাইওর এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তার জীবনের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে ১৯০১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর।
সেদিন নিউ ইয়র্কের বাফেলোয় অনুষ্ঠিত প্যান-আমেরিকান মেলায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ম্যাককিনলে। শেষ দিকে অতিথিদের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন তিনি। করমর্দন চলাকালে নৈরাজ্যবাদী লিওন চরগোশ নামক এক ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট ম্যাককিনলেকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোঁড়েন। মোট দুবার পেটে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। অন্যদিকে, হামলাকারী লিওন চরগোশ রুমালের সাহায্যে পিস্তল লুকিয়ে ফেলে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৮ দিন পর ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন প্রেসিডেন্ট ম্যাককিনলে। এই ঘটনার পরেই আমেরিকান সিক্রেট সার্ভিস গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। অথচ মৃত্যুবরণ করার পূর্বে তার শাসনামলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সুরক্ষাব্যবস্থা ছিল শিথিল এবং কয়েকভাগে বিভক্ত। সেসময় গঠিত সিক্রেট সার্ভিসসমূহ মূলত জাল মুদ্রা তদন্তের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত ট্রেজারি বিভাগের একটি শাখা হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিল। যদিও পরোক্ষভাবে এটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য কাজ করত।
প্রেসিডেন্ট ম্যাককিনলের মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরি হিসেবে আসেন থিওডোর রুজভেল্ট। তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আধুনিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি দপ্তরে বসেই শক্তিশালী এমন সব আইন পাশ করেন যাতে কার্যনির্বাহী শাখার শক্তি বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে বৈশ্বিক রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বাড়ান তিনি। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ম্যাককিনলের হত্যাকারী লিওন চরগোশের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ১৯০১ সালের ২৯ অক্টোবর।
জন এফ. কেনেডি হত্যাকাণ্ড নাগরিক অধিকারের যুগের সূচনা করে
জন এফ. কেনেডি ছিলেন ১৯৬১ সালের জানুয়ারিতে ডেমোক্রেট পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। তিনি যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন, তেমনি তিনি ছিলেন দেশটির ইতিহাসের প্রথম ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট। তবে পুরো মেয়াদে দায়িত্বপালন করতে পারেননি তিনি। কারণ ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
সেদিন স্ত্রী জ্যাকলিন এবং টেক্সাসের গভর্নর জন কনেলিকে সাথে নিয়ে টেক্সাসের ডালাসে মটরগাড়িতে ভ্রমণ করছিলেন প্রেসিডেন্ট কেনেডি। এমন সময় বন্দুকধারী লি হার্ভে ওসওয়াল্ড একটি ভবনের ছ’তলার জানালা দিয়ে পর পর ৩টি গুলি ছোঁড়েন। ২টি গুলি সরাসরি প্রেসিডেন্ট কেনেডির মাথায় লাগে এবং তিনি সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। অন্য একটি গুলি লাগে গভর্নর কনেলির গায়ে, যদিও শেষপর্যন্ত তিনি বেঁচে যান।
এই ঘটনার দু’দিন পর ওসওয়াল্ডকে পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় ডালাস নাইট ক্লাবের মালিক জ্যাক রুবি গুলি করে হত্যা করে। মৃত্যুর পূর্বে প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি বহুল প্রতীক্ষিত নাগরিক অধিকার আইন প্রস্তাব করেছিলেন যাতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ এবং জাতীয় উৎসের ভিত্তিতে বৈষম্যকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও এটি উপস্থাপনের পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট কেনেডি ডেমোক্রেট পার্টির প্রতিনিধি হওয়ায় রিপাবলিকানরা এই আইনের ঘোর বিরোধিতা করে। সেই সাথে কংগ্রেস নীরব ভূমিকায় সরে দাঁড়ায়। প্রেসিডেন্ট কেনেডি হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর নাগরিক অধিকার আন্দোলনের রাজনৈতিক গতিপথ পরিবর্তন লাভ করে।
তার উত্তরসূরি, তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। যদিও কেনেডি হত্যাকাণ্ডের দিন মাত্র ৩টি মোটরগাড়ি পরেই ছিল তার গাড়িটি। যা-ই হোক, প্রেসিডেন্ট জনসন নাগরিক অধিকার এবং ভোটাধিকার আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যান। তার গৃহীত পদক্ষেপগুলো ছিল প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কেনেডির নিজে হাতে গড়া কার্যক্রমগুলোর বাস্তবায়ন। শেষপর্যন্ত প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন জাতিগত বিচ্ছিন্নতা রোধ করতে সক্ষম হন। সেই সাথে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেন।